প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের বলেন, চালনা পোর্ট অর্ডিনেন্স ১৯৭৬ বাতিলের লক্ষ্যে এই বিলটি মন্ত্রিসভায় উত্থাপন করা হয়েছিল। কেননা এটি সামরিক শাসনামলে চালু হয়েছিল।
তিনি বলেন, বিল অনুযায়ী পানিতে, সৈকতে, তীরে অথবা ভূমিতে কোনো বর্জ্য, ছাই, তৈল বা তৈল জাতীয় পদার্থ বা অন্য কিছু ফেলে, পরিবেশের ক্ষতি করলে এক বছরের কারাদণ্ড অথবা ৫ লাখ টাকার অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এটা আগে ছিল শুধু ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
বিলে অন্তর্ভুক্ত করা নতুন বিধান অনুসারে বন্দরের টোল, ফি ও অন্যান্য চার্জ নিয়ে কারসাজির শাস্তি এক বছরের জেল বা এক লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড, যোগ করেন তিনি।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি আইন লঙ্ঘন করে, তার জন্য ৬ মাসের কারাদণ্ড অথবা দুই লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এটা আগে ছিল ৬ মাসের জেল এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।
তিনি বলেন, পাশাপাশি বিদ্যমান আইনে ‘অভ্যন্তরীণ নৌযান’ এই শব্দটির কোনো সংজ্ঞা ছিল না; এখন তা যুক্ত হচ্ছে। টার্মিনালও সংজ্ঞায়িত করা হচ্ছে নতুন আইনে।
বিল অনুযায়ী বন্দর কর্তৃপক্ষকে পরিচালনা করার জন্য সাত সদস্যের বোর্ড থাকবে। বিদ্যমান আইনে রয়েছে চার সদস্যের বোর্ড।
শফিউল আলম বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি বিশেষ আদেশের মাধ্যমে সংরক্ষিত বন্দর অঞ্চল ঘোষণা করতে পারবে।