বাড্ডা থানার ওসি পারভেজ ইসলাম জানান, র্যাব বাদী হয়ে রবিবার বিশেষ ক্ষমতা আইন, মাদক আইন এবং অস্ত্র আইনে বাড্ডা থানায় মামলা তিনটি দায়ের করেছে।
এর আগে এদিন গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করে র্যাব। শনিবার অভিযান চালিয়ে বাড্ডার বাসা তাকে আটক করা হয়।
ওসি জানান, রিমান্ড আবেদন জানিয়ে তাকে আদালতে হাজির করা হবে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে অস্ত্র, মাদকসহ ‘গোল্ডেন মনির’ আটক
এর আগে শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে স্থানীয়ভাবে ‘গোল্ডেন মনির’ নামে পরিচিত ওই ব্যবসায়ীকে আটক করে র্যাব। অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক ও বিপুল পরিমান বিদেশি মুদ্রা উদ্ধারের দাবি করে র্যাব।
১০ দেশের ৯ লাখ টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা, ৮ কেজি ওজনের ৬০০ তোলা স্বর্ণ এবং নগদ ১.৯ কোটি টাকা তার বাসা থেকে উদ্ধারের কথা জানায় এই এলিট ফোর্স।
র্যাব জানায়, মনির ১৯৯০-এর দিকে গাউসিয়া মার্কেটের এক দোকানে বিক্রয় কর্মী ছিলেন এবং পরে তিনি ক্রোকারিজ ও লাগেজের ব্যবসা শুরু করেন। তিনি কর ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন দেশ থেকে পণ্য আমদানি করতেন। পরে ঢাকা-সিঙ্গাপুর ও ভারতের মধ্যে স্বর্ণ চোরাচালানে জড়িয়ে যান।
মনিরের নামে বাড্ডা, নিকুঞ্জ, উত্তরা ও কেরানীগঞ্জে ২০০ প্লট এবং তিন কোটি টাকা মূল্যের একটি বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে।
গোল্ডেন মনির হিসেবে পরিচিত মনির হোসেন একজন হুন্ডি ব্যবসায়ী ও জমির দালাল। তার মোট সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা।