শিক্ষা
ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়েছি, দাবি আদায় না হলে আন্দোলন চলবে: জবি শিক্ষকনেতা
অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে লক্ষ্য করে বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছউদ্দীন। একইসঙ্গে জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ছোড়া নিয়েও তথ্য উপদেষ্টার দুঃখপ্রকাশ করা উচিত ছিল বলে মন্তব্য করেন তিনি।
এই শিক্ষক নেতা বলেন, ‘আমাদের হুমকি দিয়ে লাভ নেই। আমরা ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে আন্দোলনরত জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. রইছউদ্দীন বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) আমাদের এখানে একজন উপদেষ্টা এসেছিলেন। তার সঙ্গে একটি ‘বোতল-কাণ্ড’ ঘটেছে। আমি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে তার কাছে দুঃখপ্রকাশ করেছি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ছোড়ার বিষয়ে উপদেষ্টারও দুঃখপ্রকাশ করা উচিত ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘জবির দাবিগুলো যৌক্তিক, কিন্তু সরকার আদৌ আছে কি না বুঝতে পারছি না! দুদিন হয়ে গেল, সরকারের পক্ষ থেকে কোনো রেসপন্স আসেনি। এ সরকার জুলাই আন্দোলনের ওপর দাঁড়ানো। এখানকার প্রতিটি শিক্ষার্থীও জুলাই বিপ্লবী। সুতরাং আমাদের হুমকি দিয়ে লাভ নেই। আমরা ফ্যাসিবাদকে তাড়িয়েছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এদিকে, তিন দফা দাবি আদায়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো কাকরাইল মোড় অবরোধ করছেন জবির শিক্ষার্থীরা।
জবির শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো— আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
আরও পড়ুন: দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়কে জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
আজ (বৃহস্পতিবার) সরেজমিনে দেখা যায়, মৎস্য ভবন থেকে কাকরাইলের দিকে যাওয়ার সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। ফলে একমুখী সড়কের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়াও কাকরাইল মসজিদের সামনে কাকরাইল মোড়ে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন করতে দেখা গেছে। এ সময় শিক্ষার্থীদের সড়কের মাঝপথে বসেও অবস্থান নিতে দেখা যায়।
এদিকে, আন্দোলন ঘিরে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার নিরাপত্তায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
২২৮ দিন আগে
দাবি আদায়ে দ্বিতীয় দিনের মতো সড়কে জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা
রাস্তার মাঝে কেউ শুয়ে আছেন, কেউ বসে; কেউ আবার গান গাইছেন তো কেউ হাততালি দিয়ে অন্যকে উজ্জীবিত রাখছেন। অনেকে আবার মেতেছেন খোশগল্পে, স্লোগানও দিচ্ছেন বা কবিতা পড়ছেন কেউ কেউ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে এভাবেই কাকরাইল মসজিদের সামনে ৩ দফা দাবিতে অবস্থান নিতে দেখা যায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক- শিক্ষার্থীদের। রাতভর এখানেই অবস্থান করেছেন তারা।
জবির শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো— আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
জবি শিক্ষার্থীদের চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে রাতভর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল, শিবির, ছাত্র অধিকার ছাত্র ফ্রন্ট, বৈষম্যবিরোধীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক সাধারণ শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান করছেন। সকালেও সেখানেই দেখা যায় তাদের।
শিক্ষার্থীরা বলেন, মার যখন খেয়েছি আরও খাবো, কিন্তু অধিকার আদায় না করে ক্যাম্পাসে ফিরব না।
আরও পড়ুন: দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব শামসুল আরেফিন বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে অন্যান্য ক্রিয়াশীল সংগঠনের পাশাপাশি ছাত্রদলও রয়েছে। কাকরাইল মসজিদের ভেতর প্রায় ৫ শতাধিক আর বাইরে রাস্তায় অসংখ্য ছেলেমেয়ে অবস্থান করছেন। তারা বিপ্লবের গান গেয়ে সময় পার করছেন। রাস্তায় যখন নেমেছি রাস্তা থেকেই সব দাবির ফয়সালা হবে।’
২২৮ দিন আগে
ফেনীতে এসএসসি পরীক্ষায় অনুপস্থিত ২৩৯৪ পরীক্ষার্থী
ফেনী জেলায় এবারের এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় ২ হাজার ৩৯৪ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। যার মধ্যে এসএসসিতে ১ হাজার ৮১৯ জন, দাখিলে ৪৫৬ জন ও এসএসসি (ভোকেশনাল) পরীক্ষায় ১১৯ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন।
এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনের বাংলা প্রথমপত্রের পরীক্ষায় ফেনীতে অনুপস্থিত ছিলেন ২৮৩ জন। এছাড়া, অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে একজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে নবম শ্রেণীকে রেজিষ্ট্রেশন করার পরেও এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ফরম পূরণ করেনি প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী।
জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখা সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর ফেনী জেলায় এসএসসি ও সমমানে জেলার ৩৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট ২৯ হাজার ৬০৯ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। পরীক্ষার্থীদের মধ্যে এসএসসিতে ২২ হাজার ৫৪৯ জন, দাখিলে ৫ হাজার ৮৮৯ জন ও ভোকেশনালে ১ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়।
দুই বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার পর বাকী পরীক্ষায় অংশ নেননি এ পরীক্ষার্থী। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান, প্রথম দুই বিষয়ে প্রশ্নপত্র কঠিন হয়েছে, পাশ করব না, তাই পরে আর অংশ নেইনি। আগামীবার ভালো করে পড়ালেখা করে আবার পরীক্ষা দেবেন-জানান এ শিক্ষার্থী।
মনোয়ারা বেগম নামে একজন অভিভাবক বলেন, যেসব মেয়েদের বিয়ে হয়েছে তাদের কয়েকজনের পরিবার তার পরিচিত এবং প্রবাসী বা চাকরিজীবী পাত্র পেলে মূলত দারিদ্রের কারণেই তারা মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। ছেলেদের মধ্যে অনেকে দারিদ্রতার কারণে পরিবারের অর্থনৈতিক হাত বাড়াতে চাকরি করে।
সোনাগাজীর ওসমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান ফারুক বলেন, আমার বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীকে ১০৬ জন রেজিষ্ট্রেশন করলেও এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন ৬৭ জন। এছাড়া রেজিষ্ট্রেশনকৃত প্রায় ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষার ফরম পূরণ করেনি বলে জানান সুন্দরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমির হোসেন।
জেলা মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) নাছরীন আক্তার বলেন, গত বছর ভয়াবহ বন্যার কারণে ফেনীতে দারিদ্র্য বেড়েছে। মোবাইল আসক্তির কারণেও শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়তে পারে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কাজে আসছে না ১৫০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ
শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন সুলতানা কান্তা বলেন, এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কোনোভাবেই এটি গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসনিকভাবে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখা হবে। তবে বাল্য বিয়ের খবর পেলেই আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। এটি অবশ্য সত্য যে অনেক ক্ষেত্রে অভিনব কৌশলে কেউ কেউ বাল্য বিয়ে দিচ্ছেন।
অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ না নেওয়ার কারণ তারা অনুসন্ধান করবেন বলে জানান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শফি উল্লাহ।
তিনি বলেন, প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে অনেকসময় প্রধান শিক্ষকরা এমন সব শিক্ষার্থীদের ফর্ম পূরণ করেন যারা ক্লাসে নিয়মিত নন এবং পরবর্তীতে দেখা যায় তাদের একটি বড় অংশই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে না। তবে এরা সবাই বিয়ের কারণে অনুপস্থিত কিনা কিংবা অনুপস্থিতদের মধ্যে ছাত্রী কতজন, বিস্তারিত এখনো জানা যায়নি। প্রধান শিক্ষকদের থেকে তালিকা নিয়ে তদন্তের মাধ্যমে বিস্তারিত জানা যাবে। প্রতিষ্ঠান প্রধানরা যেটি বলছেন, অনেক শিক্ষার্থীই পারিবারিক ও সামাজিক কারণে পরীক্ষা দিতে পারছে না। এর মধ্যে প্রেম বিয়েও একটি কারণ বলে তারা জানিয়েছেন।
সুসাশনের জন্য নাগরিক (সুজন) ফেনীর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, এসএসসি পরীক্ষায় কেন শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে ও কম অংশগ্রহণ করেছে সেটা জানতে হলে আমাদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে তদন্ত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের এভাবে ঝরে পড়া আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। বাল্যবিবাহ, পারিবারিক অসচেতনতা ও পারিবারিক চাপ এর পেছনে কাজ করছে বলে আমি মনে করি।
শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মিজ ফাতিমা সুলতানা বলেন, পরীক্ষার ভালো প্রস্তুতি না থাকা, অসুস্থতা, বাল্যবিবাহ এসব কারণেও অনেকসময় শিক্ষার্থীরা অনুপস্থিত থাকে। বন্যার কারণে অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষয়ক্ষতির কারণেও অনেকে অংশ নেয়নি।
তবে অভিভাবকদের সচেতনতার অভাবেও শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশ অনুপস্থিত থাকছে বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, পরীক্ষায় অনুপস্থিতির একটা বড় কারণ হতে পারে অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব। এখনো অনেক অভিভাবক আছেন, সন্তান কিসে পড়ে, কেমন পড়ছে, তার বিস্তারিত জানেন না। আবার অভিভাবকদের অর্থনৈতিক কারণেও অনেক পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকতে পারে। বাল্যবিবাহের কারণেও কিছু ছাত্রীর পড়াশোনায় সমস্যা হতে পারে।
এই সমস্যার সমাধানে তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখতে পারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কোন শিক্ষার্থীর পরিস্থিতি কেমন সেটি তাদেরকেই পর্যবেক্ষণ করতে হবে। পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী ওই সব শিক্ষার্থীর অভিভাবকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। যাতে কোনো পরীক্ষার্থীকে অনুপস্থিত থাকতে না হয়।
আরও পড়ুন: চার চিকিৎসকের কাঁধে পাঁচ লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ভার, জনদুর্ভোগ চরমে
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড, কুমিল্লার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক রুনা নাছরীন বলেন, ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিদিন কিছুসংখ্যক পরীক্ষার্থী (ফরম পূরণকৃত) অনুপস্থিত থাকছে, যা উদ্বেগজনক। এই পরিপ্রেক্ষিতে যেসব পরীক্ষার্থী ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছিল, কিন্তু এক বা একাধিক বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে না বা প্রথম দিন থেকেই অনুপস্থিত আছে, তাদের তথ্য গুগল ফরমের মাধ্যমে (লিংক সংযুক্ত) প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের প্রধানের কাছে জানতে চাইব। যা আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হবে।
২২৮ দিন আগে
দুর্বৃত্তের হাতে ঢাবি শিক্ষার্থী খুন: ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের প্রতিবাদ মিছিলে বহিরাগত!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যার প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা। তবে, ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচি ও সমাবেশে বহিরাগতদের অংশগ্রহণ ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সাংবাদিকদের হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার (১৪ মে) বেলা ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে মিছিলটি শুরু হয়। মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি চত্বর, মধুর ক্যান্টিন, কলাভবন হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আসেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে, সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন তারা। মিছিলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের নেতাকর্মী ছাড়াও নিউমার্কেট থানা, তিতুমীর কলেজ, কবি নজরুল কলেজসহ মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দুইজন সদস্যকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক জানান, ‘ভিসি চত্বরে অবস্থানকালে তিনি বন্ধুর সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছিলেন। হঠাৎ ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রফিকউল্লাহ এসে তাকে মারধরের হুমকি দেন। তাৎক্ষণিক আরেক সাংবাদিক প্রতিবাদস্বরূপ রফিকউল্লাহর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে ঢাবি শাখা ছাত্রদলের সহ-সাংগঠিক সম্পাদক আবু সাইদ তার পথরোধ করেন। এরপর সাংবাদিক পরিচয় দেওয়ার পরও ওই প্রতিবেদককে ধাক্কাধাক্কি ও গালিগালাজ করেন সাইদ।
এদিকে, বহিরাগত দুর্বৃত্তদের হাতে ঢাবি ছাত্র নিহতের প্রতিবাদ মিছিলে বহিরাগতের অংশগ্রহণ-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে।
এ নিয়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রিপন মিয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যে বহিরাগতদের হাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী প্রাণ হারালেন, সেই বহিরাগতকেই আবার এই প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হলো কেন? আপনারা বুঝতে পারেননি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্নিহিত স্পন্দন—এই ক্যাম্পাসের হৃদয়ের স্ফুলিঙ্গকে ধরতে আপনাদের ব্যর্থতা পরিষ্কার।’
আরও পড়ুন: দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
আরেক শিক্ষার্থী হুসাইন আহম্মেদ লিখেছেন, ‘যে বহিরাগতদের কারণে সাম্য ভাই খুন হলো, সেই বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে এনে ছাত্রদল সাম্য হত্যার প্রতিবাদ করছে—বাহ!’
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৩ মে) দিবাগত রাতে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে সাম্য হত্যাকাণ্ডের পরপরই বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাৎক্ষণিক মিছিল করে ছাত্রদল। এ সময় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভকারীরা উপাচার্যকে হেনস্তা করছেন–এমন অভিযোগ উঠেছে।
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রদলের মিছিলটি পৌঁছালে বাসার ভেতর থেকে উপাচার্য নিয়াজ আহমেদ খান বেরিয়ে আসেন। তখন একদল বিক্ষোভকারী তার দিকে তেড়ে আসেন। উত্তপ্ত মুহূর্তে ভিসিকে বলতে শোনা যায়, ‘মার, আমাকে মার।’
ওই বিক্ষোভে বেশ কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থী হেনস্তার শিকার হয়েছেন বলেও অভিযোগ এসেছে।
এ নিয়ে ঢাবি শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলের এক পোস্টে লিখেন, ‘গতকাল রাত ১টা ৪৫ মিনিটে সাম্য ভাইয়ের হত্যার প্রতিবাদে আমরা শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করি। মিছিলটি রাজু ভাস্কর্যে পৌঁছালে ছাত্রদলের কয়েকজন এসে আমাদের ভিসির বাসভবনের সামনে যাওয়ার আহ্বান জানায় এবং দাবি করে আমাদের তাদের সঙ্গে যোগ দিয়ে ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করতে হবে। আমি অস্বীকৃতি জানালে তারা হট্টগোল শুরু করে এবং ‘ফুটেজখোর’ বলে গালাগালি করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।’
তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে গালি শুনতে হয়েছে বলেও অভিযোগ তার।
এসব অভিযোগে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও উত্তর পাওয়া যায়নি।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত হন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলম সাম্য। সাম্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
২২৮ দিন আগে
নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রির সমমানের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ
নার্সিং ডিপ্লোমাকে ডিগ্রির সমমানের স্বীকৃতির দাবিতে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ মে) বিকাল ৪টার পর শাহবাগ মোড় ও জাতীয় জাদুঘর-সংলগ্ন এলাকায় শতাধিক শিক্ষার্থীকে স্লোগান দিতে দেখা যায়। দুপুর থেকেই সেখানে জড়ো হয়েছেন বলে জানান তারা।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ইন্টারন্যাশনাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থী আফরোজা বলেন, ‘এইচএসসি পাস করে তিন বছর ডিপ্লোমা করেছি, এরপর তিন মাস ইন্টার্নশিপ করেছি। তারপরও আমাদের এই শিক্ষাকে এইচএসসি সমমান করে রাখা হয়েছে। আমরা ডিগ্রির সমমান চাই। এটিকে ডিগ্রি সমমানের সার্টিফিকেট যেন করা হয়।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভে উত্তাল বরিশাল নার্সিং কলেজ
আরেক শিক্ষার্থী আশিক মাহমুদ বলেন, ‘আমরা প্রায় দুই বছর ধরে এই দাবি নিয়ে আন্দোলন করছি, কিন্তু কেউ গুরুত্ব দিচ্ছে না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
শিক্ষার্থীরা জানান, তীব্র গরমের মধ্যে দুপুর থেকে টানা স্লোগান দেওয়ায় অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। কয়েকজনকে রাস্তায় শুয়ে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে।
এদিকে, শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ঘিরে শাহবাগ ও আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ। নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
২২৮ দিন আগে
দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকার ঘোষণা জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের
দাবি আদায় না-হওয়া পর্যন্ত রাজপথে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, জবির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে কাকরাইল মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে অবস্থান করছেন।
বুধবার (১৪ মে) বিকাল সাড়ে তিনটার সময় এই ঘোষণা দেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এসময় তারা বলেন, আমাদের শিক্ষক ও ছাত্রদের ওপর হামলা চালানো ঘাতক পুলিশের বিচার করতে হবে।
এসময় জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন বলেন, ‘সরকারের এই কর্মকাণ্ডে আমরা মর্মাহত। আমার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর চালানো হামলায় শতাধিক আহত হয়েছেন। পুলিশের এই হামলার বিচার করতে হবে।’
অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা, ‘জেগেছে রে জেগেছে, জবিয়ান জেগেছে’; ‘আমার ভাই অনাহারে যমুনা কি করে’; ‘এসেছি যমুনায় যাবো না খালি হাতে’; ‘আমার ভাই আহত কেন ইন্টেরিম জবাব চাই’ এসব স্লোগান দেন।
এদিন বিকাল ৩টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন মঞ্জুর মোর্শেদ উপস্থিন হন।
এদিন, বেলা ১১টায় তিন দফা দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে লং মার্চ শুরু করেন জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এতে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে পুলিশ। এই ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।
লং মার্চটি মৎস্য ভবন পার হয়ে কাকরাইল মসজিদের ক্রসিং মোড়ে গেলে কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড, গরম পানি নিক্ষেপ করে পুলিশ। এতে আহত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিন, সহকারী প্রক্টর নাইম সিদ্দিকি, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক নাসিরউদ্দিন, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন লিমন প্রমুখ।
পুলিশের লাঠিচার্জ ও কাঁদানে গ্যাসে গুরুতর আহত হয়ে অন্তত ৩০ জন জবি শিক্ষার্থী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, ‘আমার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ হামলা চালিয়েছে। আমার সহকারী প্রক্টরের ওপরও পুলিশ আঘাত করেছে। শিক্ষার্থীদের ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ অমানবিক আচারণ করেছে। এর বিচার না-হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।’
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, আহত শতাধিক
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি প্রতিনিধিদল ইউজিসিতে যান। কিন্তু ইউজিসি থেকে আশানুরূপ কোনো ঘোষণা না আসায় ‘লংমার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। ওইদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘জুলাই ঐক্য’ সংগঠনের পক্ষ থেকে এ কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো—জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে হবে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
২২৮ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, আহত শতাধিক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড এবং জল-কামান নিক্ষেপের ঘটনায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ শতাধিক আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের চাকরিচ্যুত করাসহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৪ মে) দুপুর পৌঁনে ১২টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি অনুযায়ী সেগুনবাগিচার কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যৌক্তিত দাবিতে করা আমাদের এ কর্মসূচীতে হামলা করা হয়েছে। এ কারণে আগের দাবির সঙ্গে আমরা আরেক দফা দাবি যুক্ত করছি। আমাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড এবং জল-কামান নিক্ষেপের ঘটনায় জড়িতদের চাকরিচ্যুত করাসহ দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
এর আগে, আজ (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা। সোয়া ১২টার দিকে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট মোড়ে পৌঁছালে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। তবে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সামনে এগিয়ে যান।
তার আগে, গতকাল (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জবির বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন সংকট নিরসন বিষয়ে আলোচনা হলেও দাবি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর ‘জবি ঐক্য’ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন এক প্লাটফর্ম থেকে তিন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের আগের তিন দফা দাবি হলো—আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, জবির ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে করা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
২২৯ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস-সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ
আবাসন ভাতাসহ তিন দফা দাবিতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা অভিমুখে যাত্রার সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ওপর কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড এবং জল-কামান নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৪ মে) দুপুর পৌঁনে ১২টার দিকে পূর্বঘোষিত ‘লং মার্চ টু যমুনা’ কর্মসূচি অনুযায়ী সেগুনবাগিচার কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে শিক্ষার্থী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের এক পর্যায়ে এ ঘটনা ঘটে।
কাঁদানে গ্যাসে আহত শিক্ষার্থী সামিউল রহমান বলেন, ‘আমাদের যৌক্তিক দাবির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করেছে। আমার উপর কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় কারাতে প্রতিযোগিতায় জবির দুই শিক্ষার্থীর স্বর্ণপদক জয়
এর আগে, আজ (বুধবার) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ক্যাম্পাস থেকে যমুনা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা। সোয়া ১২টার দিকে গুলিস্তানের জিরো পয়েন্ট মোড়ে পৌঁছালে তাদের বাধা দেয় পুলিশ। তবে পুলিশের বাধা অতিক্রম করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সামনে এগিয়ে যান।
তার আগে, গতকাল (মঙ্গলবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে জবির বাজেট বৃদ্ধি ও আবাসন সংকট নিরসন বিষয়ে আলোচনা হলেও দাবি মানা হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন শিক্ষার্থীরা।
এরপর ‘জবি ঐক্য’ নামে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নতুন এক প্লাটফর্ম থেকে তিন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে লং মার্চের ঘোষণা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবি হলো—আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করা, জবির ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাঁটছাট না করেই অনুমোদন করতে করা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করা।
আরও পড়ুন: চার দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
আন্দোলনে উপস্থিত রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোশাররাফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইছ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বেলাল হুসাইন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, সদস্যসচিব সামসুল আরেফিন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আসাদুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান আকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি একে এম রাকিব সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
২২৯ দিন আগে
বাকৃবি প্রশাসনের নির্ধারিত ভাড়া মানছেন না রিকশাচালকরা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ক্যাম্পাসের ভেতরে চলাচলকারী রিকশা ও অটোরিকশার নির্ধারিত ভাড়া মানছেন না অনেক রিকশাচালক। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্দিষ্ট গন্তব্য অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা প্রকাশ করলেও বাস্তবে তার থেকে দ্বিগুণ ভাড়া দাবি করছেন চালকরা।
অপরদিকে রিকশাচালকরা বলছেন, প্রশাসন যে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে, তা পর্যাপ্ত নয়।
শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অভ্যন্তরীণ রিকশা ও অটোরিকশার জন্য রুটভিত্তিক ভাড়া নির্ধারণ করে। এরপর ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ভাড়ার তালিকাও টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তবু কিছু রিকশাচালক নিজেদের ইচ্ছামতো বাড়তি ভাড়া দাবি করছেন। প্রশাসনের তদারকির অভাবেই তারা এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: কাজে আসছে না ১৫০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ডিজিটাল শিক্ষা উপকরণ
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে এমনই এক পরিস্থিতির শিকার হন ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী মো. সোহান। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কে আর মার্কেট থেকে শেষ মোড় পর্যন্ত রিকশাভাড়া ১০ টাকা নির্ধারিত থাকলেও এক রিকশাচালক তার কাছে ২০ টাকা দাবি করেন।
সোহান বলেন, ‘এটি পুরোপুরি অযৌক্তিক। প্রশাসন যদি ক্যাম্পাসের ভেতরে নির্দিষ্ট রিকশা সার্ভিস চালু করে, তাহলে শিক্ষার্থীরা এমন হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে পারে।’
তবে অভিযুক্ত রিকশাচালক মো. নীরব পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেটি আমাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। ময়মনসিংহ শহরে এইটুকু রাস্তার ভাড়া আমরা সর্বনিম্ন ২০ টাকা রাখি। আপনারা রিকশায় ওঠার আগে ভাড়া ঠিক করে তারপর উঠবেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থী মো. মুরসালিন বলেন, ‘ময়মনসিংহ শহরে চলাচলে প্রচুর যানজট মোকাবিলা করতে হয়। এক জায়গাতেই অনেকক্ষণ বসে থাকতে হয়। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোনো যানজট নেই। প্রশাসন বিভিন্ন স্থান থেকে দূরত্ব পরিমাপ করেই ভাড়া নির্ধারণ করেছে। তাই রিকশাচালকদের শহরের সঙ্গে তুলনা করে ভাড়া চাওয়া অযৌক্তিক।’
বিষয়টি নিয়ে সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের কথা চিন্তা করেই বর্তমান প্রশাসন ক্যাম্পাসের ভেতরে রিকশা ও অটোরিকশার ভাড়া নির্ধারণ করে দিয়েছে। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকেও অনেক রিকশা ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করে এবং ভাড়া নিয়ে ঝামেলা করে থাকে বলে অভিযোগের কথা শুনেছি।’
তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসের মধ্যেই যারা নিয়মিত রিকশা চালায় তাদের আরও মোটিভেট করার চেষ্টা করব। তবে অনেক সময় বৃষ্টি বা অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় রিকশা ভাড়া বেশি চাওয়া হয়, পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদেরও সেই সময় মানবিক হতে হবে। যেহেতু বিষয়টি শিক্ষার্থী-কেন্দ্রিক, তাই আমরা রিকশাচালকদের সঙ্গে আলোচনা করে ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে অতি শিগগিরই বিষয়টির সমাধান করব।’
২২৯ দিন আগে
ঢাবিতে বৈদ্যুতিক শাটল কার পরিষেবা চালু
শিক্ষার্থীদের নিরাপদ ও আরও সুবিধাজনক পরিবহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি বৈদ্যুতিক শাটল কার পরিষেবা চালু করা হয়েছে।
গ্রিন ফিউচার ফাউন্ডেশনের সহায়তায় এই উদ্যোগের আওতায় প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চারটি বৈদ্যুতিক শাটল কার চলাচল করবে।
রুটের অনুযায়ী প্রতি যাত্রার ভাড়া ১০ ও ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
১৪ জন আসন ধারণক্ষমতার প্রতিটি শাটল কারে যাত্রার সময় যাত্রীদের সহায়তা করার জন্য একজন স্বেচ্ছাসেবক থাকবেন।
প্রাথমিকভাবে, ক্যাম্পাসে চারটি নির্ধারিত রুটে শাটল কারগুলো চলবে।
২২৯ দিন আগে