জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন উপজেলার ৫৯ প্রবাসী বাড়িতে ফিরেছেন। তারা ইতালি, চীন, দক্ষিণ আফ্রিকা, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন। তাদের সবাইকে নিজ বাড়িতে বিশেষ ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। তারা সবাই পুরোপুরি সুস্থ রয়েছেন।
জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস বলেন, ‘এসব ব্যক্তিসহ পরিবারের কাউকে নিজ বাড়ি থেকে বাইরে বের হতে দেয়া হচ্ছে না। এ ক্ষেত্রে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্যকর্মীরা দায়িত্ব পালন করছেন। বিদেশ ফেরত আসা ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যগত কোনো সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।’
এদিকে রবিবার দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত তিনজন রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে সরকারি নির্দেশে মানিকগঞ্জ জেলায় করোনা প্রতিরোধমূলক বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সোমবার সকালে সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দোতলায় একটি বড় কক্ষে ১২ শয্যার আইসোলেশন ইউনিট খোলা হয়। সেই সাথে আঞ্চলিক জনসংখ্যা প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউশনের নতুন ভবনে ১০০ শয্যার কোয়ারেন্টাইন ইউনিট খোলা হয়েছে।
এর আগে গত ৩ মার্চ জেলা ও উপজেলা মাল্টিসেক্টরাল সমন্বয় কমিটি ও র্যাপিড রেসপন্স কমিটি গঠন করা হয়। ১১ সদস্য বিশিষ্টি এ কমিটিতে জেলা প্রশাসককে সভাপতি এবং সিভিল সার্জন আনোয়ারুল আমিন আখন্দকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ কমিটির সভা হয়েছে। করোনার বিষয়ে চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ধারণাও দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, প্রায় দুই সপ্তাহ আগে জেলা ও উপজেলায় পৃথক র্যাপিড রেসপন্স কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটিতে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা রয়েছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তের উপসর্গ দেখা দিলে রোগীকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালে নিয়ে আসাই এ কমিটির সদস্যদের প্রধান কাজ।
আর সদর হাসপাতালে ৯ সদস্য বিশিষ্ট করোনাভাইরাস বা কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। সিনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডা. সাকিনা আনোয়ারকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে। হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে আসা রোগীদের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা ও তা রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) পাঠানো এ কমিটির প্রধান কাজ।