শিক্ষা
পাঠ্যপুস্তক থেকে আওয়ামী বয়ান বাতিল করতে হবে: ইউট্যাব
পাঠ্যপুস্তকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী বয়ান দ্রুত সময়ের মধ্যে বাতিল করে স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ইউনিভার্সিটি টিচার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) এক বিবৃতিতে সংগঠনটি সভাপতি অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম ও মহাসচিব অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিক পর্যন্ত প্রকাশিত ও সরবরাহকৃত বইয়ে এখনো আওয়ামী বয়ান ও ইতিহাস বিকৃতি বহাল রাখা হয়েছে।
‘গণহত্যাকারী ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের হাতে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক বয়ান অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। সেইসঙ্গে চব্বিশের ছাত্র-নাগরিক গণঅভ্যুত্থানের পরও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের যে বা যারা পাঠ্যপুস্তক পরিমার্জনের নামে আওয়ামী বয়ানকে প্রচারে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে সুস্পষ্ট ব্যবস্থা নিতে হবে,’ দাবি এই দুই শিক্ষকের।
বিবৃতিতে বলা হয়, সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে —নবম-দশম শ্রেণীর ‘পৌরনীতি ও নাগরিকতা’ বইয়ের ‘গণতন্ত্রে রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন ব্যবস্থা’ শীর্ষক সপ্তম অধ্যায়ে গণহত্যাকারী ও বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংসকারী আওয়ামী লীগকে দেশের সবচেয়ে বৃহত্তম দল হিসেবে চিত্রায়িত করা হয়েছে। বইটির একই অধ্যায়ে বিএনপি সম্পর্কেও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়েছে।
‘জিয়াউর রহমানকে সাবেক রাষ্ট্রপতির পরিবর্তে সাবেক সেনাপ্রধান উল্লেখ করে তার শাসনামলকে সামরিক শাসনামল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করা হয়েছে। বিতর্কের মুখে অনলাইন ভার্সনে এই বিষয়ে পরিবর্তন আনা হলেও অনেক মুদ্রিত বইয়ে আওয়ামী বয়ান বহাল রয়ে গেছে।’
ইউট্যাব বলছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পালিয়ে যাওয়া ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান সম্পৃক্ত অল্প বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। তবে নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বইয়ে ‘আমাদের নতুন গৌরবগাঁথা’ অধ্যায়ে উল্লেখ করা হয়েছে—‘পতন অত্যাসন্ন টের পেয়ে স্বৈরাচারী সরকার প্রধান পালিয়ে যান দেশ ছেড়ে। অভাবনীয় এক গণঅভ্যুত্থান দেখে সারা দুনিয়ার মানুষ।’ এখানে শেখ হাসিনা কিংবা তার দল আওয়ামী লীগের নাম উল্লেখ করা হয়নি।
‘উপজাতি-ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী-আদিবাসী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত থাকার পরও নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা ভাষার ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদে আদিবাসী শব্দযুক্ত একটি গ্রাফিতি যুক্ত করা হয়েছিল। যার ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরি হয় এবং তার পুরো দায়ভার জাতীয় পাঠ্যপুস্তক বোর্ড- এনসিটিবি সংশ্লিষ্টদের।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘শিক্ষার্থীদের পাঠ্যপুস্তকে রাজনৈতিক ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, বিএনপি সম্পর্কে তথ্য যথাযথভাবে পরিবেশিত হয়নি। একইসাথে ২০২৪ সালের ছাত্র-নাগরিক অভ্যুত্থানের প্রকৃত ইতিহাসও যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়নি। অপরদিকে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বাকশালের ইতিহাস, গণতন্ত্র ধ্বংসের ইতিহাস, গণহত্যার ইতিহাস তুলে ধরার পরিবর্তে সূক্ষ্মভাবে আওয়ামী বয়ানকে গ্লোরিফাই করা হয়েছে।
৩৩৭ দিন আগে
দশম গ্রেডের বেতন স্কেল দাবি প্রাথমিকের শিক্ষকদের
সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডের বেতন স্কেল বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে তারা এই দাবি তুলে ধরেছেন।
এদিন সকাল ১০টা থেকে বিপুল সংখ্যক শিক্ষকের অংশগ্রহণে আন্দোলন শুরু হয়। তারা যুক্তি দিয়েছেন, তাদের বর্তমান তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসাবে শ্রেণিবদ্ধকরণ অন্যায় এবং শিক্ষকতা পেশার জন্য অবমাননাকর।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনরত শিক্ষকরা সরকারকে আল্টিমেটাম দিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দুপুর ২টার মধ্যে দাবি আদায় করা না হলে আন্দোলন আরও বাড়বে। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে তারা শাহবাগের দিকে অগ্রসর হলে শাহবাগ থানার কাছে পুলিশের ব্যারিকেডের মুখোমুখি হন তারা। বাধায় দমে না গিয়ে তারা ব্যারিকেডের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যান তারা।
আন্দোলন চলার সময় এক শিক্ষক ঘোষণায় বলেন, ‘আমাদের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে বেতন দেওয়া হয়, যা আমরা শিক্ষক হিসেবে মেনে নিতে পারি না। দশম গ্রেড আমাদের দাবি।’
সুনামগঞ্জের বারুইহাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ফরহাদ হোসেন একই সুরে বলেন, 'আমরা শিক্ষক সমাজের অংশ। আমরা কেন তৃতীয় শ্রেণিতে থাকব? শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেণির মধ্যে রেখে দেশ গড়া সম্ভব নয়।’
প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষকদের দাবির বিষয়ে সরকারের প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। শাহবাগের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ রয়েছে। শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ের আশ্বাস না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
৩৩৮ দিন আগে
চবির ৭৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকের উপর হামলায় জড়িত থাকার দায়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জাককানইবিতে সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে থাকায় সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনায় সর্বমোট ৭৩ জন শিক্ষার্থীকে আমরা বহিষ্কার করেছি।
তিনি বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে যাদের বিষয়ে প্রমাণ পেয়েছি তাদেরকে বহিষ্কার করেছি। পরবর্তীতে প্রমাণ সাপেক্ষে আরও শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হবে।
আরও পড়ুন: চবিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষ, আহত ৩
৩৩৯ দিন আগে
শাবিপ্রবিতে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ল
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তি আবেদনের সময় বাড়ানো হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অনলাইনে ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ও ফি জমা দেওয়ার সময় ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯টা পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত মোট ৮১ হাজার শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে পেমেন্ট নিশ্চিত করেছেন ৭১ হাজার শিক্ষার্থী। এছাড়া ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান শাখা) ৪৭ হাজার ও ‘বি’ ইউনিটে (বিজ্ঞান, বাণিজ্য ও মানবিক) ৩৪ হাজার আবেদন জমা পড়েছে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে ভর্তিতে আবেদন শুরু, থাকছে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ
এছাড়া বিস্তারিত তথ্য শাবিপ্রবির ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
গত ৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ আবেদন প্রক্রিয়া ২৫ জানুয়ারি শেষ হওয়ার কথা ছিল। আবেদনের সময় বাড়ানোর ফলে শিক্ষার্থীরা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে গত ৬ জানুয়ারি থেকে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টার বেশি সময় আবেদন বন্ধ থাকে। ফলে অনেক ভর্তিচ্ছু আবেদন করতে পারেননি।
৩৪০ দিন আগে
জাককানইবিতে সাংবাদিক পেটানোর ঘটনায় ১৬ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ সময় চার শিক্ষার্থীর সনদ বাতিল, একজনকে স্থায়ী বহিষ্কার, দুজনের সনদ এক বছরের জন্য স্থগিত এবং ৯ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
তদন্ত কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭তম সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে জানিয়েছে সূত্র।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ওসিকে মারধরের ঘটনায় স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা বহিষ্কার
গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ ঘটে। এ সময় সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতা আবু নাঈম আব্দুল্লাহর অনুসারীদের হামলায় আহত হন দুই সাংবাদিক।
শাস্তি পাওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু নাঈমকে (ফোকলোর বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) স্থায়ী বহিষ্কার, সাবেক উপ-কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক জয় মোড়লের (আইন ও বিচার বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতকের সনদ বাতিল, সাবেক উপ-দপ্তর সম্পাদক লোবন মোখলেছের (ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতকোত্তর সনদ বাতিল, ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আহমেদ তুহিনের (লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতকের সনদ বাতিল এবং ছাত্রলীগকর্মী মোস্তফা ফাহিম সিরাজির (অর্থনীতি বিভাগ, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতকোত্তর সনদ বাতিল করা হয়েছে।
বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার হওয়া নেতাকর্মীদের মধ্যে বর্তমান কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সামিউল হক হিমেলকে (টিপিএস বিভাগ, স্নাতকোত্তর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) এক বছর, সাবেক উপশিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক মাছুম বিল্লাহকে (নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) এক বছর, ছাত্রলীগকর্মী রেজওয়ানুল কবীর রাব্বিকে (ইইই বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) তিন বছর, আবু রায়হানকে (লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ, ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) তিন বছর, গালিব ফয়সাল নির্ঝরকে (ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ) দুই বছর, সৌমিক জাহানকে (চারুকলা বিভাগ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ) তিন বছর, নাঈমুল ইসলাম অনিককে (আইন ও বিচার বিভাগ, স্নাতকোত্তর ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষ) এক বছর, পবিত্র মণ্ডলকে (পপুলেশন সায়েন্স, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) এক বছর এবং আব্দুল্লাহ আল শাহরিয়ারকে (চারুকলা ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
এছাড়া, ছাত্রলীগকর্মী হাবিবুল্লাহর (আইন ও বিচার বিভাগ, স্নাতকোত্তর ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতকোত্তর সনদ ও নয়ন হাসানের (ইএসই ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ) স্নাতক সনদ এক বছরের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্নিবীণা হলে সিট বরাদ্দকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ বাঁধলে সংবাদ সংগ্রহে গেলে এ হামলা হয়। এ ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহের সময় দফায় দফায় দুই সাংবাদিককে মেরে আহত করে নাঈমের অনুসারীরা।
আহত দুই সাংবাদিক হলেন— বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি ফাহাদ বিন সাঈদ ও যায় যায় দিনের প্রতিনিধি আহসান হাবিব রিয়াদ।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার পর তাদের আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মাসুম হাওলাদারকে আহ্বায়ক, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ মেহেদী উল্লাহকে সদস্য ও প্রক্টর সঞ্জয় কুমার মুখার্জিকে সদস্য সচিব করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্ত শেষে ছাত্রলীগের ১৬ নেতাকর্মীর সনদ বাতিল, স্থায়ী বহিষ্কার, সনদ স্থগিতসহ বিভিন্ন শাস্তি প্রদান করা হয়েছে।
৩৪১ দিন আগে
মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এমবিবিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৩ শিক্ষার্থী
মেডিকেল কলেজে ২০২৪-২৫ সালের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় ১৯৩ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, এমবিবিএস ভর্তি কার্যক্রমে ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিদ্যমান বিধি অনুসারে শুধু মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য প্রযোজ্য হবে। তাদের নাতি-নাতনি বা অন্য কারো জন্য প্রযোজ্য হবে না।
‘এই কোটার অধীনে সংরক্ষিত ২৬৯টি আসনের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ১৯৩ জন প্রার্থী পাওয়া গেছে। অবশিষ্ট ৭৬টি আসন এরইমধ্যে মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হয়েছে।’
এই কোটায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ১৯৩ জনের পিতা/মাতার মুক্তিযোদ্ধা সনদপত্র, নিজের জন্মনিবন্ধন সনদসহ যাবতীয় প্রমাণাদি ও একাডেমিক সনদ নিয়ে আগামী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পুরাতন ভবনের দোতলায় মেডিকেল এডুকেশন শাখায় উপস্থিত হয়ে যাচাই-বাছাই করাতে হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি শিক্ষার্থীদের
‘যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় কোনো ভুল বা অসত্য তথ্য পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর ভর্তি বাতিল হবে এবং মেধা তালিকা থেকে সেই শূন্য আসন পূর্ণ করা হবে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই ১৯৩ জনের ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। অবশিষ্টদের ভর্তিসহ মেডিকেল কলেজের অন্যান্য কার্যক্রম যথারীতি চালু থাকবে।
৩৪২ দিন আগে
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনঃপ্রকাশের দাবি শিক্ষার্থীদের
মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিল করে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফল পুনরায় প্রকাশের দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও এই বিক্ষোভে সংহতি প্রকাশ করেন। সমাবেশ চলাকালে বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন।
গতকাল রবিবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে ৪০ বা ৪১ নম্বর পাওয়া অনেক পরীক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। পক্ষান্তরে যারা তাদের চেয়েও দ্বিগুণ নম্বর পেয়েছেন— কিন্ত তারা ভর্তির সুযোগ পাননি।
কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজের সাইকিয়াট্রি প্রফেসর ডা. মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) আব্দুল ওহাব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছেন। প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এটা কি বৈষম্য নয়?
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা শুক্রবার
তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, 'তোমরা যখন প্রতিবাদ করতে শিখেছ, তখন রাজপথে নিজেদের অধিকারের জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী দোহা বলেন, 'বৈষম্য দূর করার দাবিতে সফল আন্দোলনের পর মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় এ ধরনের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ হওয়া উচিত নয়। পাশ মার্ক যখন ৪০ হয়, তখন ৩৭ বা ৩৮ নম্বরের কেউ কীভাবে ভর্তি হতে পারে? আমরা আজ এই বৈষম্যের অবসান দাবি করছি।’
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী আবির হোসেন বলেন, 'আগের বছরগুলোতে কাট-অফের সামান্য নিচে নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীরা কোটার মাধ্যমে ভর্তি হতে পারত। কিন্তু এ বছর কাট-অফের নিচে ৩০ থেকে ৩৫ নম্বর পাওয়া প্রার্থীরা কোটা পদ্ধতিতে ভর্তি হয়েছেন, যা গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা মুক্তিযোদ্ধা কোটাসহ সব ধরনের কোটা বাতিল করে আজ পুনরায় ফল প্রকাশের দাবি জানাচ্ছি।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মাহিন সরকারও মেডিকেল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, 'বাংলাদেশে আন্দোলনের পরও আমরা দেখছি মেডিকেল কলেজগুলোতে অযৌক্তিক কোটা বাস্তবায়ন হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ ভর্তি পরীক্ষায় ৭২ নম্বর পাওয়া কিছু শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারেননি, অথচ অনেকে ৪০ নম্বর পেয়ে ভর্তি হয়েছেন। আমরা অবিলম্বে মেডিকেল ভর্তির ফলাফল পুনঃপ্রকাশের দাবি জানাচ্ছি এবং সকল বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় সব ধরনের অযৌক্তিক কোটা বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
৩৪২ দিন আগে
এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
দেশের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৬০ হাজার ৯৫ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছেন। এবারের পাশের হার ৪৫ দশমিক ৬২ শতাংশ।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) বিকাল ৪টায় এই ফল প্রকাশ করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এ বছর ৩৭ টি সরকারি মেডিকেল কলেজের ৫ হাজার ৩৮০টি আসনে এবং ৬৭টি অনুমোদিত বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ৬ হাজার ২৯৩টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল প্রণীত নীতিমালার শর্তানুসারে ভর্তি পরীক্ষার প্রাপ্ত নম্বর ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএর নম্বর যোগ করে অর্জিত স্কোরের ভিত্তিতে মেধা ও পছন্দক্রম অনুযায়ী ৫ হাজার ৩৭২ জন পরীক্ষার্থীকে ৩৭টি সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়েছে।
এছাড়া, পার্বত্য অঞ্চলব্যতীত দেশের সমতল অঞ্চলের উপজাতীয় কোটার শিক্ষার্থীদের তালিকা কোটার স্বপক্ষে সনদ ও প্রমাণ স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মাধ্যমে যাচাই করে পরে প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
এ বছর এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে মোট ১ লাখ ৩৫ হাজার ৬৬৫টি আবেদন জমা পড়ে। তার মধ্যে ১ লাখ ৩১ হাজার ৭২৯ জন পরীক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। ভর্তি পরীক্ষার পাসের নম্বর ছিল ৪০।
ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৬০ হাজার ৯৫ জন (৪৫.৬২ শতাংশ) উত্তীর্ণ হয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ পরীক্ষার্থী ছিলেন ২২ হাজার ১৫৯ জন যা মোট উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ৩৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। উত্তীর্ণ নারী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩৭ হাজার ৯৩৬ জন যা মোট উত্তীর্ণের ৬৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বর ৯০ দশমিক ৭৫।
আগামী ২ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজের জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি হতে হবে।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তির অনলাইন আবেদন গ্রহণের বিজ্ঞপ্তি আগামী ২৩ জানুয়ারি প্রকাশ করা হবে।
৩৪৩ দিন আগে
৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রাণিসম্পদ ডিজিকে বাকৃবির সংবর্ধনা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দেশের তিনটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে (ডিজি) দেশের প্রাণিসম্পদ খাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
সংবর্ধনাপ্রাপ্তরা হলেন— সিকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলিমুল ইসলাম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান। সংবর্ধনাপ্রাপ্ত সবাই বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের সাবেক শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কমপ্লেক্সে ভেটেরিনারি অনুষদের পক্ষ থেকে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।
এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
তিনি বলেন, ‘সত্যবাদিতা, দুর্নীতিমুক্ত পরিবেশ ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারলে উপাচার্যের দায়িত্ব কিছু নয়। দেশের সব ভেটেরিনারিয়ানদের লক্ষ্য হওয়া উচিত দেশের মানুষের সেবা করা। বিশেষ করে দেশের কৃষকদের উন্নয়নে কাজ করা উচিত। এই লক্ষ্য পূরণে কোয়ালিটি গ্রাজুয়েট তৈরির বিকল্প নেই। তাই কোয়ালিটি গ্রাজুয়েট তৈরির মাধ্যমে জাতির সেবায় উপাচার্যদের এগিয়ে আসা উচিত।’
আরও পড়ুন: গবাদিপশুর ম্যাসটাইটিস ভ্যাক্সিন আবিষ্কার করলেন বাকৃবির অধ্যাপক
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ভেটেরিনারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বাহানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের এই চারজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী দেশের তিনটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের এই অর্জন শুধু ব্যক্তিগত সাফল্য নয়। এটি শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে ভেটেরিনারি অনুষদের ঐতিহ্য এবং অবদানের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
তিনি বলেন, ‘ভেটেরিনারি অনুষদ শুরু থেকেই দেশের প্রাণিসম্পদ খাতের উন্নয়ন, রোগ প্রতিরোধ এবং টেকসই উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে গবেষণা ও শিক্ষার মাধ্যমে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। আধুনিক গবেষণাগার, কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি, এবং উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ রক্ষায় এই অনুষদ দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
৩৪৪ দিন আগে
এবার গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে গেল দিনাজপুরের হাবিপ্রবি
দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব প্রশ্নপত্রে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আবেদন শুরু হবে ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার ভারপ্রাপ্ত পরিচালক খাদেমুল ইসলাম জানান, চলতি ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক পর্যায়ের লেভেল-১ সেমিস্টার-১ এ ৪টি ইউনিটের অধীনে ৮টি অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হবে।
গত ১৩ জানুয়ারি হাবিপ্রবির একাডেমিক কাউন্সিলের ৬৮তম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জিএসটি গুচ্ছতে না থাকার ও স্বতন্ত্রভাবে নিজস্ব (প্রশ্নপত্রে) তত্বাবধানে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: হাবিপ্রবির উপাচার্য, প্রক্টর ও উপদেষ্টাসহ ৩ জনের পদত্যাগ
এ লক্ষ্যে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি হতে ৬ মার্চ পর্যন্ত ভর্তির জন্য আবেদন করা যাবে। যাচাই বাছাই শেষে আগামী ২১, ২২, ২৩ ও ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে।
এ সংক্রান্ত তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশের মাধ্যমে জানাবেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
৩৪৬ দিন আগে