প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও গ্রামাঞ্চলের মানুষের অবস্থা ভালো: প্রধানমন্ত্রী
নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও গ্রামাঞ্চলের মানুষদের মধ্যে যারা নিজেরাই খাদ্য উৎপাদন করে, তারা তেমন অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দাম বেড়েছে এবং এর প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষেরা দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে গ্রামে যারা নিজেদের জন্য উৎপাদন করতে পারেন, তাদের খুব একটা কষ্ট হয় না। তাই তাদের থেকে কোনো দুর্দশার খবর পাওয়া যায় না। তারপরও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।’
আরও পড়ুন: হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচিত ড. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
রাষ্ট্র পরিচালিত টিসিবি তাদের বিদ্যমান জনবল দিয়ে জনগণকে সেবা প্রদান করছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
দেশে প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদনে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমদানিও করছি। যত টাকাই লাগুক না কেন, রিজার্ভের ওপর চাপ সৃষ্টি হলেও আমরা খরচ করছি।’
জনগণের কল্যাণ তার সরকারের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
নাটোর থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপি আবুল কালামের অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সব সময় জনগণের ভোগান্তি লাঘবে সচেষ্ট।
শেখ হাসিনা বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্বাভাবিক রাখতে সরকার সব ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। 'আমরা ভোগ্যপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেল, ভোজ্যতেল, গম, সরিষা, বিভিন্ন খাদ্যপণ্য, ভোগ্যপণ্য এবং শিল্পের কাঁচামালের দাম বাড়ায় দেশে আমদানি মূল্যস্ফীতির চাপ পড়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে সৃষ্ট সংঘাত বাজার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং জনগণের ওপর এর প্রভাব প্রশমনে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
সম্প্রতি টাকার বিনিময় হারের দর কমে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ মূল্যস্ফীতির ওপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনতে শিগগিরই ক্রলিং পেগ ভিত্তিক মুদ্রা বিনিময় নীতিমালা গ্রহণ করা হবে।’
এই পদ্ধতি বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারের অস্বাভাবিক ওঠানামা রোধ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই পদ্ধতি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
৫৯৯ দিন আগে
মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতি বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক খাতে প্রভাব ফেলতে পারে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘ধারণা করা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতময় পরিস্থিতি বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে প্রভাব ফেলবে। এই সংঘাত দেশের অর্থনীতিতে কিছুটা প্রভাব ফেলতে পারে।’
বুধবার (৮ মে) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসন থেকে নির্বাচিত ডা. সামিল উদ্দিন আহমেদ শিমুলের এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও গ্রামাঞ্চলের মানুষের অবস্থা ভালো: প্রধানমন্ত্রী
বিশেষ করে বিশ্ববাজারের অস্থিতিশীলতা, বাজার ব্যবস্থাপনায় অসঙ্গতি এবং বিশ্বব্যাপী জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ায় প্রাথমিকভাবে ইরান বা প্রতিবেশী অঞ্চলে রপ্তানিতে পরিবহন ব্যয় বাড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহের ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় রপ্তানিকারকরা কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে পারেন।’
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে জনগণের সুবিধার কথা ভাবুন: প্রধানমন্ত্রী
এ পরিস্থিতিতে সরকারের সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে মধ্যপ্রাচ্যে চলমান ঘটনাগুলোর দিকে নজর রাখতে এবং সে অনুযায়ী কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে নির্দেশ দেন সরকার প্রধান।
তিনি বলেন, 'চলমান সংঘাত দীর্ঘায়িত হলে বিভিন্ন খাতে এর প্রভাব বিবেচনা করে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে নির্দেশনা দিয়েছি।’
তবে এই সংঘাতের ব্যাপকতা এবং এর অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কে অনিশ্চয়তা রয়েছে বলেও স্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সব ধরনের সংঘাতের বিরুদ্ধে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'সরকার এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি আরও বলেন, 'আমরা জাতির পিতার দেখানো পথে বিশ্বাস করি এবং বঙ্গবন্ধুর নীতি হচ্ছে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়।’
আরও পড়ুন: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
৫৯৯ দিন আগে
অবৈধ অভিবাসন রোধে বাংলাদেশের নীতি ‘জিরো টলারেন্স’: শেখ হাসিনা
অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশে জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই না কেউ অবৈধভাবে দেশত্যাগ করুক। আমরা এ বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি মেনে চলি।’
সফররত যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র, কমনওয়েলথ এবং উন্নয়নবিষয়ক দপ্তরের ইন্দো-প্যাসিফিক প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রেভেলিয়ান বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা বলেন তিনি।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের কাছে বৈঠকের আলোচ্যবিষয়বস্তু তুলে ধরে বলেন,অ্যান-মারি অবৈধ অভিবাসনের বিষয়টি উত্থাপন করে বলেছে যুক্তরাজ্য বৈধ অভিবাসনকে স্বাগত জানায়।
অবৈধ অভিবাসন যুক্তরাজ্যের জন্য একটি সমস্যা উল্লেখ করে তিনি বলেন, যেসব বাংলাদেশি নাগরিক যুক্তরাজ্যে অবৈধভাবে অবস্থান করছেন তাদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিত।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে শিগগিরই একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সইয়ের পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগের (এফডিআই) আহ্বান জানান এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব দেন।
বাংলাদেশ ইউরোপিয়ান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এয়ারবাসের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে ১০টি উড়োজাহাজ কিনবে বলেও জানান তিনি।
এ সময় অ্যান-ম্যারি বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের আবাসন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা এবং কর্মসংস্থানের প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো জানতে চান।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজারের জনাকীর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য তার সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আত্মকর্মসংস্থানের মতো সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করে ভাসানচরে ঘরবাড়ি নির্মাণ করে দিয়েছে।
তিনি রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের জন্য যুক্তরাজ্যের সহযোগিতা কামনা করেন, কারণ রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
হত্যা, ধর্ষণ ও নৃশংসতা থেকে বাঁচতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।
বৈঠকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান নজরুল ইসলাম।
জলবায়ু পরিবর্তন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, প্যারিস চুক্তির আলোকে লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডে কেবল ব্রিটেনের অবদান রয়েছে। তবে অন্যান্য দেশগুলো থেকে এখনো উল্লেখযোগ্য সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্য এরইমধ্যে একটি জলবায়ু চুক্তি সই করেছে।
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে গণমাধ্যমসহ সব খাত বেসরকারি খাতের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়, যার সুফল এখন জনগণ ভোগ করছে।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে তার সরকার রূপকল্প-২০২১ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে। দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার এখন ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন, ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের লক্ষ্যে কাজ করছে।
এ সময় সরকার পরিচালনায় তার সাফল্য কামনা করেন যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন।
৫৯৯ দিন আগে
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
ইসলামকে শান্তির ধর্ম আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধর্মীয় অনুভূতির বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু না করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, 'মদ, জুয়া, দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের মতো কারও এমন কিছু করা উচিত নয়, যা আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে।’
বুধবার (৮ মে) রাজধানীর আশকোনায় হজ কার্যক্রম ২০২৪ (১৪৪৫ হিজরি) উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) সৌদি আরবের উদ্দেশে প্রথম হজ ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসলাম একটি পবিত্র ধর্ম, যা সকল শ্রেণীর মানুষের অধিকার নিশ্চিত করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক যে মুষ্টিমেয় কিছু লোক জঙ্গি কর্মকাণ্ড চালিয়ে ইসলামের বদনাম করে। 'আমি সব সময় এর প্রতিবাদ করি।’
আরও পড়ুন: হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, দেশে সব ধর্মের মানুষ নিজ নিজ ধর্ম পালনের সমান অধিকার ভোগ করবে।
পবিত্র হজ পালনের সময় হজযাত্রীদের বাংলাদেশ ও জনগণের জন্য দোয়া করার আহ্বান জানান তিনি।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ পালন করতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজে যাবেন।
আশকোনায় হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের সঙ্গেও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রী।
৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর থেকে জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দর পর্যন্ত হজ ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।
ফ্লাইট শিডিউল অনুযায়ী, বাংলাদেশ বিমান আগামী ৯ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত ১১৭টি হজপূর্ব ফ্লাইটের মাধ্যমে ৪৫ হাজার ৫২৫ জন হজযাত্রীকে সৌদি আরবে নিয়ে যাবে। আর সৌদি এয়ারলাইন্স ফ্লাইনাস মে থেকে ১২ জুনের মধ্যে বাকি হজযাত্রীদের নিয়ে ৪৩টি হজপূর্ব ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: আবারও বাড়ল হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়
হজের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হুছামউদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসসা ইউসেফ এসা আলদুহাইলান এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম।
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. এ হামিদ জমাদ্দার।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ: সৌদি মন্ত্রণালয়
৫৯৯ দিন আগে
হজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার রাজধানীর আশকোনায় হজ কার্যক্রম ২০২৪ (১৪৪৫ হিজরি) উদ্বোধন করেছেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী আশকোনায় হজ ক্যাম্পে হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সৌদি আরবের উদ্দেশে প্রথম হজ ফ্লাইট বৃহস্পতিবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে।
হজ ফ্লাইটগুলো চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দর থেকেও পরিচালিত হবে, যা জেদ্দা ও মদিনা বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ পালন করতে যাচ্ছেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ হাজার ৬৯৫ জন হজে যাবেন।
আরও পড়ুন: আবারও বাড়ল হজযাত্রীদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময়
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৫ জুন হজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুর রহমান, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আলদুহাইলান এবং হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি শাহাদাত হোসাইন তসলিম অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
আরও পড়ুন: হজযাত্রীদের জেদ্দা, মদিনা ও মক্কার বাইরে ভ্রমণ নিষিদ্ধ: সৌদি মন্ত্রণালয়
৬০০ দিন আগে
মহামারির বিরুদ্ধে আরও সহনশীল বিশ্বের জন্য শক্তিশালী নেতৃত্ব প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যৎ মহামারি মোকাবিলায় আরও সহনশীল ও প্রস্তুত বিশ্ব গঠনে বলিষ্ঠ ও শক্তিশালী নেতৃত্ব অপরিহার্য।
তিনি বলেন, 'আমরা যখন ভবিষ্যতের মহামারির জটিলতাগুলো মোকাবেলা করছি, তখন আরও সহনশীল ও প্রস্তুত বিশ্ব গঠনে শক্তিশালী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব অপরিহার্য হবে।’
মঙ্গলবার (৭ মে) নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্যানেল ফর প্যানডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্সের কো-চেয়ার হেলেন ক্লার্কের সঙ্গে গণভবন থেকে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, পদ্ধতিগত পরিবর্তনগুলো চালানোর জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যস্ততা এবং প্রতিশ্রুতি অপরিহার্য যা ভবিষ্যতের মহামারি প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং কার্যকরভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে আমাদের ক্ষমতা বাড়িাতে পারে।
শেখ হাসিনা বলেন, 'উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব নিশ্চিত করে যে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক এজেন্ডায় মহামারি প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, এটি ২০৩০ সালের মধ্যে সর্বজনীন স্বাস্থ্য কভারেজের অভিন্ন প্রতিশ্রুতি অর্জনের জন্য আর্থিক সংস্থান সংগ্রহ, দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধিতে উৎসাহ দেয় এবং জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন প্রভাবিত করবেন না: মন্ত্রী-এমপিদের প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'বৈশ্বিক স্বাস্থ্য শাসন ব্যবস্থাকে ব্যাপকভাবে বিভক্ত করে মহামারি প্রতিরোধ ও মোকাবিলায় ডব্লিউএইচওর জ্ঞান, কারিগরি এবং আর্থিক সক্ষমতা জোরদার করতে আমাদের অবশ্যই সম্মিলিত রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও অঙ্গীকার জোরদার করতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ থেকে প্রাপ্ত শিক্ষায় বৈজ্ঞানিক প্রমাণ, বৈশ্বিক সহযোগিতা এবং ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে মহামারি প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ার জন্য সমন্বিত পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, 'ভবিষ্যতে মহামারির প্রভাব প্রশমিত করা এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য নিরাপত্তা রক্ষায় এই শিক্ষাগুলোর অর্থবহ প্রয়োগ অপরিহার্য।’
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা পাঁচটি সুপারিশের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সুপারিশগুলো উত্থাপন করে তিনি বলেন, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সংকট কার্যকরভাবে মোকাবিলায় তথ্য, দক্ষতা ও সম্পদ বিনিময়ের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সমন্বয় অপরিহার্য, যা কোনো সীমানাকে আমলে নেয় না।
আরও পড়ুন: জনগণের পাশে দাঁড়ানোর কারণেই আস্থা অর্জন করেছে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
তিনি তার দ্বিতীয় সুপারিশে বলেন, ভ্যাকসিনের প্রতিযোগিতায় উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য প্রকাশ পেয়েছে। এই বৈষম্য দূর করতে ভ্যাকসিন, ডায়াগনস্টিকস এবং চিকিৎসার ন্যায়সঙ্গত বিতরণ এবং সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
তৃতীয় সুপারিশ করে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মানব, প্রাণী ও পরিবেশগত স্বাস্থ্যের আন্তঃসম্পর্ককে তুলে ধরেছে। একই স্বাস্থ্য পদ্ধতি অবলম্বন করা, যা মানুষ, প্রাণী এবং বাস্তুতন্ত্রের স্বাস্থ্যকে আন্তঃসংযুক্ত হিসাবে বিবেচনা করে, ভবিষ্যতের মহামারি প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।
চতুর্থ সুপারিশে শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের দ্রুত উন্নয়ন মহামারি প্রস্তুতির জন্য গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগের গুরুত্ব প্রমাণ করেছে। তিনি বলেন, উদীয়মান ও মারাত্মক সংক্রামক রোগ মোকাবিলায় ভ্যাকসিন, থেরাপিউটিক্স এবং রোগ শনাক্তকরণের জন্য গবেষণা ও উন্নয়নে অব্যাহত বিনিয়োগ অপরিহার্য।
প্রধানমন্ত্রী তার পঞ্চম ও শেষ সুপারিশে বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা, চিকিৎসা সামগ্রীর মজুদ এবং সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ প্রস্তুতির প্রচেষ্টায় সহায়তা করার জন্য পর্যাপ্ত ও টেকসই অর্থায়ন প্রক্রিয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২০ সালের শুরুর দিকে অন্যান্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ মহামারি আঘাত হানে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তবে স্বাস্থ্য খাতে আমাদের দীর্ঘদিনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং সরকারের সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে আমরা মানুষের প্রাণহানি কমিয়ে আনতে এবং অর্থনীতিকে সচল রাখতে সক্ষম হয়েছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকারকে জীবন বাঁচানো এবং কর্মসংস্থান রক্ষার মধ্যে একটি ন্যায়সঙ্গত ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে। একইভাবে, তার সরকার শিল্পের জন্য একটি বাস্তব প্রণোদনা প্যাকেজ এবং আমাদের নিম্ন আয়ের এবং প্রান্তিক জনগণের জন্য একটি বিস্তৃত সামাজিক সুরক্ষা পোর্টফোলিও চালু করেছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আরও আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনে নতুন অংশীদার খুঁজুন: আইওএমের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'আমাদের প্রচেষ্টার কারণে সার্বিক কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ পাঁচটি দেশের মধ্যে স্থান পেয়েছে।’
ভ্যাকসিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশে আমরা ব্যয়সাশ্রয়ী উপায়ে ভ্যাকসিন গবেষণা এবং উৎপাদনে অবদান রাখার অবস্থানে রয়েছি। অন্যান্য নীতি সহায়ক পদক্ষেপের মধ্যে আমি ইতোমধ্যে একটি অত্যাধুনিক ভ্যাকসিন রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপনে জমি বরাদ্দ করেছি।’
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ একটি বিশ্বব্যাপী জেগে ওঠার আহ্বান হয়ে দাঁড়িয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহামারি প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়ায় ব্যাপক সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মহামারি আমাদের দেখিয়েছে যে আমরা সবাই সংযুক্ত। আমরা কেউই সত্যিকার অর্থে নিরাপদ হতে পারব না যতক্ষণ না আমরা নিশ্চিত হচ্ছি যে সবাই নিরাপদ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ ও লক্ষ্যমাত্রা-১৭ -এ বর্ণিত জনস্বাস্থ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বব্যাপী একসঙ্গে কাজ করার এখনই সময়।’
শেখ হাসিনা বলেন, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা মূল্যায়নের ফলাফল এবং অতীতের জরুরি অবস্থা থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া কার্যক্রম জোরদার করেছে।
তিনি বলেন, অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ মহামারি প্রস্তুতি, প্রতিক্রিয়া এবং ঘুরে দাঁড়ানোর সহনশীলতার একটি পরীক্ষা।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ দেখিয়ে দিয়েছে যে, বাংলাদেশে স্বাস্থ্য নিরাপত্তায় পূর্ববর্তী বিনিয়োগ খুবই কার্যকর ছিল। কারণ জরুরি প্রতিক্রিয়ার জন্য বিদ্যমান প্রস্তুতি ও প্রতিক্রিয়া পরিকল্পনা, নজরদারি প্ল্যাটফর্ম, পরীক্ষাগার এবং জনশক্তি দ্রুত কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে দেশটি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দ্রুত রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষাগার নেটওয়ার্ক প্রসারিত করতে পারে এবং চিকিৎসা সেবা সরবরাহ করতে পারে। এই শিক্ষাগুলো তুলে ধরে যে, আমরা এখন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের মতো নীরব মহামারিসহ ভবিষ্যতের প্রাদুর্ভাব এবং জরুরি অবস্থা প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং আরও ভালভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে আমাদের প্রচেষ্টা সর্বাধিক করে তুলছি।
জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় অতীতের সাফল্যের কথা বিবেচনা করে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে জনগণের সুবিধার কথা ভাবুন: প্রধানমন্ত্রী
৬০০ দিন আগে
উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে জনগণের সুবিধার কথা ভাবুন: প্রধানমন্ত্রী
কোনো উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের আগে সেখান থেকে জনগণ ও অর্থনৈতিক কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে তা বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমাদের প্রথমে চিন্তা করতে হবে এ প্রকল্প থেকে আমাদের কী লাভ হবে, এটি দেশের জনগণের কতটা উন্নয়ন করবে এবং এটি দেশের জনগণের কল্যাণে কতটা কাজে লাগানো যাবে।’
আরও পড়ুন: জনগণের পাশে দাঁড়ানোর কারণেই আস্থা অর্জন করেছে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৭ মে) সরকারি বাসভবন গণভবনে ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কর্মসূচির রূপরেখা উপস্থাপনকালে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, কোনো পরিকল্পনা গ্রহণের ক্ষেত্রে সবাইকে মাথায় রাখতে হবে, দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কতটুকু গতি বাড়বে, স্থানীয় জনগণ কতটুকু উপকৃত হবে এবং একটি প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বা একটি সেতু নির্মাণ করা হলে কী ধরনের সুফল পাওয়া যাবে।
তিনি বলেন, কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন দ্রুত হওয়ায় দেশবাসী এখন এর সুফল ভোগ করছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছে এবং সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে। এভাবেই বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে পরিণত করা। আমরা রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য আরও আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনে নতুন অংশীদার খুঁজুন: আইওএমের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
৬০০ দিন আগে
রোহিঙ্গাদের জন্য আরও আন্তর্জাতিক তহবিল গঠনে নতুন অংশীদার খুঁজুন: আইওএমের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল বাড়াতে নতুন অংশীদার খুঁজতে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তা হ্রাস পেয়েছে, তাই আইওএমের উচিৎ তাদের জন্য আরও তহবিল সংগ্রহের জন্য নতুন অংশীদারদের সন্ধান করা।’
আজ মঙ্গলবার (৭ মে) আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে ইন্দোনেশিয়া ও আইওএমের সহযোগিতার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক তহবিল উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ায় সাক্ষাৎকালে তারা রোহিঙ্গা মানবিক সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘের ‘জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান’ নিয়ে আলোচনা করেন।
শেখ হাসিনা আইওএমকে কক্সবাজারের শিবির থেকে ভাসানচরে (দ্বীপ) স্থানান্তরে সহায়তা করার জন্য আইওএমকে বলেন, ভাসানচরে প্রায় এক লাখ মানুষের জন্য আত্মকর্মসংস্থান, তাদের সন্তানদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অবকাঠামোসহ আবাসন ও জীবিকার সুবিধা রয়েছে।
ইতোমধ্যে কক্সবাজারের ক্যাম্প থেকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার রোহিঙ্গা ভাসানচরে স্থানান্তরিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: জনগণের পাশে দাঁড়ানোর কারণেই আস্থা অর্জন করেছে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
সোমবার কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে আইওএম মহাপরিচালক রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরেন।
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে এবং কক্সবাজারের জনাকীর্ণ শিবিরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীও বিভিন্ন গ্রুপ ও উপ-গ্রুপে বিভক্ত। তাই তারা অভ্যন্তরীণ কোন্দলে জড়িয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, এছাড়া রোহিঙ্গারা সংখ্যায় কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীকেও ছাড়িয়ে গেছে। তাই সেখানে সীমিত সম্পদের জন্য দ্বন্দ্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ও সেনা প্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
৬০১ দিন আগে
জনগণের পাশে দাঁড়ানোর কারণেই আস্থা অর্জন করেছে সেনাবাহিনী: প্রধানমন্ত্রী
জনগণের পাশে দাঁড়িয়েই সেনাবাহিনী তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'আমাদের সেনাবাহিনী এখন জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে।’
রবিবার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে আয়োজিত দরবারে প্রদত্ত ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন ও সেনা প্রাঙ্গণ (আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম) ভবন উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ সালের আগস্টের পর সাধারণ মানুষ সেনাবাহিনীর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যাকাণ্ডে কয়েকজন বিপথগামী সেনা সদস্যের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সেনাবাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি আমাদের সেনাবাহিনী সম্পর্কে জনগণের মধ্যে আস্থা ও বিশ্বাস সৃষ্টির চেষ্টা করেছি, যা (তাদের নিজ দেশের) স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার করতে দেশের সেনাবাহিনীর জন্য অত্যন্ত অপরিহার্য।’
আরও পড়ুন: ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ও সেনা প্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেনাবাহিনী এখন জনগণের পাশে থাকবে বলে জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতি ১৯৭৪-এর আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছে।
এখন আওয়ামী লীগ সরকার দেশের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সুসজ্জিত করে গড়ে তোলার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান অর্জনে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা। আমরা সে অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অসামান্য অবদানের জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত। এখন তার সরকারের লক্ষ্য সশস্ত্র বাহিনীর ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করা।
সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মিলনায়তন প্রাঙ্গণে একটি গাছের চারা রোপণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: সাধারণ রোগীর মতো জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিলেন প্রধানমন্ত্রী
৬০২ দিন আগে
ঢাকা সেনানিবাসে এএফআইপি ও সেনা প্রাঙ্গণ ভবন উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা সেনানিবাসে নবনির্মিত আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি) ভবন এবং সেনা প্রাঙ্গণ (আর্মি সেন্ট্রাল অডিটোরিয়াম) ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (৫ মে) প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাসে বহুতল এএফআইপি ভবন এবং সেনা প্রাঙ্গণ ভবনের নামফলক উন্মোচন করেন।
প্রধানমন্ত্রী ফিতা কেটে এএফআইপি ভবনে প্রবেশ করেন এবং নতুন ভবনের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন প্রভাবিত করবেন না: মন্ত্রী-এমপিদের প্রধানমন্ত্রী
এএফআইপি কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল ডা. নিশাত জোবাইদা নতুন ভবনের মূল বৈশিষ্ট্য ও সুযোগ-সুবিধা প্রধানমন্ত্রীকে তুলে ধরেন।
২০১৯ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্যাথলজি সেবার ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে 'আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি (এএফআইপি)' সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন শীর্ষক প্রকল্পটি অনুমোদন করে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরের নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
১৪ তলা বিশিষ্ট এএফআইপি ভবনে আধুনিক ল্যাবরেটরিতে রয়েছে যেখানে আন্তর্জাতিক মানের সেবা নিশ্চিত করতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি যেমন নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিং, অটোমেটেড মাইক্রোবিয়াল আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম, ট্রান্সমিশন ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ও মাল্টিহেডেড মাইক্রোস্কোপ স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমাকে হটিয়ে তারা কাকে ক্ষমতায় আনতে চায়: বামপন্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ এবং নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল এম নাজমুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী সেনা প্রাঙ্গণ উদ্বোধন করতে যান এবং ফিতা কেটে নতুন ভবনে প্রবেশ করেন।
সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় মিলনায়তন সেনা প্রাঙ্গণ গুরুত্বপূর্ণ সভা, সেমিনার ও সামাজিক অনুষ্ঠানের মতো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য নির্মিত হয়েছে।
এ সময় সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদসহ ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সুরক্ষা ও আঞ্চলিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে থাইল্যান্ড সফর ফলপ্রসূ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
৬০৩ দিন আগে