শিক্ষা
যবিপ্রবিতে গুচ্ছ পদ্ধতির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি পঞ্চম বারের মতো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (যবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটে যবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৫৮৩৯ জন। এর মধ্যে ৯৫.৯২% শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছেন।
শুক্রবার (২ মে) ‘বি’ ইউনিটে মানবিক বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৯ মে ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উক্তদিনে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষাটি ৩টা হতে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘যবিপ্রবি কেন্দ্রে জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য যা করার প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছে।’ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি যবিপ্রবির সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
যবিপ্রবি কেন্দ্রের বি ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. মুনিবুর রহমান বলেন, ‘বি ইউনিটের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সকল ভবনের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ, যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকগণ দায়িত্ব পালন করেন।’
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে যবিপ্রবির শিক্ষক বরখাস্ত
এর আগে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যবিপ্রবিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার সময় যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ছিলেন।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুনকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন।
হল পরিদর্শন শেষে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে যবিপ্রবির উপাচার্য কুশল বিনিময় করেন।
২৪০ দিন আগে
কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য চুয়েটের অধ্যাপক হযরত আলী
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হযরত আলী।
বৃহস্পতিবার (১ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বৃত্তি ও প্রকৌশল শাখা থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩-এর ১০ (১) ও ১০ (৩) ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের আগপর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য অধ্যাপক ড. হযরত আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্ব পালনকালে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা প্রাপ্যসহ বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলে উল্লেখিত শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।আরও পড়ুন: কুয়েটের উপাচার্যের অব্যাহতি, অনশন ভেঙে শিক্ষার্থীদের আনন্দ মিছিল
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন।
ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
এর প্রতিবাদে কুয়েট শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। তারা কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ও সহ–উপাচার্য শেখ শরীফুল আলমকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২৪১ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা: প্ররোচনার অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে দায়ের করা আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার যুবক ইয়াছিন মজুমদারের (২৩) সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার অথৈ-এর বাবা প্রনব মজুমদার (৫৯) বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মো. ইয়াছিন মজুমদার (২৩) নামের এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। স্কুলজীবনে তাদের মধ্যে পরিচয় ছিল। আমার মেয়ে ঢাকা চলে আসলে বিবাদী আমার মেয়েকে অনুসরণ করে ঢাকায় আসে এবং লালবাগ থানা ধারা এলাকায় জমিদারী ভোজ নামক রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকরি নেয়।
ইয়াছিন পূর্বের ন্যায় আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে এবং কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে অপমানজনক কথা, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন অথৈকে। এরপর গতকাল ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত উৎসবে অনুশীলন শেষে মেসে ফেরার পথে ইয়াসিন অথৈকে গালমন্দ করেন ও উৎসবে অংশ না নিতে চাপ দেন। পরে তার (অথৈ) রুমের দরজা ভেঙে অথৈয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মেসের মালিকের স্ত্রী মোসাম্মাৎ জোৎস্না বেগম প্রথম ঘটনাটি দেখেন। পরে ইয়াছিন মজুমদারসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ২৯ জন
এজহারে নিহতের বাবা প্রণব মজুমদার বলেন, 'আমার ধারণা, বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে মেয়েটি মেসের রুমে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের সহপাঠীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ছুটে আসি।'
এবিষয়ে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। কোর্টে চালান দিয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, মেয়ের বাবার মামলা মোতাবেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে বলেছি।
২৪২ দিন আগে
জুলাই আন্দোলনে হামলাকারীদের তথ্য চেয়ে জবি প্রশাসনের গণবিজ্ঞপ্তি
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাহিরে সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনায় জড়িত জবির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের তথ্য চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তর হতে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় (১৫ জুলাই ২০২৪ থেকে ৫ আগষ্ট ২০২৪ পর্যন্ত) ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের বাহিরে সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনায় জড়িত জবির শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে আগামী ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযোগকারীর তথ্য, অভিযোগ ও অভিযুক্তদের বিস্তারিত বিবরণ এবং স্বপক্ষে প্রমাণসহ সিলগালাকৃত খামে জমা দিতে অনুরোধ করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে অভিযোগকারীর তথ্য ও পরিচয় কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে রক্ষা করা হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীকে মারধর ও পুলিশে সোপর্দ, প্রতিবাদে বিভাগের গেটে তালা
এর আগে বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়। মঞ্জুর মুর্শেদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমাদের যে কমিটিটা হয়েছিল সেটার কার্যক্রম আমরা বৃহত্তর পরিসরে শুরু করেছি। তাই প্রাথমিকভাবে আমরা বিভিন্ন বিভাগ, দপ্তর, ইনিস্টিউট ও এর বাইরেও যদি কেউ আক্রান্ত হয় এই তথ্যটা বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আমরা সিলগালা খামে তথ্য আহ্বান করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘অভিযোগ এসেছে, সেগুলোও আমরা দেখছি। তবে আমরা একটু বৃহত্তর পরিসরে কাজ শুরু করেছি, যাতে কেউ বলতে না পারে যে তাদের তথ্য নেওয়া হয়নি। তারপর সে অনুযায়ী আমরা শুনানি, গণশুনানি বা তাদের ইন্টারভিউ নেব, তারপর বাকি কাজ করব।
২৪৪ দিন আগে
পিএসসির সংস্কারসহ ৭ দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সংস্কার ও প্রশ্ন ফাঁসে জড়িতদের শাস্তিসহ ৭ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর দেড়টার দিকে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় একটি মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ ঘুরে এসে শান্ত চত্বরে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে আন্দোলনের মুখপাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হুসাইন মুন্না ৭ দফা দাবি তুলে ধরেন।
দাবিগুলো হলো— ৪৫ তম বিসিএস থেকে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০০ করা, প্রিলি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার নম্বর প্রকাশ করা, প্রতিটি বিসিএসের নির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা করা, সুপারিশ প্রক্রিয়া নিরপেক্ষ করার লক্ষ্যে ভেরিফিকেশনের হয়রানি লাঘবের ব্যবস্থা এবং গেজেট প্রণয়ন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হওয়া, ভাইভা উত্তীর্ণ সবার চাকুরির নিশ্চিত করা, বেসরকারি ক্ষেত্রে আবেদন ফি সহনীয় পর্যায়ে আনার লক্ষ্যে আগামী ৭ দিনের মধ্যে কমিশন গঠন করার পাশাপাশি বিসিএসসহ সব চাকুরি পরীক্ষার ভাইবা বোর্ডে নিরপেক্ষ লোক নিয়োগ দেওয়া, বিসিএস প্রশ্ন ফাঁসকারী চক্রাদ্ধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তারা, তা না হলে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়া আহ্বান জানান তারা।
মুন্না বলেন, ‘৫ আগস্টের পরে এ বিষয় নিয়ে কথা বলা লজ্জার। আমাদের হতাশ করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমরা ভেবেছিলাম আমাদের আর রাজপথে নামতে হবে না।গত বিসিএসের প্রশ্নফাঁসের ব্যাপারে সবাই জানেন এবং সবার কাছে পানির মত পরিস্কার।’
আরও পড়ুন: পিএসসিতে আরও ৭ সদস্য নিয়োগ
এ সময় বিসিএস ভাইবাতে শিক্ষার্থীদের হেনস্তার শিকার হওয়ার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান এই শিক্ষার্থী।
পদার্থবিজ্ঞানের ১২ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরেও পিএসসির সংস্কার নিয়ে আমাদের আন্দোলন করতে হবে; এটা ভাবিনি। আমাদের দাবি না মানলে জুলাইয়ের মত আবারো রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।’
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান হোসেন বলেন, ‘৪৬ তম বিসিএস এর প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে এটাতে কোন সন্দেহ নেই। জড়িত কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
ওই পরিক্ষা বাতিল করে পুনরায় নেওয়ার দাবি জানিয়ে আরমান বলেন, পিএসসির সংস্কার না হলে এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া একই দিনে যেন কয়েকটি চাকরির পরীক্ষা নেওয়া না হয় সে সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ বাতিল
২৪৫ দিন আগে
উচ্চশিক্ষায় বাধা দূর করতে পদ্ধতিগত পরিবর্তনের উদ্যোগ নেব: শিক্ষা উপদেষ্টা
উচ্চশিক্ষায় যে প্রতিবন্ধকতাগুলো রয়েছে, সেগুলো দূর করার একটি পদ্ধতিগত পরিবর্তনের উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বিশবিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে অফিসার্স ক্লাবে সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটির তৃতীয় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘উচ্চশিক্ষায় যে প্রতিবন্ধকতাগুলো রয়েছে, সেগুলো দূর করার একটি পদ্ধতিগত পরিবর্তনের উদ্যোগ আমরা শুরু করব এবং সেটিকে বাস্তবায়নের দিকেও নিয়ে যাব। আশা করি, সকল অংশীদার—পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে আমরা বিশবিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে সক্ষম হব।’
সদ্য স্নাতকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বর্তমান শিল্প-বিপ্লবের এই যুগে একদিকে যেমন প্রযুক্তির উৎকর্ষতা ও নতুন সম্ভাবনা রয়েছে, অন্যদিকে রয়েছে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ। এগুলো তোমাদের মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।’
ড. আবরার বলেন, ‘আমি এমন এক শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে যেতে চাই, যেখানে সামগ্রিক উন্নয়নের সঙ্গে সৃষ্টি হবে আত্মোন্নয়নের পথ; যা হবে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষে সহায়ক; ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মূল্যবোধসম্পন্ন নাগরিক অধিকার।’
‘আমি এমন শিক্ষাব্যবস্থার স্বপ্ন দেখি, যেখানে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের ভেতরেই তাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে পারবে; বাংলাদেশ থেকেই শিক্ষার্থীরা পুরো বিশ্বকে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে।’
সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, সেন্ট্রাল উইমেন্স ইউনিভার্সিটি অবস্থানের দিক থেকে এমন একটি স্থানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে পুরান ঢাকার বিশাল জনগোষ্ঠীর নারীদের প্রতিষ্ঠানটি উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এমন স্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য সম্পৃক্ত উদ্যোক্তাদের অভিনন্দন জানান তিনি।
এ সময় অভিভাবকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘যে আশা নিয়ে আপনার সন্তানকে এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করেছেন, আমি আশা করি, আপনাদের সন্তানরা সেই আশার আলো দেখাবে এবং ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার জন্য নিজেদের নিয়োজিত করবে।’
অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, শিক্ষকমণ্ডলী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
২৪৬ দিন আগে
জাপানের এনইএফ বৃত্তি পেলেন বাকৃবির ১০ মেধাবী শিক্ষার্থী
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) চারটি অনুষদের ১০ জন শিক্ষার্থীকে নাগাও ন্যাচারাল এনভায়রনমেন্ট ফাউন্ডেশনের (এনইএফ) বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তারের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন— ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী লারা সরকার ও মাহানি মোহল আনসারী কেয়া; কৃষি অনুষদ থেকে রিফা নানজিবা জেনি, জান্নাতুল ফেরদৌস রিতু, সৈয়দা শামীমা আহমেদ সূচি ও মো. নাবিউল হক; পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী সায়মা সিদ্দিকা সাবা ও এশা আহম্মেদ; মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদ থেকে মো. মিজানুর রহমান নাইম ও আরাফিয়া জাহান।
জানুয়ারি-ডিসেম্বর ২০২৩ সালের অসাধারণ ফলাফলের স্বীকৃতিস্বরূপ এই বৃত্তি প্রদান করা হয়।
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে বাকৃবিতে নারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনইএফ, বাকৃবি কমিটির সদস্য ও ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক এবং প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম।
এনইএফ জাপানের একটি বেসরকারি সংস্থা। উন্নয়নশীল দেশগুলোর প্রকৃতির সুরক্ষার জন্য ১৯৮৯ সালের নভেম্বরে এই সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ুয়া মেধাবী শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দেশের আরও চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এই বৃত্তি দেওয়া হয়।
অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে রয়েছে— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
২৪৮ দিন আগে
নওগাঁয় ক্লাস-হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল প্রাকটিস বন্ধের ঘোষণা শিক্ষার্থীদের
ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সায়েন্স অ্যান্ড মিডওয়াইফারি এবং ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি কোর্সকে স্নাতক সমমান (ডিগ্রি পাস কোর্স) করার দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় সদর হাসপাতালের সামনে ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন জেলা শাখার সভাপতি প্রতিক, নওগাঁ নার্সিং ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লিমা খাতুন, ডিপ্লোমা ইন নার্সিং সাইন্স এন্ড মিডওয়াফারি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা খাতুনসহ নার্সিং ইনস্টিটিউটের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, এইচএসসি পাশের পর তিন বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করেও স্নাতকের সমমানের স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। ডিপ্লোমা নার্সিং কোর্সকে স্নাতকের সমমান করার দাবিতে তারা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবর এবং প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য এবং পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। তাদের এই যৌক্তিক দাবির পক্ষে নীতিনির্ধারকরা সহমত পোষণ করলেও আজ পর্যন্ত কোনো সুস্পষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাই দ্রুত এই বৈষম্য দূর করে তাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়া না হলে আগামী রবিবার থেকে ক্লাস, ডিউটি এবং হাসপাতালের সকল প্রকার ক্লিনিক্যাল প্রাকটিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেন তারা।
আরও পড়ুন: সাভারে সিআরপি নার্সিং কলেজ শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
নওগাঁ নার্সিং ইনস্টিটিউটের ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারি তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী লিমা খাতুন বলেন, আমরা এইচএসসির পর ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নার্সিং ইনস্টিটিউটগুলোতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাই। ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে নার্সিং কোর্স ছিলো ৪ বছরের, যা ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে ৩ বছর করা হয়। অন্যরা যদি এইচএসসির পর বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে স্নাতকের মর্যাদা পায়। তাহলে আমরা কেন পাবো না। আমরা চাই ডিপ্লোমাকে যেন স্নাতক সম্মানের মর্যাদা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি প্রতীক বলেন, আমরা গত কিছুদিন যাবত আমাদের দাবি আদায়ে শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে আসতেছি। কিন্তু আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে না। আগামী শনিবারের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন না করা হলে, রবিবার থেকে ক্লাস, ডিউটি এবং হাসপাতালের সকল প্রকার ক্লিনিক্যাল প্রাকটিস অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হবে।
২৪৮ দিন আগে
কুয়েট উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে অপসারণ প্রক্রিয়া শুরু
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। বুধবার (২৩ এপ্রিল) গভীর রাতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটের সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।
অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৪৯ দিন আগে
‘বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো পড়তে এসেছো, এলাকার কলেজে পড়লেই তো পারতে,’ শিক্ষার্থীকে রেজিস্ট্রার
কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে রুম থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. শেখ মো. গিয়াস উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, রেজিস্ট্রার তাদের বলেছেন, ‘বের হয়ে যাও! ওরে বের করে দাও! বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো পড়তে এসেছো এলাকার কলেজে পড়লেই তো পারতে।’
শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের গ্যারেজ থেকে তিন মাসে একাধিক সাইকেল চুরির ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) লিখিত অভিযোগ দিতে রেজিস্ট্রার গিয়াস উদ্দিনের কাছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের সভাপতি ইভান তাহসীবসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী গেলে তাদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হয়।
শিক্ষার্থীরা বলেছেন, চুরির ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর লিখিত অভিযোগ নিয়ে যাওয়ার পরই তিনি এর সমাধান না করে উল্টো উত্তেজিত হয়ে তাদের রুম থেকে বের করে দেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করার একটি অডিও ক্লিপ হাতে এসেছে।
অডিও ক্লিপে শোনা যায়, শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে রেজিস্ট্রার ড. গিয়াস উদ্দিন উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের মালামালের নিরাপত্তা দিতে পারব না, মালামাল শিক্ষার্থীদের নিজ দায়িত্বে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা কি খাবে, কোথায় থাকবে? এই দায়িত্ব প্রশাসনের না। শিক্ষার্থীদের কিছু হলে এর দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দায়ভার নিতে পারবে না।’
একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্ষিপ্ত হয়ে রেজিস্ট্রার বলেন, ‘বের হয়ে যাও, ওকে বের করে দাও। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে কেনো পড়তে আসো এলাকায় পড়লেই তো পারতে।’
আরও পড়ুন: কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান
এ বিষয়ে ইভান তাহসীব বলেন, ‘আমার এক ছোট ভাইয়ের সাইকেল চুরি নিয়ে অভিযোগ দিতে রেজিস্ট্রার দপ্তরে যাই। আমি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যারেজ থেকে সাইকেল চুরির ঘটনা বললে, রেজিস্ট্রার উত্তেজিত হয়ে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো গ্যারেজ নেই। শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের আন্ডার গ্রাউন্ডের মালামালের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি গ্যারেজের নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে গ্যারেজ বন্ধ করে দিক, অথবা সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঘোষণা করে দিক। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো মালামালের দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় নিতে পারবে না। এক পর্যায়ে আমাকে তার কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি মিটিং আছেন এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার বিভিন্ন ফোন নাম্বার দিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
২৪৯ দিন আগে