রেলপথমন্ত্রী
ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নির্বাচন এলে ধর্মকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও একই কাজ করা হয়েছে। এসব কাজে বিএনপি ও জামায়াত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে। তারা নানা ইস্যু তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকায় সালানা জলসা মাঠে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ঘে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহায়তা দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চালুর দিনই পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে: রেলপথমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, হামলাকারীরা ট্রাফিক পুলিশের অফিসে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে ক্ষতিসাধন করে। ডিসি এবং এসপি অফিসে হামলার চেষ্টা করে। প্রশাসন তৎপর ছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
এ সময় হামলার ঘটনায় নিরীহ মানুষদের যেন হয়রানি করা না হয় সেবিয়ে পুলিশকে খেয়াল রাখতে বলেন মন্ত্রী।
এছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে প্রশাসনকে সহায়তা করতে গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বান জানান রেলপথমন্ত্রী।
মানবিক সহায়তা অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য দেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জামিয়া আহমদিয়ার অধ্যক্ষ মোবাশ্বের উর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, কৃষক লীগ নেতা আব্দুল লতিফ তারিন প্রমুখ।
এসময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী পঞ্চগড় সদর ও বোদা উপজেলার ২০৬ জনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার এক কোটি টাকার চেক বিতরণ করেন।
এরমধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ১০৮ জন এবং বোদা উপজেলায় ৯৮ জন।
বিতরণকৃত টাকার মধ্যে সবোর্চ্চ পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৬ এবং সর্বনিম্ন চার হাজার ৮০০ টাকা ক্ষয়ক্ষতির আনুপাতিক হারে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
২১ থেকে ২৫ মার্চ ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি বন্ধ
বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তনের কারণে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের সুবিধার্থে আগামী ২০ মার্চ মধ্যরাত থেকে ২৫ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। এ সময় কাউন্টার থেকে ম্যানুয়ালি শতভাগ টিকেট বিক্রি হবে।
সোমবার রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন রেলভবনে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’র সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পালন করত সিএনএস নামক প্রতিষ্ঠান। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সহজ কাজটি পায়।
নূরুল ইসলাম বলেন, রেলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার লক্ষে্ আমরা কাজ করছি। মানুষকে আরও ভালো সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে আমরা নতুন কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছি। কারণ রেলওয়ের টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা আনা ও সহজলভ্য করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: রেললাইনে গেম খেলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, রেলওয়ের টিকিট বিক্রির নিজস্ব সক্ষমতা এখনও গড়ে ওঠেনি। কাজেই এক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ী সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি প্রাথমিকভাবে চলমান সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি সচল রাখবে এবং আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি বিআরআই টিএস দিয়ে প্রতিস্থাপিত হবে। আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত সিএনএস লিমিটেড রেলওয়ের আন্তনগর ট্রেনের কম্পিউটারাইজড টিকেটিং পরিচালনা করবে। পরবর্তীতে ৭৭টি স্টেশনে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি কর্তৃক কম্পিউটার টিকিটিং সিস্টেম পুনরায় সচল রাখার জন্য সিস্টেমে কিছু কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে যার জন্য ন্যুনতম পাঁচ দিন সময় প্রয়োজন হবে।
টিকিট ইস্যু কার্যক্রম সফলভাবে সচল রাখার লক্ষ্যে ২১ মার্চ-২৫ মার্চ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিন অনলাইনে এবং কাউন্টারে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করার পরিবর্তে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শতভাগ টিকিট ইস্যু করা হবে।
ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাঁচ দিনের পরিবর্তে দুই দিনের অগ্রীম টিকিট ইস্যু করা হবে এবং এক্ষেত্রে সকল টিকিট উন্মুক্ত থাকবে কোন কোটা বা আসন সংরক্ষিত থাকবে না।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাইভেটকার উল্টে নিহত ১, আহত ৫
আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
রেলওয়েকে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী যোগাযোগ ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সরকার রেলকে উঠিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রেলকে সম্প্রসারণ করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।’
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) কুড়িগ্রামে চিলমারী উপজেলার রমনা রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনেকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে ঢাকার সাথে রেলপথে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নামে ট্রেন চালু করা হয়েছে। এই ট্রেনটি উলিপুর স্টেশন পর্যন্ত চলাচলের জন্য আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে রমনা স্টেশন পর্যন্ত চালু করা হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চিলমারী নদী বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বন্দরটির সাথে রেল-নৌ যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে করে প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচিত হয়।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ্, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল হাসান, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ্ সুফি নুর মোহাম্মদ, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলী, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহম্মেদ মঞ্জু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে রেলমন্ত্রী চিলমারী নদীবন্দরের রমনা ঘাট পরিদর্শন করেন। এসময় চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ, রেল-নৌ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটি ও ব্রহ্মপুত্র নদে দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
পড়ুন: সৃজনশীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে: প্রধানমন্ত্রী
চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
চট্টগ্রামের মানুষজন না চাইলে সিআরবিতে বেসরকারি হাসপাতাল হবে না বলে জানিয়েচেন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন। সোমবার দুপুরে রাজধানীর রেল ভবনে নাগরিক সমাজ-চট্টগ্রাম’র নেতাদের সাথে মতবিনিময়কালে এ ঘোষণা দেন তিনি।
রেল্পথমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে হাসপাতাল করতে হলে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ থেকে নকশা অনুমোদন করতে হবে। সিডিএ যদি নকশা না দেয় সেখানে হাসপাতাল হবে কী করে? আর অন্যান্য সংস্থার অনুমোদনে আইনি বাধ্যবাধকতা থাকলেও সেখানে কোনো কিছু করা সম্ভব না। সবচেয়ে বড় কথা চট্টগ্রামবাসী না চাইলেও সেখানে হাসপাতাল প্রকল্প হবে না।’
নুরুল ইসলাম বলেন, সিআরবিতে হাসপাতাল প্রকল্প রেল মন্ত্রণালয় গ্রহণ করেনি। এটি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পিপিপি অথরিটির প্রকল্প। বিনিয়োগও বেসরকারি। সুতরাং রেল মন্ত্রণালয়ের এখানে করার কিছু নেই। নাগরিক সমাজের দেয়া যাবতীয় তথ্য উপাত্ত আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবো। তিনিই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন। তবে আমার অভিমত হচ্ছে, আইন ও চট্টগ্রামবাসীর সেন্টিমেন্টের বাইরে যাওয়া ঠিক হবে না। আমরা যা কিছু করছি জনগণের কল্যাণে। জনগণের কল্যাণে সরকার প্রকল্প গ্রহণ করে।
রেলপথমন্ত্রী বলেন,এই প্রকল্প প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের। জলবায়ু সম্মেলন শেষে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মতবিনিময়কালে মন্ত্রীর কাছে প্রকল্পের যাবতীয় অসঙ্গতি তুলে ধরে তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করেন নাগরিক সমাজ চট্টগ্রাম’র সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল।
এ সময় তিনি মন্ত্রীকে বলেন, সিআরবি হচ্ছে ২০০৯ সালের গেজেট অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি অনুমোদিত সরকার ঘোষিত হেরিটেজ জোন। এখানে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক স্থাপনা হতে পারে না। আইনত তা নিষিদ্ধ। তাছাড়া এটি চট্টগ্রামের ফুসফুস এবং সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু।
ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (চাকসু) জিএস শহীদ আবদুর রব, শহীদ মনোয়ার, শহীদ শেখ নজিরসহ ৯ শহীদের কবর এই সিআরবিতে। এখানে কোনো স্থাপনা হলে শহীদের কবর ধ্বংস হবে।
তিনি বলেন, আমরা হাসপাতালের বিপক্ষে নই। হাসপাতাল চাই। তবে সিআরবিতে নয়। সিআরবি ছাড়া অন্যত্র হাসপাতাল হলে আমরা স্বাগত জানাবো।
মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন নাগরিক সমাজ-চট্টগ্রাম’র কো-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুস, আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, জাসদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন বাবুল, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহজাজান চৌধুরী, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিন, নাগরিক সমাজ-চট্টগ্রাম’র যুগ্ম সদস্য সচিব ও বিএফইউজে’র যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের মহাসচিব শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী, আবৃত্তি শিল্পী রাশেদ হাসান, প্রণব চৌধুরী, অ্যাডভোকেট রাশেদুল ইসলাম ও অনির্বাণ দত্ত । এছাড়া অ্যাডভোকেট মাসুদুল আলম চৌধুরী, ব্যারিস্টার হেলাল উদ্দিন ও ব্যারিস্টার হারুন অর রশীদও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিআরবিতে কোন ধরনের স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না: চসিক মেয়র
চট্টগ্রামে সিআরবিতে হাসপাতাল নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা
সিআরবির পরিবেশ ক্ষতি করে হাসপাতাল নির্মাণের চেষ্টা: ৮ সংস্থাকে আইনি নোটিশ
রেলকে নতুন আঙ্গিকে গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে: মন্ত্রী
রেলকে নতুন গতিতে ও নতুন আঙ্গিকে গড়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, ‘একটি আধুনিক, যুগোপযোগী ও উন্নত রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।’
রবিবার (২২ আগস্ট) ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন সংলগ্ন স্থানে ওয়াটার এইড বাংলাদেশ লিমিটেড ও বাংলাদেশ রেলওয়ে যৌথ উদ্যোগে একটি উন্নত মানের ও সকল সুবিধা সংবলিত আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, এ পাবলিক টয়লেট সাধারণ নয় এখানে সকল আধুনিক সুবিধা রাখা হবে। এখানে পুরুষ এবং নারীদের জন্য আলাদা প্রবেশদ্বার ও কক্ষ এবং টয়লেটগুলো হবে নারী, শিশু ও প্রতিবন্ধী বান্ধব। এখানে শিশুকে দুগ্ধপান করানোর ব্যবস্থাসহ নিরাপদ পানীয় জল এবং বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ প্রযুক্তিসহ সৌরশক্তির ব্যবহারের সুযোগ রাখা হবে।
নূরুল ইসলাম বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে ৫২টি স্টেশন সংস্কার ও আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। এসব স্টেশনগুলোতে এ আধুনিক টয়লেটের ডিজাইন ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও কমলাপুরের মতো ওয়াটার এইড বাংলাদেশ রেলওয়ের সহায়তায় বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম রেলওয়ে স্টেশন, পঞ্চগড় ও ঈশ্বরদী রেলওয়ে স্টেশনে অনুরূপ আরও দুটি আধুনিক পাবলিক টয়লেট নির্মাণ করবে।
আরও পড়ুন: ছাতক-সুনামগঞ্জ রুটে রেললাইনের দাবিতে রেলমন্ত্রীকে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর চিঠি
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, অনেক প্রকল্প চলমান আছে এবং অনেক প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। পুরনো লাইন ও ব্রীজ সংস্কার করা হচ্ছে। নতুন নতুন কোচ এবং ইঞ্জিন নিয়ে আসা হচ্ছে। নতুন ট্রেনগুলোতে বায়ো টয়লেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে যাতে পরিবেশ নষ্ট না হয়।
তিনি বেশকিছু প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে বলেন, আগামী বছর খুলনা থেকে মংলা নতুন রেললাইন চালু হবে। এছাড়া টঙ্গী-জয়দেবপুর পর্যন্ত ডাবল লাইন চালু হবে।
আরও পড়ুন: রেলওয়ের ৭ হাজার ফিস প্লেট গায়েব: তদন্ত কমিটি গঠন
ভবিষ্যতে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কনসালটেন্সি ফার্ম গঠন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিজস্ব সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে আমরা নিজস্ব লোকবল দ্বারা কনসালটেন্সি সেবা দিতে সক্ষম হব এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে।
অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা, অতিরিক্ত সচিব ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। ওয়াটার এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
চালুর দিনই পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে: রেলপথমন্ত্রী
আগামী বছর যেদিন থেকে পদ্মা সেতু চালু হবে সেদিনেই পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে মাওয়া প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চলবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
মঙ্গলবার মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ভায়াডাক্ট-২ এর মাওয়া প্রান্ত ও পদ্মা সেতুর মধ্যকার সংযোগ স্থাপন কার্যক্রম পরিদর্শন কালে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুসহ চার মেগা প্রকল্পের উদ্বোধন আগামী বছরের জুনের মধ্যে: মন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী বলেন, মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু দেশের অনেক বড় অর্জন। এটি দেশের একটি বৃহৎ সামর্থ্য। পদ্মা সেতুতে সড়ক ও রেলপথ যুক্ত আছে। রেল অংশটি ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ।
তিনি বলেন, ‘যদিও পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত ধরা হয়েছিলো তবে আগামী বছর পদ্মা সেতু উদ্বোধনের দিনে মাওয়া প্রান্ত থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেন চালু অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে এবং সে অনুযায়ী দ্রুত কাজ চলছে।’
আরও পড়ুন:পদ্মা সেতু ঘিরে যথাযথ পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, করোনা এবং লকডাউনের মধ্যেও প্রকল্পের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় কার্যক্রম চলমান আছে। মাওয়া প্রান্তে পদ্মা সেতুর সাথে সংযোগ ভায়াডাক্ট২সংযোগ স্থাপিত হয়েছে।
তিনি বলেন, এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত মাওয়া থেকে ভাঙ্গা সেকশনের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৬৬ শতাংশ এবং সম্পূর্ণ প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি হয়েছে ৪১.৫৯ শতাংশ।
রেলপথমন্ত্রী মাওয়া প্রান্ত পরিদর্শন করে পরে শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে যান এবং সেখান থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত চলমান রেললাইন নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু নিয়ে বিরূপ মন্তব্যকারীরা আশাহত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
এ সময় সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালক গোলাম ফখরুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক ধীরেন্দ্র নাথ মজুমদার, কনস্ট্রাকশন সুপারভিশন কাজের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাসহ প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশ
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা থেকে মোংলা বন্দর পর্যন্ত নির্মাণাধীন নতুন রেলপথের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
দেশে ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মঙ্গলবার বলেছেন, দেশে বর্তমানে (২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত) ফিটনেসবিহীন গাড়ির সংখ্যা ৪ লাখ ৮১ হাজার ২৯টি।
বাংলাবান্ধার সাথে ৪ দেশের রেল যোগাযোগ চালু হবে: মন্ত্রী
ভবিষ্যতে বাংলাবান্ধার সাথে ভারত, নেপাল, ভুটান ও বাংলাদেশের মধ্যকার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
কর্ণফুলীর ওপর রেল-সড়ক সেতু নির্মাণ আগামী বছর শুরু: রেলপথমন্ত্রী
চট্টগ্রামের কালুরঘাটে কর্ণফুলী নদীর ওপর রেল ও সড়ক সেতুর নির্মাণ কাজ আগামী বছরের প্রথমে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।