বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, ট্রাক চলাচল বন্ধ থাকায় বেনাপোল স্থলবন্দরে কোনো মালামাল লোড-আনলোড ও খালাস হয়নি। এছাড়া পণ্য লোড করার জন্য বন্দরের সামনে শত শত খালি ট্রাক অবস্থান করছে। দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যসহ পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকলেও ভারত থেকে আমদানি পণ্য বন্দরে আনলোড করা সম্ভব হয়নি।
বেনাপোর ট্রান্সপোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আজিম উদ্দিন গাজী জানান, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান ধর্মঘটের কারণে বেনাপোল বন্দরে পণ্যপরিবহনের জন্য ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানের ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। ১৭ হাজার টাকার ভাড়া এখন ২৭ হাজার টাকা পড়ছে। তবুও পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাক পাওয়া যাচ্ছে না।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, পরিবহন শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটের কারণে পণ্য আমদানি-রপ্তানিকারকরা ঠিক সময়ে মালামাল ডেলিভারি নিতে পারছেন না। এতে সরকার প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২০ কোটি টাকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের সহকারী কমিশনার উত্তম চাকমা বলেন, গত সাত দিনে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ২ হাজার ৮শ ভারতীয় পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে। একই সময়ে বেনাপোর বন্দর থেকে ৩ হাজার ৩শ ট্রাক আমদানিকৃত পণ্য খালাস হয়েছে। গত এক সপ্তাহে বেনাপোল কাস্টমস হাউজের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯০ কোটি টাকা। লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ৬২ কোটি টাকা।