রাষ্ট্রপতির-কার্যালয়
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিদায়ী বিমান বাহিনী প্রধান আব্দুল হানান
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেছেন বিদায়ী বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান।
মঙ্গলবার (৪ জুন) তিনি রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ডক্টর রেবেকা সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।
পরে, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদিন ব্রিফিংয়ে জানান সাক্ষাৎকালে বিমানবাহিনী প্রধান দায়িত্ব পালনকালে সহযোগিতা করার জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
এ সময় তিনি বিমানবাহিনীর সার্বিক কার্যক্রম বিশেষ করে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সফলভাবে দায়িত্ব পালন করায় বিদায়ী বিমান বাহিনী প্রধানকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বিমান বাহিনীর উন্নয়নে বিদায়ী প্রধানের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আশা করেন বিমান বাহিনীর উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে এবং সরকার এ ব্যাপারে সার্বিক সহযোগিতা করবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এবং সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান ঠেকাতে স্কাউটদের এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
৫৭২ দিন আগে
কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান ঠেকাতে স্কাউটদের এগিয়ে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
গতানুগতিক স্কাউটিং কার্যক্রমের পাশাপাশি শহর ও শহরতলীতে কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান রোধে স্কাউটদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বাংলাদেশ স্কাউটসের জাতীয় কাউন্সিলের ৫২তম বার্ষিক (ত্রিবার্ষিক) সাধারণ সভার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি ও চিফ স্কাউট সাহাবুদ্দিন এ আহ্বান জানান।
স্বার্থপরতা, হিংসা-বিদ্বেষ, লোভ ও নৈতিক অবক্ষয় মানুষের ভালো গুণাবলীকে ধ্বংস করে দেয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্যাটেলাইট সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাব, মাদকাসক্তি, তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার কিশোর-কিশোরীদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
তিনি আরও বলেন, শহর ও শহরতলিতে কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান এসবের বহিঃপ্রকাশ।
আরও পড়ুন: দেশে ফিনল্যান্ড-গুয়াতেমালা ও আয়ারল্যান্ডকে বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘পত্রিকার পাতা খুললেই এসব গ্যাংয়ের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের খবর চোখে পড়ে। এতে অনেক সময় সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।’
তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে স্কাউটিং ইতিবাচক ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, গতানুগতিক স্কাউটিং কার্যক্রমের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সমাধানে এবং বিভিন্ন জনমত গঠনে সব স্কাউটকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে তরুণ প্রজন্মকে তথ্যপ্রযুক্তি, কম্পিউটার, আন্তর্জাতিক ভাষা ও জ্ঞান বিষয়ে সর্বাধুনিক ব্যবহারিক দক্ষতা অর্জনে উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, লক্ষ্য পূরণে স্কাউট প্রশিক্ষণ কার্যক্রম একটি উপযুক্ত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে।
সাহাবুদ্দিন বলেন, ছেলে-মেয়েদের স্মার্ট নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে স্কাউট প্রশিক্ষণ কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে তদারকি বাড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে পরিণত করতে 'ভিশন ২০৪১' ঘোষণা করেছেন।
তিনি আরও বলেন, এ লক্ষ্য অর্জনে দেশের যুব সমাজকে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও সঠিক মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন চৌকস নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
স্কাউট আন্দোলন এক্ষেত্রে ইতিবাচক অবদান রাখতে পারে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ এবং প্রধান জাতীয় কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনস্বার্থ বিষয়ে গুরুত্ব দিন: রাষ্ট্রপতি
৫৭৫ দিন আগে
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান এবং তার সফরসঙ্গীদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
সোমাবার (২০ মে) ইরানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবারকে পাঠানো এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি কঠিন সমস্যা মোকাবিলায় সাহস ও মর্যাদা আমাদের সকলের জন্য একটি মডেল ও অনুপ্রেরণা। ইরান একজন অভিজ্ঞ ও বিজ্ঞ নেতাকে হারাল, জনগণের প্রতি তার সহানুভূতি তাকে অসাধারণ করে তুলেছিল।
আরও পড়ুন: ইরানে হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় এ পর্যন্ত যা জানা গেল
রাষ্ট্রপতি মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্য ও ইরানের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত: ইরানের প্রেসিডেন্ট-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর লাশ উদ্ধার
৫৮৭ দিন আগে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে তদারকি বাড়ানোর আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিতে তদারকি বাড়াতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘উচ্চশিক্ষার প্রসারের পাশাপাশি গুণগত মান নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ বিষয়ে তদারকি বাড়িয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।’
আরও পড়ুন: কাতারের আমিরকে স্বাগত জানালেন রাষ্ট্রপতি
সোমবার (৬ মে) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
পরে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাক্ষাৎ সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. মসিউর রহমান প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পরিকল্পনা ও শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
প্রতিনিধি দলের অন্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. নিজামউদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুস সালাম হাওলাদার ও রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন।
রাষ্ট্রপতি আনুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন, যাতে শিক্ষার্থীরা উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারে এবং যোগ্য নাগরিক হিসেবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।
শিক্ষকদের উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি ক্যাম্পাসে বিদ্যমান শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি দক্ষতাভিত্তিক কর্মসূচি চালুর পরামর্শ দেন।
উপাচার্য এ বছরের শেষে অনুষ্ঠেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করার জন্য রাষ্ট্রপতিকে আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনস্বার্থ বিষয়ে গুরুত্ব দিন: রাষ্ট্রপতি
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের আরও বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
৬০১ দিন আগে
রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনস্বার্থ বিষয়ে গুরুত্ব দিন: রাষ্ট্রপতি
রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে দেশের সব রাজনৈতিক দলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
জনকল্যাণ রাজনীতির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার ও রাজনীতিবিদদের গৃহীত সব সিদ্ধান্তে জনস্বার্থকে প্রাধান্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কে বা কারা এই সিদ্ধান্ত নিল সেটা বড় কথা নয়- জনস্বার্থে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে কি না বা জনস্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে কি না সেটাই বড় কথা।’
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
সাহাবুদ্দিন আরও বলেন, রাজনৈতিক সুবিধার জন্য জনস্বার্থকে ধ্বংস করা প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনীতির পরিচয় দেয়।
দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে ২০০০ সালের ২৬ এপ্রিল গোপালগঞ্জ জেলার গিমাডাঙ্গায় কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘২০০১ সালের নির্বাচনে ক্ষমতার পালাবদলের পর প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার এই জনপ্রিয় উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়। এটি ছিল তৎকালীন সরকারের প্রতিহিংসাপরায়ণ জনস্বার্থবিরোধী সিদ্ধান্ত।’
দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হয় এবং জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে, এ ধরনের কর্মসূচি থেকে বিরত থাকারও অনুরোধ জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘জনস্বার্থে সরকারের নেওয়া সব উদ্যোগ সফল করতে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।’
দেশের জনকল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান কমিউনিটি ক্লিনিকের টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে সর্বাত্মক সহযোগিতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রপতি।
সরকারের কর্মকাণ্ডের প্রতিটি ক্ষেত্রে জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, 'খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান ও শিক্ষার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে জনগণের দোরগোড়ায় চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দিতে বহুমুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।’
প্রান্তিক জনগোষ্ঠী বিশেষ করে নারী ও শিশুদের চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে কমিউনিটি ক্লিনিক জনগণের আস্থার স্থানে পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের উপযোগিতা ও সুনাম গ্রাম-শহর ছাড়িয়ে জাতীয় পর্যায়ে এমনকি বিশ্বজুড়েও ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে এবং জনগণের মৌলিক চাহিদা পূরণে সরকার কমিউনিটি ক্লিনিক কার্যক্রম, আশ্রয় কেন্দ্র, সবার জন্য বিদ্যুৎ, আমার বাড়ি, আমার খামার, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিসহ মোট ১০টি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে ইউএই নেতাদের অভিনন্দন
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, 'কমিউনিটি ক্লিনিক' শিরোনামে জাতিসংঘের এই ঐতিহাসিক প্রস্তাব, 'শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় বাংলাদেশ সরকারের উদ্ভাবনী নেতৃত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
জনগণের অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গৃহীত সব পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সমন্বিত কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
রাষ্ট্রপতি জানান, বর্তমানে দেশে ১৪ হাজার ১৭৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক জনসচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মডেল হিসেবে কাজ করছে এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা দিচ্ছে।
এ সময় কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন গণটিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি।
স্বাস্থ্যখাতে সাফল্যের স্বীকৃতিস্বরূপ মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোলস (এমডিজি) অ্যাওয়ার্ড, সাউথ-সাউথ অ্যাওয়ার্ড, গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশন (জিএভিআই) অ্যাওয়ার্ড এবং ভ্যাকসিন হিরো অ্যাওয়ার্ডের মতো অনেক মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পুরস্কার বাংলাদেশ অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেছে এবং জাতিকে গর্বিত করেছে।
সৈয়দ মোদাচ্ছের আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী সামন্ত লাল সেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত সচিব এ কে এম নুরুন্নবী কবির, কমিউনিটি বেইজড হেলথ কেয়ারের (সিবিএইচসি) লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে অসামান্য অবদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি প্রভাষক মুক্তিযোদ্ধা ডা. আহমদ আল কবির এবং গোপালগঞ্জ শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাহিদ ফেরদৌসকে 'দি শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ' স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে 'স্মার্ট কমিউনিটি ক্লিনিক-কমিউনিটি ক্লিনিক-গ্লোবালাইজেশন অব কমিউনিটি ক্লিনিক' শীর্ষক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার অপব্যবহার যেন না হয় তা নিশ্চিত করুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন
৬০৭ দিন আগে
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের আরও বিনিয়োগের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে (এসইজেড) আরও বিনিয়োগের জন্য কাতারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘উৎপাদন থেকে গ্রাহক পর্যন্ত কৃষি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, খাদ্য প্যাকেজিং, স্মার্ট কৃষি ও সার উৎপাদনসহ রাষ্ট্রীয় নেতৃত্বাধীন খাদ্য সরবরাহ শৃঙ্খলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ।’
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বঙ্গভবনে সফররত কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
উপসাগরীয় অঞ্চলে কাতারকে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমিরের এই সফর এবং দু'দেশের মধ্যে ৫টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সইয়ের ফলে আগামী দিনগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও সম্প্রসারিত ও জোরদার হবে।
আরও পড়ুন: সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে বাংলাদেশ-কাতার সই করল ১০টি সহযোগিতা নথি
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের জন্য ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘পেট্রোকেমিক্যাল, জ্বালানি, মেশিনারিজ, তথ্যপ্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স, সিরামিক, কৃষি ব্যবসা, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণের মতো খাতে কাতারের বিনিয়োগকারীরা ব্যাপক প্রণোদনা ও সহায়তা পেতে পারেন।’
প্রায় পৌনে ৪ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেওয়ায় কাতার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, এই জনশক্তি কাতার ও বাংলাদেশ উভয়ের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে প্রতিনিয়ত অবদান রাখছে।
এছাড়া রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে আরও তরুণ, দক্ষ ও আধাদক্ষ জনশক্তি, আইটি বিশেষজ্ঞ এবং পেশাদার প্রযুক্তিবিদ নিয়োগের জন্য কাতারের আমীরদের প্রতি আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহের জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ জানান এবং দেশটির কাছ থেকে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সহায়তা কামনা করেন।
তিনি ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্ভাবনা অন্বেষণে উভয় পক্ষের আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের প্রয়োজনীয়তায় গুরুত্বারোপ করেন।
রাষ্ট্রপতি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চলমান আলোচনায় সহায়তা করার জন্য (মিশর ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে) কাতারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: কাতারের আমিরকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
কাতারের আমির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।
কাতারের আমির বলেন, বাংলাদেশ ও কাতারের সই করা চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি ও আমির উভয়েই শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এই সফর বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বহুমুখী অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করার পথ প্রশস্ত করবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রপতির সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে আমির ফটোসেশনে অংশ নেন এবং সেখানে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে সই করেন।
আরও পড়ুন: কাতারের আমিরকে স্বাগত জানালেন রাষ্ট্রপতি
৬১৫ দিন আগে
কাতারের আমিরকে স্বাগত জানালেন রাষ্ট্রপতি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সোমবার বিকালে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। এ সময় লাল গালিচা সংবর্ধনা দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে ২ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে বিকাল ৫টায় কাতারের আমির আসেন।
রাষ্ট্রপতি ও আমির বিমানবন্দরে ফুল বিনিময় করেন এবং সালাম গ্রহণের পর উপস্থাপনা লাইনে বাংলাদেশ ও কাতারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সফরকালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার দরবার হলে আমিরের সম্মানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজ এবং বঙ্গভবনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।
আরও পড়ুন: কাতার আমিরের সফরে ৬ চুক্তি ও ৫ সমঝোতা স্মারক সই হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অন্যদিকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সফররত আমির পরিদর্শন বইয়ে সই করবেন।
রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে ১১টি সহযোগিতার বিষয়ে ৬টি চুক্তি ও ৫টি সমঝোতা স্মারক সই হবে।
প্রায় ১৯ বছর পর বন্ধুপ্রতীম দেশ কাতার থেকে ২৪ ঘণ্টা স্থায়ী এমন উচ্চ পর্যায়ের সফর হচ্ছে।
এর আগে ২০০৫ সালের এপ্রিলে কাতারের তৎকালীন আমির শেখ হামাদ বিন খলিফা আল-থানি বাংলাদেশ সফর করেন।
মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরকে তার কার্যালয়ে অভ্যর্থনা জানাবেন।
তারা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একান্ত বৈঠক করবেন, এরপর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক, ৬টি সমঝোতা স্মারকসহ ২ দেশের মধ্যে একাধিক সহযোগিতা নথি সই প্রত্যক্ষ করবেন এবং একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেবেন।
আরও পড়ুন: কাতারের আমিরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ঢাকা, সহযোগিতা বাড়ানোর দিকে নজর দুই দেশের
সেখানে পরিদর্শন বইয়ে সই শেষে আমির মঙ্গলবার বিকালে বঙ্গভবনের উদ্দেশে যাত্রা করবেন এবং রাষ্ট্রপতি তাকে অভ্যর্থনা জানাবেন।
ওইদিন বিকাল ৩টায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় পার্ক এবং বিকাল ৩টায় মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়ক উদ্বোধন করবেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে তার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ওআইসি শীর্ষ সম্মেলনের পর ১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ কাতার বাংলাদেশকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
১৯৭৫ সালের ২৫ জুন দোহায় বাংলাদেশ তার কূটনৈতিক মিশন চালু করে। ১৯৮২ সালে ঢাকায় কূটনৈতিক মিশন খোলার মাধ্যমে প্রতিদান দেয় কাতার।
বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা, অভিন্ন মূল্যবোধ, অভিন্ন ধর্মীয় ভিত্তি, অভিন্ন সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত।
সুশৃঙ্খল ও পরিশ্রমী হিসেবে অত্যন্ত প্রশংসিত চার লাখেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশ ও কাতার বাংলাদেশের রূপকল্প ২০৪১ এবং কাতারের রূপকল্প ২০৩০ বাস্তবায়নে একে অপরকে ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ এবং গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করে।
আরও পড়ুন: জনশক্তি, জ্বালানি ও বিনিয়োগে সহযোগিতা জোরদারে কাতারের আমিরের সফর: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
৬১৫ দিন আগে
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের পাঠ্যক্রম গ্রহণের আহ্বান রাষ্ট্রপতির
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা যাতে নিজেদের যোগ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বিশ্বমানের কারিকুলাম প্রণয়নের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনিযুক্ত উপাচার্য আবু তাহের বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎকালে উপাচার্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
এ সময় রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উচ্চশিক্ষা খুবই জরুরি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, কর্তৃপক্ষ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যসহ সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সে উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়েও কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম খান, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির কাছে পর্তুগাল ও বাহরাইনের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
৬২১ দিন আগে
জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করলেন রাষ্ট্রপতি
জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি ঈদগাহে পৌঁছলে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস তাকে স্বাগত জানান।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) উদ্যোগে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন।
সাধারণ মুসল্লিদের সঙ্গে প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা, কূটনীতিক এবং বেসামরিক ও সামরিক উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা দেশের বরেণ্য ব্যক্তিব জাতীয় ঈদগাহে নামাজ আদায় করেন।
নামাজ শেষে বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণের অব্যাহত শান্তি ও অগ্রগতি এবং মুসলিম উম্মাহর অব্যাহত শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং দেশের কল্যাণে বিশেষ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীকে ঈদ ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি
অনুষ্ঠানে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের ভয়াল কালরাতে শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
নামাজ শেষে ঈদগাহে জনগণের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি।
জাতীয় ঈদগাহে নারীদের ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে।
মোনাজাতের সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় ঈদগাহে নামাজের মধ্য দিয়ে ঈদুল ফিতর উদযাপন শুরু
৬২৭ দিন আগে
রাষ্ট্রপতির কাছে পর্তুগাল ও বাহরাইনের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
বাংলাদেশে নিযুক্ত পর্তুগালের রাষ্ট্রদূত জোয়াও রিবেইরো ডি আলমেইদা এবং বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত আব্দুর রহমান মোহাম্মদ আলগাউদ রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার(৪ এপ্রিল) বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের কাছে স্ব স্ব পরিচয়পত্র পেশ করেন রাষ্টদূতরা।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব ইউএনবিকে জানান, রাষ্ট্রদূতরা বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার দিয়ে স্বাগত জানায়।
নতুন রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো খুবই জরুরি।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসে বঙ্গভবনে ভুটানের রাজা-রানীকে সংবর্ধনা
রাষ্ট্রপতি বলেন, বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে পারস্পরিক ও বহুপক্ষীয় সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।
গার্মেন্টস, ওষুধ, সিরামিক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ বিভিন্ন খাতে বাংলাদেশের বিদ্যমান সম্ভাবনার কথা তুলে ধরে পারস্পরিক সম্ভাবনা কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিতে রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাৎকালে পর্তুগাল ও বাহরাইনের রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
রাষ্ট্রদূতরা তাদের দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশের শান্তিপ্রিয় ও দক্ষ কর্মীদের অবদান তুলে ধরেন।
নতুন রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির পূর্ণ সহযোগিতা কামনা করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশে স্বাধীনতা দিবস পালিত
৬৩৩ দিন আগে