সিনোভ্যাকের মেডিকেল ডিরেক্টর গেং জেং এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ৫৫০ জনেরও বেশি মানুষের উপর এ ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা করা হয়।
চীনে ইতিমধ্যেই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি কীভাবে কাজ করে তা জানতে আরও পরীক্ষা প্রয়োজন।
চীনসহ বিশ্বব্যাপী ৭০ মিলিয়নেরও বেশি সিনোভ্যাক টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে।
গেং বলেন, ট্রায়ালে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে ৩ ও ৬ বছরের দুই শিশুর খুব জ্বর আসে। বাকিদের হালকা উপসর্গ দেখা দেয়।
রাষ্ট্র মালিকানাধীন সিনোফার্মের দুটি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন শিশুদের ক্ষেত্রে কতটা কার্যকর তা জানতে পরীক্ষা চলছে।
জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় (জেএইচইউ) থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কোভিড-১৯ মহামারির থাবায় বিশ্বজুড়ে ১২ কোটি ৩৬ লাখেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সেই সাথে মৃতের সংখ্যা ২৭ লাখ ২২ হাজার ছাড়িয়েছে।
জেএইচইউ এর তথ্য অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৭ লাখ ২২ হাজার ৭১৫ জনে। এছাড়া, ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৭৬ হাজার ২৩৬ জনে।
চীনের উহানে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। গত বছরের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে মহামারি ঘোষণা করে। এর আগে একই বছরের ২০ জানুয়ারি জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৯৮ লাখ ৬৭ হাজার ৬৯০ জন করোনায় আক্রান্ত এবং ৫ লাখ ৪২ হাজার ৮৮৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।
ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল আক্রান্ত ও মৃত্যুর দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগী এক কোটি ২০ লাখ ৪৭ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মৃত্যু হয়েছে ২ লাখ ৯৫ হাজার ৪২৫ জনের।
পৃথিবীর দ্বিতীয় জনবহুল দেশ ভারত করোনায় আক্রান্ত দেশের তালিকায় তৃতীয় এবং মৃত্যু নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে।
দেশটিতে মোট আক্রান্ত এক কোটি ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে এবং মারা গেছেন ১ লাখ ৫৯ হাজার ৯৬৭ জন। মৃতের দিক দিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মেক্সিকো। দেশটিতে মারা গেছেন ১ লাখ ৯৮ হাজার ২৩৯ জন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন স্থগিতের কোনো পরিকল্পনা নেই: স্বাস্থ্য সচিব