রবিবার রাতে একটি জানালা ভেঙে পালিয়ে যান নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি মামলার এজাহারভুক্ত ওই আসামি।
পলাতক সুজন রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর এলাকার রণজিৎ কুমার মল্লিকের ছেলে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার তুহিনকান্তি খান জানান, সুজন সাড়ে চার বছর আগে যশোরের মণিরামপুরের এক মেয়েকে বিয়ে করেন। বউকে নিয়ে শহরের বারান্দিপাড়ায় বসবাস করতেন তিনি। সম্প্রতি স্ত্রীর সাথে ছাড়াছাড়ির পর সুজন একই এলাকার এক ব্যাংক কর্মকর্তার অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যান। ওই ঘটনায় মেয়েটির বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুজনের নামে যশোর কোতয়ালী থানায় মামলা করেন।
জেলার জানান, পুলিশ গত ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে যশোর আনে। এরপর ১০ এপ্রিল তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু সুজনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপসর্গ থাকায় তাকে কারাগার থেকে ওইদিন সন্ধ্যায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে রাতে জানালা ভেঙে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যায় সে।