রাষ্ট্রপতির-কার্যালয়
মন্ত্রিসভা গঠনে শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সংখ্যাগরিষ্ঠ সংসদ সদস্যদের আস্থা অর্জন করায় তাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বুধবার (১০ জানুয়ারি) রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, আজ বিকালে শেখ হাসিনা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে আসলে তিনি এ আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারিকুলের
বিকালে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ফুলের তোড়া দিয়েও শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান।
প্রেস সচিব সংবাদ ব্রিফিংয়ে জানান, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য শেখ হাসিনাকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এই বিজয় জনমতের প্রতিফলন।
আরও পড়ুন: পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, উন্নয়ন ও অগ্রগতির পক্ষে রায় দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত সিজিএস-পিএসও’র সাক্ষাৎ
পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন প্রধানমন্ত্রীর সাফল্য কামনা করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নিরঙ্কুশ বিজয়ের জন্য দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: যীশু খ্রীষ্ট শান্তি ও সত্যসন্ধানী ছিলেন: রাষ্ট্রপতি
৭১৮ দিন আগে
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি
পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিলেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। এ সময় তিনি দেশবাসীকেও ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় ভোট দেন তিনি। এসময় রাষ্ট্রপতির সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানাও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করলেন।
দেশবাসীকে আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে নাগরিক দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান তিনি।
বঙ্গভবনের ক্রেডিনশিয়াল হলে ডাকযোগে ভোট দিয়ে দেশবাসীর উদ্দেশে রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, ‘আসুন নিজে ভোট দিই এবং অন্যকে ভোট দিতে উৎসাহিত করি।’
ভোট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘একজন নাগরিক হিসেবে ভোট দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। ভোটের মাধ্যমে জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক রায় দেয়।’
গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে ভোটই হচ্ছে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য পদ্ধতি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি আশা করেন, সবার অংশগ্রহণে এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের (আরপিও) অনুচ্ছেদ ২৭ অনুযায়ী রাষ্ট্রপ্রধান পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে সক্ষম হন।
নিবন্ধিত ভোটার, যারা কারাবন্দি বা আইনি হেফাজতে আছেন, বাংলাদেশি প্রবাসী এবং ভোট গ্রহণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা, আসন্ন ১২তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
ভোটকেন্দ্রে যেতে অসমর্থ- এমন চার ধরনের ভোটাররা ডাকে (পোস্টাল ব্যালটে) ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে এই বিধান চালু হয়েছে।
আরও পড়ুন: যীশু খ্রীষ্ট শান্তি ও সত্যসন্ধানী ছিলেন: রাষ্ট্রপতি
নির্বাচন কমিশন থেকে এবারের সংসদ নির্বাচনে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে প্রচারণার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সভার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পোস্টাল ব্যালটে ভোটদানে উৎসাহিত করতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে প্রচারণার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
ইসির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি, যিনি ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে আগ্রহী, তাকে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপারের জন্য তার নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, আবেদনটিতে অবশ্যই ভোটারের নাম, ডাক ঠিকানা ও ভোটার তালিকার ক্রমিক নম্বর থাকতে হবে।
রাষ্ট্রপতির ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের বিষয়টি জনপ্রিয় করতে চায় নির্বাচন কমিশন। রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও তার সহধর্মিনী পাবনা সদরের ভোটার।
রিটার্নিং অফিসার সময়সীমার মধ্যে তাদের প্রাপ্ত পোস্টাল ভোটগুলো বিবেচনা করবেন এবং সেই ভোটগুলো গণনা করে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করবেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত সিজিএস-পিএসও’র সাক্ষাৎ
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এসএম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
৭২৬ দিন আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত সিজিএস-পিএসও’র সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সেনাবাহিনীর নবনিযুক্ত চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিজানুর রহমান শামীম সাক্ষাৎ করেছেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বঙ্গভবনে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, সাক্ষাৎকালে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান এবং নতুন সিজিএস ও পিএসও’র দায়িত্ব পালনে তার দিক-নির্দেশনা চান তারা।
আরও পড়ুন: যীশু খ্রীষ্ট শান্তি ও সত্যসন্ধানী ছিলেন: রাষ্ট্রপতি
নতুন সিজিএস ও পিএসওকে অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সেনাবাহিনীর উন্নয়নে তাদের মেধা, শ্রম ও দক্ষতা ইতিবাচক অবদান রাখবে।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের কল্যাণে বেসামরিক প্রশাসনের কার্যক্রমে সেনাবাহিনীর সহযোগিতা আরও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারিকুলের
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে কসোভোর বিনিয়োগকারীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
৭২৮ দিন আগে
যীশু খ্রীষ্ট শান্তি ও সত্যসন্ধানী ছিলেন: রাষ্ট্রপতি
ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ধর্ম উপলব্ধির বিষয়, তর্কের বিষয় নয়। তাই দেশ ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে কাজ করতে হবে।’
বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনের গ্যালারি হলে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি ও তার সহধর্মিনী ড. রেবেকা সুলতানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
ক্রিসমাস হলো যীশু খ্রীষ্টের জন্মোৎসব। ২৫ ডিসেম্বর ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্যে এ দিন উদযাপন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন সুখী-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন।
৭৩৪ দিন আগে
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত তারিকুলের
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. তারিকুল ইসলাম।
রবিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন জানান সাক্ষাৎকালে নতুন রাষ্ট্রদূত দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির দিক নির্দেশনা প্রত্যাশা করেন।
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
এ সময় রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক, ওষুধ, সিরামিকসহ বিভিন্ন পণ্যের ইন্দোনেশিয়ায় রপ্তানি বৃদ্ধিসহ দু'দেশের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য বিনিয়োগ সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে নতুন রাষ্ট্রদূতকে কাজ করার নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যবসায়ীদের পারস্পরিক সফর বিনিময়ের উপর জোর দেন রাষ্ট্রপতি।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
৭৩৬ দিন আগে
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগে কসোভোর বিনিয়োগকারীদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলসহ (এসইজেড) বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ করতে কসোভোর বিনিয়োগকারীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত কসোভোর রাষ্ট্রদূত গুনার উরেয়া বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে বলেন, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য কসোভোর বিদায়ী রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানান।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিশ্বের সব দেশের সঙ্গেই দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বাড়াতে আগ্রহী বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করুন: বিচারপতিদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে সহযোগিতা এবং বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিদ্যমান সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে রাষ্ট্রপতি দু'দেশের মধ্যে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে যোগাযোগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় বাংলাদেশ ও কসোভোর মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক আগামীতে আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন মোঃ সাহাবুদ্দিন।
সাক্ষাৎকালে কসোভোর বিদাইয়ী রাষ্ট্রদূত যোগাযোগ, অবকাঠামো উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন, তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রশংসা করেন।
তিনি দায়িত্ব পালনে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য রাষ্ট্রপতির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম এবং সচিব সংযুক্ত মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
৭৪১ দিন আগে
দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করুন: বিচারপতিদের প্রতি রাষ্ট্রপতির আহ্বান
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারকদের দ্রুত বিচারকাজ সম্পন্ন করার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বিচারকদের বলেন, ‘আপনারা আরও সতর্ক থাকবেন ন্যায়বিচারপ্রত্যাশীদের যাতে দিনের পর দিন আদালত থেকে ফিরে যেতে না হয়।’
সাহাবুদ্দিন সুপ্রিম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশের সংবিধান কার্যকর হয় এবং এর আলোকে ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৭২ সালের ১৯ ডিসেম্বর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের উদ্বোধন করেন।
সুপ্রিম কোর্টকে জাতির গৌরবের প্রতীক এবং সব পেশার মানুষের আস্থার প্রতীক উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট সাধারণ মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, যেখানে তারা ন্যায়বিচার ও অধিকার রক্ষার জন্য আসে।
আইনজীবীরা বিচার ব্যবস্থার অপরিহার্য অংশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, আইনজীবীদের সহযোগিতা ছাড়া বিচার কার্যক্রম কোনোভাবেই অগ্রসর হতে পারে না।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বিচারিক কাজে বেঞ্চ ও বারের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, আমাদের সংবিধান প্রণয়নের সময় দেশের বিশিষ্ট আইনজীবীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, যখনই প্রয়োজন আইনজীবীরা আদালতের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবং অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে তাদের মতামত দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আদালতকে সহায়তা করেছেন।
আরও পড়ুন: সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের মধ্যে বিচার বিভাগকে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ, সংবিধানের হেফাজতকারী এবং চূড়ান্ত ব্যাখ্যাকারী হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগীয় পর্যালোচনার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের রয়েছে। এই ক্ষমতা প্রয়োগ করে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রের অন্য দুটি অঙ্গকে নিষিদ্ধ করতে পারে।
মোঃ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘তবে এই দায়িত্ব অবশ্যই অত্যন্ত যত্ন সহকারে প্রয়োগ করতে হবে। রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য রাষ্ট্রীয় তিনটি অঙ্গ-লেজিসলেটিভ, এক্সিকিউটিভ ও জুডিশিয়ালের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা অত্যন্ত অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশে সামরিক শাসন জারি করে সংবিধান লঙ্ঘন করে গণতন্ত্রকে চিরতরে হত্যার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু স্বৈরশাসকরা সফল হননি।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘স্বৈরশাসকরা তাদের পতনের আগে সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী পাস করার জন্য সংসদকে অবৈধভাবে ব্যবহার করে তাদের সব অপকর্মকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট তা অনুমোদন করেনি।’
সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকার প্রশংসা করে তিনি বলেন, সংবিধানের পঞ্চম ও সপ্তম সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে দেশের জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে সুপ্রিম কোর্ট।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক যেকোনো আইনকে খর্ব করতে সুপ্রিম কোর্ট সবসময়ই বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছে এবং বাংলাদেশের সংবিধান সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে অভিভাবক হিসেবে বিভিন্ন ব্যাখ্যা দিয়ে ঐতিহাসিকভাবে আইনের শাসন নিশ্চিত করেছে।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারক কমিটির সভাপতি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন ও আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও নেতাদের সম্পৃক্ত করুন: রাষ্ট্রপতি
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলুন: রাষ্ট্রপতি
৭৪১ দিন আগে
অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ: যুবাদের অভিনন্দন জানালেন রাষ্ট্রপতি
অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনূর্ধ্ব ১৯ দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতির শোক
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় অনূর্ধ্ব ১৯ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, ক্রিকেটে বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে লায়ন্স ক্লাবের আন্তর্জাতিক প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
৭৪২ দিন আগে
সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সেনা মোতায়নে সম্মতি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সেনা মোতায়নের অনুরোধ জানালে তিনি সম্মতি দেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন ব্রিফিংয়ে জানান, সাক্ষাৎকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে সেনা মোতায়েনের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ জানান।
আরও পড়ুন: সেনা মোতায়েনের নীতিগত অনুমোদন রাষ্ট্রপতির: ইসি সচিব
নির্বাচন পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে আইন-শৃঙ্খলা ও নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সেনা মোতায়েনে নির্বাচন কমিশনের অনুরোধে সম্মতি জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে সকল পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তীতে সেনা মোতায়েনের তারিখ ও সময় জানানো হবে ।
এছাড়া সাক্ষাৎকালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
কমিশনের সার্বিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
রাষ্ট্রপতি আশা করেন সকলের সহযোগিতায় দেশে একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ সময় রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও নেতাদের সম্পৃক্ত করুন: রাষ্ট্রপতি
৭৪৩ দিন আগে
বঙ্গভবনে বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন রাষ্ট্রপতির
দেশের ৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার বঙ্গভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা।
এদিন বিকালে রাষ্ট্রপতি ভবনের সবুজ লনে অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানা।
বিকাল ৩টা থেকে ৪টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠানে জাতীয় সংসদের (সংসদ) স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ কয়েক হাজার অতিথি উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, উপদেষ্টা, প্রতিমন্ত্রী, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধান, সংসদ সদস্য, সিনিয়র রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষাবিদ, ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নেতা, শিল্পী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্য এবং বিশিষ্ট নাগরিকেরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস: জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতির শ্রদ্ধা
শীর্ষস্থানীয় বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সংবাদপত্রের সম্পাদক ও সাংবাদিক নেতারাও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ উপলক্ষে কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এসময় তারা আহত মুক্তিযোদ্ধা এবং অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তি ও অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সকাল ৬টা ৩৩ মিনিটে বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ ও বিমান বাহিনীর একটি দল রাষ্ট্রীয় সালাম দেন।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে দেশের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
সেখানে রাখা দর্শনার্থী বইতেও সই করেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব ও নেতাদের সম্পৃক্ত করুন: রাষ্ট্রপতি
উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে দুর্নীতিবিরোধী সক্রিয় প্রচেষ্টার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
৭৪৩ দিন আগে