আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়, আল জাজিরায় প্রকাশিত ‘অল দ্য প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান’ শিরোনামে প্রচারিত ও প্রকাশিত প্রতিবেদনটির তীব্র ভাষায় প্রতিবাদ জানাচ্ছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদরদপ্তর।’
এতে বলা হয়, সেনাবাহিনী মনে করে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি সংস্থার মধ্যে ফাটল ধরানো এবং জাতীয় উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, যারা আগেও দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করেছে, তারাই এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।
এতে বলা হয়, ‘আল জাজিরার ওই প্রতিবেদনে মন্তব্যকারীরা হলেন- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দোষী সাব্যস্ত হওয়া ডেভিড বার্গম্যান, মাদকাসক্তির অভিযোগে বাংলাদেশ সামরিক একাডেমি থেকে বহিষ্কার হওয়া প্রাক্তন ক্যাডেট জুলকারনাইন সায়ের খান (প্রতিবেদনে সামি হিসেবে চিত্রিত) ও কুখ্যাত নেত্রা নিউজের চিফ এডিটর তাসনিম খলিল। উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও স্বার্থান্বেষী ওই ব্যক্তিত্বদের মধ্যে যোগসাজশ তাদের অতীতের পরিচয়পত্রগুলোতে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।’
আরও পড়ুন: মরিয়া হয়ে চালানো ‘নোংরা প্রাচারণা’ প্রত্যাখ্যান করল বাংলাদেশ
প্রতিবাদলিপিতে সেনা সদরদপ্তর আরও জানায়, এটা স্পষ্ট নয় যে আল-জাজিরার মতো একটি আন্তর্জাতিক নিউজ চ্যানেল কীভাবে নিজেদের এই ধরনের স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর অপরাধী লোকের সাথে সংযুক্ত করতে পারে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন অফিশিয়াল, সামাজিক ও ব্যক্তিগত ইভেন্টের (ঘটনা) ক্লিপ একত্র করে ভিডিও প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। সেখানে বেশ কয়েকটি সংযোগবিচ্ছিন্ন ঘটনার ব্যাকগ্রাউন্ডে ভয়েস প্রদান করে একসঙ্গে সম্পাদনা করা হয়েছে।
ইসরায়েল থেকে মোবাইল ইন্টারসেপ্টর ডিভাইস সংগ্রহের বিষয়ে প্রতিবেদনে প্রদত্ত ভিত্তিহীন তথ্যের নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সেনা সদরদপ্তর তাদের ব্যাখ্যায় বলছে, সত্যটি হলো- সরঞ্জামগুলো জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে মোতায়েন সেনাবাহিনীর একটি কন্টিনজেন্টের জন্য হাঙ্গেরি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছিল। সরঞ্জামগুলোর মধ্যে কোথাও উল্লেখ/লিখিত ছিল না যে এগুলো ইসরায়েলের। ইসরায়েলের কাছ থেকে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা/সংগ্রহের কোনো সুযোগ নেই, যেহেতু দেশটির সাথে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: আল জাজিরার প্রামাণ্যচিত্রে অংশ নেয়া প্রবাসী বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় আটক
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বর্তমান চেইন অব কমান্ডের অধীনে সবচেয়ে সুশৃঙ্খল এবং সংবিধান ও সরকারের অনুগত বাহিনী উল্লেখ করে এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিল ও থাকবে এবং আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি গঠনের প্রয়াসে অবদান রাখবে।