তিনি বলেন, ‘আগামী বছরের প্রথম দিকে কোরিয়ান সরকারের অর্থায়নে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সেতু নির্মিত হবে যেখানে রেলপথ এবং সড়কপথ একসাথে থাকবে।’
বুধবার সেতু নির্মাণের স্থান পরিদর্শনকালে মন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সেতুটি আগেই নির্মাণ করা যেত। কিন্তু একটি ভুল বোঝাবুঝি ছিল- যেখানে আলাদা রেল সেতু হবে নাকি রেল ও সড়ক একসাথে হবে। পরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রেল কাম সড়ক সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিদেশি ঋণদানকারী সংস্থা কোরিয়ান ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ফান্ডের (ইডিসিএফ) সাথে আলোচনা হচ্ছে। সবকিছু এখন ঠিক করা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে এ সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে।’
‘সেতু নির্মাণের ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়েছে, স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। সরেজমিনে দেখার জন্যই আমি এসেছি,’ বলেন তিনি।
মন্ত্রী জানান, চট্টগ্রামবাসীর জন্য যেমন এ সেতু খুবই দরকার তেমনি ভবিষ্যতে কক্সবাজার পর্যন্ত সরাসরি রেললাইন সংযোগ স্থাপনের জন্য সেতুটি নির্মাণ করা অতীব জরুরি। ২০২২ সালের মধ্যে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন চালু হয়ে যাবে। একই সময়ের মধ্যে যাতে সেতুটির নির্মাণ শেষ করা যায় সে চেষ্টা সরকার করবে।
চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোসলেম উদ্দিন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রণব কুমার ঘোষ, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. শামসুজ্জামানসহ রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, কালুরঘাট সেতুটি ১৯৩১ সালে মিটার গেজ লাইন বিশিষ্ট রেল সেতু হিসেবে নির্মিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৬২ সালে সড়ক সেতু যুক্ত করে রেল কাম সড়ক সেতুতে রূপান্তরিত করা হয়। বর্তমানে সেতুটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
নতুন সেতুটি নির্মিত হলে নিরবচ্ছিন্ন রেল পরিবহন সেবা নিশ্চিত করা যাবে এবং চট্টগ্রাম-কক্সবাজার করিডোরের অপারেশনাল বাধা দূর করা যাবে। সেই সাথে স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবনমান উন্নত করা এবং আঞ্চলিক বিনিময় সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনৈতিক উন্নয়ন সাধিত হবে। মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্র বন্দরের জন্য বৃহত্তর করিডর তৈরি হবে, বাণিজ্যিক রাজধানীর যানজট হ্রাস পাবে ও ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে নেটওয়ার্কের অংশবিশেষ হিসেবে এটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে।