রাষ্ট্রপতির-কার্যালয়
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সুশাসনকে অক্ষুণ্ণ রাখতে আইনের যথাযথ প্রয়োগ জরুরি।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাষ্ট্রপতি ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বাংলাদেশ পুলিশের বার্ষিক নৈশভোজে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে এবং জনগণ ঘরে বসে অনলাইনে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স এবং সাধারণ ডায়েরির মতো ডিজিটাল সেবা গ্রহণ করছে।
আগামীতে তথ্য ও প্রযুক্তিগত সেবা সম্প্রসারণে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের আরও সক্রিয় হওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, যারা থানায় আসেন তাদের আরও আন্তরিকতা ও সময়ানুবর্তিতার সঙ্গে সেবা দিতে হবে।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
রাষ্ট্রপতি বাহিনীকে গণমুখী সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
নৈশভোজের আগে রাষ্ট্রপতি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির হাতে একটি স্মারক তুলে দেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে তাকে স্বাগত জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান; বার্ষিক নৈশভোজ কমিটির সভাপতি ও অতিরিক্ত ডিআইজি বনজ কুমার এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।
রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরাও নৈশভোজে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে: রাষ্ট্রপতি
বৈদেশিক বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় বৈদেশিক বাণিজ্য এখন অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং, প্রতিযোগিতামূলক এবং জ্ঞান ও নীতিমালা ভিত্তিক।’
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'জাতীয় বস্ত্র দিবস-২০২৪' উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন কয়েকটি পণ্যের ওপর নির্ভর না করে রপ্তানি ঝুড়িতে পণ্যের সংখ্যা ও পাশাপাশি রপ্তানি গন্তব্য বাড়াতে আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণের সময় নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
তিনি বলেন, ‘গুটিকয়েক দেশের ওপর নির্ভর না করে বিশ্বের সম্ভাব্য সকল স্থানে আমাদের রপ্তানি পণ্যের বাজারকে ছড়িয়ে দিতে হবে।’
এ ব্যাপারে কূটনৈতিক মিশনগুলোকে কাজে লাগাতে ও অর্থনৈতিক কূটনীতিকে অগ্রাধিকার দিতে বলেন তিনি।
শ্রমিকদের উৎপাদন শিল্পের চালিকাশক্তি হিসেবে অভিহিত করে তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে আপনারা শুধু মুনাফার জন্য ব্যবসা পরিচালনা করছেন না। আপনাদের সামাজিক দায়িত্বের বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে হবে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
কারখানা ও শ্রমিক একে অপরের পরিপূরক উল্লেখ করে তিনি বলেন, শ্রমিক ভালো থাকলে কারখানা ভালো থাকবে।
কোনো স্বার্থান্বেষী মহল যেন উৎপাদনমুখী কারখানার পরিবেশ নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সরকার সবসময় আপনাদের পাশে আছে ও থাকবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদানুযায়ী ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নতুন নতুন প্রযুক্তিসমূহকে আমাদেরকে সাদরে গ্রহণ করতে হবে। আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণের জন্য আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন কারিগরি শিক্ষা সম্প্রাসারণ ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারের পাশাপাশি ব্যবসায়ী শিল্পপতি ও বিনিয়োগকারীদেরকে এগিয়ে আসতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ
ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
ক্ষমতার অপব্যবহার যাতে না হয়, তা কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করতে সব বিচারককে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতা ও দায়িত্ব একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। দায়িত্ব পালনে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে হবে। আবার ক্ষমতার চর্চায়ও দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে।’
আরও পড়ুন: মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
শুক্রবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে 'একবিংশ শতাব্দীতে দক্ষিণ এশীয় সাংবিধানিক আদালত: বাংলাদেশ ও ভারতের শিক্ষা' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রধান বিচারপতি ড. ধনঞ্জয় ওয়াই চন্দ্রচূড়।
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, মমতাজ উদ্দিন ফকির অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ
অমর একুশে: ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রাষ্ট্রপতির ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন রচিত ‘এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ’ গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ ‘বাংলাদেশ উইল গো এ লং ওয়ে’ প্রকাশিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে বইটি হস্তান্তর করেন আগামী প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ও প্রকাশক ওসমান গনি ও বইটির সম্পাদনা সমন্বয়ক ড. এম আবদুল আলীম।
বইটি অনুবাদ করেছেন দুলাল আল মনসুর।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন তার রচিত গ্রন্থের ইংরেজি সংস্করণ ‘বাংলাদেশ উইল গো এ লং ওয়ে’ প্রকাশ করায় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
তিনি আশা প্রকাশ করেন, বইটির মাধ্যমে পাঠক সমাজ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ, আওয়ামী লীগের ইতিহাস, শেখ হাসিনার নেতৃত্ব, পদ্মা সেতুর কাল্পনিক দুর্নীতি, সমসাময়িক রাজনীতি, আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা ও দিন বদলের পালাসহ বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্পর্কে জানতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, বইটি পাঠকপ্রিয়তা পেলে তার এ প্রচেষ্টা সার্থক হবে এবং ভবিষ্যতে লেখালেখির জন্য আরও আগ্রহ ও অনুপ্রেরণা পাবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং অনুবাদক দুলাল আল মনসুর।
আরও পড়ুন: মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্টপতির প্রেস সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন ইউএনবি জানান, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইউজিসির ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন তার কাছে হস্তান্তর করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে ইউজিসিকে বাড়তি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে একটি প্যানেল গঠনের পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রপতি 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার সরকারের লক্ষ্যকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রতিটি শিক্ষার্থীকেও স্মার্ট হতে হবে।’
তিনি ইউজিসিকে প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও সামগ্রিক উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশ দেন।
সারাদেশে উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণে ইউজিসিকে কার্যকর ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাৎকালে ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
ইউজিসি প্রতিনিধিদল দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসারে রাষ্ট্রপতির কাছে ১৪ দফা সুপারিশ পেশ করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইউজিসির কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতের কর্মসূচিতে তার দিকনির্দেশনা কামনা করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বঙ্গভবনে এই সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম বিশেষ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
তিনি নির্বাচন পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন ভবিষ্যতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ বিভিন্ন নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো.ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগে সৌদি আরবের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বিভিন্ন খাতে আরও বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের স্পিকার ড. আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল শেখের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বৈঠকের বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার এবং ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কও শক্তিশালী।
সৌদি আরবকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার উল্লেখ করে তিনি বলেন, সৌদি আরবে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা দু'দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্বজনদের কবর জিয়ারত করেছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ ও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। আগামীতে এ বাণিজ্য আরও বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
তিনি আরও বলেন, স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে বাংলাদেশ এবং গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানায়।
রাষ্ট্রপতি মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও ঐক্য প্রতিষ্ঠায় সৌদি আরবের নেতৃত্বেরও প্রশংসা করেন।
সাক্ষাৎকালে সৌদি আরবের শুরা কাউন্সিলের স্পিকার বলেন, সৌদি সরকার ও জনগণ বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়।
এছাড়া প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করে বলে, বাংলাদেশের উন্নয়নে তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বৈঠকে শুরা কাউন্সিলের সদস্য খালেদ বিন মোহাম্মদ আল বাওয়ারদি, বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত খালেদ বিন মোহাম্মদ আল সাইফ এবং রাষ্ট্রপতির সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
দুর্নীতি ও আর্থিক খাতের সংস্কারে কঠোর পদক্ষেপ নিন: রাষ্ট্রপতি
আর্থিক খাতের সংস্কারের পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। এক্ষেত্রে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিলে তার প্রভাব আমাদের ওপরও পড়বে।’
নবনির্বাচিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের উদ্বোধনী অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
এর আগে তিনি সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ২০২৪ সালের প্রথম সংসদ অধিবেশন আহ্বান করেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণ মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হয়েছে।
৭ জানুয়ারির জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বর্তমান সংসদ গঠিত হয়।
তিনি আসন্ন বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, উচ্চমূল্যের ফসল উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কৃষি খাতের উৎপাদন ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে হবে।
উৎপাদন বাড়াতে উন্নত কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারেরও আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
তিনি আরও বলেন, শস্য গুদাম ও কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের উন্নয়ন করতে হবে।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী
তিনি বলেন, রপ্তানি বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা প্রাপ্তির জন্য দ্বিপক্ষীয় এবং আঞ্চলিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ চুক্তি সই ও বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন।
তিনি জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গভীর সমুদ্রে গ্যাস ও তেল অনুসন্ধান কার্যক্রম জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, 'দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির পাশাপাশি দক্ষ শ্রম রফতানি করতে যাতে নতুন শ্রমবাজার অনুসন্ধান করা যায়।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একটি মহল সহিংসতা ও সংঘাত সৃষ্টি করে গণতন্ত্রের শান্তিপূর্ণ ধারাকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছে। তাদের গণতন্ত্রবিরোধী ও সহিংস কর্মকাণ্ড জনগণকে সাময়িকভাবে উদ্বেগের মধ্যে ফেললেও গণতন্ত্রের চেতনা ভোটারদের ভোটদানে বিরত রাখতে পারেনি।
তিনি বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের গৃহীত সকল পদক্ষেপ গণমানুষের স্বতঃস্ফূর্ততা ও সক্রিয় অংশগ্রহণের কারণে সুফল বয়ে এনেছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা দলগুলো নির্বিঘ্নে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করেছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো সহিংসতা ও নৈরাজ্য পরিহার করে সাংবিধানিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, জনগণের কল্যাণ ও গণতন্ত্রের কল্যাণে অহিংসভাবে গঠনমূলক কর্মসূচি পালন করবে।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সফরে পাবনায় গেছেন রাষ্ট্রপতি
সরকারও এ বিষয়ে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়।
২৯৯টি আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২২৩টি, জাতীয় পার্টি ১১টি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ১টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ১টি ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি ১টি করে এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৬২টি আসনে জয়ী হয়েছেন। তবে ৫৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্ষমতাসীন দলের সদস্য।
অধিবেশনের শুরুতে সংসদের স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন এবং রাষ্ট্রপতি তাদের শপথ পাঠ করান।
এর আগে আওয়ামী লীগরে সংসদীয় দল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুকে ওই পদগুলোতে মনোনয়ন দেয়।
জাতীয় সংসদের প্রেসিডেন্ট বক্সে ফার্স্ট লেডি ড. রেবেকা সুলতানা এবং রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পাবনায় স্বজনদের কবর জিয়ারত করেছেন রাষ্ট্রপতি
পাবনায় স্বজনদের কবর জিয়ারত করেছেন রাষ্ট্রপতি
পাবনা সফরের দ্বিতীয় দিনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আরিফপুরে পাবনা সদর কবরস্থানে তার বাবা-মা ও শশুর-শাশুড়ির কবর জিয়ারত করেছেন।
বুধবার (১৭ জানুয়ারি) তিনি কবর জিয়ারত ও দোয়া করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতি তার বাবা-মা, শশুর- শাশুড়ি, পরিবারের সদস্যসহ সকল কবরবাসীর আত্নার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।
তিন দিনের সফরে গতকাল নিজ জেলা পাবনা পৌঁছান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
ঢাকা থেকে পাবনা যাওয়ার পথে ঘন কুয়াশার কারণে রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঈশ্বরদী বিমানবন্দর অবতরণ করে। বিকালে সেখান থেকে গাড়িতে করে পাবনা যান রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী
রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন।
পাবনা জেলা সার্কিট হাউজে পৌঁছালে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতারা রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান।
এ সময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের সঙ্গে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সফরে পাবনায় গেছেন রাষ্ট্রপতি
৩ দিনের সফরে পাবনায় গেছেন রাষ্ট্রপতি
তিন দিনের সফরে নিজ জেলা পাবনায় গেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার(১৬ জানুয়ারি) ঢাকা থেকে পাবনা যাওয়ার পথে ঘন কুয়াশার কারণে রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ঈশ্বরদী বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
পরে বিকালে সেখান থেকে গাড়িতে পাবনার উদ্দেশে রওনা দেন রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা এসময় তার সঙ্গে ছিলেন।
আরও পড়ুন: পঞ্চমবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন শেখ হাসিনা
পাবনা জেলা সার্কিট হাউজে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানান স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতারা।
এসময় রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের সঙ্গে কুশল ও শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: শপথ নিলেন ২৫ মন্ত্রী ও ১১ প্রতিমন্ত্রী