প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দিতে বরিশালে প্রধানমন্ত্রী, নগরীতে উৎসবমুখর পরিবেশ
৫ বছরে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরিশাল সফরকে কেন্দ্র করে উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত হয়ে উঠেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলা বরিশাল।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে বরিশালে সফর করছেন।
সকালে দলীয় প্রধান বরিশালে পৌঁছালে হাজার হাজার দলীয় প্রার্থী ও নেতা-কর্মীরা নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পক্ষে স্লোগান দেন।
শেখ হাসিনা সেখানে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন।
আরও পড়ুন: জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানানোর জন্য নগর ব্যানার, পোস্টার ও পতাকায় সাজানো হয়েছে।
বিকাল ৩টায় প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষের সমাগম ঘটে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উদ্যান ভরে যায়।
শেখ হাসিনা নৌকার আকৃতিতে সাজানো মঞ্চে ওঠার অনেক আগেই আশপাশের এলাকা, রাস্তা ঘাট ও ফাঁকা জায়গায় ভিড় ছড়িয়ে পড়ে।
সকাল থেকেই 'জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু' স্লোগান দিয়ে এবং রঙিন প্ল্যাকার্ড, ব্যানার ও ফেস্টুন হাতে অনুষ্ঠানস্থলের দিকে মিছিল করতে দেখা যায় নারীসহ অসংখ্য মানুষকে। তাদের অনেকে রঙিন টি-শার্ট, মাথায় টুপি, ড্রামসহ হেড ব্যান্ড, নির্বাচনী প্রতীক নৌকার পাশাপাশি জাতীয় ও দলীয় পতাকা পরেছেন।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীরা রেহাই পাবে না: প্রধানমন্ত্রী
বড় ও ছোট দলে নারীদের হাসিমুখে অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশদ্বারের বাইরে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।
সকাল ৯টায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন ঢাকা থেকে সড়কপথে বরিশালের উদ্দেশে যাত্রা করেন।
বরিশাল থেকে প্রধানমন্ত্রী তার জন্মস্থান টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন।
শনিবার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় দু’টি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে এবং ঢাকায় ফেরার পথে মাদারীপুরের কালকিনিতে আরেকটি জনসভায় ভাষণ দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: আ. লীগের সফল পররাষ্ট্রনীতির কারণে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী অবস্থানে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীরা রেহাই পাবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের উপর নৃশংস হামলার সঙ্গে জড়িতদের রেহাই দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘এই দেশ অনেক আন্দোলন-সংগ্রামের সাক্ষী। কিন্তু সাংবাদিকদের উপর এমন টার্গেট করে (কোনো আন্দোলনে) হামলার ঘটনা ঘটেনি। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করেছিল, তাই তারা সাংবাদিকদের মাথা লক্ষ্য করে হামলা করে। আমার কাছে দুঃখ প্রকাশ করার ভাষা নেই।’
বৃহস্পতিবার গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিরোধীদল বিএনপির সমাবেশে ভয়াবহ হামলায় আহত বেশকিছু সাংবাদিক বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডে জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না। ‘ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ যাচাই করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
প্রধান বিচারপতির বাড়ি, জজ কোয়ার্টার ও কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপরও হামলা করা হয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এর আগে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলার কোনো নজির নেই।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
তিনি বলেন, ‘নির্দেশ দানকারীদের (এই ধরনের জঘন্য কাজের) অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।’
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনকে বানচাল করতে দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সতর্ক থাকতে বলেছেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে তিনি আহত সাংবাদিকদের খোঁজ-খবর নেন।
অনুষ্ঠানে আহত সাংবাদিকদের বক্তব্য সম্বলিত একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়, যা ২৮ অক্টোবর গণমাধ্যমের কর্মীদের ওপর অমানবিক নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম স্বাগত বক্তব্য দেন এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন একাত্তর টিভির প্রধান সম্পাদক ও এডিটরস গিল্ড, বাংলাদেশের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু এবং একাত্তর টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সহ্য করা হবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী প্রচারের প্রত্যাশায় উৎসবমুখর রংপুর
নির্বাচনী প্রচারের জন্য রংপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পীরগঞ্জের বধূ এবং এটি প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পিতৃভূমি। প্রধানমন্ত্রীর এখানে আসার কথা রয়েছে এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে।’
আগামীকাল সেখানে ঐতিহাসিক সমাবেশ ও বিশাল জনসমাবেশ হবে বলেও জানান তিনি।
তার নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি রংপুর জেলার পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় দুটি জনসভায় ভাষণ দেবেন বলে রবিবার সকালে নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল।
রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হককে সমর্থন দিতে তারাগঞ্জ উপজেলার কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
পরে রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রচারে আয়োজিত আরেকটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এর আগে ২০ ডিসেম্বর সিলেটে সাধক শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন শেখ হাসিনা।
সমাবেশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক মাজেদ বলেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ও যেকোনো ধরনের সমাবেশের আয়োজন করতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করব এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভায় জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
চলতি বছরের ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিলেও পীরগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে যাননি প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০ ডিসেম্বর সিলেটে শাহজালাল-শাহপরান মাজার জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন শেখ হাসিনা
মঙ্গলবার রংপুরে জনসভায় ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) রংপুর যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তার নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ উপজেলায় দুটি জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক মাজেদ আলী বাবুল।
রংপুর-২ (তারাগঞ্জ-বদরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম মো. আহসানুল হককে সমর্থন দিতে তারাগঞ্জ উপজেলার কলেজ মাঠে এক নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দেবেন তিনি।
পরে রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর প্রচারে আয়োজিত আরেকটি নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
এর আগে ২০ ডিসেম্বর সিলেটে সাধক শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারত করে নির্বাচনী প্রচার শুরু করেন শেখ হাসিনা।
সমাবেশের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক মাজেদ বলেন, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ও যেকোনো ধরনের সমাবেশের আয়োজন করতে সব সময় প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এরই মধ্যে আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করব এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভায় জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছি।
চলতি বছরের ২ আগস্ট রংপুর জিলা স্কুল মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় যোগ দিলেও পীরগঞ্জে শ্বশুর বাড়িতে যাননি প্রধানমন্ত্রী।
২০০৮ সাল থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় চলছে বাংলাদেশ: অস্ট্রেলিয়ান রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে ২০০৮ সাল থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। তবে দেশটি দীর্ঘদিন ধরে সামরিক শাসনের অধীনে ছিল।
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার বিদায়ী হাইকমিশনার জেরেমি বুয়ার তার সরকারি বাসভবন গণভবনে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। তার সরকার দক্ষতার সঙ্গে এর মোকাবিলা করেছে।
তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যক্তিগত উদ্যোগ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার দেশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি জোরদার করেছে।
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রদূত।
তিনি কোভিড-১৯ মহামারি সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের সাফল্যের প্রশংসা করেন।
অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে জনগণের সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
তিনি দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
জেরেমি বুয়ার জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তন খাতে আরও সহযোগিতার ওপর জোর দেন।
অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশি কমিউনিটি ভালো করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, দুই দেশই প্রতিরক্ষা খাতে সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত ১০ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষকে তাদের স্বদেশে মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তনের জন্য বাংলাদেশের প্রতি তার দেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি জানান, তার দেশ রোহিঙ্গাদের জন্য প্রায় ২৩৫ মিলিয়ন ডলার দেবে।
বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি খেলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও প্রশিক্ষণ সুবিধায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে তার দেশের সহযোগিতার প্রস্তাব দেন।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সহ্য করা হবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে মানুষ পুড়িয়ে ও নির্বাচন বানচাল করে কাউকে ফায়দা লুটতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘মানুষ জ্বালিয়ে, নির্বাচন বন্ধ করে তারা যে ফায়দা হাসিল করে, তা বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না।’
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগকারীদের এবং তাদের নির্দেশ দাতাদের নিন্দা জানিয়ে বলেন, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা মহাপাপ, কোনো ধর্মই এটা মেনে নেয় না।
তিনি বলেন, যদি কারো জনসমর্থন পেতে হয়, তাহলে তারা জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নে তাদের অঙ্গীকার তুলে ধরতে পারে।
যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান ফিলিস্তিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে জায়গাটি এখন রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার। এমনকি হাসপাতালগুলোতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এমনকি অল্পবয়সী শিশু ও নারীরাও হামলা থেকে রেহাই পায়নি।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমাদের জন্যও দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা আমাদের দেশেও কিছু লোককে দেখছি রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করছে তারা।
তিনি বলেন, মানুষ হত্যার জন্য এই লোকেরা রেললাইন উপড়ে ফেলে এবং ট্রেনের বগিতে আগুন দেয়। ‘আমি জানি না এটা কী ধরনের রাজনীতি যে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। কেন এই আগুনের খেলা? কারো যদি আদর্শ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে, তারা জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
সম্প্রতি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে মা ও তার কোলে থাকা একটি শিশু জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন করুণ দৃশ্য দেখতে চাই না। তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানুষের ক্ষতি করে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের কী লাভ হচ্ছে? এটা আমার প্রশ্ন। আমরা চাই এই ধরনের সহিংসতা বন্ধ হোক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবতা সব ধর্মের শিক্ষা। তাই তার সরকার এই শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশ চালাচ্ছে।
তিনি ববলেন, ‘এই মাটিতে শ্রেণি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই স্বাধীনভাবে বসবাস করবে। আমরা সব মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়ন কামনা করি।’
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করেছিলেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
তিনি বলেন, ‘যেখানে সব ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং আমরা সবাই মিলে (ধর্মীয়) উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করি। আমি মনে করি বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ।’
শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে তার পক্ষ থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা বড়দিনের ক্যারোল ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নাইসেফরাস ডি'ক্রুজ এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে বড়দিনের শুভেচ্ছা কার্ড তুলে দেন।
নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বড়দিনের কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জুয়েল আড়ং, এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, এমপি, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. এ হামিদ জমাদ্দার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান লীগের সভাপতি ড্যানিয়েল নির্মল ডি'কস্তা এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত আই কোরায়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
নির্বাচনী প্রচারণার শুরুতে সিলেটে মাজার জিয়ারত করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহ পরানের (রহ.) মাজার জিয়ারত করে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় নির্বাচনের জন্য তার দলের প্রচারণা শুরু করেছেন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা সিলেটে পৌঁছেছেন।
তিনি প্রথমে বিভাগীয় শহরে হযরত শাহজালালের (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন। সেখানে তিনি কিছু সময় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
আরও পড়ুন: বুধবার সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী
পরে প্রধানমন্ত্রী হযরত শাহ পরানের (রা.) মাজার জিয়ারত করেন। সেখানে তিনি পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন এবং ফাতেহা ও মোনাজাত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা উভয় স্থানে তার সঙ্গে ছিলেন।
মাজারে যাওয়ার পথে সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ স্লোগান ও হাততালি দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
দুপুর আড়াইটায় সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে দলের নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
আরও পড়ুন: গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসি দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
২০ ডিসেম্বর সিলেটে শাহজালাল-শাহপরান মাজার জিয়ারতের মধ্যে দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করবেন শেখ হাসিনা
চীনে ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক
চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কাছে পাঠানো এক শোকবার্তা পাঠান তিনি।
এতে শেখ হাসিনা বলেন, 'চীনের দীর্ঘদিনের বন্ধু হিসেবে বাংলাদেশের জনগণ এবং সরকারের পক্ষ থেকে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে বন্ধুপ্রতীম চীনা জনগণের প্রতি আন্তরিক সহানুভূতি প্রকাশ করছি।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
তিনি আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রেসিডেন্ট শির নিবিড় তত্বাবধানে চীন সফলভাবে উদ্ধার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে এবং শিগগিরই গানসু প্রদেশের জনগণের জীবনে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আসবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ও কসোভো দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে পারে: বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ ও কসোভো দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে পারে: বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ ও কসোভো পারস্পরিক স্বার্থে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে পারে।
তিনি বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়ানোর প্রচুর সুযোগ রয়েছে এবং বাংলাদেশ থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নতমানের তৈরি পোশাক ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করে ব্যাপকভাবে উপকৃত হতে পারে কসোভো।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর বিদায়ী রাষ্ট্রদূত গুনার উরেয়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
কসোভোর প্রথম রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে কসোভোর রাষ্ট্রদূতের ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রেস সচিব বলেন, কসোভোর রাষ্ট্রদূত গত ১৫ বছরে শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: ঢাকায় কসোভোর কনস্যুলার সেবা চালু
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ভবিষ্যতে বিশ্ব দরবারে বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হবে।
রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশে তার মেয়াদ সফলভাবে সম্পন্ন করতে সহায়তা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) এবং পররাষ্ট্র দপ্তরকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, কসোভোতে ১৯ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর রাষ্ট্রদূত এম জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কসোভোকে নিজেদের উচ্চমানের আরএমজি ও ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য আমদানি করার পরামর্শ বাংলাদেশের
অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সন্ত্রাস ও মানুষ হত্যা করে বিএনপি ও তার সহযোগীরা মানুষের মন জয় করতে পারবে না।
তিনি বলেন, ‘আগুন সন্ত্রাস ও হত্যার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করা সম্ভব নয়। তাদের এটি জানা উচিত এবং তাদের সেই অনুযায়ী কাজ করা উচিত।’
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) শনিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দেশব্যাপী পালিত বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি জনগণের কল্যাণ চায় না। তারা বরং লুটপাট, অর্থপাচার ও জনসাধারণের টাকা লুটপাটের শাসন চায়।
তিনি বলেন, ‘তারা ভোটে আসতে চায় না কারণ তারা ভালো করেই জানে দেশের মানুষ অগ্নিসংযোগকারী সন্ত্রাসী ও খুনিদের ভোট দেবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি ও তার সহযোগীরা এই তিক্ত সত্য সম্পর্কে খুব ভালোভাবে জানে, তাই তারা আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বানচাল করতে এবং সরকারকে উৎখাত করতে চায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর পকেটে জন্মায়নি। এই দল এদেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘সব প্রতিকূলতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে এই দল বিস্তৃতি লাভ করেছে। তাই এই দলের শিকড় অনেক গভীরে প্রোথিত। তারা (বিএনপি) এভাবে আওয়ামী লীগকে উৎখাত বা দমন করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
অপরাধী, অগ্নিসংযোগকারী, খুনি ও রেললাইনে নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
যারা রেললাইন উপড়ে ফেলা এবং অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত জনগণকে তাদের আটক করে ভাল শিক্ষা দেওয়ার অনুরোধ করেছেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, এই ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম এদেশে চলতে দেওয়া উচিত নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন কোভিড-১৯ মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সমস্যা কাটিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি ও তার মিত্ররা জনগণের ভাগ্য নিয়ে খেলতে অগ্নিসংযোগ, হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিতে লিপ্ত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আন্দোলন-সংগ্রাম করে ভোট ও খাবারের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনী সংস্কৃতি এনেছে এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত নেবে তারা কাকে নির্বাচিত করবে এবং কে সরকার গঠন করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আর কখনো ফিরে তাকাবে না এবং বাঙালিরা একাত্তরে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে বিজয় অর্জন করেছিল সেভাবে আরও এগিয়ে যাবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
জলবায়ু বাস্তুচ্যুতি মানবিক সংকটে পরিণত হওয়ার আগে বিশ্বকে পদক্ষেপ নিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী