সেইসাথে লকডাউন ঘোষিত এলাকায় স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য জরুরি সেবা নিশ্চিত করারও তাগিদ দেন দিয়েছেন তিনি।
বুধবার রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারে চলমান লকডাউন কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন বলেন তিনি।
লকডাউন এলাকায় টেলিমেডিসিন সেবা চালু করার ওপর গুরুত্বারোপ করে মন্ত্রী বলেন, জরুরি সেবা দেয়ার জন্য এসব এলাকায় অ্যাম্বুলেন্স সবসময় প্রস্তুত রাখতে হবে, যাতে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেয়া সম্ভব হয়।
তিনি আরও বলেন, লকডাউন এলাকায় গরীব দুস্থ, খেটে খাওয়া মানুষের বাড়িতে বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। আর সামর্থ্যবানদের কাছেও খাদ্যসামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পূর্ব রাজাবাজারে লকডাউন কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এখানে পরীক্ষামূলকভাবে লকডাউন করা হয়েছে এবং এখানকার অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে যেখানে লকডাউন প্রয়োজন সেখানে তা গ্রহণ করার পদক্ষেপ নেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, মানুষের জীবন-জীবিকার কথা বিবেচনায় নিয়ে ইউরোপসহ যেসব দেশে করানোভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছে তারাও সবকিছু চালু করছে। কারণ মানুষকে ও দেশের অর্থনীতিকে বাঁচাতে এর বিকল্প নেই।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরে বেশি সংক্রমিত এলাকাগুলোতে পূর্ব রাজাবাজারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সামনে এগিয়ে গেলে প্রাণঘাতী এ ভাইরাস মোকাবিলা করা সম্ভব।
এসময় উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ, লকডাউন কাজে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, মহামারি করোনাভাইরাসে দেশে বুধবার পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৪৩ জন মারা গেছেন এবং ৪০০৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নতুন আক্রান্তসহ এখন পর্যন্ত দেশে করোনার শিকার হয়েছেন ৯৮ হাজার ৪৮৯ জন। আর মোট মারা গেছেন এক হাজার ৩০৫ জন। করোনায় নতুন যে ৪৩ জন মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২৮ জন এবং নারী ১৫ জন।
এদিকে, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও ১৯২৫ জন। এ নিয়ে দেশে মোট সুস্থ ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ১৮৯ জন।
বিশ্ব পরিস্থিতি: জন্স হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বুধবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ লাখ ৪১ হাজার ৪৩৯ জনে। এছাড়া, প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ লাখ ৫২ হাজার ৮৮৫ জন।
জেএইচইউর তথ্য অনুসারে, বুধবার পর্যন্ত ব্রাজিল ও রাশিয়া যথাক্রমে ৯ লাখ ২৩ হাজার ১৮৯ জন এবং ৫ লাখ ৪৪ হাজার ৭২৫ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীন থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী এ পর্যন্ত ২১৩টিরও বেশি দেশে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। গত ১১ মার্চ করোনাভাইরাস সংকটকে মহামারি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।