প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
শ্রমনির্ভর শিল্পের পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তির পক্ষে প্রধানমন্ত্রী
সরকার শিল্প খাতে আধুনিক প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করার পাশাপাশি শ্রমনির্ভর শিল্প প্রতিষ্ঠান দেখতে চায় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা শিল্প খাতে আধুনিক প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে চাই। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই, পেছনে নয়। কিন্তু কর্মসংস্থানের সুযোগ যেন নষ্ট না হয়।’
রবিবার (১৯ মে) সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) সপ্তাহব্যাপী ১১তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশন যৌথভাবে এ মেলার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্জন করা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘তবে এর জন্য আমাদের উদ্যোক্তা ও কর্মশক্তির প্রয়োজন হবে।’
আরও পড়ুন: বর্তমানে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী দল: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদক্ষেপ নেওয়ার সময় সবাইকে মনে রাখতে হবে যে, দেশে শ্রমনির্ভর শিল্প স্থাপন করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, 'যেহেতু আমাদের জনগণের জন্য কাজের ব্যবস্থা করতে হবে, সেজন্য শ্রমনির্ভর শিল্প স্থাপনে আমাদের আরও মনোযোগ দিতে হবে।’
নতুন উদ্যোক্তা তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, তরুণরা কোনো কোর্স শেষ করেই শুধু চাকরির পেছনে ছুটবেন না।
তিনি বলেন, 'অন্যের কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য উদ্যোক্তা হন, সেই সক্ষমতা আপনাদের কাজে লাগাতে হবে।’
স্টার্টআপ কর্মসূচি এবং তাদের জন্য পৃথক বাজেটসহ সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
সব এসএমই প্রতিষ্ঠানকে শতভাগ রপ্তানিমুখী হিসেবে গড়ে তোলার প্রতি আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি জানান, এরইমধ্যে তিনি বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোকে তাদের অর্থনৈতিক কূটনীতি জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তাদের স্বাগতিক দেশগুলোতে রপ্তানি পণ্য ও বাজার সম্প্রসারণে চাহিদা খুঁজে বের করা যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা উৎপাদন করতে পারি, আমাদের দক্ষ জনশক্তি আছে, যে কেউ এখানে বিনিয়োগ করতে পারে এবং পণ্য রপ্তানি করতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য আরও মনোযোগী হওয়া উচিত কেন না সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তারা বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুরকে ‘নিজেদের মতো করে’ চালাতে চান নতুন প্রধানমন্ত্রী লরেন্স
৫৮৯ দিন আগে
দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করুন: স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
দেশের ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগের পাশাপাশি বিনিয়োগ করতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। আমরা সেখানে বিনিয়োগের আহ্বান জানাচ্ছি। তবে আমরা শুধু বিদেশি বিনিয়োগ চাই না, চাই দেশীয় বিনিয়োগও।’
আজ রবিবার (১৯) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ১১তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার এ পর্যন্ত মোট ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে ৮০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য জমি বরাদ্দ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: এসএমই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এসএমই ফাউন্ডেশন বা যারা উদ্যোক্তা তারা এককভাবে বা অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প স্থাপনের জন্য জমি নিতে পারেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, কৃষি যান্ত্রিকীকরণের পাশাপাশি সরকার খাদ্য উৎপাদন, কৃষিপণ্য উৎপাদন যা অর্থনীতিতে অবদান রাখবে এবং তার উপর ভিত্তি করে শিল্পায়নের উপর জোর দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘শিল্পায়ন না হলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না এবং আমরা আরও এগিয়ে যেতে পারব না। তাই আমাদের শিল্পায়নের দিকে নজর দিতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যে কৃষির জন্য নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে সেই কৃষির যান্ত্রিকীকরণের জন্য বড় পরিসরে ছোট যন্ত্রাংশের প্রয়োজন হবে।
আরও পড়ুন: দেশের মাটি ও মানুষের কথা বিবেচনা করে পরিকল্পনা করুন: অর্থনীতিবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা গেলে ওইসব যন্ত্রাংশ উৎপাদন করা সম্ভব হবে যা অনেক দেশেও রপ্তানি করা যাবে। এতে আমাদের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের দেশেই বাজার তৈরি হবে।’
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২৩ প্রাপ্ত ৭ ছোট, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্টআপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।
স্বপ্না রানী সেন পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে তার অনুভূতি প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: জনসংখ্যাকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরে নীতিমালা যুগোপযোগী করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
৫৮৯ দিন আগে
এসএমই মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
দেশীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্য প্রদর্শনের জন্য আজ রবিবার (১৯ মে) সপ্তাহব্যাপী ১১তম জাতীয় এসএমই পণ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের তৈরি পণ্যের প্রচার, প্রসার, বিক্রয় ও বাজার সম্প্রসারণই এ মেলার উদ্দেশ্য।
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের সহায়তার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর মধ্যে রয়েছে মানোন্নয়ন কর্মসূচি, বড় কোম্পানি ও এসএমইর মধ্যে সহযোগিতাকে উৎসাহিত করার নীতি এবং অর্থায়নে উন্নত প্রবেশাধিকার। রপ্তানি বাড়াতে মেলায় বৈদেশিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর প্রচেষ্টার কথাও তুলে ধরে মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: বর্তমানে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী দল: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আয়োজকরা জানান, মেলায় তৈরি পোশাক, পাট, হস্তশিল্প, চামড়াজাত পণ্য, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, হালকা প্রকৌশল, আইটি সেবা, জুয়েলারি ও আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন খাতের পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে।
সারা বাংলাদেশ থেকে উদ্যোক্তারা তাদের ঐতিহ্যবাহী পণ্য প্রদর্শন করছেন।
এতে ৩৫০টির বেশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ অংশ নেবে। মেলার প্রায় ৬০ শতাংশ উদ্যোগের নেতৃত্বে রয়েছেন নারী উদ্যোক্তারা।
এতে ৩০টি ব্যাংক এবং ১৫টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় ৫০টি উদ্যোক্তা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, তৈরি পোশাক খাত থেকে আরও ৭৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেবে।
আরও পড়ুন: দেশের মাটি ও মানুষের কথা বিবেচনা করে পরিকল্পনা করুন: অর্থনীতিবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান।
অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয় ও এসএমই ফাউন্ডেশনের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় এসএমই উদ্যোক্তা পুরস্কার ২০২৩ প্রাপ্ত ৭ ছোট, ক্ষুদ্র, মাঝারি ও স্টার্টআপ উদ্যোক্তার হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন।
স্বপ্না রানী সেন পুরস্কারপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে তার অনুভূতি প্রকাশ করেন।
মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: জনসংখ্যাকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরে নীতিমালা যুগোপযোগী করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
৫৮৯ দিন আগে
বর্তমানে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে শক্তিশালী দল: স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এখন দেশের সবচেয়ে শক্তিশালী, বৃহত্তম ও সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক দল।
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী ও বৃহৎ সংগঠন। এটাই বাস্তবতা। জনগণের কাছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য দল আওয়ামী লীগ।’
ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে দলীয় নেতাকর্মীরা গণভবনে শুভেচ্ছা জানাতে এলে এ কথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
১৯৮১ সালের ১৭ মে দেশে ফেরার আগে তার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সময় আওয়ামী লীগের মতো একটি বড় দলের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা তার ছিল না। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব দেওয়া নিঃসন্দেহে তার জন্য বড় দায়িত্ব ছিল।
আরও পড়ুন: দেশের মাটি ও মানুষের কথা বিবেচনা করে পরিকল্পনা করুন: অর্থনীতিবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
দল অনেক ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই ষড়যন্ত্র হয় এবং আমরা তা অতিক্রম করি। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
ছয় বছরের বাধ্যতামূলক নির্বাসন শেষে দেশে ফেরার দিনের কথা স্মরণ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সেদিন ঝড়-বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজার হাজার মানুষ তাকে স্বাগত জানিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, ১৯৮১ সালে তিনি যখন দেশে ফিরে আসেন, তখন দেশ পরিচালনা করছিল যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের হত্যাকারীরা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশবাসী ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ওপর তার আস্থা ছিল। সেকারণেই তাকে হত্যা করা হতে পারে জেনেও দেশে ফিরে এসেছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা যে আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দেশকে স্বাধীন করেছেন, সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়নি। বরং জনগণের অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। তাই সে আকাঙ্ক্ষা পূরণের প্রত্যয় নিয়ে দেশে ফিরেছিলাম।’
বঙ্গবন্ধু যে ইচ্ছা ও চেতনা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, তার সরকার এখন কিছুটা হলেও বাস্তবায়ন করতে পেরেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: জনসংখ্যাকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরে নীতিমালা যুগোপযোগী করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমার সব শক্তি ও সাহস আমি পেয়েছি আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে।’
কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুসংগঠিত রাজনৈতিক দল এবং এর সহযোগী সংগঠন থাকায় আমরা কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি।’
তিনি বলেন, করোনাকালে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো রাজনৈতিক দল জনগণের পাশে দাঁড়ায়নি এবং আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মী এ কাজে জীবন উৎসর্গ করেছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো সংগঠন বাংলাদেশের মানুষের জন্য এত ত্যাগ স্বীকার করেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশকে বদলে দিতে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘তবে ভবিষ্যতে আমাদের আরও এগিয়ে যেতে হবে।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সকালে গণভবনে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে নেতাকর্মীরা।
এ সময় আওয়ামী লীগের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতাকর্মীরাও ছিলেন।
আরও পড়ুন: মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী নয়, পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
৫৯১ দিন আগে
দেশের মাটি ও মানুষের কথা বিবেচনা করে পরিকল্পনা করুন: অর্থনীতিবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনীতিবিদদের দেশের মাটি ও মানুষের কথা বিবেচনা করে তাদের নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি অর্থনীতিবিদদের কাছে চাই- আপনারা দেশের মাটি ও মানুষের কথা বিবেচনা করে আপনাদের নীতি, পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করবেন।’
আজ শুক্রবার (১৭ মে) রাজধানীর রমনা এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) মিলনায়তনে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির (বিইএ) ২২তম দ্বিবার্ষিক সম্মেলন-২০২৪ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জনসংখ্যাকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরে নীতিমালা যুগোপযোগী করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্থানীয় বাস্তবতা ও জনকল্যাণকে কেন্দ্র করে কোনো পরিকল্পনা ও কর্মসূচি প্রণয়ন করা হলে তা কার্যকর হবে। কেউ (বিদেশি) যদি দু-একদিনের জন্য এখানে এসে আমাদের পরামর্শ দিয়ে চলে যায়, তাহলে আমাদের জন্য সেই পরামর্শ দিয়ে কোনো লাভ হবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি বিশেষজ্ঞরা অবশ্যই বিদেশি উৎস থেকে যে কোনো কিছু শিখতে পারেন, কিন্তু দেশ, জনগণ এবং সম্পদ বিবেচনা করে এখানে তা বাস্তবায়ন করতে পারেন।
জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনই বাংলাদেশকে উন্নত করাই তার লক্ষ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তার উন্নয়ন যাত্রায় অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: মা ও নবজাতকদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে আরও ১০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
করতালির মধ্যে হাসিনা বলেন, ‘ইনশাল্লাহ আমরা এখন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছি সেভাবেই এগিয়ে যাব। যত বাধাই আসুক না কেন আমরা সব বাধা অতিক্রম করতে সক্ষম হবো।’
দুই দিনব্যাপী দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আবুল বারকাত।
সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ড. জামালউদ্দিন আহমেদ স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম।
৫৯১ দিন আগে
জনসংখ্যাকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তরে নীতিমালা যুগোপযোগী করবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দক্ষতা উন্নয়ন ও অগ্রগতির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তরের লক্ষ্যে সরকার জনসংখ্যা নীতি ২০১২ যুগোপযোগী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং কারিগরি শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অতি সম্প্রতি আমরা জনসংখ্যা নীতি ২০১২ হালনাগাদ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। নতুন নীতিমালায় ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, যা ২০৪১ থেকে ২০৬১ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। এতে দক্ষতা উন্নয়ন ও অগ্রগতির মাধ্যমে জনসংখ্যাকে মানবসম্পদে রূপান্তর এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
'আইসিপিডি ৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এটি বিশ্বের পরিবর্তনশীল জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি এবং সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করবে।
বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান এবং ইউএনএফপিএ যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের গৃহীত নানামুখী উদ্যোগের ফলে ২০২৩ সালে দেশের মানুষের গড় আয়ু ৭২ দশমিক ৩ বছরে উন্নীত হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের মোট জনসংখ্যার ৬২ শতাংশ উৎপাদনশীল।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যার ৯ দশমিক ২৯ শতাংশের বয়স ৬০ বছরের বেশি।
তিনি বলেন, ‘প্রবীণদের স্বাস্থ্যসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। ২০২৩ সালে আমরা ৫৮ লাখের বেশি প্রবীণ নাগরিকের জন্য বয়স্ক ভাতার ব্যবস্থা করেছি।’
এছোড়াও অসহায় নারী, স্বামী পরিত্যক্তা নারী, বিধবা, প্রতিবন্ধী, হিজড়া জনগোষ্ঠী এবং অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীসহ দুর্বল জনগোষ্ঠীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বিদ্যমান সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী সম্প্রসারণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে উপকৃত হচ্ছে।
তিনি বলেন, 'আমরা সার্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করেছি। ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী যেকোনো নাগরিক এই পেনশন সুবিধা নিতে পারবেন।’
আরও পড়ুন: মা ও নবজাতকদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে আরও ১০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ২০২১ সালের মধ্যে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বল্পোন্নত দেশের মর্যাদা থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জন করেছে।
তিনি আরও বলেন, সরকার 'ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প' বাস্তবায়ন করেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে অগ্রসর হচ্ছি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, সরকার স্মার্ট বাংলাদেশের চারটি স্তম্ভ চিহ্নিত করেছে- স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট সরকার, স্মার্ট অর্থনীতি এবং স্মার্ট সমাজ।
এই লক্ষ্য অর্জনে আমরা আমাদের সমাজকে, বিশেষ করে যুবসমাজকে আধুনিক প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপিএ'র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী নয়, পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
৫৯২ দিন আগে
মা ও নবজাতকদের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে আরও ১০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেবে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
মা ও নবজাতকের উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সরকার পর্যায়ক্রমে আরও ১০ হাজার ধাত্রী নিয়োগ দেবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘২০১০ সালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক অনুষ্ঠানে আমি ৩০ হাজার ধাত্রী নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় সরকার ইতোমধ্যে ২০ হাজার মিডওয়াইফ নিয়োগ দিতে সক্ষম হয়েছে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে নিয়োগ দেওয়া হবে।’
বুধবার (১৫ মে) 'আইসিপিডি ৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্বের পরিবর্তনশীল জনগোষ্ঠীর ঝুঁকি এবং সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরির উদ্দেশ্যে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী নয়, পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ইউএনএফপিএর সঙ্গে যৌথভাবে বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে বিপুল ভোটের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয়বারের মতো সরকার গঠন করে।
তিনি আরও বলেন, 'আমরা দায়িত্ব গ্রহণের পর আইসিপিডি প্রোগ্রাম অব অ্যাকশন (পিওএ)-এর ১৫টি মূলনীতিকে বাস্তব রূপ দিতে জাতীয় জনসংখ্যা নীতি-২০১২ গ্রহণ করি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার মা ও নবজাতকের মৃত্যুহার হ্রাস, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান এবং কিশোর-কিশোরীদের প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, 'দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আমরা বন্ধ হয়ে যাওয়া কমিউনিটি ক্লিনিক প্রকল্পটি আবারও চালু করেছি।’
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক জনসংখ্যার কার্যকর ব্যবস্থাপনা: প্রধানমন্ত্রী
বর্তমানে সারাদেশে ১৪ হাজারের বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু রয়েছে।
তিনি বলেন, এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসহ প্রায় ৩০টি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়।
এর মধ্যে তিন হাজার ক্লিনিকে 'স্কিলড বার্থ অ্যাটেনডেন্স' সেবা দেওয়া হয় বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের অধীনে সরকার ৩ হাজার ২৯০টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র/ক্লিনিকের মাধ্যমে মাতৃ, শিশু ও কিশোর স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি পরিবার পরিকল্পনা সেবা প্রদান করছে।
এর মধ্যে ২ হাজার ২০০টি কেন্দ্র সার্বক্ষণিক নরমাল ডেলিভারি সেবা দিয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এসব সেবা দিতে আমরা প্রতি কেন্দ্রে চারজন করে নার্স নিয়োগের পরিকল্পনা করেছি।’
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপিএর নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়নমন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরাও ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
৫৯৩ দিন আগে
মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী নয়, পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে বিবেচনা করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাল্যবিবাহ, যৌতুক ও নারীর প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে সমন্বিত সামাজিক আন্দোলনের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মেয়েদের কেবল ভুক্তভোগী হিসেবে নয়, পরিবর্তনের চালিকা শক্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।’
আজ বুধবার (১৫ মে) 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা এবং বিশ্বের স্থানান্তরিত জনসংখ্যার সুযোগগুলো অন্বেষণ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে অনুষ্ঠানটি।
ইউএনএফপিএ'র সঙ্গে বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক জনসংখ্যার কার্যকর ব্যবস্থাপনা: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্যবিষয়ক কৌশলপত্র (২০১৭-২০৩০) এবং এর বাস্তবায়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘কিশোরদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আমরা ইউনিয়ন পর্যায়ে ১ হাজার ২৫৩টি সেবায় কিশোরবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা কর্নার স্থাপন করেছি।’
তিনি বলেন, ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৫০ লাখ কিশোরীকে বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণে সরকার দেশব্যাপী 'স্কুল মিল' কর্মসূচি চালু করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১০ সাল থেকে সরকার মাধ্যমিক স্তরে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিনামূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। ২০২৪ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪৬৪ মিলিয়ন বই বিতরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এছাড়া প্রাথমিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষার প্রসারে আমরা উপবৃত্তি কর্মসূচি চালু করেছি। দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত মেয়েদের পড়াশোনা বিনামূল্যে করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, সরকার জাতীয় বাজেটের ৩০ শতাংশ নারীর সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে বরাদ্দ দিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বেইজিং ডিক্লারেশন অ্যান্ড প্ল্যাটফর্ম ফর অ্যাকশনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে আমরা নারী উন্নয়নের জন্য একটি জাতীয় নীতি ও কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি।’
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে মোট শ্রমশক্তির ৪২ দশমিক ৬ শতাংশ নারী।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবং আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫০ শতাংশে উন্নীত করা। আমরা ২০২৬ সালের মধ্যে আইসিটি খাতে ২৫ শতাংশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি।’
তিনি বলেন, ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট ২০২৩ অনুযায়ী রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ ১৪৬টি দেশের মধ্যে সপ্তম এবং এই অঞ্চলে প্রথম।
তিনি আরও বলেন, ‘সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আগের জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে ৩৮ দশমিক ২৪ শতাংশ।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপিএ'র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
৫৯৩ দিন আগে
টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক জনসংখ্যার কার্যকর ব্যবস্থাপনা: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হচ্ছে জনসংখ্যার কার্যকর ব্যবস্থাপনা।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অন্যান্য মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করে তাদের জনসংখ্যাগত লভ্যাংশকে রূপান্তর করা প্রয়োজন।’
আজ বুধবার (১৫ মে) 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা এবং বিশ্বের স্থানান্তরিত জনসংখ্যার সুযোগগুলো অন্বেষণ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে অনুষ্ঠানটি।
আরও পড়ুন: ফিলিস্তিনিদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ইউএনএফপিএ'র সঙ্গে বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনসংখ্যাগত লভ্যাংশের রূপান্তর একটি সমৃদ্ধ বিশ্ব ব্যবস্থা তৈরিতে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, ‘এ লক্ষ্য অর্জনে উন্নয়ন সহযোগী ও আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সাধারণ স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ করে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার পরিমাণ ও প্রবেশগম্যতা নিশ্চিত করতে আরও আন্তরিক ও অভ্যন্তরীণভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।’
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে অনুষ্ঠিতব্য সামিট অব দ্য ফিউচারের জন্য ঢাকায় অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক সংলাপ প্রয়োজনীয় সুপারিশমালা প্রদান করবে।
সামিট অব দ্য ফিউচারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জনসংখ্যা ও উন্নয়ন ইস্যু মোকাবিলায় তাদের দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপিএ'র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এআইকে বাংলাদেশে স্বাগত, তবে অপব্যবহার রোধে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
৫৯৩ দিন আগে
ফিলিস্তিনিদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করুন: জাতিসংঘের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে লড়াইরত ফিলিস্তিনিদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা নিতে জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি, জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা সেখানে সবার জন্য বিশেষ করে নারী ও শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে আরও কার্যকর ভূমিকা নেবে।’
আজ বুধবার (১৫ মে) 'আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগ অন ডেমোগ্রাফিক ডাইভারসিটি অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট' শীর্ষক দু'দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ২ দিনব্যাপী আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা এবং বিশ্বের স্থানান্তরিত জনসংখ্যার সুযোগগুলো অন্বেষণ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে অনুষ্ঠানটি।
ইউএনএফপিএ'র সঙ্গে বাংলাদেশ, বুলগেরিয়া ও জাপান যৌথভাবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এ বছর জনসংখ্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের (আইসিপিডি) ৩০তম বার্ষিকী।
শেখ হাসিনা বলেন, জনস্বাস্থ্যের ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য ঝুঁকির পরিপ্রেক্ষিতে জনগণ, বিশেষ করে মা, শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে সুরক্ষায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিত করা অপরিহার্য।
তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে সংঘাত ও রাজনৈতিক কারণে দুর্দশাগ্রস্ত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রতি মনোযোগ দেওয়াটাও জরুরি বলে মনে করি।’
আরও পড়ুন: ঢাকার আইসিপিডি-৩০ গ্লোবাল ডায়ালগে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন ও দখলদারিত্বের শিকার ফিলিস্তিনিদের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের বিপুলসংখ্যক নারী ও শিশু বর্তমানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। তারা প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ইউএনএফপিএ'র নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম, মালদ্বীপের সামাজিক ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রী আইশাথ শিহাম, কিরিবাতির নারী, যুব, ক্রীড়া ও সামাজিক বিষয়ক মন্ত্রী মার্টিন মোরেত্তি, জাপানের পররাষ্ট্র বিষয়ক সংসদীয় ভাইস মিনিস্টার ইয়াসুশি এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
বুলগেরিয়া সরকারের প্রতিনিধিরাও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: এআইকে বাংলাদেশে স্বাগত, তবে অপব্যবহার রোধে কিছু পদক্ষেপ প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
৫৯৩ দিন আগে