প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
বাংলাদেশি অভিবাসীদের ভিসা দেওয়ার আগে নিয়োগের নিশ্চয়তা চায় আমিরাত: প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রদূত
উপসাগরীয় দেশগুলোতে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি নিশ্চিত হওয়ার পরই কেবল ভিসা ইস্যু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এ কথা জানান তিনি।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ আলী আবদুল্লাহ খাসেফ আল-হুমুদি গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বলে সাংবাদিকদের জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান।
রাষ্ট্রদূতকে উদ্ধৃত করে প্রেস সচিব বলেন, 'সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তাদের জন্য এরইমধ্যে দেশটিতে চাকরির ব্যবস্থা আছে কি না নিশ্চিত হওয়ার পর তারা বাংলাদেশ থেকে জনশক্তি নেবে।’
অবৈধ অভিবাসীদের বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবেশ করতে না দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত একমত হয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রেস সচিব আরও বলেন, 'উভয় দেশ এ বিষয়ে আরও সচেতন হওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে।’
আরও পড়ুন: জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, বিনিয়োগসহ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করার নতুন পথ খুঁজে বের করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী শিগগিরই ঢাকা সফর করবেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, 'আমাদের মধ্যে অত্যন্ত বিস্তৃত ও গভীর সম্পর্ক রয়েছে, তবে আমরা এটিকে আরও নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে আগ্রহী।’
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২০ হাজার অভিবাসী সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছেন। সংযুক্ত আরব আমিরাত দূতাবাস প্রতিদিন প্রায় ১০০০ ভিসা ইস্যু করছে যার মধ্যে ৫০০ জন সরাসরি এবং আরও ৫০০ এজেন্টের মাধ্যমে।
বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনাকালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী।
কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণসহ বাংলাদেশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন দেশটির রাষ্ট্রদূত।
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, সব সেক্টরে সবকিছু গতি বাড়াতে কাজ করছে সরকার।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা প্রক্রিয়াটি ত্বরান্বিত করার জন্য সবকিছু করছি।’
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিন সংকট নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর দ্বৈত নীতি রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি কোম্পানি বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচলকে অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম (এপিআইএস) সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে। মূল্য নিয়ে আলোচনায় প্রক্রিয়াটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানান প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব।
নিরাপত্তার কারণে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলো এবং অন্যান্য দেশ এখন এয়ারলাইন্সগুলোকে ভ্রমণের আগে তাদের যাত্রীদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিতে বাধ্য করে। এটি অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন (এপিআই) নামে পরিচিত।
অ্যাডভান্স প্যাসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম (এপিআইএস) মার্কিন শুল্ক ও সীমান্ত সুরক্ষা (সিবিপি) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত একটি বৈদ্যুতিক ডেটা ইন্টারচেঞ্জ সিস্টেম।
২০০৯ সালের মে থেকে শুরু করে, বেসরকারি বিমান পাইলটদেরও সিবিপিকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে হয়। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ১৮০ দিনের ‘স্বেচ্ছায় সম্মতির সময়কাল’ সহ এই নীতিমালা কার্যকর করা হয়েছিল।
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রীকে তার দেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম তাকে স্বাগত জানাতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব নেতাদের জোটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে চায় গ্লোবাল ফান্ড
৫৬৩ দিন আগে
পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা
আসন্ন ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে দেশব্যাপী ব্যাপক নির্দেশনা দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। বুধবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
অধিবেশনে কোরবানির পশুর প্রাপ্যতা ও পরিবহন, বাজার ব্যবস্থাপনা, অনলাইন মনিটরিং এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ বেশ কয়েকটি মূল বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।
ঈদুল আজহায় মূল পদক্ষেপসমূহ
কোরবানির পশু : এ বছর কোরবানির পশুর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। উদ্বৃত্তের কারণে ন্যায্যমূল্যে পশু পাওয়া যাবে বলে সভায় জোর দেওয়া হয়। ক্রমাগত পর্যবেক্ষণ এই প্রাণিগুলোর প্রাপ্যতা এবং ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি কৃত্রিম ঘাটতি রোধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
বাজার ও পরিবহন: অননুমোদিত অস্থায়ী পশুর হাট স্থাপন ঠেকাতে স্থানীয় সরকার পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করছে। প্রতারণা রোধে ক্রেতা, বিক্রেতা ও পরিবহন যানবাহনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ ১৪ আসামি পলাতক: প্রধানমন্ত্রী
ঈদ যাত্রা: জালিয়াতি ও হয়রানি রোধসহ রেলের টিকিট সংক্রান্ত বিষয়গুলো সমাধানের জন্য মুখ্য সচিব রেলসচিবকে নির্দেশ দেন। যানজট নিরসনে ব্যবস্থা নিয়ে সড়ক-মহাসড়কে নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ভ্রমণের চাপ কমাতে এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএর মতো ব্যবসায়ীদের শ্রমিকদের ছুটি দিতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। ওভারলোডিং রোধ এবং জাহাজের ফিটনেস নিশ্চিত করতে নৌযানগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: সিটি করপোরেশন, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পরিষদকে অবশ্যই কোরবানির পশু জবাই ও বর্জ্য নিষ্পত্তির নির্দেশনা কার্যকর করতে হবে।
কাঁচা চামড়া ব্যবস্থাপনা: কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া ভালোভাবে সরবরাহ ও চাহিদা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঈদের পর কমপক্ষে ১০ দিন ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে না বলেও শর্ত দেওয়া হয়েছে।
পশুর হাট, পরিবহন ও সার্বিক উৎসব নির্বিঘ্ন করতে ঈদুল আজহাকে সবার জন্য নিরাপদ ও আনন্দময় করার লক্ষ্যে এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্ব নেতাদের জোটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে চায় গ্লোবাল ফান্ড
৫৬৪ দিন আগে
বিশ্ব নেতাদের জোটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখতে চায় গ্লোবাল ফান্ড
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্লোবাল ফান্ডের শীর্ষ জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে চায় গ্লোবাল ফান্ড ও স্টপ টিবি পার্টনারশিপ।
বুধবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ আহ্বান জানান গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক পিটার স্যান্ডস এবং স্টপ টিবি পার্টনারশিপের নির্বাহী পরিচালক ড. লুসিকা দিতিউ।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এম নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা তাদের জোটের নেতাদের তালিকায় রয়েছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, এই দুটি সংস্থা মূলত বাংলাদেশে যক্ষ্মা, এইচআইভি ও ম্যালেরিয়া এবং এর অর্থায়ন নিয়ে কাজ করে।
তিনি আরও বলেন,‘তারা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও গভীর করতে চান।’
প্রেস সচিব নাইমুল বলেন, তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিশ্ব নেতাদের যোগাযোগ ও নেটওয়ার্ককে তাদের তহবিল সংগ্রহের জন্য কাজে লাগাতে চান।
নাইমুল বলেন, দুই নির্বাহী পরিচালক বলেছেন, যক্ষ্মা, এইচআইভি ও ম্যালেরিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর গভীর জ্ঞান বিস্ময়কর।
তিনি উল্লেখ করেন, পার্বত্য এলাকা ছাড়া বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকায় ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং বাংলাদেশের এইচআইভি পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের এসব অর্জন তুলে ধরবেন।’
আগামী দিনে তাদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান তারা।
তারা প্রধানমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘আপনি এলে বাংলাদেশের সাফল্যগুলো বিশ্ব দরবারে তুলে ধরা হবে। আর এর মাধ্যমে বাংলাদেশের দাবি আরও জোরদার হবে।’
তারা উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ এরই মধ্যেই এই সাফল্য অর্জন করেছে। যদি আরও সহায়তা পায় তবে চূড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাতে আরও সফল হবে বাংলাদেশ এবং এর মাধ্যমে এই রোগগুলো নির্মূল হবে।আরও পড়ুন: প্রতিটি গ্রামকে নাগরিক সুবিধার আওতায় আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী
গ্লোবাল ফান্ডের নির্বাহী পরিচালক পিটার স্যান্ডস এবং স্টপ টিবি পার্টনারশিপের নির্বাহী পরিচালক ড. লুসিকা দিতিউ দাবি করেন, বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৪০ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যায়।
নাঈমুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী সংখ্যার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের তা খতিয়ে দেখতে বলেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের তথ্য অনুযায়ী দেশে প্রতি বছর ২৬ থেকে ২৭ হাজার মানুষ যক্ষ্মায় মারা যান।
নাইমুল খান বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যক্ষ্মায় মৃত্যুর সংখ্যা বের করতে একটি জরিপের নির্দেশ দিয়েছেন।’
এক্ষেত্রে গ্লোবাল ফান্ড বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
তারা যক্ষ্মা দ্রুত শনাক্ত করতে এআই সংযোজিত হাই-টেক এক্স-রে মেশিনের মাধ্যমে দেশে ভ্রাম্যমাণ ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিচালনায় বাংলাদেশকে সহায়তা করবে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব উল্লেখ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নির্বাহী পরিচালকরা দেশের এইচআইভি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, 'এইচআইভি সম্পর্কিত বিষয়গুলো মোকাবিলায় আমাদের প্রচেষ্টা বন্ধ করা উচিত হবে না, যদিও বাংলাদেশ এই ইস্যুতে খুব ভালো কাজ করছে। এতে যেন আত্মতুষ্টি তৈরি না হয়, যা দুঃসংবাদ বয়ে আনতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সচেতনতামূলক কর্মসূচি আরও জোরালোভাবে অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে বাংলাদেশের অর্জন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং দেশকে আরও ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারি।
আরও পড়ুন: জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, যক্ষ্মার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে অপুষ্টি ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, তারা এই সাফল্যকে ধরে রাখতে আগ্রহী এবং বাংলাদেশের জন্য অর্থায়ন নিশ্চিত করতে প্রস্তুত।
কমিউনিটি ক্লিনিক ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কার্যক্রম এবং এটি কীভাবে সহায়তা করছে তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন।
সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন
এইচআইভি, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়াকে পরাজিত করতে এবং সবার জন্য স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ ও সমতাভিত্তিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে গ্লোবাল ফান্ড বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে কাজ করছে।
তারা মারাত্মক সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই এবং অন্যায়কে রুখে দিতে সহায়তা দেওয়াসহ সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০০টিরও বেশি দেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং মহামারি মোকাবিলার প্রস্তুতির গ্রহণের জন্য বছরে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি অর্থ সংগ্রহ ও বিনিয়োগ করে।
২০২২ সালে এইচআইভি, টিবি এবং ম্যালেরিয়া প্রতিরোধ, কোভিড-১৯ রেসপন্স মেকানিজম (সি১৯ আরএম) কার্যক্রমকে সমর্থন এবং স্বাস্থ্যের জন্য সিস্টেমগুলোকে শক্তিশালী করতে রেকর্ড ৫ দশমিক ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিতরণ করেছে গ্লোবাল ফান্ড।
তারা বিশ্ব নেতা, সম্প্রদায়, নাগরিক সমাজ, স্বাস্থ্যকর্মী এবং বেসরকারি খাতকে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে এমন সমাধান খুঁজে বের করতে এবং বিশ্বব্যাপী তাদের তুলে ধরতে একত্রিত করে।
স্টপ টিবি পার্টনারশিপ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত ইউনাইটেড নেশনস অফিস ফর প্রজেক্ট সার্ভিসেস (ইউএনওপিএস) -এর সহযোগিতায় পরিচালিত।
এটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্টনারশিপ ১ হাজার ৬০০ অংশীদার সংস্থাকে একত্রিত করে।
আরও পড়ুন: গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ ১৪ আসামি পলাতক: প্রধানমন্ত্রী
৫৬৪ দিন আগে
গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেকসহ ১৪ আসামি পলাতক: প্রধানমন্ত্রী
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৫ আসামি পলাতক বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি আরও বলেন, ‘৪৯ জন দোষীর মধ্যে ৩৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারেক রহমান ওরফে তারেক জিয়াসহ ১৫ জন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি বর্তমানে পলাতক।’
বুধবার (১২ জুন) প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের (মহিলা আসন-৩৫) এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: তারেককে ফিরিয়ে এনে আদালতের সাজা কার্যকর করব: প্রধানমন্ত্রী
এদিন বিকাল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংসদে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্নোত্তর পর্ব রাখেন।
২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল নম্বর-১ এর বিচারক রায় দেওয়ায় গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারে মোট ৪৯ আসামির সাজা হয় বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, ‘সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাকি ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিদেশে পলাতক আসামি মাওলানা তাজউদ্দিন, হারিছ চৌধুরী ও রাতুল আহমেদ বাবু ওরফে রাতুল বাবুর বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করেছে ইন্টারপোল। সাজাপ্রাপ্ত পলাতকদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দণ্ডবিধি ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করা হয়।
ওই হামলায় তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও ২৪ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক আহত হয়।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি-সন্ত্রাসের প্রতীক তারেক রহমানই বিএনপির দুঃশাসনের মুখ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৬৪ দিন আগে
জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা
গ্লোবাল সেন্টার অন দ্য অ্যাডাপটেশন (জিসিএ)-এর স্থানীয় অভিযোজন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় স্থানীয় অভিযোজন কর্মসূচি প্রবর্তনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের জন্য বাংলাদেশের প্রথম পুরস্কার অর্জন করে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) প্রফেসর প্যাট্রিক ভি. ভারকুইজেন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এই পুরস্কার হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘স্থানীয়ভাবে প্রণীত জলবায়ু অভিযোজন কর্মসূচি গ্রহণে নেতৃস্থানীয় ভূমিকার জন্য বাংলাদেশ এই পুরস্কার অর্জন করেছে।’
তিনি বলেন, জিসিএ'র নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী পরবর্তী পুরস্কার জয়ী বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকবেন।
লোকাল গভর্নমেন্ট ইনিশিয়েটিভ অন ক্লাইমেট চেঞ্জের (এলওজিআইসি) জন্য ইনোভেশন ইন ডেভেলভিং ফাইন্যান্স ক্যাটাগরিতে গ্লোবাল লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়নস অ্যাওয়ার্ড পাওয়া প্রথম দেশ হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে বাংলাদেশ।
পুরস্কার গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার গ্রহণ করতে পেরে তিনি গভীরভাবে সম্মানিত হয়েছেন, যার অটল সহনশীলতা এবং উদ্ভাবনী চেতনা সর্বদা প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশকে পথ দেখিয়েছে।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্প: মঙ্গলবার আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করবেন শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, 'এই স্বীকৃতি টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু সহনশীলতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকারের প্রতিফলন এবং সমৃদ্ধ ও সহনশীল ভবিষ্যতের দিকে আমাদের যাত্রায় গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশনের অমূল্য সহায়তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’
প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তার সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলো সম্পর্কে ভারকুইজেনকে অবহিত করেন। ‘আমরা নিজস্ব অর্থায়নে জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড গঠন করেছি।’
উন্নত দেশগুলো জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর সহায়তায় জলবায়ু তহবিলে তাদের প্রতিশ্রুত অর্থ দেওয়ার অঙ্গীকার রক্ষা করেনি বলেও একমত হন প্রধানমন্ত্রী এবং জিসিএ'র সিইও।
প্রফেসর প্যাট্রিক ভারকুইজেন বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ প্রদানে শেখ হাসিনার ভূমিকার প্রশংসা করেন এবং এই দাবির পক্ষে আরও সোচ্চার হওয়ার অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের আরও ১৮,৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর প্রধানমন্ত্রীর
তিনি ডেনমার্কের জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ ছাড়ের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান, অন্যথায় ডিসেম্বরের মধ্যে অর্থ ফেরত পাঠানো হবে।
জিসিএ নেদারল্যান্ডসের রটারডামে অফিস থাকায় ঢাকার পাশে প্রকৃতির প্রতীকী একটি ভ্রাম্যমান অফিস নির্মাণের প্রস্তাব দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অফিস নির্মাণের জন্য ঢাকার বাইরে কুতুবদিয়াসহ বিভিন্ন এলাকা বিবেচনার পরামর্শ দেন।
প্রফেসর ভারকুইজেন জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা এবং স্থানীয়ভাবে উন্নত অভিযোজন কর্মসূচির প্রশংসা করেন।
জিসিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেছেন, ‘এ ব্যাপারে আপনার ভূমিকা আমাকে উৎসাহিত করেছে। আমি যেখানেই যাই সেখানেই জলবায়ু অভিযোজনের জন্য বাংলাদেশ ও আপনার (প্রধানমন্ত্রী) কথা বলি। সুতরাং আপনারা আমাকে দূত হিসেবে বিবেচনা করতে পারেন।’
প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রতিটি গ্রামকে নাগরিক সুবিধার আওতায় আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী
৫৬৫ দিন আগে
প্রতিটি গ্রামকে নাগরিক সুবিধার আওতায় আনা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার দেশের সব গ্রামের মানুষদের জন্য নাগরিক সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি গ্রামকে নাগরিক সুযোগ-সুবিধার আওতায় আনব এবং প্রতিটি গ্রামের মানুষ নাগরিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে।’
মঙ্গলবার (১১ জুন) ঈদুল আজহার ৫ দিন আগে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের আরও ১৮,৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, কক্সবাজারের ঈদগাঁও ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।
সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের ফ্ল্যাগশিপ আবাসন কর্মসূচি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বাড়িগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে হস্তান্তর করেন জনপ্রতিনিধি ও মাঠ প্রশাসন।
ঘর বিতরণের পাশাপাশি ২৬টি জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন তিনি।
নতুন এই ঘোষণার ফলে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলার মোট সংখ্যা ৫৮টিতে পৌঁছাল এবং সারা দেশে উপজেলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৪টিতে।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্প: ‘এহন আমাগের দিন ঘুরতে শুরু করছে’
৫৬৬ দিন আগে
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় গৃহহীনদের আরও ১৮,৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর প্রধানমন্ত্রীর
ঈদুল আজহার ৫ দিন আগে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১১ জুন) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, কক্সবাজারের ঈদগাঁও ও ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সুবিধাভোগীদের কাছে জমির মালিকানা দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।
ঘর বিতরণের পাশাপাশি ২৬টি জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন তিনি।
নতুন এই ঘোষণার ফলে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলার মোট সংখ্যা ৫৮টিতে পৌঁছাল এবং সারা দেশে উপজেলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৬৪টিতে।
সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের ফ্ল্যাগশিপ আবাসন কর্মসূচি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এসব ঘর নির্মাণ করা হয়।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে ১ হাজার ২৮২টি, কক্সবাজারে ২৬১টি এবং ভোলায় ১ হাজার ২৩৪টি বাড়ি হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্প: মঙ্গলবার আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করবেন শেখ হাসিনা
এর আগে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী প্রথম পর্যায়ে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় পর্যায়ে ৫৯ হাজার ১৩৩টি এবং চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর হস্তান্তর করেন।
প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক জমিতে একটি করে আধা-পাকা ঘর প্রদান করা হয়, যার মালিকানা যৌথভাবে স্ত্রী-স্বামী উভয়কে দেওয়া হয়। প্রতিটি বাড়িতে দুটি শয়নকক্ষ, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং একটি বারান্দা রয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রথম চালু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘরবাড়ি ও জমির মালিকানা দিতে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তখন থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মোট ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করা হয়েছে। এর ফলে আনুমানিক ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন ব্যক্তি উপকৃত হয়েছে। সব আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩টি পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনসহ ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪টি পরিবারের ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধিকে সক্ষম করছে: ইন্ডিয়া টুডে’র প্রতিবেদন
৫৬৬ দিন আগে
আশ্রয়ণ প্রকল্প: মঙ্গলবার আরেকটি মাইলফলক স্পর্শ করবেন শেখ হাসিনা
মঙ্গলবার সারাদেশের গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকারের অগ্রাধিকারভিত্তিক আবাসন কর্মসূচি আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এটি করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবার বেলা ১১টায় তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলা, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা এবং ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বাড়ি ও মালিকানার কাগজপত্র হস্তান্তর করবেন।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেয়ার নামে প্রতারণা, চক্রের মূল হোতা আটক
ঘর বিতরণের পাশাপাশি ২৬টি জেলার সব উপজেলাসহ আরও ৭০টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন তিনি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী লালমনিরহাটে ১ হাজার ২৮২টি, কক্সবাজারে ২৬১টি এবং ভোলায় ১ হাজার ২৩৪টি বাড়ি বিতরণ করবেন।
নতুন এই ঘোষণার ফলে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত জেলার মোট সংখ্যা ৫৮টিতে পৌঁছাবে এবং সারাদেশে উপজেলার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ৪৬৪টিতে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী প্রথম পর্যায়ে ৬৩ হাজার ৯৯৯টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি, তৃতীয় পর্যায়ে ৫৯ হাজার ১৩৩টি এবং আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ ধাপে ৩৯ হাজার ৩৬৫টি ঘর বিতরণ করেন।
প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে দুই শতক জমিতে একটি করে আধা-পাকা ঘর প্রদান করা হয়, যার মালিকানা যৌথভাবে স্বামী-স্ত্রী উভয়কে দেওয়া হয়। প্রতিটি বাড়িতে দুটি শয়নকক্ষ, একটি রান্নাঘর, একটি টয়লেট এবং একটি বারান্দা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ৫০ হাজার ঘর নির্মাণ হচ্ছে
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় জেলায় আগে ৪ হাজার ৬৬৬টি ঘর বিতরণ করা হয়েছে।
এই ২৬১টি বাড়ি হস্তান্তরের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল কক্সবাজারকে গৃহহীন ও ভূমিহীন জেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন।
শাহীন বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্প শুধু আশ্রয়ই দেয় না, কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করে, উপকারভোগীদের মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা বাড়ায়।
প্রকল্প বিবরণে বলা হয়েছে, আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম পর্যায়ের প্রথম পর্যায়ে ২ লাখ ৬৬ হাজার ১২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার পঞ্চম ধাপের দ্বিতীয় পর্যায়ে আরও ১৮ হাজার ৫৬৬টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হবে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে গৃহহীনদের জন্য পুনর্বাসন কর্মসূচি প্রথম চালু করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের ঘরবাড়ি ও জমির মালিকানা দিতে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ণ প্রকল্প হাতে নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি মোট ৭ লাখ ৭১ হাজার ৩০১টি পরিবারকে পুনর্বাসিত করেছে। এর ফলে আনুমানিক ৩৮ লাখ ৫৬ হাজার ৫০৫ জন ব্যক্তি উপকৃত হয়েছে। সকল আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ৫ লাখ ৮২ হাজার ৫৩টি পরিবারের ২৯ লাখ ১০ হাজার ২৬৫ জনসহ ৮ লাখ ৬৭ হাজার ৯০৪টি পরিবারের ৪৩ লাখ ৪০ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আশ্রয়ণ: বাগেরহাটে শেফালীসহ ৪৫ পরিবারের স্বপ্ন পুরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
৫৬৬ দিন আগে
মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
টানা তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগদান শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১০ জুন) সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: ভারত সফরে বিজেপির প্রবীণ নেতা আদভানির সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ
ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে বিদায় জানান।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে শনিবার নয়াদিল্লি যান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৬৬ দিন আগে
ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেছেন শেখ হাসিনা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভুটান থেকে ভারতের মধ্য দিয়ে জলবিদ্যুৎ আমদানিতে বাংলাদেশের আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৯ জুন) দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে। সে সময় এই আগ্রহ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা।
তিনি ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, 'এর জন্য একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং আমরা এরই মধ্যে ভারতের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।’
সাক্ষাৎ শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
ভুটান বাংলাদেশে জলবিদ্যুৎ রপ্তানির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে বলে জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বারিধারায় গুলিবর্ষণ: পুলিশ কনস্টেবলদের মধ্যে কোনো পূর্বশত্রুতা ছিল না: ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বর্তমানে নয়াদিল্লিতে অবস্থান করছেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ভারতীয় ভূখণ্ডের মধ্য দিয়ে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আনতে একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তি প্রয়োজন এবং বিষয়টি এরইমধ্যে ভারতের নজরে আনা হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও জানান, সৌজন্য সাক্ষাৎকালে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক বিষয় আলোচনায় আসে।
তিনি বলেন, বিদ্যমান বহুমুখী সম্পর্ক আরও জোরদারে দুই দেশই নিজেদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
বার্ন ইউনিট নির্মাণ এবং এক বছরের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে।
শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ভুটান বাংলাদেশের জনগণের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে, কারণ ১৯৭১ সালের যুদ্ধের পর বাংলাদেশকে প্রথম স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় ভুটান।
তিনি বলেন, 'আমরা ভুটানকে সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে ভারতকে দেওয়া স্থানের যথাযথ ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ভুটান সেখানে শিল্প গড়ে তুলবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে ভুটানের বিনিয়োগ কামনা করেন।
এ সময় ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর একমাত্র কন্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং তার সাম্প্রতিক ভুটান সফরের কথা উল্লেখ করেন।
পৃথক এক সংবাদ সম্মেলনে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, তিনি (ভুটানের প্রধানমন্ত্রী) সবসময় বাংলাদেশের কথা মনে রাখেন এবং চিন্তা করেন।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'নয়াদিল্লিতে অবস্থানকালে জিমে যাওয়ার পথে বাংলাদেশ হাইকমিশন দেখি। এটি আমাকে সবসময় বাংলাদেশের কথা মনে করিয়ে দেয়।’
প্রেস সচিব আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী জানান, তার দেশের বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও ফলপ্রসূ করতে এবং বাংলাদেশের সহায়তা কীভাবে ভুটানের জন্য আরও অর্থবহভাবে ব্যবহার করতে পারেন সে বিষয়ে তার পররাষ্ট্র সচিব সব সময় চিন্তা করেন।
সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের সময় ভুটানের রাজা ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি ভালোবাসা ও স্নেহের কথা উল্লেখ করে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভুটানের পারস্পরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার আকাঙ্ক্ষা তাদের অনুপ্রাণিত করেছে।
বৈঠকে আরও ছিলেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জ্বল হোসেন মিয়া, পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, পিএমও সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান।
ভুটানের পক্ষ থেকে ছিলেন অবকাঠামো ও পরিবহনমন্ত্রী চন্দ্র বাহাদুর গুরুং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেরিং, ভারতে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল ভি নামগিয়েল, মন্ত্রিপরিষদসচিব কেসাং ডেকি এবং পররাষ্ট্রসচিব পেমা চোডেন।
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতারা
ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৬৭ দিন আগে