শিক্ষা
কৃমিজনিত রোগে গবাদিপশুর মৃত্যু: প্রতিকার ও প্রতিরোধ
গবাদিপশুর হওয়া রোগগুলোর বেশিরভাগই কৃমিজনিত রোগ। এর ফলে ওজন কমে যায়, দুধ উৎপাদন হ্রাস পায় এবং মৃত্যুর কারণও হতে পারে। গবাদিপশুর কৃমি সংক্রমণ একটি সাধারণ সমস্যা হলেও এটি গবাদিপশুর স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। যা একজন খামারির অর্থনৈতিক ক্ষতির অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এছাড়া গবাদিপশুর রোগ নিয়ে আগাম কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করলে খামারিরা তাদের গবাদিপশুকে কৃমিজনিত রোগ থেকে অনেকাংশেই নিরাপদ রাখতে পারেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাণী বিশেষজ্ঞ ড. মো. সহিদুজ্জামান ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে খামারিদের পরামর্শ দিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশে কৃমি রোগের চিকিৎসা অনেকটা অবহেলিত। সাধারণ খামারিরা নিয়মিত কৃমিনাশক খাওয়ান না বললেই চলে। গবাদিপশুর অন্ত্রে বসবাসকারী কৃমি পুষ্টিকর উপাদান শোষণ করে, ফলে পশুটি পুষ্টিহীনতায় ভোগে। শরীরের অন্যান্য অঙ্গে কিছু কিছু কৃমি আক্রমণ করায় পশু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সঠিক সময়ে কৃমি শনাক্তকরণ ও চিকিৎসা না হলে পশু মারা যেতে পারে। তাই পশুকে কৃমি পরীক্ষা ও কৃমিনাশক খাওয়ানো জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষাকালে ও শীতের শুরুতে পরজীবীর আক্রমণ অপেক্ষাকৃত বেশি হয়। এর পূর্বেই খামারিদের সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কৃমি সংক্রমণের কারণগুলোর মধ্যে সংক্রমিত চারণভূমি বা ঘাস খাওয়া, অপরিষ্কার পানি পান করা, সংক্রমিত পশুর মল দ্বারা দূষিত খাদ্য গ্রহণ, নিয়মিত কৃমিনাশক না দেওয়া, খামারের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ও কৃমি সংক্রমণ সম্পর্কে অসচেতনতা অন্যতম।’
তিনি বলেন, ‘বর্ষার আগে বিশেষ করে এপ্রিল ও মে মাসে কৃমিনাশক প্রয়োগ করা ভালো। এতে করে যকৃতকৃমি ও পেটের কৃমির সংক্রমণ প্রতিরোধ সম্ভব। চারণভূমি ঘন ঘন পরিবর্তন করতে হবে ও জলাবদ্ধ এলাকা এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ এসব জায়গায় কৃমির সংক্রমণ বেশি হয়। অনেক খামারি নিয়মিত কৃমিনাশক প্রয়োগ করেন না, ফলে দেহে কৃমি সংক্রমিত হয়ে উৎপাদন কমিয়ে দেয়। গরুর ক্ষেত্রে কৃমির সংক্রমণ প্রতিরোধে নিয়মিত কৃমিনাশক ব্যবহার, খামার পরিচ্ছন্ন রাখা ও সংক্রমিত গরুকে আলাদা করা জরুরি। এছাড়া সংক্রমিত পশুর ওজন কমে যায়, দুর্বলতা দেখা দেয়, খাওয়ার অনীহা তৈরি হয় ও অনেক ক্ষেত্রে রক্তশূন্যতা হতে পারে। গুরুতর সংক্রমণের ক্ষেত্রে শরীর ফুলে যাওয়া ও মলে কৃমির উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।’
আরও পড়ুন: ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে বাকৃবিতে নারী শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
কোনো গবাদিপশু কৃমিতে আক্রান্ত হলে সেটির চিকিৎসা সম্পর্কে অধ্যাপক সহিদুজ্জামান বলেন, ‘অ্যালবেনডাজল, লেভামিজোল, আইভারমেকটিন ও ট্রিকলাবেনডাজলসহ বিভিন্ন কৃমিনাশক ওষুধ সংক্রমণ প্রতিরোধে কার্যকর।’
‘সংক্রমণের মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ওষুধের প্রয়োগ পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়। ওষুধ প্রয়োগের মাত্রা নির্ধারণের জন্য অবশ্যই একজন রেজিস্টার্ড ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ মেনে চলতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গবাদিপশুর কৃমি সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশেষ করে গরুর ক্ষেত্রে, জন্মের ১৫ দিন থেকে ১ মাসের মধ্যে প্রথম কৃমিনাশক প্রয়োগ করা উচিত। এরপর প্রতি ৩ মাস অন্তর অন্তর কৃমিনাশক প্রয়োগ করতে হবে। খামার পরিচ্ছন্ন রাখা ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘খামারিরা এসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অনুসরণ করলে পশুর স্বাস্থ্য ভালো থাকবে, উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে ও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া সম্ভব হবে।’
২৭৬ দিন আগে
শাবিপ্রবিতে ১৫ এপ্রিল থেকে প্রথম বর্ষের ভর্তি কার্যক্রম শুরু
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তি কার্যক্রম আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে শুরু হবে। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ফি, ভর্তি প্রক্রিয়া, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, সময়সূচি ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয়াদি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে জানানো হবে।
এর আগে গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর ও যশোরের পাঁচটি কেন্দ্রে শাবিপ্রবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ২৩ দিনের ছুটিতে শাবিপ্রবি
এরপর গত ৯ মার্চ পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
এবার শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে (মানবিক, বাণিজ্য, বিজ্ঞান) আসন রয়েছে ৫৮১টি, ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) মোট ৯৮৫টি আসন রয়েছে।
২৭৬ দিন আগে
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন
কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচিতে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
সংশোধিত সময়সূচি অনুযায়ী পরীক্ষা আগামী ১২ এপ্রিল তারিখে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টার পরিবর্তে বিকাল ৩টা হতে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
২৭ মার্চ (বুধবার) এবারের কৃষিগুচ্ছের নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সই করা একটি বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ১৭ মার্চের অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটি ৪র্থ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষার এ সময় পরিবর্তন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আগামী ১২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিটি আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য লড়বেন ২৫ জন শিক্ষার্থী। ভর্তি পরীক্ষার কেন্দ্রগুলো হলো- ময়মনসিংহের বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেনারি ও অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।
২৭৬ দিন আগে
সাত কলেজ নিয়ে যৌক্তিক সমাধান আসবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ বলেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজ নিয়ে যে সমস্যাগুলো ছিল সেখানে প্রতিটি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতা পেয়েছি। আশা করছি, খুব সুন্দর একটি সমাধান আসবে।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারস্থ হোটেল লা ভিঞ্চি হোটেলে শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব)-এর ইফতার মাহফিলে এসব কথা বলেন তিনি।
ইরাবের উদ্দেশ্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা হলেন ঐক্যের প্রতীক। এখানে আমরা ইউজিসির সবাই আছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দসহ সবাই একটি টিম। আমি মনে করি, ইউজিসির যদি কোনো সফলতা থাকে এর কারণ আমরা সবাই একসাথে আছি। আমাদের ভুল ধরিয়ে দিবেন, সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিবেন। আমরা আপনাদেরই একটি অংশ। আমাদের তরফ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালে দেখতাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ডাকে দল-মত নির্বিশেষে সবাই একসাথে হতো। এতে প্রত্যেকটি ছাত্রসংগঠন, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী সবাই উপস্থিত থাকতেন। এখানেও এমন একটি সহাবস্থানের পরিবেশ দেখছি।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালায়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের সভাপতি ও দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড টেকনোলজির (আইইউবিএটি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুর রব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আজাদ খান, প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল, ইউসিজির সচিব ড. ফখরুল ইসলাম, পরিচালক ড. একে এম শামসুল আরেফিন, মাউশির পরিচালক (মাধ্যমিক), প্রফেসর ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল।
আরও পড়ুন: ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’ প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ
এছাড়া অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহাম্মদ, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, সহ-সভাপতি এইচ এম আবু জাফর, ডা. তৌহিদুর রহমান আউয়াল, মাউশির উপপরিচালক (সাধারণ প্রশাসন) মো. শাহজাহান, ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক এম এম বাদশা, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরের আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পাবলিক রিলেশন অ্যাসোসিয়েশনের (পকুরোয়া) সভাপতি মনিরুল ইসলাম রিন্টু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ইরাব সভাপতি ফারুক হোসাইনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইরাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলাম বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়ে বৈষম্যহীনও দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার সুযোগ এনে দিয়েছে এবং আমরা সেই সুযোগটা আমরা কাজে লাগাতে চাই। আপনারাও (সাংবাদিক) দেশ গড়ার কাজে অংশীদার হবে।
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ইরাবে যারা সাংবাদিক রয়েছেন, তারা সব সময় গঠনমূলক সমালোচনাসহ সংবাদ প্রকাশ আমাদেরকে সমৃদ্ধ করে। সেই জায়গায় তাদের অবদান প্রশংসনীয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বলেন, ৫ আগস্টের পর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় যে অবস্থায় ছিল সেখানে থেকে আজকের যে উত্তরণ, সেই জায়গায় আসতে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছেন সাংবাদিকরা। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া কোনোভাবেই এটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হতো না।
আরও পড়ুন: দুই বিসিএসের লিখিত ও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
২৭৯ দিন আগে
দুই বিসিএসের লিখিত ও প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ ঘোষণা
আগামী ৮ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা এবং ২৭ জুন ৪৭তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ মার্চ) বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশনের (পিএসসি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ কেন্দ্রে একযোগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৭তম বিসিএসে বঞ্চিত ১১৩৭ জনের চাকরি ফেরত দিতে নির্দেশ
গত বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা ও ৪৭তম প্রিলিমিনারির সময়সূচি, হলভিত্তিক আসন-ব্যবস্থা ও সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পরবর্তীতে পিএসসির ওয়েবসাইটসহ(http://www.bpsc.gov.bd/) টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের ওয়েবসাইট (http://www.bpsc.gov.bd/) ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
২৭৯ দিন আগে
‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’ প্ল্যাটফর্মের আত্মপ্রকাশ
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে ‘গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধকরণ মঞ্চ’ নামে একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) একদল শিক্ষার্থী। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণার আগ পর্যন্ত এই প্ল্যাটফর্ম আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) বিকাল সোয়া ৪টার দিকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে এই প্ল্যাটফর্মের ঘোষণা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী এ বি জোবায়ের।
আওয়ামী লীগ-বিরোধী যে কেউ এই প্ল্যাটফর্মের আওতায় ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টে আওয়ামী লীগ দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। বিগত ১৬ বছর ধরে এ দেশের মানুষের ওপর নানা ধরনের জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রথম কাজ ছিল গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা। সাত-আট মাস হয়ে গেল, অথচ আজকে এই সময়ে এসেও আমাদের আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাস্তায় নামতে হলো।’
তিনি বলেন, “যারা আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন, তারা বলছেন এটি হবে ‘ভালো আওয়ামী লীগ’। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগের মধ্যে মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা দেখছি না। বরং তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ্যে আমাদের হুমকি দিচ্ছে। এই আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা ছাড়া (অন্তর্বর্তী) সরকারের আর কোনো সুযোগ নেই।’
আরও পড়ুন: ‘পলাতক স্বৈরাচারের’ পুনর্বাসন নিয়ে সরকারকে তারেক রহমানের হুঁশিয়ারি
এ সময় প্রধান উপদেষ্টার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ের জনতা আপনার সঙ্গে আছি। আপনি প্রয়োজনে গণভোটের আয়োজন করুন, এই দেশের মানুষ রায় দেবে। এই দেশে আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি চলবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শহিদদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা রয়েছে। সেটি হলো আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করা। আমরা যদি আওয়ামী লীগকে এখনই নিষিদ্ধ না করি, এটি আর কখনোই সম্ভব হবে না। আর একবার ফিরে এলে তারা ফের জাতির রক্ত চুষতে শুরু করবে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক শীর্ষ সমন্বয়ক মুসাদ্দেক ইবনে মোহাম্মদ বিন আলী বলেন, ‘এই প্ল্যাটফর্ম কোনো রাজনৈতিক দলের রূপ নেবে না। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলেই ভেঙে দেওয়া হবে।’
দেশের সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের এই মঞ্চের ব্যানারে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রশ্নে জাতীয় ঐক্য ও রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তরিকতা দরকার। জুলাই অভ্যুত্থানের সাত মাস পার হয়ে গেলেও এখনও কোনো রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জোরালো দাবি তোলেনি।’
আরও পড়ুন: সৎ ব্যক্তি নেতৃত্বে এলে আ.লীগ কেন রাজনীতি করতে পারবে না, প্রশ্ন রিজভীর
নবগঠিত প্ল্যাটফর্মের প্রথম কর্মসূচি হিসেবে তিনি আগামীকাল (২২ মার্চ) বিকাল ৫টায় রাজু ভাস্কর্যে অবস্থান ও ইফতার কর্মসূচির ঘোষণা দেন এবং সকল মতাদর্শের মানুষকে তাতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
এর আগে, বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই’ বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য প্রত্যাহার এবং আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হল পাড়া থেকে বের হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন জনগণ মেনে নেবে না: জামায়াত আমীর
২৮২ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্য প্রত্যাহার এবং আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুর সোয়া ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক-সংলগ্ন মূল ফটকের (ডেইরি গেইট) সামনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সদস্য সচিব ও জাবি শিক্ষার্থী জিয়াউদ্দিন আয়ানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা তীব্র আন্দোলন করে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগকে দেশ থেকে বিতাড়িত করেছে। হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ লেগে আছে খুনি হাসিনার হাতে। কেউ যদি তাকে পুনর্বাসনের ন্যূনতম প্রচেষ্টা চালায় তাহলে ছাত্র-জনতা তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। গণঅভ্যূত্থানের মাধ্যমে যে আওয়ামী লীগকে মাইনাস করা হয়েছে, তাদের যদি কেউ পুনর্বাসনের চেষ্টা চালায় তাহলে তাদেরও মাইনাস করা হবে।
মিছিলে শিক্ষার্থীদের, ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘আওয়ামী লীগের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘হাসিনার দোসরেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর, করতে হবে করতে হবে’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘ভারতের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘ভারতীয় আগ্রাসন, রুঁখে দাও দিতে হবে’, ‘ভারতীয় প্রেসক্রিপশন, এই বাংলায় চলবে না’—স্লোগান দিতে শোনা যায়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা দেখেছি, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটকে ধারণ করতে পারে নাই। ৫ আগস্টের পর কোনো যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য আমাদের আবারও রাজপথে নামতে হবে—এটা আমরা কল্পনায়ও ভাবি নাই।’
‘আমরা দেখেছি, গতকাল অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনুস বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা তাদের নেই। এই বক্তব্যকে আমরা প্রত্যাখান করছি সেইসঙ্গে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এই সরকার বা অন্য কেউ যদি আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের ন্যূনতম প্রচেষ্টা চালায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।’
গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের জাবি শাখার আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘স্বৈরাচারী পতিত ফ্যাসিস্ট শক্তি গত জুলাই বিপ্লবে হাজার হাজার ছাত্রজনতার প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। এখনও হাজার হাজার মানুষ আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে হাসপাতালের বেডে জীবন কাটাচ্ছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি এসব দেখছে না? তাদের কি চোখে পড়ে না? এত কিছুর পরেও তারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালায় কার হুকুমে?’
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, পার্শ্ববর্তী দেশের কোনো প্রেসক্রিপশন যদি এদেশে বাস্তবায়নের কোনো অপচেষ্টা চালানো হয়, তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেব।’
বাগছাসের কেন্দ্রীয় সংসদের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহবায়ক ও জাবি শিক্ষার্থী তৌহিদ সিয়াম বলেন, ‘সংগ্রামী ছাত্র-জনতা আপনারা দেখেছেন, ৩৬ দিনের দীর্ঘ আন্দোলন শেষে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট এদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের রায় দিয়েছে। স্বৈরাচারী আওয়ামী শক্তি দীর্ঘ ১৭ বছর বাংলাদেশকে একটি আবদ্ধ কারাগারে পরিণত করেছিল, কিন্তু এদেশের জনগণ পরাধীনতার শিকল ভেঙে দিয়ে খুনি হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল।’
তিনি বলেন, ‘কেউ যদি দিল্লি থেকে বা অন্য কোথাও থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে এসে এদেশকে চালাতে চায় তাহলে তারা ভুল করবে। বাংলাদেশ কীভাবে চলবে, তা ঠিক করবে এদেশের ছাত্র-জনতা। আমরা আওয়ামী লীগ পুনর্বাসনের যেকোনো অপচেষ্টা রুঁখে দিতে রাজপথে সর্বদা তৎপর থাকব।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাভার প্রতিনিধি জুলকারনাইন বলেন, ‘আমরা রক্ত দিতে শিখে গেছি। কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়, তাও শিখে গেছি আমরা। কেউ যদি আমাদের চোখ রাঙায়, তাদের পাল্টা জবার দেওয়ার ভাষা আমাদের জানা আছে।’
তিনি বলেন, ‘সামরিক-বেসামরিক কোনো শক্তি যদি খুনি হাসিনাকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালায়, তাহলে ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তিকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।’
গতকাল (বৃহস্পতিবার) ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের ব্যাপারে আমাদের কোনো পরিকল্পনা নেই।
এরপর গভীর রাতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চালের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ সংক্রান্ত একটি ফেসবুক স্টাটাস দিলে, সেটি কেন্দ্র করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
২৮২ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাবিতে মিছিল
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মিছিল করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নেই প্রধান উপদেষ্টার এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটায় আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ, জুলাই গণহত্যায় আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত এবং প্রধান উপদেষ্টার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা নেই এ বক্তব্য প্রত্যাখানের দাবিতে হল থেকে রাস্তায় বের হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে একদল শিক্ষার্থী।
মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলপাড়া থেকে শুরু হয়ে মল চত্বর, ভিসি চত্ত্বর হয়ে টিএসসিতে এসে শেষ হয়।
পরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল পরবর্তী সংক্ষিপ্ত বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, দেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায় না ছাত্রজনতা। আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দেয়া মানে জুলাই শহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা।
মিছিলে অংশ নেয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, আওয়ামী লীগকে ফেরাতে নানা ধরণের ষড়যন্ত্র হচ্ছে। এসব ষড়যন্ত্রে যারা মদত দেবে, তারা যেই হোক না কেন ছাত্রসমাজ রুখে দাঁড়াবে।
আরও পড়ুন: গুলশানে দুর্বৃত্তের গুলিতে যুবক নিহত
আরেক শিক্ষার্থী তাবাসসুম বলেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে ন্যূনতম অনুশোচনা নেই। দেড় হাজার মানুষ হত্যার পর তারা ক্ষমা পর্যন্ত চাননি। অথচ সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অন্তর্ভুক্ত করতে এখন থেকে নানা ফন্দি-ফিকির হচ্ছে। বাংলাদেশের মাটিতে আওয়ামী লীগকে রাজনীতি করতে দিবে না ছাত্রসমাজ।
যতদিন পর্যন্ত নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ না হবে, ততদিন পর্যন্ত লড়াই চলবে জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলেন, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার বিচার হতেই হবে। গণভোটের মাধ্যমে হলেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তার আগ পযন্ত কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এসময়, শুক্রবার বিকেল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে বিক্ষোভের ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি সারাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভের আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
২৮৩ দিন আগে
গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল
যুদ্ধবিরতির চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজার নিরপরাধ মানুষদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মার্চ ফর প্যালেস্টাইন কর্মসূচি পালন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাত সোয়া ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে শহীদ মিনারে এসে একটি প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি সমাপ্ত করা হয়।
এসময় নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষার্থী শোয়াইব হাসানের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্যের বুকে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করেছে ইহুদিবাদী শক্তি। তারা আমেরিকার মদত পেয়ে বার বার আইন লঙ্ঘন করে চুক্তি অমান্য করে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের উপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেইসাথে অনতিবিলম্বে এমন ন্যাক্কারজনক হামলা বন্ধে জাতিসংঘসহ বিশ্বশক্তিগুলোকে এগিয়ে আসার আহবান জানানো হয়।’
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদের, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস; স্টপ জেনোসাইড, জাস্টিস ফর প্যালেস্টাইন; নেতানিয়াহুর দুই গালে, জুতা মারো তালে তালে; নেতানিয়াহুর আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও; অবৈধ ইসরায়েলের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে; স্বৈরাচার নিপাত যাক, ফিলিস্তিন মুক্তি পাক; উই ওয়ান্ট জাস্টিস, ফ্রি ফ্রি ফিলিস্তিন; ফ্রম দ্যা রিভার টু দ্যা সী, প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ এসব স্লোগান দিতে শোনা যায়।
এসময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহবায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি, আমাদের পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনকে একটি উন্মুক্ত কারাগারে পরিণত করেছে অবৈধ ইসরায়েলের দখলদার বাহিনী। তারা নির্বিচারে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের হত্যা করছে। আমরা এ-ও দেখতে পাচ্ছি, কীভাবে বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র ইহুদিবাদীদের মদত দিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, তোমরা যদি নিরপরাধ মানুষদের উপর বর্বরোচিত হামলা বন্ধ না করো, তাহলে দুইশত কোটি মুসলমান তোমাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।’
এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী আলী জাকি শাহরিয়ার বলেন, ‘ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হাতে লাখো ফিলিস্তিনের রক্তের দাগ লেগে আছে। তাদের ইতিহাস বেইমানির ইতিহাস, তাদের ইতিহাস অবাধ্যতার ইতিহাস। তারা আল্লাহর সাথে বার বার বেইমানি, অবাধ্যতা করেছে। জাতি হিসাবে তারা অকৃতজ্ঞ, অভিশপ্ত। অথচ তারা আজ সভ্যতার নীতিকথা শোনায়। এটা অত্যন্ত লজ্জার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা মুসলমান। আমরা মরতে ভয় পাই না, আমাদের ইতিহাস সমৃদ্ধ ইতিহাস, ইহুদিবাদী অপশক্তিকে রুখে দিয়ে পবিত্র ভূমি ফিলিস্তিনের মাটিতে আবারো আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করবো।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের জাবি শাখার আহবায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, ‘ফিলিস্তিনের নিরপরাধ জনগণ আজকে নিজ দেশে পরবাসীর মতো বসবাস করছেন। উদ্বাস্তু হয়ে বিশ্বের নানান প্রান্তে শরণার্থী শিবিরগুলোয় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তারা আজ নিজ ভূমি হারিয়ে বাস্তুচ্যুত হতে বাধ্য হয়েছেন জায়নবাদী অপশক্তিদের কারণে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আফসোস করে বলতে হয়, যারা সভ্যতার বুলি আওড়ায় তারা ফিলিস্তিনের বেলায় চুপ হয়ে যায়। আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই যতদিন না ফিলিস্তিনের উপর হামলা বন্ধ হবে, ততদিন প্রতিবাদ চলমান থাকবে।’
২৮৪ দিন আগে
হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবিতে সিলেট পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
ভোকেশনাল ও পলিটেকনিক থেকে পাশ করা প্রকৌশলীদের একই গ্রেডে অন্তর্ভুক্তির হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৯ মার্চ) সকাল থেকে সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ক্যাম্পাসের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে একটি মিছিল নিয়ে কাজির বাজার এলাকায় অবস্থান নেয় তারা।
এ সময় রাস্তার দুই পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
আরও পড়ুন: জাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় আটক রিকশাচালক নির্দোষ: দাবি পরিবারের
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তারা চারবছর ডিপ্লোমা করার পর চাকরিতে দশম গ্রেড পান। অথচ ভোকেশনাল থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাশ করে দশম গ্রেডে চাকরি পাবে, এটা যৌক্তিক না। হাইকোর্টের আদেশের ফলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের চাকরিপ্রাপ্তি সংকুচিত হবে। তাই হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রত্যাহারের দাবি জানাই।
অন্যথায় ক্লাস, পরীক্ষা বর্জনসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
২৮৪ দিন আগে