প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) তিনি ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা। উভয়ই ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন।
জ্যৈষ্ঠ নেতাদের সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
১৯৭২ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগারে সাড়ে ৯ মাসেরও বেশি সময় বন্দী থাকার পর স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন।
এরপর থেকে দিনটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
৭১৯ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূতদের অভিনন্দন
জাপান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, ব্রুনাই দারুসসালাম, মালয়েশিয়া, মিশর, আলজেরিয়া, কুয়েত, লিবিয়া, ইরান, ইরাক, ওমান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনাররা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হওয়ায় তারা নিজ নিজ দেশের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
রাষ্ট্রদূতরা নিজ নিজ দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অভিনন্দন বার্তা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে পৌঁছে দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ে শেখ হাসিনাকে মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টের অভিনন্দন
এ সময় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারকে অব্যাহত সহযোগিতার জন্য বন্ধুপ্রতীম সব দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বন্ধুপ্রতীম দেশগুলোর সহযোগিতা আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে।
এদিকে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সদস্য দেশগুলোও শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
স্বচ্ছ, অংশগ্রহণমূলক ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন আয়োজনের জন্য দেশগুলো তাদের রাষ্ট্রদূতদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
তারা আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে ওআইসির সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ আরো ফলপ্রসূ ভূমিকা পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী ওআইসি সদস্য দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশা প্রকাশ করেন, ওআইসি সদস্য দেশগুলো আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় শেখ হাসিনাকে ইআরডিএফবির অভিনন্দন
৭২০ দিন আগে
নির্বাচনে জয়ের পর বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রবিবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে বঙ্গবন্ধুর ছোট মেয়ে শেখ রেহানা পৃথকভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ ও শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন শেখ হাসিনা।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদকে সঙ্গে নিয়ে বনানী কবরস্থানে যান এবং ১৫ আগস্টের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। তারা সেখানে ফুলের পাপড়ি বিছিয়ে দেন।
শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ফাতেহা পাঠ করেন এবং ১৫ আগস্টের শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
এ সময় সায়মা ওয়াজেদ ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের অভিনন্দন
৭২০ দিন আগে
কর্মীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত ইউনূসের: নির্বাচন পরবর্তী সভায় প্রধানমন্ত্রী
শ্রম আইন লঙ্ঘনের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে ক্ষমা করা তার কাজ নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নির্বাচনে বিজয় উদযাপনের সময় ড. ইউনূসকে ক্ষমা করার বিষয়টি বিবেচনা করবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শ্রম আদালত যে রায় দিয়েছেন তাতে এখানে তার কিছু করার নেই।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে সফররত বিদেশি পর্যবেক্ষক, গণমাধ্যমকর্মী ও স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
শেখ হাসিনা বলেন, ইউনূস শ্রম আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং নিজের কর্মচারীদের বঞ্চিত করেছেন। সেসব কর্মচারীরাই শ্রম আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। ‘এ বিষয়ে আমার কিছু করার নেই। তিনি যাদের বঞ্চিত করেছেন, তাদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিৎ।’
কোনো বিরোধী দল ছাড়াই বাংলাদেশকে শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে তিনি বিশ্বাস করতে পারেন কি না- বিবিসির এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে।
ওই সাংবাদিক আরও উল্লেখ করেন, রবিবারের নির্বাচনে ৬০ শতাংশ ভোটার ভোট দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যদি কোনো নির্দিষ্ট দল নির্বাচনে অংশ না নেয়, তার মানে এই নয় যে গণতন্ত্র নেই। তিনি বলেন, 'জনগণ অংশ নিয়েছে কি না- তা বিবেচনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, 'দলটি নির্বাচনে অংশ নেয়নি এবং তারা জনগণকে ভোট দিতে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু জনগণ তাদের কথা শোনেনি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এখানে জনগণের অংশগ্রহণই মূল বিষয়। এটা ছাড়া গণতন্ত্রের অন্য কোনো সংজ্ঞা আছে কি না তা জানেন না।
সহিংসতা ও অগ্নিসংযোগের জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন করেন, তিনি কীভাবে একটি গণতান্ত্রিক দলকে সংজ্ঞায়িত করেন। তিনি বলেন, 'তারা একটি সন্ত্রাসী দল।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী, গোল্ডা মেইর, মার্গারেট থ্যাচার ও শ্রীমাভো বন্দরনায়েকের মতো মহান নারী নেতাদের সঙ্গে তার তুলনা হোক তা তিনি চান না।
তিনি বলেন, 'তারা মহান নারী ছিলেন। আমি একজন সহজ-সরল মানুষ।’ তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের জন্য কাজ করার সময় তিনি নিজেকে নারী বা পুরুষ মনে করেন না।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসা এক মার্কিন নাগরিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'প্রতিটি দেশের সঙ্গে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আমাদের সম্পর্ক চমৎকার। সুতরাং, আমাদের দিক থেকে কোনো সমস্যা নেই। আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক। এটা এখন আপনার এবং আপনার সরকারের ওপর নির্ভর করছে।’
পররাষ্ট্র নীতি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র হচ্ছে 'সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়’, তাই বাংলাদেশের সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রয়েছে।
ভারতকে বাংলাদেশের মহান বন্ধু হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে বাংলাদেশের চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার পরবর্তী সরকারের লক্ষ্য হবে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ (২০২৬ সাল থেকে) হিসেবে উন্নীত করা, বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখা, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত করা, দারিদ্র্য বিমোচন, চরম দারিদ্র্য বিমোচন, দেশকে গৃহহীনমুক্ত করা। সর্বোপরি দেশের অগ্রগতি অব্যাহত রাখা এবং দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তোলা।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের অভিনন্দন
এক বিদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং জনগণের উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই আমার মূল লক্ষ্য।’
৭২০ দিন আগে
বাংলাদেশ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রবিবারের সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সফলতার সঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা এসে দেখেছেন এবং আমাদের দেশের মানুষ কীভাবে ভোট দেয় তার সাক্ষী হয়েছেন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হতে পারে এমন দৃষ্টান্ত আমরা স্থাপন করেছি।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুটানের অভিনন্দন
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার (৮ জানুয়ারি) গণভবনে দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জনগণ এই নির্বাচনে তার দলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এ ছাড়া অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থী এবং অন্যান্য দলের কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারতের অভিনন্দন
তিনি বলেন, দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে তার দলকে নির্বাচিত করেছে। ‘আপনারা দেখেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছি।’
রবিবারের নির্বাচনে তার দলের নিরঙ্কুশ বিজয় তিনি জনগণের উদ্দেশে উৎসর্গ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এটা জয় আমার নয়। আমি মনে করি এটি জনগণের বিজয়।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ঠিক আগে ট্রেনে আগুন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তের চূড়ান্ত অভিপ্রায়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
বিএনপির দিকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, একটি দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি কারণ তারা সরাসরি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে ভয় পায়।
তিনি বলেন, ‘সামরিক স্বৈরশাসকদের হাতে জন্ম নেওয়া দলগুলো নিজেদের চালাতে পারে না। তাদের জনসমর্থন নেই। সুতরাং তারা সরাসরি নির্বাচনে অংশ নিতে ভয় পায়।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন ২০২৪: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চীনের অভিনন্দন
বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সায়মা ওয়াজেদ ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
৭২০ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভুটানের অভিনন্দন
বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়েছে ভুটান।
ভুটানের চতুর্থ রাজা জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুক প্রধানমন্ত্রীকে পাঠানো এক অভিনন্দন পত্রে উল্লেখ করেন, তার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ শান্তি, স্থিতিশীলতা ও অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক উন্নয়ন করেছে এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে ভুটান এ উপলক্ষে বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে আনন্দিত।
অভিনন্দন পত্রে ভুটানের রাজা ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও বিশেষ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে আস্থা প্রকাশ করেন।
ভুটানের রাজা জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুক ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিব নাথ রায়ের মাধ্যমে অভিনন্দন পত্র পাঠান।
৭২১ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীকে ৭টি দেশের রাষ্ট্রদূতের অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ৭টি দেশের রাষ্ট্রদূত।
সোমবার সকালে (৮ জানুয়ারি) সকালে ভারত, রাশিয়া, চীন, ভুটান, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর ও শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূতরা গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে অভিনন্দন জানান।
এছাড়া আগা খান ডিপ্লোম্যাটিক রিপ্রেজেন্টেটিভের একটি প্রতিনিধি দলও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রবিবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ে নিজ নিজ দেশ ও সংগঠনের পক্ষ থেকে তারা শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান।
এ সময় প্রতিনিধিরা বাংলাদেশের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ জানান এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে তাদের সহযোগিতা কামনা করেন।
৭২১ দিন আগে
গুজবের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
যেকোনো ধরনের গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার জন্য সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (জানুয়ারি ৩) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে সাংবাদিকদের দুটি প্রতিনিধি দল পৃথকভাবে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যায়। এ সময় তিনি এ আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী আধুনিক যুগের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সাংবাদিকদের প্রস্তুত করার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের ৪৬তম ক্ষমতাধর নারী: ফোর্বস
তিনি বলেন, ‘অনলাইন সংবাদ মাধ্যম এখন দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। মানুষ এখন সংবাদ পড়ার জন্য সংবাদপত্রের পরিবর্তে অনলাইনে ব্রাউজ করছে যা প্রিন্ট মিডিয়ার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য তাদের প্রস্তুতি নেওয়া উচিৎ।’
সাংবাদিক সমাজের সার্বিক উন্নয়নে তার সরকারের গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার সিড মানি প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছে।
তিনি আরও বলেন, 'আমি যদি আবার ক্ষমতায় আসি, তাহলে আমি আবারও ট্রাস্টে অর্থ দান করব।’
আরও পড়ুন: জানুয়ারির নির্বাচনকে উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তুলুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
তিনি ট্রাস্ট ফান্ডে অনুদান দেওয়ার জন্য মিডিয়া হাউজের মালিকদের প্রতি তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী ধৈর্য ধরে সাংবাদিক নেতাদের কথা শোনেন। সাংবাদিকরা আওয়ামী লীগের ২০২৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী দশম ওয়েজ বোর্ড গঠন এবং বাস্তবায়নে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণসহ বেশ কিছু দাবি তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার মূলত কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য বেসরকারি খাতের জন্য ব্যাংক, বিমা ও গণমাধ্যম উন্মুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, তার সরকার দেশবাসীর উন্নত জীবনযাত্রা নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে।
আরও পড়ুন: চীনে ভূমিকম্পে হতাহতের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শোক
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণ ছাড়া তার কোনো বিদেশি প্রভু নেই এবং জনগণই তার একমাত্র শক্তি। শুধু তাদের সমর্থনই তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ, অন্য কিছু নয়।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক এবং এডিটরস গিল্ড বাংলাদেশের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বিএফইউজে মহাসচিব দীপ আজাদ সঞ্চালনা করেন।
বিএফইউজে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন- বিএফইউজের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ ও মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, বিএফইউজের সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী ও আক্তার হোসেন।
এডিটরস গিল্ডের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, গ্লোবাল টিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার ও ডিবিসি টিভির প্রধান সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: পোল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ককে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
৭২৫ দিন আগে
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন চান তিনি এবং দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এটি মাইলফলক স্থাপন করবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবে এবং তাদের বিজয়ী করবে। এটাই আমাদের লক্ষ্য।’
বুধবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পাঁচটি জেলা ও একটি উপজেলায় দলের নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।
আরও পড়ুন: বিএনপি মানুষ পোড়ায়, বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার নেই তাদের: বরিশালে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, এই নির্বাচন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রার পথ প্রশস্ত করবে।
শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে মনে রাখতে হবে, এই নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ‘কারণ অনেকেই বাংলাদেশের সঙ্গে অনেক খেলা খেলতে চায়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা জয় বাংলা স্লোগান ও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ করে, তারা দেশকে ধ্বংস করে দেবে।
তিনি বলেন, ‘তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে। সুতরাং আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, কেউ যেন আর এ ধরনের খেলা খেলতে না পারে তা নিশ্চিত করা।’
আরও পড়ুন: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের কাঙ্ক্ষিত প্রার্থীকে ভোট দিতে হবে।‘এখানে, কেউ কাউকে প্রতিরোধ করতে পারে না। আমি কোনো ধরনের সংঘাত চাই না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের স্লোগান হচ্ছে, 'আমি যাকে চাই তাকে ভোট দেব’।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘সুতরাং দয়া করে আপনার পছন্দ মতো ভোট দিন, তবে আমি কোনো বিশৃঙ্খলা চাই না। কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে এবং সবাইকে সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরিচয় দিতে হবে। এ নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি থাকা উচিত নয়।’
সবাই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দেবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। ‘আমাদের সেই পরিবেশ বজায় রাখতে হবে।’
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
রেললাইনসহ বিভিন্ন ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানোর জন্য তিনি আবারও বিএনপি-জামায়াতকে দায়ী করেন। তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াতের অপকর্মের জবাব দিতে হবে বাংলাদেশের জনগণকে।
তিনি বলেন, '৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আমরা সফল হব এবং জনগণই বিজয়ী হবে।’
বিএনপি-জামায়াতের নৃশংসতার উপযুক্ত জবাব দিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট দিয়ে দলের বিজয় নিশ্চিত করার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দেওয়া জরুরি। এটাই আমরা চাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় সব আসনেই আওয়ামী লীগের প্রার্থী রয়েছে এবং মনোনয়ন না পাওয়া দলের প্রার্থীদের জন্যও প্রতিদ্বন্দ্বিতা উন্মুক্ত করা হয়েছে।
পরে তিনি গাইবান্ধা, রাজশাহী, টাঙ্গাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলা এবং চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ বরদাশত করা হবে না: প্রধানমন্ত্রী
৭২৫ দিন আগে
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চায় বলেই পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
২০২৪ সালের শিক্ষাবর্ষের জন্য মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনের সময় তিনি বলেন, 'আমরা চাই আমাদের দেশ বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাক। এ কারণেই ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের) পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।’
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে তার কার্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়ে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, তিনি শিক্ষার জন্য ব্যয়কে বিনিয়োগ হিসেবে বিবেচনা করেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার জন্য যা যা প্রয়োজন আমরা তা দেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কীভাবে শিক্ষা দেয় এবং কোন পাঠ্যক্রম ও কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে? আমরা বাংলাদেশে সেরকম আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই।’
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর সাংবাদিকদের উপর হামলাকারীরা রেহাই পাবে না: প্রধানমন্ত্রী
তিনি দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির জন্য বাস্তব জ্ঞানভিত্তিক ব্যবহারিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি ছোটবেলা থেকেই আধুনিক প্রযুক্তি-জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে একটি জাতি গড়ে তুলতে চান এবং এ কারণেই তার সরকার কারিগরি শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণকে গুরুত্ব দিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আধুনিক প্রযুক্তি-জ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার মাধ্যমে একটি জাতি গড়ে তুলতে চাই। আমরা এরই মধ্যে এজন্য সবকিছু করেছি।’
নিজেদের যথাযথভাবে গড়ে তুলতে মনোযোগসহ পড়াশোনা করার জন শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের প্রতিহত করুন: টুঙ্গিপাড়ার জনসভায় শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, 'আমরা বহুমুখী শিক্ষার মাধ্যমে জাতি গড়তে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্মার্ট ও দক্ষ জনগোষ্ঠী।’
দারিদ্র্য বিমোচনে শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমরা বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। একমাত্র শিক্ষাই পারে দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করতে। এজন্য আমরা শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি।’
শেখ হাসিনা ২০২৪ সালের প্রাক্কালে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানান।
এ বছর সারাদেশে ৩ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার ৩২৪ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩০ কোটি ৭০ লাখ ৮৩ হাজার ৫১৭ কপি নতুন পাঠ্যপুস্তক বিতরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো।
পাঠ্যপুস্তকগুলো ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন উপজেলায় পাঠানো হয়েছে।
সরকার ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশে মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত ৪৬৪ কোটি ৭৮ লাখ ২৯ হাজার ৮৮৩টি বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করেছে।
২০১৭ সাল থেকে সরকার চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও সাদ্রি সংস্করণের বই বিতরণের পাশাপাশি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় লেখাপড়ার জন্য ব্রেইল বই বিতরণ করে আসছে।
দীপু মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান স্বাগত বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে পাঠ্যবই বিতরণ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
৭২৮ দিন আগে