তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পরই এ আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল। এ সরকার আবারও নানা কৌশলে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে চায়। এ জন্যই কি দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল? আমরা এ স্বাধীনতা চাইনি।’
সোমবার সন্ধ্যায় ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বিএনপির কর্মী সভায় মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
এ সরকারের আমলে বিএনপির ২৬ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা এবং এক হাজারেরও অধিক গুম হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
‘দেশের মানুষের নিরাপত্তা নেই। খুনের বিচার হয় না। কথা বলার স্বাধীনতা নেই। গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছে। ফসলের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না কৃষক,’ যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
দেশে স্বৈরাচারের ঠাঁই হবে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, ‘অতীতে কোনো স্বৈরাচার এ দেশে টিকে থাকতে পারেনি। এ সরকারও পারবে না। তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে।’
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে ‘গণতন্ত্রের মা’ হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যে নেত্রী কারাগারে বন্দী ছিলেন এবং স্বামীর মৃত্যুর পর গণতন্ত্রের জন্য ৯ বছর সংগ্রাম করেছেন, তিনি এখন জেলের অন্ধকারে বসে গণতন্ত্র ও দেশের মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।
‘তাই ঘরের মধ্যে সভা সমাবেশ করলেই হবে না। খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম করতে হবে। মানুষকে জাগাতে হবে, রাজপথে বের করে আনতে হবে। এ জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তরুণরাই পারে এ দেশের পরিবর্তন ঘটাতে,’ যোগ করেন তিনি।
দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত এমপি জাহিদুর রহমান বিএনপিতে ছিলেন এবং আগামীতেও থাকবেন। তবে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে তিনি শপথ নিয়েছিলেন। এ জন্য দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।