তারা হলেন- পুলিশের নায়েক নাজমুল ও কনস্টেবল আসাদ।
এ ঘটনায় তদন্তে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিন কান্তি খানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
যশোর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, পলাতক হাজতিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। দায়িত্বরত দুই পুলিশ সদস্যকে পুলিশ লাইন্সে ক্লোজড করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কারাগার সূত্রে জানা যায়, গত ১০ এপ্রিল যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ কোতয়ালি থানায় নারী নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা একটি মামলার আসামি মো. সুজন ওরফে শাকিলকে যশোর জেনারেল হাসপাতালের ভর্তি করা হয়। তার সর্দি, কাশি, জ্বর ও গলাব্যথা থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে করোনা ইউনিটের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। এরপর তার শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠানো হয়।
চিকিৎসাধীন হাজতির নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশের নায়েক নাজমুল, কনস্টেবল আসাদ, কেন্দ্রীয় কারাগারের সহকারী প্রধান কারারক্ষী শাহজাহান হোসেন, কারারক্ষী সাজ্জাদ হোসেন, মনির হোসেন, সাইদুল ইসলাম।
রবিবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটের দিকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স তুলি খাতুন হাজতি মো. সুজন ওরফে শাকিলকে ওষুধ খাওয়ানোর জন্য কেবিনের দরজায় টোকা দেন। কিন্তু কোনো সাড়া না পেয়ে দায়িত্বরত ফোর্সদের ডাক দেন।এরপর ফোর্সের সদস্যরা ওয়ার্ডের দরজা ভেঙে প্রবেশ করে রুমে হাজতিকে খোঁজাখুঁজি করে পাননি। তখন দেখতে পান রুমের পেছনের জানালা ভাঙা।
জানালা ভেঙে হ্যান্ডকাপসহ আসামির পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় কারাগারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।