প্রধানমন্ত্রীর-কার্যালয়
৫ নারীর হাতে শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রতিকূলতা ও চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় পর্যায়ে ৫ নারীর হাতে ‘শ্রেষ্ঠ জয়িতা পুরস্কার-২০২৩’ তুলে দিয়েছেন।
শুক্রবার (৮ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ পুরস্কার তুলে দেন।
৫ জয়িতা হলেন— ময়মনসিংহের আনার কলি (অর্থনীতি), রাজশাহীর কল্যাণী মিনজি (শিক্ষা ও কর্মসংস্থান), মৌলভীবাজারের কমলী রবিদাশ (সফল মা), বরগুনার জাহানারা বেগম (দমন-পীড়ন প্রতিরোধ) ও খুলনার পাখি দত্ত হিজড়া (সামাজিক উন্নয়ন)।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
জয়িতা সম্মাননাপ্রাপ্তদের পক্ষ থেকে কল্যাণী মিনজি সম্মাননা গ্রহণের পর তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
সকল বাধা অতিক্রম করে সাফল্যের শিখরে পৌঁছানো নারীই জয়িতা। যা একজন সংগ্রামী ও অদম্য নারীর প্রতীকী নাম।
অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকরিতে সাফল্য অর্জনকারী নারী, সফল মা, নির্যাতনের কালো দিনগুলো মুছে ঘুরে দাঁড়ানো নারী এবং সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখা নারী- এই পাঁচটি ক্যাটাগরিতে জয়িতাদের সম্মাননা দিয়ে থাকে সরকার।
আরও পড়ুন: রন্ধন দক্ষতায় নারী ক্ষমতায়নে কাজ করছেন শেফ জাহিদা বেগম
রাইড-শেয়ারিংয়ে বাড়ছে ঢাকার কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ
শিশুদের দেশের স্বাধীনতার ইতিহাস শেখান: প্রধানমন্ত্রী
দেশের ঐতিহাসিক দিন ও স্বাধীনতা অর্জনের ইতিহাস সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে শিক্ষা দিতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমাদের তরুণ সমাজকে অবশ্যই এই দিনগুলো সম্পর্কে জানতে হবে।’
তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ১৭ মার্চ জাতির পিতার জন্মদিন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর আমাদের বিজয় দিবস।
তিনি বলেন, 'আমাদের ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিতে হবে, তা না হলে সামনে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে না।’আরও পড়ুন: জনগণের কাছে যান ও তাদের জন্য কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন, ক্ষমতায় থাকা মানে শুধু সুযোগ-সুবিধা ভোগ করা নয়।
তিনি বলেন, ‘এই অবস্থানে পৌঁছাতে যে সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে তার ইতিহাস জানতে হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সবাই দেশের ইতিহাস সম্পর্কে প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করবে।’
তিনি সবাইকে দেশের ইতিহাস ভুলে না যাওয়ার অনুরোধ করেন, কারণ ইতিহাস শেখায় কীভাবে এগিয়ে যেতে হয় এবং সফল হতে হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধা ও দেশের জনগণকে উৎসাহিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সার্বিক রূপরেখা দিয়ে গেছেন। সেই ভাষণ আমাদের স্বাধীনতা অর্জনে সহায়তা করেছিল।’
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধুর আইকনিক ভাষণের মাধ্যমে যে স্বপ্নের রূপরেখা তুলে ধরেছিলেন, তা বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
তিনি বলেন, '১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে নোংরা খেলা হয়েছে।’
এ দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, 'যারা জয় বাংলায় বিশ্বাস করে না, ৭ মার্চের ভাষণ মানে না- তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি।’
শেখ হাসিনা বলেন, এই শ্রেণির মানুষ বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না।
তিনি বলেন, ‘তারা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন চায় না। মানুষ কেন তাদের ভোট দেবে?'
তিনি উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি ও তার মিত্ররা মাত্র ৩০টি আসন পেয়েছিল এবং এরপর তারা নির্বাচন বর্জন করে বা বানচালের চেষ্টা করে খেলা শুরু করেছিল।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতারাও বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুছে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ মুছে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রমাণ করে স্বাধীনতাবিরোধীরা চেষ্টা করলেও ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না।
তিনি বলেন, ‘ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না, সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না, আর এখন সেটা প্রমাণিত হয়েছে। ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিশ্বে স্বীকৃতি পেয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণার আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
তিনি বলেন, ঐতিহাসিক এই ভাষণ শুধু বাংলাদেশের জনগণের জন্যই তাৎপর্যপূর্ণ নয়, বরং বিশ্বজুড়ে স্বাধীনতার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করা নেতাদের সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (স্বাধীনতাবিরোধীরা) জাতির পিতার নাম মুছে দেওয়া হয়, তার ছবি দেখানো যেত না, ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ ও জয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ করা হয়।’
জাতির পিতার বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে বাংলাদেশকে তিন বছর সাত মাসের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করার প্রচেষ্টা স্বাধীনতাবিরোধীরা পছন্দ করেনি।
আরও পড়ুন: সারা দেশে পালিত হচ্ছে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
তিনি বলেন, ‘আর দেশ যখন অর্থনৈতিক মুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, তখন স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি তা পছন্দ করেনি।’
তিনি আরও বলেন, সবচেয়ে দুঃখের বিষয় হলো, পাকিস্তানিরা জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারেনি, বরং তার নিজের দেশের কিছু মানুষ তাকে হত্যা করেছে।
রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খানের সভাপতিত্বে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন বক্তব্য রাখেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমেদ।
আরও পড়ুন: যারা ৭ মার্চ পালন করে না তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে কি না সন্দেহ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
পরে আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ ও কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন শেখ হাসিনা।
পরে আওয়ামী যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, যুব মহিলা লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
আরও পড়ুন: আগামীকাল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ
ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ৭টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা
জনগণের কাছে যান ও তাদের জন্য কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের কাছে যান এবং তাদের জন্য কাজ করতে বলেছেন, কারণ জনকল্যাণই তার সরকারের প্রতিটি কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে এই আহ্বান জানাবো যে মানুষের পাশে যান, মানুষের জন্য কাজ করেন… আমাদের সব কর্মকাণ্ড দেশের মানুষের কল্যাণে।’
বুধবার (৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত নৈশভোজে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: র্যাবকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক ও কল্যাণমুখী দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তুলতে চায়, যাতে জনগণ উন্নত ও মানসম্মত সেবা পায়।
তিনি আরও বলেন, তার সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ইশতেহার বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে দেশ বদলে গেছে।’
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
মিয়ানমার সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী
রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: র্যাবকে প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে অসাধু ব্যবসার বিরুদ্ধে আরও সতর্ক থাকতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পবিত্র রমজান আসছে। এ মাসে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লোভ-লালসা সংবরণ করার পরিবর্তে আরও লোভী হয়ে ওঠে, এটা খুবই দুঃখজনক।’
বুধবার(৬ মার্চ) রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দপ্তরে র্যাবের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য মজুদ শুরু করে, দাম বাড়ায় এবং নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে।
র্যাব কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'এসব অসাধু ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
ঈদকে সামনে রেখে জাল নোটের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করতেও র ্যাব সদস্যদের নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং আমি আপনাদের অভিযান অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে র্যাবের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মতো অভিন্ন মুদ্রা প্রবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো একটি অভিন্ন মুদ্রা চালু করতে পারলে খুব ভালো হবে।’
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) তুরস্কের বাণিজ্য উপমন্ত্রী মুস্তাফা তিজকুর নেতৃত্বে ডি-৮ বাণিজ্যমন্ত্রীদের একটি প্রতিনিধিদল গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বের আটটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে তাদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির পাশাপাশি বন্ধুত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডি-৮ গঠন করা হয়েছে।
এই জোটে রয়েছে বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক।
তিনি বলেন, 'সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করাই আমার লক্ষ্য। এটা তখনই সম্ভব যখন আমরা নিজেদের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে সক্ষম হব।’
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনটিতে ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, ডি-৮ এর সদস্য দেশগুলোর এটি অর্জনের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, 'আমরা যদি আমাদের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে পারি তাহলে আমাদের অন্যের মুখাপেক্ষী হওয়ার প্রয়োজন হবে না।’
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে তিনি বলেন, তাদের দু-একটি প্রজন্ম বিপথে চলে যাচ্ছে। অনেকেই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে।
তিনি তাদের(রোহিঙ্গা) নিজ দেশে সম্মানজনক প্রত্যাবাসনের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, 'এটি দিন দিন কঠিন হয়ে উঠছে, বিশেষ করে মিয়ানমারে বর্তমান অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে তাদের প্রত্যাবাসনের পদক্ষেপ কঠিন হয়ে পড়ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডি-৮ এর উচিত ব্যবসা-বাণিজ্যে একটি পরিবারের মতো একসঙ্গে কাজ করা এবং নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নে একে অপরকে কারিগরি সহায়তা দেওয়া।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয় ছিল ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) বাস্তবায়ন এবং এর কার্যকারিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণ করা।
ডি-৮ দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক বাণিজ্য জোরদারে সম্মত হওয়ায় কাউন্সিল অব মিনিস্টার বৈঠকে ‘ঢাকা ডিক্লারেশন’ পেশ ও গৃহীত হয়।
প্রতিনিধি দলটি ২৭ বছর আগে ডি-৮ জোট গঠনের অন্যতম সূচনাকারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে এবং আজও তিনিই সরকারের একমাত্র প্রতিষ্ঠাতা প্রধান।
প্রতিনিধি দল জানায়, বৈঠকে তারা ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা বর্তমানে ১৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে রয়েছে।
তারা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ও ভরণপোষণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা করে বলেন, ডি-৮ ও মুসলিম দেশগুলো তাদের জন্য সহায়তা ও সহযোগিতা প্রদান অব্যাহত রাখবে।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে আলাপকালে প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের সমর্থনে শেখ হাসিনার অবস্থানের প্রশংসা করেন।
বৈঠকে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না, যেমনটা আমি করি : বিজিবি সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রী
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) বার্ষিক কুচকাওয়াজে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে চেইন অব কমান্ড মেনে চলায় সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছেন।
বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, চেইন অব কমান্ড একটি সুশৃঙ্খল বাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি। কখনও শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবেন না; চেইন অব কমান্ড অনুসরণ অব্যাহত রাখুন।’
সোমবার (৪ মার্চ) সকালে রাজধানীতে বাহিনীটির সদর দপ্তরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) দিবস-২০২৪ এর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০ প্রণয়নকে বিজিবির সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বিজিবিকে আরও শক্তিশালী করতে তার সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনটিতে ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, বর্তমানে বিজিবিকে একটি দক্ষ, শক্তিশালী, আধুনিক ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। বিজিবি এখন স্থল, জল এবং আকাশপথে দায়িত্ব পালনে সক্ষম।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিজিবিকে বিশ্বমানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে 'বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ভিশন-২০৪১' গ্রহণ করেছে।
২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশে বিজিবিও হবে স্মার্ট বাহিনী উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা চাই বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ একটি বিশ্বমানের সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে গড়ে উঠুক এবং সীমান্তরক্ষী বাহিনী হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের আস্থার প্রতীক হিসেবে এগিয়ে যাক।’
প্রধানমন্ত্রী দেশের সীমান্ত সুরক্ষা এবং বিভিন্ন সীমান্ত অপরাধ মোকাবিলা এবং দেশের যে কোনো সংকটে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর ভূমিকার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সীমান্ত রক্ষার পাশাপাশি বিজিবি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে চোরাচালান, মাদক, নারী, শিশু পাচারসহ সীমান্ত সংক্রান্ত বিভিন্ন অপরাধ প্রতিহত করেছে।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তে প্রহরীর ভূমিকা পালনের পাশাপাশি দেশে অগ্নিসন্ত্রাসের মতো যেকোন সমস্যায় বিজিবি জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং জানমাল রক্ষায় সর্বদা ভূমিকা রাখছে এবং এভাবেই তারা জাতির আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে।’
২০০৯ সালের বিডিআর বিদ্রোহের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই মর্মান্তিক ঘটনার সঙ্গে তার গভীর আবেগঘন সম্পর্কের কথা জানান। মর্মান্তিক ওই ঘটনায় ৫৭ জন বিশিষ্ট কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন ব্যক্তি দুঃখজনকভাবে নিহত হন। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঘটে যাওয়া এ ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম কালো অধ্যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্রোহের সময় হারানো মানুষের কথা স্মরণ করে তিনি গভীর দুঃখ অনুভব করছেন। তিনি নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাদের পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান। শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি তার ব্যক্তিগত সহানুভূতি প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, 'স্বজন হারানোর দুঃখের গভীরতা আমার মতো আর কেউ অনুধাবন করতে পারবে না।’
প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহের জন্য দায়ীদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার আশ্বাস পুনর্ব্যক্ত করে এ ধরনের ট্র্যাজেডির পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী তার নেতৃত্বে গৃহীত অগ্রগতির কথা তুলে ধরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশকে (বিজিবি) আধুনিকায়নে বিগত ১৫ বছরে ৩৫ হাজার ৫১৭ জন সৈন্য নিয়োগের কথা উল্লেখ করেন। অন্তর্ভুক্তির একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক, তার সরকার ২০১৫ সাল থেকে ৯৩৬ জন নারী সৈন্য যোগ দিয়ে বাহিনীতে নারীদের একীভূতকরণের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: অপরাধের নতুন ধরন দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে: পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
উদীয়মান হুমকির প্রতিক্রিয়ায়, তার প্রশাসন সীমান্তের ঝুঁকিপূর্ণ অংশগুলোতে 'স্মার্ট ডিজিটাল নজরদারি এবং কৌশলগত সীমান্ত প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা' বাস্তবায়ন করেছে, নজরদারি ক্ষমতা বৃদ্ধি করেছে এবং আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা জোরদার করেছে।
সীমান্ত নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক উন্নয়নে নিজের অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়ে শেখ হাসিনা ১ হাজার ৩৬ কিলোমিটার সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কথা তুলে ধরেন। এই অবকাঠামো প্রকল্পের লক্ষ্য কেবল পার্বত্য সীমান্ত অঞ্চলকে সুরক্ষিত করা নয় বরং প্রত্যন্ত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নও করা।
প্রধানমন্ত্রী পিলখানার বীর উত্তম আনোয়ার হোসেন প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত বর্ণাঢ্য কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং পরে মার্চ-পাস্টের অভিবাদন গ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বীরত্বপূর্ণ ও অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৭২ জন নির্বাচিত বিজিবি সদস্যকে বিজিবি পদক, রাষ্ট্রপতি বিজিবি পদক, বিজিবি পদক-সেবা ও রাষ্ট্রপতি বিজিবি পদক-সেবা প্রদান করেন।
প্রধানমন্ত্রী বিজিবি সদর দপ্তরে বঙ্গবন্ধুর 'প্রেরণা' শীর্ষক ভাস্কর্য উন্মোচন করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী তাকে স্বাগত জানান।
আরও পড়ুন: রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
রমজানে পণ্যের অবৈধ মজুদ বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে: ডিসিদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
আসন্ন রমজান মাসে পণ্যের অবৈধ মজুদকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে এবং ভোক্তাদের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সুষ্ঠু সরবরাহ নিশ্চিত করতে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘রমজানে কিছু ব্যবসায়ী আছেন যারা সব সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুদ করে ও দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা করতে চান। সেদিকে আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে।’
আজ রবিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলন-২০২৪ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
চার দিনব্যাপী সম্মেলনে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকরা যোগ দেন। যা শেষ হবে বুধবার।
তিনি বলেন, ‘সাপ্লাই চেইনে সমস্যা তৈরি হয় বা পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরির চেষ্টা করা হয়। কিছু মজুতদার আছেন যারা পণ্য পচে যেতে দেন, কিন্তু বাজারে সরবরাহ করেন না। এ ব্যাপারে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আরও পড়ুন: আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আসন্ন মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যাতে নির্বিঘ্নে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে মাঠ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে মুদ্রাস্ফীতির হার এখনও ১০ শতাংশের মধ্যে থাকলেও তা একটি সমস্যা।
বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ জোরদার করতে এবং ভোক্তারা যাতে হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
আরও পড়ুন: অপরাধের নতুন ধরন দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে: পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
সম্মেলনের পরবর্তী কর্মসূচি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে মোট ৩০টি অধিবেশন থাকবে।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান এবং গাইবান্ধার ডিসি কাজী নাহিদ রসুল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এই বছর মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের প্ল্যাটফর্ম ডিসি সম্মেলনের জন্য ডিসি এবং বিভাগীয় কমিশনাররা প্রায় ৩৫০টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী
আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান সম্পন্ন সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে।
আজ শনিবার (৩ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী সেনানিবাসে বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের (বিআইআর) তৃতীয় পুনর্মিলনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
তিনি বলেন, সরকার চায় দেশের যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সক্ষম সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘সে লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি।’
আরও পড়ুন: বেইলি রোডের ভবনটিতে ‘ফায়ার এক্সিট’ নেই: প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্যান্য প্রয়োজনে দেশের জনগণের পাশে থেকে সশস্ত্র বাহিনী দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নেও কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘এভাবেই সশস্ত্র বাহিনী দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে।’
দেশ গড়তে ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা এবং আমি বিশ্বাস করি- আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হব।’
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার সুদূরপ্রসারী প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে আমরা 'ফোর্সেস গোল ২০৩০' প্রণয়ন করেছি এবং সশস্ত্র বাহিনী ক্রমাগত উন্নত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: জাতীয় বিমা দিবস-২০২৪ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে তিনি বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টকে রেজিমেন্টাল কালার প্রদান করেন এবং ২০১১ সালে তিনি মর্যাদাপূর্ণ জাতীয় পতাকা প্রদান করেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে রেজিমেন্টে দুটি প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়নসহ মোট ৪৬টি ইউনিট রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এই ইউনিটের সদস্যরা দেশ ও দেশের বাইরে দক্ষতা, সুনাম ও দেশপ্রেমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। এই কষ্টার্জিত সুনাম বজায় রাখতে আপনারা নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন এটাই আমার প্রত্যাশা।’
সেনাবাহিনীর একটি চৌকস দল শেখ হাসিনাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। তিনি সালাম গ্রহণ করেন এবং একটি খোলা জিপে চড়ে কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: অপরাধের নতুন ধরন দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে: পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী