প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
স্বাধীনতা দিবসে স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এক অনুষ্ঠানে ১০টাকা মূল্যমানের স্মারক ডাকটিকিট, ১০ টাকা মূল্যমানের উদ্বোধনী খাম এবং ৫ টাকার ডাটা কার্ড অবমুক্ত করেন।
এ উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহরও ব্যবহার করা হয়।
ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড আজ ঢাকা জিপিও'র ফিলাটেলিক ব্যুরো থেকে বিক্রি করা হবে। পরবর্তীতে দেশের অন্যান্য জিপিও এবং প্রধান ডাকঘরেও এগুলো পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
স্বাধীনতা দিবসে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী ঢাকার ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে কিছু সময়ের জন্য অবস্থান করেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজার শ্রদ্ধা
এছাড়াও দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ার পর ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী
দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ মানুষের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এই দিনটি সরকারি ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়।
আরও পড়ুন: ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মঙ্গলবার ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে জাতি
ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যান: স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী
সব কূটকৌশল ও ষড়যন্ত্র অতিক্রম করে দেশকে এগিয়ে নিতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, '৫৪তম স্বাধীনতা দিবসে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসি এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ কয়েকটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল, রেডিও স্টেশন ও অনলাইন প্লাটফর্মে একযোগে ভাষণটি সম্প্রচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবার সমর্থন ও সহযোগিতায় তিনি সাধারণ মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের মাধ্যমে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে নিরলসভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
স্বাধীনতার ৫৩তম বার্ষিকীতে তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, তার সরকার দেশবাসীর প্রত্যাশা অনেকাংশে পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে।
হাসিনা বলেন, ‘এটা কোনো ফাঁপা বাগাড়ম্বরপূর্ণ দাবি নয়। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল বিশ্বে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।’
তিনি বলেন, তার সরকার প্রমাণ করেছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে সীমিত সম্পদের মধ্যে একটি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়।
তিনি বলেন, কিন্তু অপ্রিয় সত্য যে, দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন করা এবং অর্থনৈতিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্র আজও থেমে নেই।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, 'বাংলাদেশের চলমান অগ্রযাত্রা কীভাবে থামানো যায়, তা খুঁজে বের করতে ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও লুকিয়ে আছে।’
তিনি বলেন,‘ ১৯৭১ সালে পরাজিত শক্তি এবং পঁচাত্তরের হত্যাকারী ও তাদের দোসররা এখনও তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে লেগে আছে।’
প্রধানমন্ত্রী জনগণকে সতর্ক করে বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ পেলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, ‘তাদের চলার পথে একমাত্র বাধা আওয়ামী লীগ। যেকোনো কূটকৌশলে আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে পারলে পরাজিত শক্তির উত্থান অনিবার্য।’ তাই সাবধানে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পররাষ্ট্রনীতির 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারোর সঙ্গে বৈরিতা নয়' অনুসরণ করে দেশ পরিচালনা করছে।
'আমাদের কোনো প্রভু নেই, বরং আমাদের বন্ধু আছে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাঙালি জাতি কখনো কারো কাছে পরাজিত হবে না।
৭ জানুয়ারির একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি তার দলের প্রতি আস্থা রাখার জন্য জনগণের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ পর্যন্ত যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি অর্জন করেছি তার ধারা অব্যাহত রেখে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশ।’
আরও পড়ুন: যারা জনকল্যাণে নীরবে কাজ করে তাদের সম্মান জানাই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর ধরে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে দেশ শাসন করছে।
কোভিড-১৯ মহামারি, অগ্নিসংযোগ, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং বৈশ্বিক উচ্চ মুদ্রাস্ফীতিসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ এবং যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই ১৫ বছরের যাত্রা পুরোপুরি নিষ্কণ্টক ছিল না।
বিভিন্ন অর্থনৈতিক ও আর্থ-সামাজিক সূচকে এবং কৃষি খাতে দেশের শক্তিশালী অবস্থানের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু, ঢাকা মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল এবং বিভাগীয় শহরগুলোকে ঢাকার সঙ্গে সংযুক্ত করে চার বা ততোধিক লেনবিশিষ্ট মহাসড়কসহ বিভিন্ন অবকাঠামো যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে।
রমজানে দ্রব্যমূল্য সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ এবং একই পরিমাণ আলু আমদানির অনুমতি দেওয়ার পাশাপাশি চিনি, ছোলা, ডাল ও ভোজ্যতেলের মতো বেশ কয়েকটি পণ্য মজুদ করেছে।
এছাড়া রমজানের শুরু থেকে রাজধানীর ২৫টি পয়েন্টে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ বিক্রি করা হচ্ছে।
টিসিবি সারাদেশে এক কোটি কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলা সুলভ মূল্যে বিক্রি করছে।
তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সরকার এক কোটি পরিবারের জন্য ১ লাখ ৬২৮ মেট্রিক টন চাল বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছে এবং প্রতিটি পরিবার বিনামূল্যে ১০ কেজি চাল পাবে।
তিনি বলেন, রমজান মাসের শুরুতে খেজুর, আমদানি করা ফল, লেবু, তরমুজ, পেঁয়াজসহ কিছু পণ্যের দাম কিছুটা বেশি ছিল। কিন্তু কিছুদিনের ব্যবধানে এসব পণ্যের দাম স্বাভাবিক ও সাশ্রয়ী পর্যায়ে নেমে এসেছে।
হাসিনা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বাড়লে সাধারণ মানুষ বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ভুটানের রাজা
যারা জনকল্যাণে নীরবে কাজ করে তাদের সম্মান জানাই: প্রধানমন্ত্রী
দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা নীরবে মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন তাদের খুঁজে বের করে ও সম্মান জানাতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দেশের গ্রাম ও শহরাঞ্চলে অনেক নিবেদিতপ্রাণ মানুষ রয়েছেন। আমি আপনাদের কাছে আহ্বান জানাব, আপনারা এমন নিবেদিতপ্রাণ মানুষদের খুঁজে বের করুন, যারা নিজেদের জন্য নয়, মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তারা কখনও প্রচারে আসতে পারে না বা প্রচারে আসতে চায় না।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন ভুটানের রাজা
দেশের জন্য গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই ভালো বিষয় হবে যদি সবাই নিজস্ব উদ্যোগে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাওয়া ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে পুরস্কৃত করার চেষ্টা করে এবং তাদেরকে পুরস্কৃত করা যায়। তিনি বলেন, 'এক্ষেত্রে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।’
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রাপ্ত সকলকে অভিনন্দন জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, 'আমি বিশ্বাস করি, এই পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে (ভালো কাজের স্বীকৃতি দেখে) অনেক মানুষ দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে অনুপ্রাণিত হবে।’
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুস সাত্তার বীর প্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) এবং মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নাঈম মো. নজিব উদ্দিন খান (খুররম) (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা পদক-২০২৪ প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ড. মোবারক আহমদ খান এবং চিকিৎসায় অবদানের জন্য ডা. হরিশঙ্কর দাস পদকে ভূষিত হয়েছেন।
সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় অবদানের জন্য মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান ও ফিরোজা খাতুনকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে অরণ্য চিরণ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মোল্লা ওবায়দুল বাকী ও এস এম আব্রাহাম লিংকনকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে রফিকুজ্জামান তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনীসহ গুরুত্বপূর্ণ উদ্বৃতি পাঠ করা হয়।
১৯৭৭ সাল থেকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রতিবছর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই সম্মাননা পদক দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা পদক-২০২৪ প্রদান করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশের জন্য গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৪ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক বিজয়ী বা তাদের পরিবারের সদস্যদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন তিনি।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুস সাত্তার বীর প্রতীক, মুক্তিযোদ্ধা ফ্লাইট সার্জেন্ট মো. ফজলুল হক (মরণোত্তর) এবং মুক্তিযোদ্ধা শহীদ আবু নাঈম মো. নজিব উদ্দিন খান (খুররম) (মরণোত্তর) স্বাধীনতা পদক পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: মস্কোতে কনসার্ট হলে সন্ত্রাসী হামলায় প্রধানমন্ত্রীর শোক ও নিন্দা
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অবদানের জন্য ড. মোবারক আহমদ খান এবং চিকিৎসায় অবদানের জন্য ডা. হরিশঙ্কর দাস পদকে ভূষিত হয়েছেন।
সংস্কৃতি ও ক্রীড়ায় অবদানের জন্য মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান ও ফিরোজা খাতুনকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়।
সমাজসেবা ক্যাটাগরিতে অরণ্য চিরণ, মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. মোল্লা ওবায়দুল বাকী ও এস এম আব্রাহাম লিংকনকে স্বাধীনতা পদক দেওয়া হয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে রফিকুজ্জামান তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে পুরস্কারপ্রাপ্তদের সংক্ষিপ্ত জীবনীসহ গুরুত্বপূর্ণ উদ্বৃতি পাঠ করা হয়।
১৯৭৭ সাল থেকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রতিবছর ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এই সম্মাননা পদক দিয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, 'তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।’
ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো একযোগে সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: মস্কোতে কনসার্ট হলে সন্ত্রাসী হামলায় প্রধানমন্ত্রীর শোক ও নিন্দা
গাজায় ইসরাইলের তাণ্ডব ঠেকাতে বিশ্বের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
মস্কোতে কনসার্ট হলে সন্ত্রাসী হামলায় প্রধানমন্ত্রীর শোক ও নিন্দা
রাশিয়ার মস্কোতে কনসার্টে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রবিবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে একটি বার্তা পাঠান প্রধানমন্ত্রী।
ওই শোক বার্তায় মস্কোর সন্ত্রাসী হামলাকে মানব সভ্যতা ও মানবিক মূল্যবোধের উপর হামলা হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
হামলায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: প্রেস সচিব ইহসানুল করিমের মৃত্যু, প্রধানমন্ত্রীর শোক প্রকাশ
শুক্রবার মস্কোর পশ্চিম প্রান্তে ক্রোকাস সিটির কনসার্ট হলে বন্দুকধারীর হামলায় ১৩৩ জন নিহত হয় বলে জানায় রুশ কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১১ জনকে আটক করা হয়। হামলার দায় স্বীকার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের চ্যানেলগুলোতে বিবৃতি দেয় ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
আরও পড়ুন: গবাদি পশুর মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে কৃষকের মৃত্যু
গাজায় ইসরাইলের তাণ্ডব ঠেকাতে বিশ্বের ব্যর্থতায় প্রধানমন্ত্রীর দুঃখ প্রকাশ
বিশ্ববাসী গাজায় হত্যা বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নিয়ে ইসরাইলি বাহিনীর হাতে হত্যাকাণ্ড দেখছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার (২৪ মার্চ) সফররত ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন দলের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেব্রিল আলরজব প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করতে গেলে একথা বলেন শেখ হাসিনা।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের প্রতি তার দ্ব্যর্থহীন সমর্থনের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে গাজায় নারী ও শিশুসহ হাজার হাজার মানুষকে হত্যা এবং হাসপাতালে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার নিন্দা জানান তিনি।
তিনি গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় হতাহতের ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন এবং সেখানে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।
আরও পড়ুন: সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মিসরের মাধ্যমে দুইবার ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমি যখনই সুযোগ পাই তখনই ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে আমার কণ্ঠ তুলে ধরি।’
১৯৯৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইয়াসির আরাফাতের বাংলাদেশ সফরের কথা স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার বিষয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলোর নীরব থাকার অবস্থানের কঠোর সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'এটা এক ধরনের ভণ্ডামি।
শেখ হাসিনা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে মুসলিম উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহকে রক্ষা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের স্বার্থে এটা করা উচিত।’
এ প্রসঙ্গে তিনি পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান জানান।
ফিলিস্তিনিদের প্রতি নিঃশর্ত সমর্থন ও আন্তর্জাতিক ফোরামে তাদের পক্ষে জোরালো বক্তব্য রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান ফাতেহ মুভমেন্টের নেতা লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরিল আলরজব।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, 'অবিলম্বে গাজায় যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এজন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া।’
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে চান প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘গাজায় খাদ্যের তীব্র সংকট বিরাজ করছে এবং জনগণ অনাহারে রয়েছে। সেখানে খাদ্য সহায়তা জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।’
তিনি বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়াই এই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ।
তিনি বলেন, আরব দেশগুলোতে ৪০ কোটি মানুষ বসবাস করলেও তারা ঐক্যবদ্ধ নয়।
তিনি বলেন, ‘তারা ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন সহজেই বন্ধ হবে। আরব বিশ্বের ক্ষমতা ও সম্পদ রয়েছে এবং ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করার জন্য তাদের মধ্যে কেবল ঐক্য প্রয়োজন।’
তিনি আরও বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না।
অধিকৃত গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের বিষয়ে ইসরাইলের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরাইলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার আবেদনে সমর্থন জানানোর জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একটি চিঠিও প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন তিনি।
আরও পড়ুন: বড় বাধার মুখে ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সংস্কারের পরিকল্পনা
সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রবিবার সম্মিলিত সামরিক বাহিনীর সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন তিনি।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সব সমরাস্ত্র সম্বলিত প্রদর্শনীটি ২৬ মার্চ থেকে ৩০ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল হেলিকপ্টার থেকে প্যারা জাম্পিংয়ে অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে চান প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা, বিগত ১৫ বছরে বর্তমান সরকারের সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন ও আধুনিকায়নের কথা তুলে ধরতে স্থাপিত বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
দেশ ও জাতি গঠনে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকার পাশাপাশি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদের অবদানের কথা তুলে ধরা হয় ৩ বাহিনীর সদস্যদের এই স্টলগুলোতে।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম তাকে স্বাগত জানান।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, সংসদ সদস্য, সচিব, বিদেশি রাষ্ট্রদূত এবং পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী
২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউর জিএসপি সহায়তা পেতে আয়ারল্যান্ডের সহায়তা প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর
ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করতে চান প্রধানমন্ত্রী
ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে ভারতের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভুটান থেকে সহজে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য ভারতের সহায়তা চেয়েছেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ ভুটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করবে এবং আগামী ২৫ মার্চ ভুটানের রাজার আসন্ন সফরে এ বিষয়ে একটি চুক্তি সই হবে।
একটি সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে ভুটান থেকে দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পাট ও পাটজাত পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে তার দেশের অ্যান্টি-ডাম্পিং পরিমাপকারীদের অপসারণের জন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ভারত সৈয়দপুর রেলওয়ে ওয়ার্কসপকে আধুনিকায়ন করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে বলেন, দেশে অব্যাহত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কারণে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব উন্নয়ন অর্জন করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর এবং ১৯৯৬ সালের আগে পর্যন্ত জাতীয় নির্বাচনে বিজয়ী কে হতো তা একটি 'নির্দিষ্ট মহল' নির্ধারণ করত।
শেখ হাসিনা বলেন, এ কারণেই জনসমর্থন থাকা সত্ত্বেও ১৯৯১ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু ১৯৯৬ সালে সেই একই মহল গণমানুষের আকাঙ্ক্ষার কাছে মাথা নত করে। ওই বছর আওয়ামী লীগ প্রথমবারের মতো দুষ্টচক্র ভেঙে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল।’
আরও পড়ুন: বাজারের চাহিদা অনুযায়ী পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণে প্রধানমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, গত বছর ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি) আওতায় বাংলাদেশে মোট চারটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। আর বাস্তবায়নের জন্য আরও দুটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের লেনদেনে রুপি-টাকার ব্যবহার, ডিজিটাল পেমেন্ট নেটওয়ার্ক এবং বঙ্গবন্ধু বায়োপিকসহ দু'দেশের কিছু যুগান্তকারী উদ্যোগ রয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনার বলেন, ভারত দুই দেশের মধ্যে সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের (সিইপিএ) আলোচনা এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল অর্থনীতিতে উত্তরণের পর সিইপিএ সহায়ক হবে।
তিনি বলেন, এলওসিকে প্রকল্পভিত্তিক করে তুলতে একটি নতুন কাঠামো প্রস্তুত করতে নতুন চিন্তাভাবনা ও আলোচনা চলছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভারত বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের মধ্যে একটি উচ্চ বিদ্যুৎ গ্রিড লাইন স্থাপনের আগ্রহ প্রকাশ করেছে, যাতে এই চার দেশের যেকোনো অংশে সহজে বিদ্যুৎ সঞ্চালন করা যায়।
আরও পড়ুন: দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যেতে দেব না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে ডিজেল আমদানির জন্য সৈয়দপুর থেকে নাটোর পর্যন্ত ডিজেল পাইপলাইন সম্প্রসারণের উদ্যোগ রয়েছে।
ভার্মা বলেন, বিশ্বখ্যাত প্রতিরক্ষা শিল্পগুলো ভারতে তাদের কারখানাগুলো স্থানান্তরিত করছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটি প্রতিরক্ষা কারখানা স্থাপনে ভারতের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে বাংলাদেশ।
তিনি শেখ হাসিনাকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন।
নজরুল ইসলাম বলেন, তিনি তার দেশের জাতীয় নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানান এবং তিনি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
ভারতীয় হাইকমিশনার উল্লেখ করেন, তারা রংপুরে একটি অফিস স্থাপনে আগ্রহী।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রস্তাবটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিবেচনা করবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ২০৩২ সাল পর্যন্ত ইইউর জিএসপি সহায়তা পেতে আয়ারল্যান্ডের সহায়তা প্রত্যাশা প্রধানমন্ত্রীর