���������������������������������-������������������������
গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলে: রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন জনগণের কল্যাণে সরকারের গ্রহণ করা কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর জন্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই সরকারি কর্মকর্তা হওয়ায় দেশের নিয়মকানুন, প্রবিধান ও সংবিধান মেনে দায়িত্ব পালন করবেন।’
বুধবার (২৯ নভেম্বর) ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কোর্সের (ডিএসসিএসসি) গ্র্যাজুয়েশন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এই অনুষ্ঠানে ২৪টি দেশের ৪৯ জনসহ মোট ২৫৭ জন কর্মকর্তা গ্র্যাজুয়েট হন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সবসময় মনে রাখবেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলে।’
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। স্বাধীনতার পর জাতির পিতা শক্তিশালী সামরিক বাহিনী গঠনকে অগ্রাধিকার দেন এবং ১৯৭৪ সালে প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেন। এর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সরকার সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে 'ফোর্সেস গোল-২০৩০' প্রণয়ন করে।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, সরকারের যথাযথ কাজ হলো জনগণের পক্ষে ভালো কাজকে সহজ করা এবং মন্দ কাজকে কঠিন করা।
জনগণের জীবনমান উন্নয়নে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধু সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘স্বাধীনতার সাড়ে ৩ বছরের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর গতিশীল নেতৃত্বে অর্থনীতি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সব সূচক ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাচ্ছিল।’
আইনের শাসন, ব্যক্তিগত স্বাধীনতার নিশ্চয়তা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার, মূল্যবোধ ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল স্থিতিশীলতার ভিত্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা ছাড়া অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি ছাড়া স্বাধীনতা জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে পারে না।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ৩ বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, ‘আইনের শাসনের অনুপস্থিতিতে সমাজ সঞ্চয়, অধ্যবসায়, সৃজনশীলতা ও উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে ব্যক্তির ত্যাগের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে পারে না।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘একবিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জগুলো গতিশীল ও বহুমুখী এবং প্রচলিত হুমকি থেকে শুরু করে অপ্রচলিত হুমকি পর্যন্ত। কঠোর প্রশিক্ষণ আপনাদের নানা জটিল চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও জ্ঞানার্জনের সুযোগ করে দিয়েছে।’
ডিএসসিএসসিকে বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের ক্ষুদ্ররূপ; বিভিন্ন পটভূমি, সংস্কৃতি ও দৃষ্টিকোণ থেকে সামরিক নেতাদের একত্রিত করার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে গড়ে ওঠা বন্ধন সদিচ্ছা বাড়িয়ে তুলবে।।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল মো. ফয়জুর রহমান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিএজির মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ন্যাশনাল ডিফেন্স ও আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্সের প্রশিক্ষণার্থীদের সাক্ষাৎ
ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ন্যাশনাল ডিফেন্স কোর্স এবং আর্মড ফোর্সেস ওয়ার কোর্স ২০২৩ এ অংশগ্রহণকারীরা আজ বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
বন্ধুপ্রতিম ১৭ টি দেশের ২৯ জন সামরিক কর্মকর্তাসহ দেশের ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ উক্ত প্রশিক্ষণে অংশ নেন।
বঙ্গভবনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাক্ষাৎ সম্পর্কে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সশস্ত্র বাহিনী দিবস: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ৩ বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের অভিনন্দন জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ উন্নয়ন, অগ্রগতি ও শান্তিতে বিশ্বাসী। অর্থনৈতিক এবং তথ্যপ্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান অগ্রগতির ফলে বর্তমান বিশ্ব অনেক জটিল এবং পরস্পর সংযুক্ত।’
পরিবর্তনশীল এই বিশ্বে জাতীয় উন্নয়নের পাশাপাশি জাতীয় নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তা সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিএজির মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতি প্রশিক্ষণার্থীদেরকে উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদেরকে সুশাসন নিশ্চিতে কাজ করতে হবে। আইনের শাসন ও মানবাধিকার হবে আপনাদের কার্যপরিচালনার পথনির্দেশক।’
পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদানে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভূমিকার প্রশংসা করে মো. সাহাবুদ্দিন আশা প্রকাশ করেন, প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীরা তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবেন।
অনুষ্ঠানে ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডেন্ট এয়ার ভাইস মার্শাল মো. কামরুল ইসলাম ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
পরে, প্রশিক্ষণার্থীদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশ নেন রাষ্ট্রপতি।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ৩ বাহিনী প্রধানের সাক্ষাৎ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মো. নাজমুল হাসান ও বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান।
মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান বাহিনীর প্রধানরা।
সাক্ষাৎকালে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানরা সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচিসহ তাদের স্ব স্ব বাহিনীর কার্যক্রম সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
দিবসটি উপলক্ষে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, দেশ গঠনে ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশের উন্নয়নসহ যেকোনো প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা অব্যাহত প্রয়াস চালাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
এসময় রাষ্ট্রপতির সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিএজির মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিএজির মহাপরিচালকের সাক্ষাৎ
সরকারি অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের (সিএজি) কার্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
সিএজির মহাপরিচালক মো. নুরুল ইসলাম রবিবার (১৯ নভেম্বর) বিকালে বঙ্গভবনে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই সরকারের ব্যয় আগের তুলনায় কয়েকগুণ বেড়েছে।
তিনি সরকারি তহবিলের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে স্বাধীন পর্যবেক্ষণের ওপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বৈঠকে সিএজি রাষ্ট্রপতিকে তার কার্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে জানান।
এছাড়া তিনি অডিট আপত্তি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে জানান।
তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে পেনশন ব্যবস্থা সহজ করার জন্য তাদের গৃহীত পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন।
বৈঠকে সংশ্লিষ্ট সচিবরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন সিইসি
সতর্ক থাকুন, আগামী নির্বাচন যাতে বানচাল না হয়: প্রধানমন্ত্রী
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎ শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী তার সাম্প্রতিক বেলজিয়াম ও সৌদি আরব সফরসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার ব্রাসেলস ও জেদ্দা সফর বিষয়ে দু’টি প্রতিবেদনও রাষ্ট্রপতির কাছে হস্তান্তর করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেইনের আমন্ত্রণে 'গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে' যোগ দিতে ৩ দিনের সরকারি সফরে গত ২৪ অক্টোবর বেলজিয়াম যান।
আরও পড়ুন: স্পিকারের সঙ্গে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
পরে, তিনি জেদ্দায় ৬-৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ‘ইসলামে নারী: মর্যাদা ও ক্ষমতায়ন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সৌদি আরব সফর করেন।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সাম্প্রতিক সফল বিদেশ সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
প্রেস সচিব বলেন, সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী একে অপরের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে বাইপাস সার্জারি করায় প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতির দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
প্রধানমন্ত্রীও রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধান বিচারপতির সাক্ষাৎ
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন সিইসি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে কমিশনের একটি প্রতিনিধি দল।
আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সাক্ষাৎকালে সিইসি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, ‘সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছে। নির্বাচনকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে নির্বাহী বিভাগসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’
উক্ত সাক্ষাৎ সম্পর্কে জানান রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জনগণের মতামত প্রতিফলনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন এবং প্রতিনিধির মাধ্যমেই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়ে থাকে।
সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করে উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণতন্ত্র ও উন্নয়ন একসঙ্গে চলে। দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হলে দেশের গণতান্ত্রিক ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান সিইসির
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় সায়মা ওয়াজেদকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক নির্বাচিত হওয়ায় সায়মা ওয়াজেদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) এক অভিনন্দন বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, এ বিজয় শুধু তার একার বিজয় নয়, বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের বিজয়। এ বিজয়ে আমরা গর্বিত।
আরও পড়ুন: মালদ্বীপের নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, সায়মা ওয়াজেদ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নির্বাচিত হওয়ায় এ অঞ্চলের দেশগুলোর মানসিক স্বাস্থ্য ও অটিজমসহ সামগ্রিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে বাংলাদেশে যে নবযাত্রা শুরু হয়েছে, এ বিজয়ের ফলে তা আরও বেগবান হবে।
আরও পড়ুন: পাঠদান পদ্ধতিকে আন্তর্জাতিক মানের করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
সিঙ্গাপুর থেকে বুধবার দেশে ফিরছেন রাষ্ট্রপতি
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বুধবার (১ নভেম্বর) দেশে ফিরবেন।
রাষ্ট্রপতিকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন ইউএনবিকে বলেন, রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা ভ্রমণের জন্য যথেষ্ট ভালো।
সোমবার (৩০ অক্টোবর) সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে রাষ্ট্রপতির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়।
আরও পড়ুন: তফসিল ঘোষণার বিষয়ে আলোচনা করতে ৫ নভেম্বর রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে সিইসি’র নেতৃত্বাধীন কমিশন
প্রেস সচিব আরও জানান, রিপোর্ট পর্যালোচনা শেষে চিকিৎসকরা রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থার অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
পরে অস্ত্রোপচারের পর রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা পর্যালোচনার জন্য চিকিৎসকদের একটি বোর্ড সভা গঠন করা হয়। বিভিন্ন রিপোর্ট ও শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে ১ নভেম্বরের মধ্যে রাষ্ট্রপতি উড়োজাহাজে ভ্রমণ করতে পারবেন বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৮ অক্টোবর সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে রাষ্ট্রপতির বাইপাস সার্জারি সফলভাবে সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: চিকিৎসা শেষে ১ নভেম্বর দেশে ফিরবেন রাষ্ট্রপতি
সিঙ্গাপুরে হোটেল থেকে দাপ্তরিক কাজ করছেন রাষ্ট্রপতি: প্রেস সচিব
সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন হোটেল থেকে এখন দাপ্তরিক কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন বলেছেন, সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে বাইপাস সার্জারির পর রাষ্ট্রপতির শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে আরও উন্নতি হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এখন হাঁটাচলা ও স্বাভাবিক কাজ করছেন।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে হোটেলে ফিরেছেন রাষ্ট্রপতি
এদিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সে দেশের প্রেসিডেন্ট থারমান শানমুগারাতনাম।
রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট তার সুস্থতা ও আশু আরোগ্য কামনা করেন।
শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে ফুল ও ফলের ঝুড়ি পাঠান সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি বুধবার হাসপাতাল থেকে হোটেলে ফিরবেন
রাষ্ট্রপতি এখন কেবিনে সীমিত আকারে চলাফেরা করতে পারছেন: প্রেস সচিব
সতর্ক থাকুন, আগামী নির্বাচন যাতে বানচাল না হয়: প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে কেউ বানচাল করতে না পারে বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন আসন্ন। 'কেউ যাতে নির্বাচন বানচাল করতে না পারে বা প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বেলজিয়ামে তার হোটেল থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আর্টস থিয়েটার 'ইস্পেস লুমেন'-এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বেলজিয়াম শাখার আয়োজনে অনুষ্ঠানে বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।
গত ১৫ বছরে বাংলাদেশের অর্জিত ব্যাপক উন্নয়ন সাফল্য ও অর্জন জনগণের সামনে তুলে ধরতে এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের বিরুদ্ধে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তাতে কান না দিতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন আসন্ন, তাই বাংলাদেশের বিগত ১৫ বছরের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরুন। অপপ্রচারে কান দেবেন না।’
খুনি ও সন্ত্রাসীদের কেউ যেন জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর ছিনিমিনি খেলতে না পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা যদি আবার অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হয়, তাহলে একজন মানুষও রেহাই পাবে না।’
আরও পড়ুন: গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরামে যোগ দিতে ব্রাসেলসের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশিদের ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার এখন রেমিট্যান্স প্রবাহে ৫ শতাংশ প্রণোদনা দিচ্ছে।
তিনি বলেন, জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়ন পেয়েছে। তাই দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিন।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বসবাসরত জনগণের সঙ্গে কথা বলার সময় প্রবাসীদের নৌকা প্রতীকে ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি বলেন, আন্তরিকতা, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা এবং সে অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে আমরা বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি।
১৯৭৫-১৯৯৬ এবং ২০০১-২০০৯ সাল পর্যন্ত ২৯ বছরে বিএনপি-জামায়াতসহ অন্যান্য সরকার বাংলাদেশের উন্নয়নে কী করেছে সেই প্রশ্নও তোলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন,‘২৯ বছর মানুষ অন্ধকার ও দুর্ভোগের মধ্যে ছিল।’
আরও পড়ুন: আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইইউ’র সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'তাদের হাতে বাংলাদেশের কোনো ভবিষ্যত নেই এবং তারা বাংলাদেশের জনগণের কথা চিন্তা করে না।’
প্রধানমন্ত্রী ঐতিহাসিক ছয় দফা দাবি ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধসহ সকল সংগ্রামে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অবদানের কথা স্মরণ করেন।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালে ৪১ শতাংশ থেকে কমে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে এসেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো চরম দরিদ্র থাকবে না, কারণ সরকার চরম দরিদ্রদের কষ্ট লাঘব করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে উন্নতমানের জাহাজ নির্মাণে বেলজিয়ামকে আমন্ত্রণ প্রধানমন্ত্রীর