শিক্ষা
স্বায়ত্ত্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব জাবি উপাচার্যের
জাবি,১৩ ফেব্রুয়ারি, (ইউএনবি)— জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আগামী বছর ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের (৫৫তম ব্যাচ) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা জাবিসহ অন্য তিনটি স্বায়ত্তশাসিত বিশ্ববিদ্যালয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করার কথা জানিয়েছেন জাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। এছাড়া অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সাংবাদিকদের অধ্যাপক ড. কামরুল আহসান বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় যদি তার সমপর্যায়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মতি ও সহযোগিতা পায় তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার গ্রহণ করা হবে।’
‘আমরাও অন্য বিশ্ববিদ্যালয়কে এখানে ভর্তি পরীক্ষা নিতে সহযোগিতা করব। প্রশ্নপত্রের নিরাপত্তা এবং পরিদর্শকদের অঙ্গীকার ও মান রক্ষা করতে পারলে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব।’
উপাচার্য বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমরা চোখ বন্ধ করে ঢাকা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বাস করতে পারি। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে আগামী ফোরামে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব দিতে চাই।’
আরও পড়ুন: জাবিতে প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষা চলছে, ‘ডি’ ইউনিটে' আসন প্রতি লড়ছেন ২৮০ জন
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাহফুজুর রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. এম আব্দুর রব, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক শামসুল আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম রাশিদুল আলম, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ রেজাউল রাকিব ও শৃঙ্খলা কমিটির অন্যান্য সদস্যরা।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ‘ডি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান অনুষদ) মাধ্যমে জাবির ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে এবং ‘সি-১’ ইউনিট কলা ও মানবিক অনুষদ (নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ এবং চারুকলা বিভাগ) এবং ‘বি’ ইউনিটের (সমাজ বিজ্ঞান অনুষদ) পরীক্ষার মাধ্যমে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) তা শেষ হবে।
উল্লেখ্য, এ বছরের ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১ হাজার ৮১৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৪৫০টি। সেই হিসাবে প্রতিটি আসনের জন্য লড়বেন ১৪৫ জন শিক্ষার্থী।
৩১৮ দিন আগে
কেএমআরএফের বৃত্তি পেল সিরাজগঞ্জের ৭৪৭ শিক্ষার্থী
সিরাজগঞ্জ জেলার সমস্ত উপজেলার ১৩৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবম ও দশম শ্রেণির ৭৪৭ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ দিয়েছে মানবকল্যানমুখী ফাউন্ডেশন খাজা মোজাম্মেল হক (র.) ফাউন্ডেশন (কেএমআরএফ)।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে কামারখন্দ উপজেলার চৌবাড়ী ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ দেওয়া হয়।
ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান অতিথি খাজা টিপু সুলতান শিক্ষর্থীদের হাতে বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভালো মানুষ হতে হলে শুধুমাত্র ভালো রেজাল্টই যথেষ্ট নয়, সত্যিকারের সৎ জীবনযাপন জরুরি। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সততা ও দায়িত্ববোধের সঙ্গে চলতে হবে। এছাড়া জীবনে চলার ক্ষেত্রে হিসাব করে চলতে হবে। এই বয়স থেকেই জবাবদিহি, নিষ্ঠা, দায়িত্ববোধ, হিংসা থেকে একেবারে সরে আসা; পরনিন্দা-পরচর্চা না করা, মিথ্যা না বলা, হালাল-হারাম বেছে চলার অনুশীলন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘যত বেশি জবাবদিহির আওতায় নিজেকে সোপর্দ করবে, দায়িত্বশীল হবে, তত বেশি আলোকিত মানুষ হতে পারবে।’
আরও পড়ুন: বাকৃবির মধ্যে রিকশাভাড়া নির্ধারণ করল প্রশাসন
৩১৯ দিন আগে
জাকসুর তফসিল ঘোষণার আগেই অছাত্রদের হল ত্যাগের নির্দেশ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই ছাত্রত্ব শেষ হওয়া শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার ড. এ বি এম আজিজুর রহমান সই করা এ সংক্রান্ত এক অফিস আদেশ দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো হলে ছাত্রত্ব শেষ হওয়া কোনো শিক্ষার্থী অবস্থান করতে পারবেন না। জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্বেই তাদের হল ছেড়ে দিতে হবে।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন আগামী ২১ মের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে: জাবি উপাচার্য
এছাড়া এক হলের শিক্ষার্থী অন্য হলেও অবস্থান করতে পারবে না। সকল শিক্ষার্থীকে স্ব-স্ব বরাদ্দকৃত হলেই অবস্থান করতে হবে।
নির্দেশনায় হলের বিভিন্ন কক্ষে অবস্থানকারী শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হল প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে।
৩২১ দিন আগে
জাবিতে প্রথম দিনের ভর্তি পরীক্ষা চলছে, ‘ডি’ ইউনিটে' আসন প্রতি লড়ছেন ২৮০ জন
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে (৫৪তম ব্যাচ) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা চলছে। প্রথম দিনের ‘ডি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ভর্তি পরীক্ষায় আসন প্রতি লড়ছেন ২৮০ জন শিক্ষার্থী।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে প্রথম শিফট শুরু হয়। বিকাল ৩টা ১৫মিনিট ৫ম শিফটের পরীক্ষার অনুষ্ঠিত হওয়ার মধ্য দিয়ে আজকের পরীক্ষা শেষ হবে।
ইউনিট ভিত্তিক আবেদন বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে জীববিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ডি’ ইউনিটে। ৩১০ আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৮৬ হাজার ৭৮৮টি। প্রতিটি আসনের জন্য ২৮০ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতা করবেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবেদন পড়েছে ‘এ’ ইউনিটে। গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদভুক্ত এই ইউনিটে ৪২৬টি আসনের বিপরীতে লড়াই করবেন ৭৩ হাজার ১৬৯ শিক্ষার্থী।
এ ছাড়াও কলা ও মানবিকী অনুষদ ও আইন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে ৪৩৮টি আসনের বিপরীতে লড়বেন ৫৩ হাজার ৪০১ শিক্ষার্থী। সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ৩২৬টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ২৩ হাজার ৭৭৪টি। ‘সি১’ ইউনিটে (নাট্যতত্ত্ব ও চারুকলা) ৬৪ আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৫ হাজার ৫০৭টি।
‘ই’ ইউনিটে (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) ২০০ আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১৫ হাজার ১৮৩টি। ‘আইবিএ-জেইউ’এ ৫০ আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়েছে ৪ হাজার ৬৮৮টি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার বলেন, ‘আমরা এখনও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি। ১৫মিনিট পরে আসলে পরীক্ষার্থীদের কক্ষে প্রবেশের অনুমতি না থাকলেও অতিরিক্ত যানযট বিবেচনা করে প্রথম শিফটে ৩০মিনিট পর্যন্ত এই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল।
৩২৩ দিন আগে
জাবিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু আগামীকাল, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের (৫৪তম ব্যাচ) স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চূড়ান্ত তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামীকাল রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়ে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) পর্যন্ত চলবে এই ভর্তি পরীক্ষা। এতে মোট আবেদন জমা পড়েছে দুই লাখ, ৬২ হাজার ৪৫০ জন। ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাবেন ১৮১৪ জন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (শিক্ষা) ও কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব সৈয়দ মোহাম্মদ আলী এমন তথ্য দিয়েছেন।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ‘ডি’ (জীববিজ্ঞান অনুষদ) ইউনিটের পরীক্ষা পাঁচ শিফটে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে শুধু মেয়ে শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। পরদিন সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) একই ইউনিটের ছেলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হবে প্রথম চার শিফটে।
একই দিনে পঞ্চম শিফটে আইবিএ-জেইউর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে ছেলে-মেয়ে উভয় শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারবে।
আগামী মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম দুই শিফটে ‘ই’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম শিফটে মেয়ে শিক্ষার্থীদের এবং দ্বিতীয় শিফটে ছেলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: নানা অব্যবস্থাপনায় জাবিতে কমেছে অতিথি পাখির আগমন
একইদিন তৃতীয় শিফট থেকে পঞ্চম শিফট পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটে (গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) আবেদনকারী নারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়াও বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) পাঁচ শিফটে ‘এ’ ইউনিটে (গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি) আবেদনকারী ছেলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ছয় শিফটে ‘সি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত কলা ও মানবিক অনুষদ, আইন অনুষদ এবং তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে প্রথম তিন শিফটে মেয়েদের এবং পরবর্তী তিন শিফটে ছেলে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
ভর্তি পরীক্ষার শেষ দিন সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রথম শিফটে ‘সি১’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব এবং চারুকলা বিভাগের (ছেলে-মেয়ে উভয়) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে এবং পরের তিন শিফটে ‘বি’ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এর মধ্যে প্রথম ২ শিফটে মেয়েদের এবং তৃতীয় শিফটে ছেলেদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া সি১ ইউনিটের অন্তর্ভুক্ত নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের লিখিত পরীক্ষায় (MCQ) উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে উপস্থিত থাকতে হবে এবং চারুকলা বিভাগে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক পরীক্ষা মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হবে।
যেসব নির্দেশনা মানতে হবে ভর্তিচ্ছুদের
ওএমআর ফরমের বৃত্ত সাধারণ কালো বলপেন দ্বারা পূরণ করতে হবে। ওএমআর ফরম পূরণে ভুল হলে উত্তরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে। যৌক্তিক কারণ ছাড়া পরীক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ফরম দেওয়া হবে না। ফরম ভাঁজ করা, কাটাকাটি করা, অবাঞ্ছিত দাগ দেওয়া, স্টাপলার বা পিনআপ করা এবং ফরমের ওপর পানি ফেলা যাবে না।
ভর্তি পরীক্ষার রোল নম্বর, দিনের শিফট ও প্রশ্নপত্রের সেট কোড অবশ্যই ইংরেজিতে লিখতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ঘর যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। পরীক্ষা শেষে ওএমআর শিট ও প্রশ্নপত্র পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে।
ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষার আসন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন পরীক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের ন্যূনতম ১০ মিনিট আগে তাদের পরীক্ষা কেন্দ্রের নির্ধারিত কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে।
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যাগ, বইপত্র, মুঠোফোন, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর কিংবা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না। সময় দেখার জন্য পরীক্ষার হলে ঘড়ির ব্যবস্থা থাকবে।
পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা ভিন্ন অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। ভর্তি পরীক্ষার ফল পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ সাতদিনের মধ্যে ju-admission.org ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
ভর্তি পরীক্ষার সময় পরীক্ষার্থীকে মাধ্যমিক পরীক্ষার মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড এবং ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশপত্র অবশ্যই সঙ্গে আনতে হবে।
আরও পড়ুন: জাকসু নির্বাচন আগামী ২১ মের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে: জাবি উপাচার্য
ঢাকা শহর থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ৩২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এ জন্য যেসব পরীক্ষার্থী ঢাকা শহর বা দূরবর্তী অন্য কোনো স্থান থেকে এসে পরীক্ষা দেবে, তাদের যানজটসহ অপ্রত্যাশিত দুর্ভোগ এড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বাসে পরীক্ষার্থী বা তাদের অভিভাবকেরা আসা-যাওয়া করার কোনো সুযোগ নেই বলে জানানো হয়েছে।
৩২৩ দিন আগে
জাকসু নির্বাচন আগামী ২১ মের মধ্যেই অনুষ্ঠিত হবে: জাবি উপাচার্য
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচন চলতি বছরের ২১ মের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের এ কথা জানান তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও জাকসুর সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ তথ্য জানানো হয়।
উপাচার্য জানান, জাকসু নির্বাচন ২০২৫ সালের মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে (২১ মের মধ্যে) অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশন জাকসুর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী নির্বাচনের ন্যূনতম ২১ দিন আগে অর্থাৎ ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করবে।
আরও পড়ুন: জাবিতে শেখ মুজিবের ম্যুরাল ও গ্রাফিতি মুছে দিল শিক্ষার্থীরা
এসময় উপস্থিত শিক্ষার্থীদের মধ্যে গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনের আহ্বায়ক আব্দুর রশিদ জিতু বলেন, এর আগে আমাদের যে আশ্বাস দিয়েছিলেন, দলীয় প্রেসার হোক, কোন সংগঠনের প্রেসার হোক কিংবা কিছু শিক্ষকদের অসহযোগিতা হোক; আপনারা সেই কথা রাখতে পারেননি, আমরা চাই আজকের আশ্বাসই সবশেষ আশ্বাস হোক।
গত ৩০ ডিসেম্বর জাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। রোডম্যাপ অনুযায়ী ১ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার তারিখ থাকলেও ছাত্রদলের সংস্কারের দাবির মুখে তা হয়নি।
৩২৫ দিন আগে
আমানুল্লাহ খানের প্রিয় বইয়ের নতুন ঠিকানা এইউবির পাঠাগার
ইউএনবির প্রয়াত চেয়ারম্যান আমানুল্লাহ খান স্মরণে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (এইউবি) পাঠাগারে শিক্ষাসামগ্রী প্রদান করেছে তার পরিবার। এ উপলক্ষে তার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে এক স্মরণসভার আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) আমানুল্লাহ খান স্মরণে এইউবি আয়োজিত অনুষ্ঠানে তার সহধর্মিণী বিশিষ্ট সমাজসেবী শিরিন খান বলেন, ‘দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি সবচেয়ে বেশি ভালোবাসতেন বই পড়তে এবং সংগ্রহ করতে।’
‘বই ছিল আমানুল্লাহ খানের প্রাণ। আমার বাসার সব জায়গায় শুধু বই আর বই। কোথাও গেলে কার্টন কার্টন বই নিয়ে যেতেন আমানুল্লাহ। বই আর লাইব্রেরিই ছিল তার সব।’
স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের ৫৩ বছরের সংসারের স্মৃতির সঙ্গে বই জড়িয়ে আছে। পেশাগত জীবনে আমানুল্লাহ ছিলেন চার্টার অ্যাকাউন্টেন্ট। কিন্তু ইউএনবির সঙ্গে জড়িয়ে তার ধ্যান-ধারণা সাংবাদিকতা আর বই নিয়েই ছিল। আজকে আমানুল্লাহ খানের এই বই আপনাদের হাতে তুলে দিতে পেরে ভালো লাগছে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এইউবির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাফর সাদিক বলেন, ‘আমানুল্লাহ খান আজকে মহানুভবতার উদহারণ তৈরি করে গেলেন। আজকে তার পরিবার বই উপহার দিয়ে মহানুভবতার পরিচয় দিয়েছেন। মানুষ চলে যায় কিন্তু হয়তো কিছুই রেখে যায় না। তবে আমানুল্লাহ খান জ্ঞানের বিশাল ভান্ডার রেখে গেলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য।’
বই গ্রহণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান রাবেয়া আক্তার বলেন, ‘আমানুল্লাহ খান ও শিরিন খানের কোনো সন্তান নেই; বই ছিল তাদের কাছে সন্তানসম। আর এই মহামূল্যবান সম্পদই আজকে তারা আমাদের হাতে তুলে দিলেন। এই বই আমাদের কাছে মহামূল্যবান সম্পদ হিসেবে গচ্ছিত থাকবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এইউবির ব্যবসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘আমানুল্লাহ খানের এই অনুদান শিক্ষার্থী, শিক্ষক, গবেষকদের জন্য অতি মূল্যবান উপহার। তার পরিবারের এই বদান্যতায় এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। এই বই উপহার আমানুল্লাহ খানের দেওয়া সদকায়ে জারিয়া। এই বইয়ের উসিলায় আল্লাহ তার আত্মার মাগফিরাত নসিব করবে—এই দোয়া করছি।’
৩২৫ দিন আগে
মুহসীন হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হাজী মুহাম্মদ মুহসীন হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সাধারণ সভায় ঐতিহ্যবাহী এই হলটির সাবেক শিক্ষার্থীদের ৩১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
এতে হলটির সাবেক জিএস সাইদুর রহমানকে আহ্বায়ক ও শেখ নাসিমকে সদস্য সচিবচ পদে নির্বাচিত করা হয়েছে।
আগামী ৯০ দিনের মধ্যে তারা একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে।
৩২৫ দিন আগে
পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে জাবির প্রশাসনিক ভবন অবরোধ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও আবাসিক হলগুলো প্রদক্ষিণ শেষে রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ের সামনে একত্রিত হন।
এ সময় তাদের ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’, ‘জনে জনে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘হলে হলে খবর দে, পোষ্য কোটার কবর দে’, ‘এসো ভাই এসো বোন, গড়ে তুলি আন্দোলন’, ‘সংস্কার না বাতিল, বাতিল বাতিল’, ‘আপোষ না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: জাবিতে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
ইতিহাস বিভাগের ৫০তম আবর্তনের শিক্ষার্থী নিবিড় ভূইয়া বলেন, ‘আমরা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী—কারোরই পোষ্য কোটার কোনো যৌক্তিকতা নেই। অজপাড়াগাঁয়ের একজন কৃষকের সন্তান যদি মেধার ভিত্তিতে জাহাঙ্গীরনগরে পড়াশোনা করতে পারে, তাহলে একজন শিক্ষার্থী যে জাহাঙ্গীরনগরে ছোট থেকে বড় হয়েছে, ভালো স্কুল কলেজে পড়াশোনা করেছে, তার কোনো ধরনের প্রিভিলেজ (সুবিধা) লাগবে বলে আমরা বিশ্বাস করি না।’
‘আমরা বিশ্বাস করি, কোটা একটি প্রিভিলেজ, এটি কোনো অধিকার নয়। এই প্রিভিলেজটা ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের দরকার, কিন্তু এটি কোনোভাবেই দরকার না। আজ পোষ্য কোটা চিরতরে বাতিল করার জন্য আমরা আন্দোলনে নেমেছি।’
আইন ও বিচার বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী কাওছার আলম বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দলনের পর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বাতিলের যৌক্তিক দাবি ওঠে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও এরই ধারাবাহিকতায় পোষ্য কোটা বাতিল নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করি। একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ আমরণ অনশনে বসে। তারপর ভিসি মহোদয় ও সংশ্লিষ্টজনদের মাধ্যমে পোষ্য কোটার যৌক্তিক একটি সংস্কারের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা অনশন থেকে সরে আসে। তবে এই সংস্কারের বিপরীতে পোষ্য কোটার সুবিধাভোগীরা আজ অযোক্তিক আন্দোলন করে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থানের সময় তারা এক সাধারণ শিক্ষার্থী ভাইয়ের ওপর চড়াও হয় এবং তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। তারই প্রতিবাদে আমরা শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটা বাতিল ও তাদের হামলার বিচার চেয়ে রেজিস্ট্রার ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।’
আরও পড়ুন: পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে জাবিতে এবার আমৃত্যু গণঅনশন
এর আগে, গত দুদিন ধরে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে গণ-অনশন কর্মসূচি পালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান পোষ্য কোটা সংস্কারের ঘোষণা দেন।
এর বিরুদ্ধে আজ (মঙ্গলবার) সকাল ১১টায় পোষ্য কোটা পুনর্বহালের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা একটি মিছিল নিয়ে প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করেন। এ সময় তারা পোষ্য কোটার পক্ষে লাগানো পোস্টার ছিঁড়ে ফেললে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
৩২৭ দিন আগে
কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতির উন্নয়নে বাকৃবি-মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণা
কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নিয়ে যৌথভাবে গবেষণা চালাচ্ছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ও অস্ট্রেলিয়ার মারডক বিশ্ববিদ্যালয়। গবেষণায় বাংলাদেশের মাটি ও পানি সম্পদের ওপর সংরক্ষণমূলক কৃষির প্রভাব, সীমাবদ্ধতা ও সম্ভাব্য ঝুঁকি বিশ্লেষণ করা হবে।
গবেষণা দলের প্রধান বাকৃবির মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মফিজুর রহমান জাহাঙ্গীর ইউএনবিকে বলেন, ‘মাটি ও পানি সম্পদের ওপর কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব এবং এই পদ্ধতির সম্প্রসারণের উপযুক্ত কৌশল নির্ধারণ করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’
কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতি সম্পর্কে তিনি জানান, সংরক্ষণমূলক কৃষি বা কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতি টেকসই চাষাবাদের একটি আধুনিক পদ্ধতি যা মাটির স্বাস্থ্য সংরক্ষণ, উৎপাদন বৃদ্ধি ও পরিবেশ রক্ষায় সহায়ক। এতে তিনটি মূলনীতি অনুসরণ করা হয়— ন্যূনতম চাষ, ফসলের আচ্ছাদন বজায় রাখা ও ফসলের বৈচিত্র্য নিশ্চিত করা।
গবেষণায় মারডক বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. রিচার্ড ডব্লিউ বেল ও ড. ডাভিনা বয়েড প্রজেক্ট লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কৃষি অর্থনীতি বিষয়ের প্রধান গবেষক হিসেবে কাজ করছেন বাকৃবির কৃষি অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসনীন জাহান।
ড. রিচার্ড ডব্লিউ বেল বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি অত্যন্ত উর্বর হলেও এর উর্বরতা দ্রুত কমছে। ২০১২ সাল থেকে মারডক বিশ্ববিদ্যালয় এ দেশের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। বর্তমানে আমরা কৃষি সুরক্ষা পদ্ধতি গ্রহণে সহায়তা এবং মাটি ও পানির গুণগত পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করছি।’
আরও পড়ুন: বৃত্তি পেল বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ৩৬ শিক্ষার্থী
গবেষণা প্রকল্পের আওতায় ৮টি পিএইচডি ও ৪টি মাস্টার্স ফেলোশিপের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার শিক্ষার্থীরা গবেষণার সুযোগ পাবে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক জাহাঙ্গীর।
এটি দেশের বিজ্ঞানীদের দক্ষতা, শিক্ষা ও গবেষণায় ব্যাপকভাবে সাহায্য করবে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক জাহাঙ্গীর।
‘বাংলাদেশে সংরক্ষণমূলক কৃষি গ্রহণে সহায়তা এবং মাটি ও পানির গতিশীলতার পরিবর্তন (সাকা)’ শীর্ষক চার বছর মেয়াদি প্রকল্পটি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়েছে। এটি অস্ট্রেলিয়ান সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চ (এসিআইএআর) ও কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশনের (কেজিএফ) অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।
এই প্রকল্পে আরও অংশ নিয়েছে— বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি), বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি), সংরক্ষণমূলক কৃষি সেবা প্রদানকারী সংস্থা (ক্যাসপা) ও পিআইও কনসাল্টিং লিমিটেড।
গবেষকরা আশা করছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থায় টেকসই পরিবর্তন আসার পাশাপাশি কৃষকদের উৎপাদনশীলতা ও আয় বাড়বে।
৩২৭ দিন আগে