নওগাঁর পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্তে বৃহস্পতিবার ভোরে বিএসএফ এর গুলিতে তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন।
তারা হলেন- গরু ব্যবসায়ী সন্দিপ কুমার (২৮), কামাল হোসেন (৩২) ও মফিজ উদ্দিন (৩৮)।
পোরশা উপজেলার ১৬ বিজিবির হাঁপানিয়া ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার মোখলেছুর রহমান জানান, বুধবার দিবাগত গভীর রাতে ১৪/১৫ জনের একটি গরু ব্যবসায়ীর দল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে গরু আনতে যান।
ভোর ৬টার দিকে ভারতের ১৫৯ বিএসএফ ক্যাদারীপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এসময় অন্যরা পালিয়ে আসলেও গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন মারা যান বলে জানান তিনি।
বিজিবি কর্মকর্তা আরও জানান, মফিজ উদ্দিনের লাশ বাংলদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টের কাছে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। সন্দিপ কুমার ও কামাল হোসেনের লাশ ভারতের অভ্যন্তরে রয়েছে।
এ ব্যাপারে নওগাঁ ১৬ বিজিবির উপ অধিনায়ক মেজর আহসান হাবিব বলেন, সীমান্তে তিন বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ীকে হত্যার ব্যাপারে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফ এর প্রতি কঠোর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
নিহতদের লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে বিএসএফকে চিঠি দেয়া হয়েছে এবং বিকালে পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত এলাকার জিরো পয়েন্টে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে যশোরের শার্শা উপজেলার অগ্রভুলোট সীমান্তে বুধবার হানেফ আলী খোকা (৩৫) নামে এক গরুর রাখাল বিএসএফ এর নির্যাতনে নিহত হয়েছেন। নিহত হানেফ আলী শার্শার অগ্রভুলোট গ্রামের শাজাহান আলীর ছেলে।
নিহত হানেফ আলীর চাচা শহিদুল ইসলাম জানান, ভারতের বন্যা বাড়ীয়া ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা বুধবার দুপুরে তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলার পর বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তারা জানতে পারেন।
অগ্রভুলোট বিজিবি ক্যাম্প ইনচার্জ নায়েব সুবেদার মোজাম্মেল হোসেন জানান, নিহতের বাবা শাজাহান আলী ক্যাম্পে এসে জানানোর পর বিএসএফকে পতাকা বৈঠকের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এর আগে বুধবার সকালে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আমঝোল সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে দুই বাংলাদেশি গরু ব্যবসায়ী নিহত হন।
তারা হলেন- গুতামারি ইউনিয়নের পূর্ব অমঝোল গ্রামের উসমান আলীর ছেলে সুরুজ মিয়া ও শাহজাহান আলীর ছেলে সুরুজ আলী। তারা দুজনই একই গ্রামের বাসিন্দা।
অন্যদিকে মঙ্গলবার গভীর রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলার মোমিনপাড়া সীমান্তে বিএসএফ এর গুলিতে আরও এক বাংলাদেশি নিহত হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়।
নিহত হাসান আলী (২৫) পঞ্চগড় সদর উপজেলার হাড়িভাসা ইউনিয়নের খালপাড়া গ্রামের তবিবর রহমানের ছেলে।