সিলভা দ্যপাপার ডটকমকে এক সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমরা কোভিড টাস্কফোর্সের কাছ থেকে যে বার্তা পাব তা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে জানানো হবে। এরপর আমরা তাদের জবাব পাওয়ার পর যদি (বিসিবি) টাস্কফোর্সের দেয়া নির্দেশিকা মানতে রাজি না হয়, তবে এই সফরটি স্থগিত করে পরবর্তী বছর এই সময়ে পুনরায় নির্ধারণ করা হতে পারে।’
এসএলসি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবারও নিশ্চিত করেছেন যে, তারা মন্ত্রণালয়গুলোর সাথে বাংলাদেশ সিরিজ এবং তাদের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ নিয়ে যে আলোচনা করেছেন, তা 'খুব ফলপ্রসু হয়েছে' তবে যারা এখানে আসবে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
২৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। এসএলসি সেক্রেটারি মোহন ডি সিলভা আশাবাদী যে পরিস্থিতি দ্রুত সমাধান হলে বাংলাদেশ দল যথাসময়ে শ্রীলঙ্কায় পৌঁছে যাবে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সাথে এখনও আলোচনা চলছে।
মোহন বলেন, ‘আমরা তাদের সাথে (বিসিবি) আলোচনা করছি এবং তারা আমাদের তাদের রিক্যুয়ারমেন্ট প্রেরণ করেছে। মহামারি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা অত্যন্ত ভালো করেছি এবং সেজন্য আমাদের কঠোর স্বাস্থ্য নির্দেশিকা এবং প্রোটোকল অনুসরণ করতে হবে। কর্তৃপক্ষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পুনরায় শুরু করতে আমাদেরকে প্রচুর উৎসাহ দিচ্ছে। আমরা তাদের সাথে আলোচনা করছি এবং আমি নিশ্চিত যে আমরা এটি সমাধান করতে সক্ষম হব এবং বাংলাদেশ দল দেরি না করে শ্রীলঙ্কায় আসবে।’
বিসিবি এইচপি দলকে জাতীয় দলের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কায় পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু কঠোর প্রোটোকল থাকায় সেটিও বাতিল করা হয়।
এর আগে বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান বলেন, ‘শ্রীলঙ্কা আমাদের যে শর্তাদি পাঠিয়েছে, তা অনুসরণ করা সম্ভব নয়। সুতরাং আমরা মনে করি, বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সিরিজটি সম্ভব নয়। আমরা তাদের আমাদের অবস্থান জানাতে প্রস্তুত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আগে যা ভেবেছিলাম তা থেকে বর্তমান পরিস্থিতি আলাদা। আমাদের মনে হয়, ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করা অন্যান্য দেশগুলোর চেয়ে তাদের (শ্রীলঙ্কা) ব্যবস্থা আলাদা।’
বিসিবি ইতোমধ্যে কয়েকবার করোনাভাইরাস পরীক্ষার মাধ্যমে ২৭ সদস্যের স্কোয়াড নিয়ে দক্ষতা প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু করেছে। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দীর্ঘ ছয় মাস বিরতির পর শ্রীলঙ্কা সফরটি টাইগারদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসার সুযোগ করে দেয়। তবে সিরিজের ভাগ্য এখন অনিশ্চয়তায় পড়েছে। দুই বোর্ড যদি ঐক্যমত্যে আসতে না পারে তাহলে খেলোয়াড়দের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আরও কিছুদিন দূরে থাকতে হবে।