শিক্ষা
কোটা বাতিলের দাবিতে শাবি শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পোষ্য কোটাসহ অন্যান্য অযৌক্তিক কোটা বাতিলের আলটিমেটাম দিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১০ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
এই সময়ের মধ্যে কোটা বাতিল না হলে রেজিস্ট্রার ভবনে তালা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
তারা বলেন, ২৪’র জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পরও বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখা আমাদের জন্য লজ্জাজনক ও অগ্রহণযোগ্য। আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই, কোটা সংস্কারের নামে বৈষম্যের ধারাবাহিকতা আর চলতে দেওয়া হবে না। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব কোটা বাতিল করতে হবে।
এর আগে একইদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন, আলোচনা সাপেক্ষে শুধুমাত্র নিম্নলিখিত কোটাগুলো যৌক্তিক বলে বিবেচিত হতে পারে। তা হলো- মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের কোটা, হরিজন, দলিত, চা-শ্রমিক ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কোটা এবং শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের কোটা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ৯ মার্চ
প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শাবিপ্রবিতে কোটায় সর্বমোট আসন বহাল রখেছে ১০৫টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এ ইউনিটে (বিজ্ঞান শাখা) মোট আসন ৯৮৫টি ও ‘বি’ ইউনিটে (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য শাখা) মোট ৫৮১ টি আসন রয়েছে। এসব আসন ছাড়াও অতিরিক্ত ১০৫ টি কোটা আসন রয়েছে। এরমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা ২৮ জন, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/ জাতিসত্ত্বা/ হরিজন-দলিত কোটা ২৮ জন, প্রতিবন্ধী কোটা ১৪ জন, পৌষ্য কোটা ২০ জন, চা শ্রমিক কোটা ৫ জন, বিকেএসপি (খেলোয়াড়) কোটা ১০ জন।
সম্মেলনে বক্তব্য দেন ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী পলাশ বখতিয়ার, গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলাম, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী রিয়াজ হোসেন ও অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল ইসলাম মামুন।
২৯৩ দিন আগে
বাকৃবিতে অসম্পূর্ণ প্ল্যান্ট দেখিয়েই গবেষণা দাখিল
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন বাকৃবি রিসার্চ সেন্টারের (বাউরেস) অর্থায়নে পরিচালিত গবেষণায় মিনি প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন সম্পূর্ণ না করেই গবেষণা প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
বাউরেসের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. পরেশ কুমার শর্মা নিশ্চিত করেছেন, প্রকল্পটি ২০২৪ সালে শেষ হয়ে গেছে।
বাউরেস সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত বাউরেসের বার্ষিক কর্মশালায় অধ্যাপক ইলিয়াস বাকৃবির পোল্ট্রি খামারে প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপনের ওই তথ্য উপস্থাপন করেছিলেন।
বাউরেসের কর্মশালার প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপে অধ্যাপক ইলিয়াস বলেন, ‘প্রকল্পের কার্যক্রম দুটি ধাপে সম্পন্ন হয়েছে। প্রথমত; ময়মনসিংহের স্থানীয় বাজারে পোল্ট্রি জবাই এলাকার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা ও স্থানীয় বাজার এবং প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট থেকে উৎপাদিত মুরগির মাংসের জীবাণু ও গুণাগুণ মূল্যায়ন করা। দ্বিতীয়ত; বাকৃবি পোল্ট্রি খামারে একটি মিনি প্রসেসিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছিল। সেই খামারে একটি ১৫০ বর্গফুট খোলা-পার্শ্বযুক্ত প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ওই তথ্য মতে, গতবছর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেই মিনি প্রসেসিং প্লান্ট।’
এদিকে সরজমিনে দেখা যায়, বাকৃবির পোল্ট্রি খামারে নেই অধ্যাপক ড. ইলিয়াসের কোনো সম্পূর্ণ প্রসেসিং প্ল্যান্ট। তবে রয়েছে ছাদ ও দেয়ালবিহীন একটি কাঠামো।
বাকৃবি পোল্ট্রি খামারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রভাষক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘বর্তমান খামারে কোনো প্রসেসিং প্ল্যান্ট নেই। তবে একটি প্রসেসিং প্ল্যান্ট তৈরির কাজ চলমান।’
এছাড়া বাউরেসের নিয়ম অনুযায়ী, গবেষণা শেষে ফলাফল যাচাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটিতে ছিলেন— পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, পশু পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আল-মামুন বলে জানা যায়।
কোনো প্রকার প্রসেসিং প্ল্যান্ট ছাড়াই কিভাবে গবেষণা ফলাফল জমা পড়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই গবেষণার যাচাই দলে আমি ছিলাম। তবে যাচাই টিমের কাজ হলো গবেষণা প্রবন্ধের ফাইন্ডিংস, অবজারভেশন অর্থাৎ গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়সমূহ পর্যবেক্ষণ করে মূল্যায়ন করা। আর্থিক মনিটরিংয়ের কাজ আমাদের নয়, এটি করে থাকে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (বাউরেস)। আসলে প্রসেসিং প্ল্যান্টের বিষয়ে ওই গবেষণা প্রবন্ধে কিছু ছিল কিনা, সেটা আমরা দেখি না।’
২৯৩ দিন আগে
ইমামকে অব্যাহতি, জাতীয় পতাকার খুঁটিতে জুতা ঝুলিয়ে প্রতিবাদ
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের ডিগ্রি শাখার মসজিদ থেকে পছন্দের ইমামকে অব্যাহতি এবং তাকে পুনর্বহাল না করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে জাতীয় পতাকার খুঁটিতে জুতা ঝুলিয়ে দিয়েছেন অব্যাহতি পাওয়া ইমাম মারুফ বিল্লার অনুসারীরা।
শুক্রবার (৭ মার্চ) জুমার নামাজের আগে কলেজের ডিগ্রি শাখার প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনার ২৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বিষয়টি দেশজুড়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুমার নামাজের খুতবার আগে মুসল্লিদের উদ্দেশে কথা বলেন কলেজ এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্যরা।
এ সময় তারা বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিরোধ কাম্য নয়। কলেজ মসজিদের অব্যাহতি পাওয়া ইমাক মারুফ বিল্লাহকে সসম্মানে বিদায় করার পাশাপাশি বর্তমান ইমামকে বাদ দিয়ে নতুন ইমাম নিয়োগ দিতে হবে। ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে এমন একজনকে (ইমাম হিসেবে) নিয়োগ দিতে হবে, যাকে কলেজ ও মসজিদ এলাকার কেউ চেনে না।
এই প্রস্তাব মেনে নিতে পারেননি অব্যাহতি পাওয়া মারুফ বিল্লার অনুসারীদের একাংশ। খুতবা চলাকালেই তারা মসজিদ থেকে বের হয়ে যান। এরপর কলেজের প্রশাসনিক ভবনের সামনের জাতীয় পতাকার খুঁটিতে ঝুলিয়ে দেন জুতা। এ সময় তাদের অশ্লীল ভাষায় স্লোগান দিতেও শোনা যায়।
তবে জাতীয় পতাকার খুঁটিতে যারা জুতা ঝুলিয়েছে, তাদের কর্মকাণ্ডের দায় নিতে চাননি অব্যাহতি পাওয়া ইমাম মারুফ বিল্লাহ।
এ বিষয়ে তার বক্তব্য, ‘কলেজ প্রশাসন আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে। আমি কলেজ থেকে চলে এসেছি। এখন সেখানে কী ঘটনা ঘটেছে, কারা করেছে—এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।’
ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঞাঁ বলেন, ‘জাতীয় পতাকার স্ট্যান্ডে জুতা উত্তোলন রাষ্ট্রদ্রোহী কাজের সমান। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। তবে পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখার মসজিদে তাবলিগ জামাতের বিবাদমান দুই পক্ষ মাওলানা সাদ ও জুবায়েরের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনার জেরে গত ২০ জানুয়ারি তাবলিগের সাপ্তাহিক তালিম সাময়িকভাবে বন্ধের ঘোষণা করে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. আবুল বাসার ভূঁঞা।
বিষয়টি নিয়ে ২১ জানুয়ারি অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেন ইমাম মারুফ বিল্লার অনুসারীরা। এরপর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মারুফ বিল্লাহকে তার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয় কলেজ প্রশাসন।
ইমামকে চাকরিচ্যুত করার পর থেকে প্রতি শুক্রবার তাকে পুনর্বহালের দাবি জানিয়ে আসছে স্থানীয় একটি পক্ষ। এ নিয়ে প্রতি শুক্রবারই শিক্ষকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে স্থানীয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের একটি অংশের। গত শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) কলেজের নামাজ শুরুর আগে স্থানীয় কিশোর ও যুবকরা কলেজের অধ্যক্ষের ওপর হামলা করে।
২৯৬ দিন আগে
জাবিতে অটোরিকশা বন্ধে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ, কার্ট গাড়ি চালুর সিদ্ধান্ত
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় প্রায় চার মাস ধরে বন্ধ আছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অবশেষে পরীক্ষামূলকভাবে জাবিতে ইলেকট্রনিক কার্ট গাড়ি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৬৯৭.৯৬ একরের বৃহৎ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ছিলো ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। কিন্তু তা বন্ধ হওয়ায় দুর্ভোগে দিনাতিপাত করছেন শিক্ষার্থীরা। তারা যাতায়াতে প্যাডেলচালিত রিকশা ব্যবহার করছেন। কিন্তু তা ব্যবহারে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত সফলতা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা জানান, গত চার মাস আগে জাবিতে অটোরিকশা বন্ধ হয়ে যায়। যার কারণে যাতায়াতে দুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। বিকল্প ব্যবস্থা হিসাবে প্রশাসন কিছু প্যাডেলচালিত অটোরিকশা অনুমোদন দিলেও তা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। এই রিকশার বিরুদ্ধে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। চলাচলে সময় অপচয়, অত্যাধিক ভাড়া আদায়, উঁচু রাস্তায় নেমে যাওয়াসহ আরও নানান সীমাবদ্ধতার কথা জানা যায়।
এছাড়া প্রতিদিন রুটিন করে ক্যাম্পাসের ভিতর শাটল বাস চললেও শিক্ষার্থীদের কাঙ্ক্ষিত চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। অনেককে দীর্ঘসময় রিকশার জন্য অপেক্ষা করতে হয় অথবা বাসে উঠে বসে থাকতে হয়, সময়মতো বাস পাওয়া যায় না। যার ফলে ক্যাম্পাসে ইজি বাইক বা কার্ট গাড়ি চালু করা জরুরি হয়ে পড়ে। অবশেষে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ক্যাম্পাসে কার্ট গাড়ি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।
এ বিষয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবু রায়হান বলেন, এতবড় ক্যাম্পাসে চলাচল করার জন্য অটোরিকশা লাগে। যাদের বাইসাইকেল বা মোটরসাইকেল আছে, তাদের কোনো অসুবিধা নেই কিন্তু যাদের এসব নেই তাদের ভোগান্তির শেষ নেই। দীর্ঘক্ষণ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও রিকশা পাওয়া যায় না। ক্লাস পরীক্ষায় দেরি হয়, সময় অপচয় হয়। শুনলাম প্রশাসন কার্ট গাড়ি চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।
আরও পড়ুন: জাবিতে ‘হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের’ পরিচয়ধারী এক ভুয়া শিক্ষার্থী আটক
ক্যাম্পাসে কার্ট গাড়ি চালুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গবেষণা কারখানার সিনিয়র নির্বাহী প্রকৌশলী মশিউর রহমান জানান, রমজানে শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা মাথায় রেখে দুইটি গাড়ি নিয়ে এসেছি । আমাদের ক্যাম্পাসের রাস্তাগুলো যেহেতু উঁচু-নিচু তাই পরীক্ষামূলকভাবে ট্রায়াল দেবো। এটাতে ৮-১০ টি সিট থাকে। এটা পরিবেশবান্ধব হওয়ায় কোন সমস্যা নেই। আশা করি একটা ভালো ও স্থায়ী সমাধান আসবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের কষ্টের কথা মাথায় রেখেই আমরা দীর্ঘদিন থেকে এমন কিছু করার পরিকল্পনা করছিলাম। কয়েকটি মিটিংও করেছি এ ব্যাপারে। এছাড়া কয়েকটি গাড়ি কোম্পানির সাথে আমাদের কথাও হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা পরীক্ষামূলকভাবে দুইটি গাড়ি নিয়ে এসেছি। ভালো ফলাফল পেলে মার্চের মাঝামাঝি নাগাদ আমরা আরও ১০-১৫ টি গাড়ি নিয়ে আাসবো। আর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আশা করি আগামী দুই তিন মাসের মধ্যেই আমরা একটা ভালো সমাধান দিতে পারবো এবং এই সার্ভিস সম্পূর্ণভাবে চালু করতে পারবো।
উল্লেখ্য, গত বছরের ১৭ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাঁচির অটোরিকশার ধাক্কায় নিহতের ঘটনায় ক্যাম্পাসে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বন্ধ হয়ে যায়।
২৯৭ দিন আগে
লাইফ সাপোর্টে ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক
লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিককে। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) দুপুরে মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরো সায়েন্স ইউনিটের আইসিইউতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
জানা যায়, দুপুর ২টা ৪০ মিনিটের দিকে তিনি ঢাকা ক্লাবে হঠাৎ পড়ে গিয়ে আঘাত পান।
ঢাবির সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে ইউএনবিকে নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির (বাডাস) পরিচালক ফরিদ কবির। বাডাস ইব্রাহিম কার্ডিয়াক এবং বারডেম হাসপাতালের মাদার কনসার্ন।
২৯৭ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থানে হামলাকারীদের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে জাবিতে মানববন্ধন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের বিচার নিশ্চিত করা ও হামলাকারী ছাত্রলীগ কর্মীদের নানাভাবে পুনর্বাসনের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ী করে সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান শিক্ষার্থীরা।
বুধবার ( ৫ মার্চ) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাবি শিক্ষার্থীদের উপর হামলার ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত বিচার নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়নি। বরং, আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদেরকে ক্যাম্পাস ছাড়া করেছে বলে মানববন্ধনে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহবায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থানের প্রোডাক্ট এই প্রশাসন— জুলাই বিপ্লবে হামলাকারী ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা আরও দেখতে পাচ্ছি, হামলাকারী সন্ত্রাসীরা হাসপাতালে বসে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।‘
তিনি আরও বলেন, ‘গত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালানো ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী শামীম মোল্লার মৃত্যু হয়েছে পুলিশ হেফাজতে কিন্তু তার হত্যার দায় বিপ্লবীদের উপর দিয়ে তাদের ক্যাম্পাস ছাড়া করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জাবিতে মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ শিক্ষার্থীরা, বেড়েছে ডেঙ্গু আক্রান্তের ঝুঁকি: কী ভাবছে প্রশাসন?
অতিদ্রুত হামলাকারী সন্ত্রাসীদের বিচার নিশ্চিত করা না হলে এবং তাদের পুনর্বাসন বন্ধ করা না হলে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করে হবে বলে জানান তিনি।
মানববন্ধনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্য নাহিদ হাসান ইমন বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি এই প্রশাসন জেনে বা না জেনেই গত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারী সন্ত্রাসীদের নানাভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিপ্লবীদের ক্যাম্পাস ছাড়া করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আপনারা যদি এমন হীন প্রচেষ্টা বন্ধ না করেন—তাহলে আপনাদেরকেও চেয়ার থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামাতে দ্বিধা করব না।’
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন আয়ান বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে মদদদাতা শিক্ষকদের সাথে আঁতাত করছে। ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে।’
তিনি প্রশাসনকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই আপনারা শহীদদের রক্তের উপর দিয়ে নির্বাচিত প্রশাসন। আপনারা যদি সেই শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করেন, সন্ত্রাসীদের বিচার না করে তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করেন—তাহলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে আপনাদেরও পতন ঘটানো হবে।’
২৯৮ দিন আগে
শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ৯ মার্চ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল আগামী ৯ মার্চ প্রকাশ করা হবে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘আগামী ৯ মার্চ ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল পরীক্ষার্থীদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ও ওয়েবসাইটে জানিয়ে দেওয়া হবে।’
এর আগে, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে ‘বি’ ইউনিট ও দুপুরে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: পাঁচ বিভাগীয় শহরে শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য গত ৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করার নির্ধারিত সময়ে ১ হাজার ৬৭১ আসনের বিপরীতে মোট ৮৬ হাজার ৩৮০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেন। এই হিসাবে, প্রতি আসনের বিপরীতে ৫১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেন।
এর মধ্যে এ-১ ইউনিটে (বিজ্ঞান শাখা) ৯৫৫ আসনের বিপরীতে আবেদন পড়ে ৫৭ হাজার ২৭৩টি এবং এ-২ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও স্থাপত্য) ৩০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়ে ১ হাজার ২৫০টি। অন্যদিকে, ‘বি’ ইউনিটে (বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য) ৫৮১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেন ২৯ হাজার ১০৭ জন্য পরীক্ষার্থী।
এছাড়া এবার অতিরিক্ত ১০৫টি কোটা আসন রয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত আসন ২৮টি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/জাতিসত্ত্বা/হরিজন-দলিত সম্প্রদায়ের ভর্তিচ্ছুদের জন্য ২৮টি আসন, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১৪টি, পোষ্য কোটা হিসেবে ২০টি, চা শ্রমিকদের জন্য ৫টি এবং বিকেএসপি (খেলোয়াড়) কোটায় ১০টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
এবারের ভর্তি পরীক্ষা শাবিপ্রবি কেন্দ্রের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ভর্তিযুদ্ধ আজ, আসনপ্রতি লড়বে ৫১ শিক্ষার্থী
এর মধ্যে এ-১ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষায় শাবিপ্রবি কেন্দ্রে ৬ হাজার ২৭০ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ৩৪ হাজার ৩৬৯ জন, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ৬ হাজার ১২ জন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ৩ হাজার ৭৮০ জন ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ৫ হাজার ৬২৭ জনসহ সর্বমোট ২৯ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন। এছাড়া এ-২ (স্থাপত্য) ইউনিটে শাবিপ্রবি কেন্দ্রে অংশ নেন আরও ১ হাজার ২৪২ জন ভর্তিচ্ছু।
অন্যদিকে, ‘বি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষায় শাবিপ্রবি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৯৮৩ জন, ঢাবিতে ১২ হাজার ৬৩৬ জন, বেরোবিতে ৫ হাজার ৫৬ জন, যবিপ্রবিতে ৩ হাজার ১৪ জন ও সিভাসুতে ১ হাজর ৪২৭ জনসহ মোট ৫৬ হাজার ৫৮ জন আবদেনকারী পরীক্ষায় অংশ নেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়।
২৯৯ দিন আগে
শাবিপ্রবির ভর্তিযুদ্ধ আজ, আসনপ্রতি লড়বে ৫১ শিক্ষার্থী
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথমবর্ষ প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে আজ শুক্রবার। এবার শাবিপ্রবির প্রতিটি আসনের বিপরীতে ৫১ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ‘বি’ ইউনিট এবং একই দিন বিকাল ৩টা থেকে ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় নিয়ে এবারই প্রথমবারের মতো দেশের পাঁচটি বিভাগীয় কেন্দ্রের বিভিন্ন উপকেন্দ্রে দুই ধাপে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।
গতকাল (বৃহস্পতিবার) শাবিপ্রবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের সামনে ভর্তি-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তুলে ধরেন ড. রফিকুল।
তিনি বলেন, ভর্তি পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের ৩০ মিনিট আগে নিজ কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে। পরীক্ষা দিতে এসে পরীক্ষার্থীরা কোনো ধরনের জটিলতায় পড়লে ভর্তি কমিটির সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে।
তিনি জানান, ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য গত ৫ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করার নির্ধারিত সময়ে ১ হাজার ৬৭১ আসনের বিপরীতে মোট ৮৬ হাজার ৩৮০ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। এতে প্রতি আসনের বিপরীতে ৫১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবেন।
এর মধ্যে এ-১ ইউনিটে (বিজ্ঞান শাখা) ৯৫৫ আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৫৭ হাজার ২৭৩টি; এ-২ ইউনিটের (বিজ্ঞান ও স্থাপত্য) ৩০টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১ হাজার ২৫০টি।
অন্যদিকে, ‘বি’ ইউনিটে (বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য) ৫৮১টি আসনের বিপরীতে আবেদন করেছেন ২৯ হাজার ১০৭ জন্য পরীক্ষার্থী। এছাড়া অতিরিক্ত ১০৫টি কোটা আসন রয়েছে। এর মধ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নির্ধারিত আসন ২৮টি, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী/জাতিসত্ত্বা/হরিজন-দলিত সম্প্রদায়ের ভর্তিচ্ছুদের জন্য ২৮টি আসন, প্রতিবন্ধীদের জন্য ১৪টি, পোষ্য কোটা হিসেবে ২০টি, চা শ্রমিকদের জন্য ৫টি এবং বিকেএসপি (খেলোয়াড়) কোটায় ১০টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে।
আরও পড়ুন: পাঁচ বিভাগীয় শহরে শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
এবারের ভর্তি পরীক্ষা শাবিপ্রবি কেন্দ্রের পাশাপাশি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে এ-১ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষায় শাবিপ্রবি কেন্দ্রে ৬ হাজার ২৭০ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ৩৪ হাজার ৩৬৯ জন, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ৬ হাজার ১২ জন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ৩ হাজার ৭৮০ জন ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ৫ হাজার ৬২৭ জনসহ সর্বমোট ২৯ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। এছাড়া এ-২ (স্থাপত্য) ইউনিটে শাবিপ্রবি কেন্দ্রে অংশ নেবেন আরও ১ হাজার ২৪২ জন।
অন্যদিকে, ‘বি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষায় শাবিপ্রবি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৯৮৩ জন, ঢাবিতে ১২ হাজার ৬৩৬ জন, বেরোবিতে ৫ হাজার ৫৬ জন, যবিপ্রবিতে ৩ হাজার ১৪ জন ও সিভাসুতে ১ হাজর ৪২৭ জনসহ মোট ৫৬ হাজার ৫৮ জন আবদেনকারী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, ১০০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষার মধ্য ৮০ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষা। আর ২০ নম্বর এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফল ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে। বহুনির্বাচনি পরীক্ষায় চারটি অপশন থাকবে বলে জানান তিনি।
৩০৪ দিন আগে
পাঁচ বিভাগীয় শহরে শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের প্রথম সেমিস্টারের ভর্তি পরীক্ষা আগামীকাল (শুক্রবার) অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবারের মতো দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুর ও যশোর) এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
পরীক্ষার সময়সূচি অনুযায়ী, ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় ‘বি’ ইউনিট (বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য) এবং বিকাল ৩টায় ‘এ’ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ‘এ’ ও ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় অংশ নেবেন মোট ৮৬ হাজার ৪১৬ জন পরীক্ষার্থী।
ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘এবার দেশের পাঁচটি বিভাগীয় শহরের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়কে কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে এ-১ ইউনিটের (বিজ্ঞান) ভর্তি পরীক্ষায় শাবিপ্রবি কেন্দ্রে ৬ হাজার ২৭০ জন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ৩৪ হাজার ৩৬৯ জন, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) ৬ হাজার ১২ জন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ৩ হাজার ৭৮০ জন ও চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিভাসু) ৫ হাজার ৬২৭ জনসহ সর্বমোট ২৯ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন। এছাড়া এ-২ (স্থাপত্য) ইউনিটে শাবিপ্রবি কেন্দ্রে অংশ নেবেন আরও ১ হাজার ২৪২ জন।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি ভর্তি পরীক্ষা: প্রতি আসনের বিপরীতে ৫১ প্রার্থী
অন্যদিকে, ‘বি’ ইউনিটের (বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগ) ভর্তি পরীক্ষায় শাবিপ্রবি কেন্দ্রে ৬ হাজার ৯৮৩ জন, ঢাবিতে ১২ হাজার ৬৩৬ জন, বেরোবিতে ৫ হাজার ৫৬ জন, যবিপ্রবিতে ৩ হাজার ১৪ জন ও সিভাসুতে ১ হাজর ৪২৭ জনসহ মোট ৫৬ হাজার ৫৮ জন আবদেনকারী পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে।
শাবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ইতোমধ্যে পরীক্ষা-সংক্রান্ত সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কথা চিন্তা করে এবার বিভাগীয় শহরে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’
৩০৪ দিন আগে
কুয়েটের আবাসিক হল বন্ধ ঘোষণা
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো আবাসিক হল পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের আগামীকাল (বুধবার) সকাল ১০টার মধ্যে হল ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের ৯৯তম (জরুরি) সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এরপর সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আদেশ জারি করা করে প্রশাসন।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ভিসির বাসভবনে তালা, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিচুর রহমান ভূঁঞা স্বাক্ষিরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, কুয়েটের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের ফরম বিতরণকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় অংশ নেয় স্থানীয় বহিরাগতরাও। এ নিয়ে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটের একাডেমিক কার্যক্রম ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।
এরপর শুক্রবার রাতে কুয়েট প্রশাসনের ৯৮তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। পরে মিছিল নিয়ে ভিসির বাসভবনের ফটকে তালাও ঝুলিয়ে দেন তারা।
৩০৬ দিন আগে