গোল্ডেন মনির
মাদক মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে আদালত। এর ফলে মামলার আনুষ্ঠানিকভাবে এই মামলার বিচার শুরু হলো। বৃহস্পতিবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম আসামির অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ২ নভেম্বর দিন ধার্য করেন।
২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র আইনের পৃথক দুই মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল মালেক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর মেরুল বাড্ডার ডিআইটি প্রজেক্টের বাসায় অভিযান চালিয়ে গোল্ডেন মনিরকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। ওই সময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, কয়েক রাউন্ড গুলি, বিদেশি মদ এবং প্রায় ১০টি দেশের বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা (৯ লাখ টাকা সমমূল্যের) জব্দ করা হয়। তার বাসা থেকে আট কেজি স্বর্ণ ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকাও জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন:কক্সবাজারে ৭ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার বিজিবির
এদিন আসামি গোল্ডেন মনিরকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তার উপস্থিতিতে অভিযোগ গঠন শুনানি হয়।
এসময় আসামিপক্ষের আইনজীবী তাকে নির্দোষ দাবি করে মামলা দায় থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির অব্যাহতির খারিজ করে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এ ঘটনার পরদিন ওই বছরের ২২ নভেম্বর রাজধানীর বাড্ডা থানায় গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে তিনটি মামলা করে র্যাব।
আরও পড়ুন:মাদক ব্যবসা: ঢাকায় ছুরিকাঘাতে নিহত ১
আসামিদের স্বীকারোক্তি: কক্সবাজারে নারী ও মাদক দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয় পর্যটকদের
২ বছর আগে
অর্থ পাচার: হাইকোর্টে গোল্ডেন মনিরের জামিন আবেদন খারিজ
অর্থ পাচার মামলায় আলোচিত ঢাকার বাড্ডা এলাকা থেকে অর্থ, অস্ত্র ও মাদকসহ গ্রেপ্তার মনির হোসেন ওরফে ‘গোল্ডেন ’ মনিরের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। জামিন আবেদন প্রত্যাহার চেয়ে তার আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে তিন মাসের মধ্যে মামলাটির তদন্তকাজ শেষ করতে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১১ এপ্রিল) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে মনিরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
পরে আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, গত বছর ১৫ ডিসেম্বর আদালত জামিন প্রশ্নে রুল জারি করেছিলেন। এ রুল শুনানির সময় তদন্ত কর্মকর্তা হাজির হতে বলেন আদলত।
আরও পড়ুন: অর্থ পাচার: ডিআইজি মিজানের শাস্তি চেয়ে দুদকের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ
সোমবার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক মোহম্মদ ছাদেক আদালতে উপস্থিত হয়ে বলেন, এ মামলায় সম্পত্তি সংক্রান্ত অনেক বিষয় আছে। তাই দলিল সংগ্রহ করতে হচ্ছে। এ কারণে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আরও তিন মাসের মতো সময় প্রয়োজন। এরপর আদালত তিন মাসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন শেষ করার নির্দেশ দেন।
গোল্ডেন মনিরসহ ১০ জনকে আসামি করে গত বছরের ১১ মে সিআইডির পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম হোসেন বাড্ডা থানায় অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এতে বলা হয়, গোল্ডেন মনিরের মোট ৭৯১ কোটি টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির বিরুদ্ধে মোটা অঙ্কের অর্থ পাচারের অভিযোগ জয়ের
২ বছর আগে
অস্ত্র মামলায় গোল্ডেন মনিরের বিচার শুরু
গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। এর মাধ্যমে অস্ত্র মামলায় আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো।
সোমবার (২৩ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হবে।
এর আগে গত ৮ মার্চ অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ। গত ২৬ জানুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (ডিবি) আব্দুল মালেক অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
গত বছরের ২২ নভেম্বর তিন মামলায় ১৮ দিন এবং ৩ ডিসেম্বর গোল্ডেন মনিরের ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এর আগে গত বছরের ২০ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডায় মনিরের বাড়ি ঘিরে রাখে র্যাব। ২১ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০টি দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ও নগদ ১ কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়। জব্দ করা মনিরের দুটি বিলাসবহুল গাড়ির দাম প্রায় ৬ কোটি টাকা।
র্যাব জানায়, ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় দুই শতাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক গোল্ডেন মনির। রাজউকের কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে জালিয়াতির মাধ্যমে অসংখ্য প্লট হাতিয়ে নেন তিনি। প্রাথমিকভাবে ৩০টি প্লট ও ফ্ল্যাটের কথা স্বীকার করেন মনির। পরে তার বিরুদ্ধে বাড্ডা থানায় অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা এবং মাদক আইনের পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে র্যাব।
আরও পড়ুন: গোল্ডেন মনিরসহ ৩ জনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
অভিযোগ প্রমাণিত হলে গোল্ডেন মনিরের ২০০ প্লটের মালিকানা বাতিল: রাজউক
৩ বছর আগে
গোল্ডেন মনিরসহ ৩ জনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরসহ তিনজনের ১৭০টি ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ব্যাংক হিসাব জব্দ হওয়া অপর দুজন হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে শফিক।
মঙ্গলবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী গোল্ডেন মনিরসহ তিনজনের এসব হিসাব জব্দের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দেন।
এর আগে গত ১১ মে বিকালে সিআইডির পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম হোসেন বাদী হয়ে গোল্ডেন মনিরের স্ত্রী রওশন আক্তার ও ছেলে রাফি হোসেনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: অভিযোগ প্রমাণিত হলে গোল্ডেন মনিরের ২০০ প্লটের মালিকানা বাতিল: রাজউক
২০২০ সালের ২০ নভেম্বর গভীর রাতে রাজধানীর বাড্ডায় মনিরের বাড়ি ঘিরে রাখে র্যাব। ২১ নভেম্বর দুপুর পর্যন্ত টানা আট ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে ওই বাসা থেকে ৬০০ ভরি সোনার গহনা, বিদেশি পিস্তল-গুলি, মদ, ১০টি দেশের বিপুল পরিমাণ মুদ্রা ও নগদ এক কোটি ৯ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।
গত বছরের ১০ ডিসেম্বর অস্ত্র, বিশেষ ক্ষমতা এবং মাদক আইনের পৃথক তিন মামলায় ২৭ দিনের রিমান্ড শেষে গোল্ডেন মনিরকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়। সর্বশেষ তার বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ে আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়।
৩ বছর আগে
অভিযোগ প্রমাণিত হলে গোল্ডেন মনিরের ২০০ প্লটের মালিকানা বাতিল: রাজউক
গোল্ডেন মনিরের ২০০ প্লটের মালিক হওয়ার বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে তা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান মো. সাঈদ নূর আলম।
৪ বছর আগে
‘গোল্ডেন মনিরের’ বিরুদ্ধে র্যাবের ৩ মামলা
রাজধানীর মেরুল বাড্ডার বাসা থেকে মদ, বিদেশি মুদ্রা ও অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ‘গোল্ডেন মনিরের’ বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে।
৪ বছর আগে
রাজধানীতে অস্ত্র, মাদকসহ ‘গোল্ডেন মনির’ আটক
রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাসায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র, মাদক ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রাসহ ‘গোল্ডেন মনিরকে’ আটক করেছে র্যাব।
৪ বছর আগে