রাষ্ট্রপতির-কার্যালয়
পূর্ব তিমুরে বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি কাজে লাগানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গভবনে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেছেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা। এরপর বিকালে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ায় পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্টকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, পূর্ব তিমুরের কোনো প্রেসিডেন্টের এটিই বাংলাদেশে প্রথম সফর। প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তার সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও পূর্ব তিমুরের কূটনৈতিক সম্পর্কের পাশাপাশি দুদেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, স্বাধীনতার পর পূর্ব তিমুরকে স্বীকৃতি দানকারী প্রথম সারির দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
এ সময় তিনি দুদেশের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা, দারিদ্র্য দূরীকরণ, চিকিৎসা, অবকাঠামো ও মানব সম্পদ উন্নয়ন, জ্বালানি ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় মানব সম্পদ উন্নয়নের গুরুত্ব উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষার জন্য সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে দুদেশের একসঙ্গে কাজ করার ওপর জোর দেন।
বাংলাদেশে পূর্ব তিমুরের কনস্যুলেট চালুর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, এর ফলে দুদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে এবং বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বহুপাক্ষিক সহযোগিতা আরও জোরদার হবে।
৪ দিন আগে
বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন
বাংলাদেশের ৫৪তম বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রাফাত হাসান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারসহ বিশিষ্ট অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলেন পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস-হোর্তা। বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে অনুষ্ঠানের কেক কাটেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক নেতারা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী নেতা ও খ্যাতিমান সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বরাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা, বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্তদের পরিবারবর্গ এবং ভারতীয় যুদ্ধাহত ব্যক্তিরাও অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পান। অনুষ্ঠানে বীরশ্রেষ্ঠ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় তাদের বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি।
এ ছাড়াও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, ছাত্র প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও অন্যান্য অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি।
শীর্ষ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তা, পত্রিকার সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতাদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
এর আগে, সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তিনি স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে আত্মত্যাগকারী দেশের বীরদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
৪ দিন আগে
বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে মালয়েশিয়ার ব্যবসায়ীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে মালয়েশিয়ার বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
সকালে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার মোহা. শুহাদা ওথমান রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
এর আগে বঙ্গভবনে পৌঁছলে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল হাইকমিশনারকে গার্ড অব অনার দেয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করলেন প্রধান বিচারপতি
মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনারকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, মালয়েশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিনিয়োগসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার।
তিনি বলেন, সম্প্রতি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফর দু'দেশের সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। রাষ্ট্রপতি আশা করেন, নতুন হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালনকালে এ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশের জনশক্তির অন্যতম গন্তব্যস্থল। বাংলাদেশের শ্রমশক্তি উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। তালিকাভুক্ত যে ১৮ হাজার শ্রমিক নির্ধারিত সময়ে মালয়েশিয়ায় যেতে পারেননি, তারা যেন মালয়েশিয়ায় যেতে পারেন সেই লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে রাষ্ট্রপতি মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি এ সময় ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও সম্প্রসারিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আগামী মাসে মালয়েশিয়া আসিয়ানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করবে উল্লেখ করে আসিয়ানের সেক্টোরাল ডায়ালগ পার্টনার হওয়ার ক্ষেত্রে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে সহযোগিতা ও সমর্থন দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন সাহাবুদ্দিন।
সাক্ষাৎকালে মালয়েশিয়ার নতুন হাইকমিশনার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য-বিনিয়োগ বাড়াতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী এবং প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে তিন বাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
২ সপ্তাহ আগে
রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করলেন প্রধান বিচারপতি
বিচার বিভাগের অগ্রগতি ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের কাছে ‘সুপ্রিম কোর্টের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২৩’ পেশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বিকালে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে এ প্রতিবেদন পেশ করেন প্রধান বিচারপতি।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধান বিচারপতি ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে আলোচনার বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
তিনি বলেন, প্রধান বিচারপতি সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনসহ প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। সুপ্রিম কোর্টের সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পর্কেও রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের সার্বিক কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট হলো বিচারপ্রার্থীদের সর্বশেষ ভরসাস্থল। আশা করি, প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে বিচার বিভাগ যৌক্তিক সময়ে বিচারপ্রার্থীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব নাসিমুল গনি, প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ও আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
৩ সপ্তাহ আগে
সশস্ত্র বাহিনী দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করলেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বুধবার (২১ নভেম্বর) সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
আজ সকাল ৮টায় শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন সশস্ত্র বাহিনী প্রধান ও অন্যান্য সামরিক কর্মকর্তারা।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
পরে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল অভিবাদন জানায়।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনও সেখানে পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।
এর আগে শিখা অনির্বাণে পৌঁছালে তিন বাহিনীর প্রধানগণ এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
১৯৭১ সালের ২১ নভেম্বর সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে সমন্বিত আক্রমণ শুরু করে।
১ মাস আগে
রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে বঙ্গভবন ঘিরে বিক্ষোভ, নিরাপত্তা জোরদার
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে বঙ্গভবনের আশেপাশের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দিন-রাত আন্দোলনের পর বঙ্গভবনের সামনে বুধবার সকাল থেকে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রাতে বঙ্গভবনে প্রবেশের চেষ্টার ঘটনা ও পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলার পর আজ নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বঙ্গভবনের সামনের রাস্তায় বসানো হয়েছে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনী। চার স্তরের বেষ্টনীর পাশাপাশি রাখা হয়েছে ব্যারিকেড ও তিন স্তরের কাঁটাতারের বেড়াও।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির অপসারণের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ
সকাল থেকে নিরাপত্তা জোরদার করা হলেও এখন পর্যন্ত আন্দোলনকারীদের তেমন কোনো জমায়েত দেখা যায়নি। তবে বিক্ষিপ্তভাবে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা।
বঙ্গভবনের প্রধান ফটকের সামনে সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছেন বিপুল সংখ্যক এপিবিএন, বিজিবি, পুলিশ ও সেনাবাহিনী সদস্য। প্রস্তুত রাখা হয়েছে এপিসি, জলকামানসহ রায়ট কারও।
রাষ্ট্রপতি কার্যালয় জানায়, বিক্ষোভ নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়ার ব্যাপারে কোনো চিন্তাভাবনা নেই।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে গতকাল থেকে নানা সংগঠন বঙ্গভবনের সামনে জড়ো হয়।
দিনভর কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটলেও গতকাল রাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, টিয়ার গ্যাস, গুলি বিনিময় হয়।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী ৫২, ৫৩ ও ৫৪ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির অপসারণ বা পদত্যাগ প্রসঙ্গে বলা আছে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সংসদ কার্যকর থাকতে হবে। সংসদ সদস্যরাই কেবল রাষ্ট্রপতি অপসারণ বা অভিসংশন করার ক্ষমতা রাখেন। রাষ্ট্রপতি দেশের একমাত্র নাগরিক যার নিয়ন্ত্রণে তিন বাহিনী (সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহী)।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
১ মাস আগে
শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে বিতর্ক এড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগকে ঘিরে বিতর্ক সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (২১ অক্টোবর) রাষ্ট্রপতির প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানানো হয়।
এতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে একটি মিডিয়ায় প্রচারণার ফলে হাসিনার চলে যাওয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে নাগরিকদের মধ্যে ব্যাপক বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রপতি স্পষ্ট করে বলেছেন, পদত্যাগ এবং দেশ ত্যাগ সম্পর্কিত সমস্ত প্রাসঙ্গিক প্রশ্নগুলো- ছাত্র-জনতার নেতৃত্বাধীন বিপ্লবে প্ররোচিত - বিশেষ রেফারেন্স নম্বর ০১/২০২৪-এ পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়েছে। যেমনটি ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে বর্ণিত হয়েছে।
রায়ে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাংবিধানিক বৈধতা নিয়েও আলোচনা করা হয়।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির অপসারণ দাবি সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহর
সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এসব বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের মতামত চেয়েছেন, যা আপিল বিভাগ যথাযথভাবে সরবরাহ করেছেন।
এসব ঘটনার আলোকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সব পক্ষকে এই বিষয়টির সমাধানের প্রতি সম্মান জানাতে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল বা বিব্রত করতে পারে এমন কাজ এড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন। ঐক্যের এই আহ্বানের লক্ষ্য দেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।
সম্প্রতি দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে তিনি শুনেছেন; তবে পদত্যাগপত্রসহ এ বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার মতো কোনো দালিলিক প্রমাণ তার কাছে নেই।
তিনি বলেন, 'অনেক চেষ্টা করেও পদত্যাগপত্র জোগাড় করতে পারিনি। হয়তো তিনি সময় পাননি।’
রবিবার পত্রিকার রাজনৈতিক ম্যাগাজিন 'জনতার চোখ'-এ এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়।
নজিরবিহীন গণঅভ্যুত্থানের ফলে গত ৫ আগস্ট ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
১ মাস আগে
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
রবিবার (১৩ অক্টোবর) দুর্গাপূজা উপলক্ষে বঙ্গভবনে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাষ্ট্রপতি এই আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, 'জাতীয় অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে সমাজে বিদ্যমান সম্প্রীতি ও পারস্পরিক সম্প্রীতি অক্ষুণ্ন রাখতে হবে।’
সাম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দলমত নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
সব ধর্মের মূল বাণী মানবকল্যাণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'আমরা সবাই বাংলাদেশি। আমরা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। দেশে সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘুর কোনও স্থান নেই। ধর্মীয় মূল্যবোধকে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজে লাগাতে হবে।’
সাহাবুদ্দিন বলেন, পারস্পরিক সহমর্মিতা, সম্প্রীতি ও মানবিক মূল্যবোধের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের জন্য একটি প্রগতিশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলাই এবারের বিজয় দশমীর অঙ্গীকার।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ।
পরে রাষ্ট্রপতি আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা, বিদেশি কূটনীতিক ও বিভিন্ন পেশার হিন্দু গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. বিধান রঞ্জন রায়, হিন্দু ধর্মীয় নেতা এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
২ মাস আগে
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
শনিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
সাক্ষাৎকালে বাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান সেনাপ্রধান।
বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলো কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান ওয়াকার-উজ-জামান।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের মানুষের কল্যাণে এবং জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে।
ভবিষ্যতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশ ও জনগণের যেকোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফখরুলের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ, অর্থনৈতিক সহযোগিতা-বিনিয়োগ নিয়ে আলোচনা
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা’র সঙ্গে ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাসের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
২ মাস আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
শনিবার (৫ অক্টোবর) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে সেনাপ্রধান বাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
সেনাপ্রধান জানান, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য দেশব্যাপী সেনাবাহিনীর ইউনিটগুলো কাজ করে যাচ্ছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সেনাবাহিনী দেশের মানুষের কল্যাণে এবং জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছে
ভবিষ্যতেও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ দেশ ও জনগণের যে কোনো প্রয়োজনে সেনাবাহিনী জনগণের পাশে থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারপতি
২ মাস আগে