তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে কাজ করছে, সরকারের সমালোচনাও করছে। দেশের এতো ভাইব্রেন্ট এবং এক্টিভ মিডিয়া যেখানে কোনো ধরনের তথ্য পায়নি সেখানে আল জাজিরা টেলিভিশনের শেখ হাসিনাকে নিয়ে অসত্য তথ্য প্রচার অত্যন্ত নিন্দনীয়।’
বুধবার নিজের সরকারি বাসভবনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে ওবায়দুল কাদের বলেন, লন্ডনে বসে যারা দেশবিরোধী অপপ্রচার করছে এবং উস্কানি দিচ্ছে, সেই অশুভ চক্রের সাথে প্রতিবেদনটির যোগসাজশ রয়েছে। ‘জণগণ মনে করেন এ প্রতিবেদন লন্ডনভিত্তিক অংশ।’
আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারি, আল জাজিরা বিষয়ে বললেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
শেখ হাসিনা সরকার অন্যায়, অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইতিমধ্যে সরকার শুদ্ধি অভিযানের মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘শূন্য সহিষ্ণুতা’ নীতি স্পষ্ট করছে।
বাংলাদেশের আইন নিজস্ব গতিতে এবং স্বাধীনভাবে চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন নিজস্ব আইনগত ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব অনুযায়ী চাপমুক্ত হয়ে কাজ করছে।
‘কোনো ব্যক্তি বিশেষের দায়কে সরকার প্রধানের সাথে লিংক করা সাংবাদিকতার নীতিবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, এটি সঠিক সাংবাদিকতা নয়,’ বলেন কাদের।
আল জাজিরার প্রতিবেদন: তীব্র প্রতিবাদ জানাল সেনাবাহিনী
তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশে সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাহসী ও সুদক্ষ নেতৃত্বে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত। দেশে-বিদেশে বসে দেশ এবং সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার করা কোনো কাজে আসবে না বরং বুমেরাং হবে। জনগণ শেখ হাসিনার পাশে রয়েছে। বিগত সময়ে এতো অপপ্রচারের পরেও চলমান পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের বিপুল বিজয় তারই প্রমাণ।
ওবায়দুল কাদের আল জাজিরা টেলিভিশন কর্তৃপক্ষকে দেশবিরোধী অপশক্তির এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহযোগী না হয়ে এ ধরনের উদ্দেশ্যমূলক, বিভ্রান্তিকর এবং একপেশে প্রতিবেদন বন্ধের আহ্বান জানান।
যারা দেশের স্বাধীনতা, উন্নয়ন, অর্জন এবং অগ্রগতিকে এখনও মেনে নিতে পারেনি তারাই এই প্রতিবেদনের কৌশলী ষড়যন্ত্রের ধারাবাহিকতায় লিপ্ত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মরিয়া হয়ে চালানো ‘নোংরা প্রাচারণা’ প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ
এদিকে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সম্প্রতি ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ প্রতিবেদন সম্প্রচারের মাধ্যমে ভুল তথ্য ছড়ানোর জন্য কাতারভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল জাজিরার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা আইনি পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করব। আমরা এটি খতিয়ে দেখব। যেখানে ভুল তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে সেখানে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারি। দেখা যাক।’