বুধবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ২০৩০ সালের মধ্যে কুষ্ঠ রোগ নির্মূল বিষয়ক জাতীয় সম্মেলন ২০১৯ উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হয়, তবে তাকে সমাজ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া উচিৎ, আমাদের এই মনোভাব ত্যাগ করতে হবে।’
তিনি বলেন, কেউ কুষ্ঠরোগে আক্রান্ত হলে তাকে চাকরি থেকে বাদ না দিয়ে চিকিত্সার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা উচিৎ। কুষ্ঠ রোগীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে হবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) তথ্যমতে, হ্যানসেনের রোগ হিসেবে পরিচিত কুষ্ঠ হচ্ছে মাইকোব্যাক্টেরিয়াম লেপ্রি ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট একটি দীর্ঘস্থায়ী সংক্রামক রোগ, যা প্রধানত ত্বক, পেরিফেরাল স্নায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে। কুষ্ঠরোগ নিরাময়যোগ্য ও দ্রুত চিকিত্সা করা গেলে প্রতিবন্ধিতা এড়ানো সম্ভব।
কুষ্ঠ রোগের ওষুধ তৈরি করতে স্থানীয় ওষুধ কোম্পানিগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অনেক ওষুধ কোম্পানি রয়েছে যারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওষুধ রপ্তানি করে এবং তাদের ওষুধের মান খুবই ভাল। তাই আমি তাদেরকে বিশেষায়িত ওষুধ তৈরি করার জন্য অনুরোধ জানাতে চাই যা কুষ্ঠ রোগীদের জন্য দরকার। এসব ওষুধ রোগীদের মধ্যে বিনামূল্যে বিতরণ করার ব্যবস্থা করুন, যা দ্রুত আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়ক হবে।’
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে আরও বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শেখ ফজলুল করিম সেলিম এবং কুষ্ঠ নির্মূলের ডব্লিইএইচও’র শুভেচ্ছা দূত ইয়োহি সাসাকাওয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম।