রেলপথমন্ত্রী
প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ দেওয়া হবে: রাজবাড়ীতে রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকীম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেল সংযোগ ও রেল সংযোগ দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যেই ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দরে রেল সংযোগ দেওয়া হবে। সেই লক্ষ্যে রেলের কোচ ও ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছে, আরও কিছু আমদানি করা হবে।
শুক্রবার(২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা থেকে ট্রেনে করে রাজবাড়ী স্টেশনে এসে পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, রাজবাড়ীতে ১০৫ একর জায়গা নিয়ে একটি কারখানা করা হবে- যা সৈয়দপুর কারখানার চেয়েও বড় হবে। এখানে সকল প্রকার মেরামত ও বগি তৈরির কারখানাও করা হবে।
এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুকিত সরকার, রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার তন্ময় কুমার দত্তসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রেলের খাবার মানসম্মত না হলে চুক্তি বাতিল: রেলমন্ত্রী
বাংলাদেশ ধূমপানমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করুক: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, বাংলাদেশ ধূমপানমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করুক।
তিনি বলেন, প্রকল্পের মাধ্যমে যে সচেতনতা বৃদ্ধিতে যে পরিমাণ কাজ করা হয়েছে এই কাজের ফসল হিসেবে ট্রেনে এখন ধূমপান কম হয়। ধূমপান আরও কমানো দরকার। আমাদের সুযোগ আছে এক্ষেত্রে কাজ করার।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনের সভা কক্ষে ধুমপান ও তামাকমুক্ত রেল পরিষেবা গড়ে তুলতে সম্মাননা পদক-২০২৩ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পুরো দেশ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে: রেলপথমন্ত্রী
তিনি বলেন, ধূমপানের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়ালে ট্রেনে ধূমপানের পরিমাণ কমে যাবে। রেলে বিপুল পরিমাণ যাত্রী যাতায়াত করে। এখানে অল্প জায়গায় অনেক লোক ভ্রমণ করে। ভ্রমণের সময় ধূমপান করলে জনগণের মধ্যে এর ক্ষতির প্রভাবটা বৃদ্ধি পাবে। তাই ট্রেনকে ধূমপান মুক্ত রাখা জরুরি।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েকে ধূমপানমুক্ত করার জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, এই ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
রেলমন্ত্রী বলেন, সাধারণ জনগণ এখন অনেক সচেতন। মানুষের মধ্যে ধূমপানের পরিমাণ কমে গেছে বলে আমার মনে হয়। এখন ধূমপানে ঝুঁকে পড়ছে শিক্ষিত লেখাপড়া জানা যুবকরা। তাদের সচেতন করা জরুরি।
আরও পড়ুন: রেলের উন্নয়নে আরব আমিরাতের সহযোগিতা চান রেলপথমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েকে ধূমপানমুক্ত করার জন্য যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, প্রকল্পটি যথাযথভাবে হয়েছে বলে আমি মনে করি। এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে সচেতন করতে পারলে মানুষ যদি আন্তরিক হয়, তাহলে ক্ষতি কমবে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের মধ্যে যদি এর ক্ষতিকারক প্রভাব নিয়ে প্রচার করে তাদেরকে সচেতন করা যায় তাহলে সাধারণ মানুষ অনেক জটিল রোগ থেকে বেঁচে যাবে, বিশেষ করে ক্যান্সার ও যক্ষ্মা সহ বিভিন্ন ধরণের রোগ।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
পুরো দেশ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে: রেলপথমন্ত্রী
নতুন রেলপথ নির্মাণ করে পুরো দেশ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
তিনি বলেন, ‘নতুন রেলপথ নির্মাণ করে সারা বাংলাদেশ রেল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হবে। ট্রেনের যাত্রীদের সেবার মান বাড়িয়ে রেলকে একটি নিরাপদ পরিবহনে পরিণত করা হবে।’
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজবাড়ীর পাংশা-বালিয়াকান্দি ও কালুখালী মাদ্রাসা শিক্ষক-কর্মচারীদের আয়োজনে পাংশা জর্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে রেলপথ মন্ত্রণালয় কঠোর অবস্থানে যাবে জানিয়ে রেলমন্ত্রী বলেন, কালোবাজারি চক্রের বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। আসন্ন ঈদযাত্রায় ট্রেনের টিকিট প্রাপ্তিতে সমস্যা হবে না। সবাই স্বস্তিতে টিকিট পাবে। ট্রেনের টিকিট কালোবাজারির চক্রের সঙ্গে ‘সহজ’ ডটকম ও রেলের কর্মচারীসহ অসাধু কিছু কর্মকর্তারা জড়িত।
আরও পড়ুন: রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথ মন্ত্রী আরও বলেন, ট্রেনে যাত্রীদের জন্য খাবারের মান উন্নত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মানুষ টাকা দিয়ে খাবার কিনে খায়।
জিল্লুল হাকিম বলেন, বিএনপির সময় রেলপথ ধ্বংস করা হয়েছিল। এখন আবার রেলে আগুন দিয়ে রেলপথকে ধ্বংস করতে চায় বিএনপি।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল মোরশেদ আরুজ, পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফরিদ হাসান ওদুদ, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের আবুল কালাম আজাদ, পাংশা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খোন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: রেলের উন্নয়নে আরব আমিরাতের সহযোগিতা চান রেলপথমন্ত্রী
রেলের উন্নয়নে আরব আমিরাতের সহযোগিতা চান রেলপথমন্ত্রী
রেল যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সহযোগিতা কামনা করেছেন রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রেল ভবনে মন্ত্রীর অফিস কক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে একথা বলেন রেলমন্ত্রী।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের যে সুসম্পর্ক তৈরি করেছিলেন তা আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বিভিন্ন লজিস্টিক সাপোর্ট দিয়ে রেলের উন্নয়নে কাজ করার অনুরোধ জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: মার্চেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে: রেলমন্ত্রী
তিনি বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভিন্ন সেক্টরের দক্ষতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এবং অপারেশন সেক্টরে সহযোগিতাসহ, বাংলাদেশের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে রেলের উন্নয়নের সহযোগিতা করতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাত।
আরও পড়ুন: পুরোনোদের অভিজ্ঞতা নিয়ে রেলকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়া হবে: রেলমন্ত্রী
রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, আমরা সবাই মিলে রেলকে একটা লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করব।
রেলওয়ের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা আরও সম্প্রসারণ করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রবিবার (১৪ জানুয়ারি) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রথম কর্মদিবসে রেলপথ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পূর্ব-পশ্চিমের সব দেশ আমাদের সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে রেলে প্রাণহানি ঘটছে। সামনে আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ হলো রেলের নিরাপত্তা জোরদার করে এই এসব ঘটনা দূর করে রেলকে নিরাপদ পরিবহনে পরিণত করা।
মন্ত্রী আরও বলেন, রেলকে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করতে হলে রেলের দুর্নীতির মূল উৎপাটন করতে হবে, এছাড়া রেলের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, রেলের দখল করা জমি উদ্ধার এবং টিকিটের কালোবাজারি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
আরও পড়ুন: আমি পেশায়-নেশায় সবকিছুর মধ্যে কৃষক: কৃষিমন্ত্রী
রেলকে আরও এগিয়ে নিতে রেলের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
এরপর মন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন এবং সব মিডিয়ার সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।
আরও পড়ুন: চলমান কাজগুলো শেষ করাটাই বড় চ্যালেঞ্জ: ইয়াফেস ওসমান
মালবাহী ট্রেনের লোকোমাস্টার সিগন্যাল অমান্য করায় দুর্ঘটনা: রেলমন্ত্রী
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে মালবাহী ট্রেনের লোকোমাস্টার সিগন্যাল অমান্য করায় কিশোরগঞ্জের ভৈরব বাজার স্টেশনে ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান রেলপথমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রেল ভবনের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ২০২০ সালে ট্রেনের একটি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেখানে লুপলাইন অতিক্রম করার সময় দুটি ট্রেনের ধাক্কা লেগে একটি ট্রেনের পেছনের তিনটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে হতাহত হয়েছিলেন যাত্রীরা। একইভাবে গত ২৩ অক্টোবর ভৈরব বাজার স্টেশনে লুপলাইন অতিক্রম করার সময় চট্টগ্রামগামী একটি মালবাহী ট্রেন এগারসিন্দুর ট্রেনের পেছনের তিনটি বগিকে আঘাত করে এবং একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার কারণে ঘটনাস্থলে অনেকে মৃত্যুবরণ করেন এবং হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়ও অনেকে মারা যান। আজও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন এবং এ পর্যন্ত মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহাখালীতে বহুতল ভবনে আগুন
তিনি বলেন, ভৈরব থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তথ্য অনুযায়ী আহত হয়েছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে ভৈরব থানা কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন হাসপাতালে রেফার করা হয়। তাদের মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেলে, ৬ জন পঙ্গু হাসপাতালে, একজন রেলওয়ে হাসপাতালে এবং একজন জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
সুজন বলেন, দুর্ঘটনার সময় ফার্স্ট এশিয়া প্যাসিফিক রেল সামিটে অংশ নিতে মালোশিয়ায় ছিলাম। দুর্ঘটনার কারণে সেমিনার সংক্ষিপ্ত করে ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশে চলে আসি। আজ আমি নিজে ঢাকা মেডিকেল, পঙ্গু হাসপাতাল, চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি রোগীদের দেখতে যাব এবং তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেব।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ট্রেন দুর্ঘটনা: ৩টি তদন্ত কমিটি গঠন
মন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনায় যারা মারা গেছে তাদের মৃত্যুর ক্ষতি কখনোই পূরণ হওয়ার নয় এবং এটা পূরণ করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তারপরও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য রেলপথ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রত্যেক মৃত ব্যক্তির পরিবারকে ১ লাখ টাকা করে অনুদান দেওয়া হবে। একই সঙ্গে আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা ব্যয় মন্ত্রণালয় থেকে বহন করা হবে এবং যথাসম্ভব আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।
তিনি জনান, ইতোমধ্যে দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের জন্য তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় থেকে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। আরেকটি বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং আঞ্চলিক অফিস থেকেও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী ঢাকা মেডিকেল, পঙ্গু হাসপাতাল এবং জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে দুর্ঘটনায় আহত চিকিৎসাধীন রোগীদের সঙ্গে দেখা করেন। তাদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং প্রত্যেক রোগীকে আর্থিক অনুদান দেন।
আরও পড়ুন: ভৈরব দুর্ঘটনা: ৭ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু, মালবাহী ট্রেনের চালকসহ ৩ জন বরখাস্ত
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন ৯ নভেম্বর: রেলপথমন্ত্রী
খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন আগামী ৯ নভেম্বর হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, খুলনা-মোংলা রেলপথের উদ্বোধন আগামী ৯ নভেম্বর। এ ছাড়া রেলপথ বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ। যোগাযোগের অন্যতম সহজ ও নিরাপদ মাধ্যম হলো রেলপথ।
তিনি বলেন, সারাদেশকে রেলের আওতায় নিয়ে আসার জন্য রেলপথ সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নের দিকে বিশেষ নজর দিচ্ছে সরকার। এই রেলপথ চালু হলে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে খুলনার ফুলতলা রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনা-মোংলা রেলওয়ে প্রকল্পের অ্যালাইনমেন্ট (সেতু নম্বর-১০) পর্যন্ত এবং মোহাম্মদ নগর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ফুলতলা-মোংলা পর্যন্ত রেলপথ চালু হলে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত, নেপাল ও ভুটানের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হবে এবং মোংলা বন্দর ব্যবহার করে কম খরচে পণ্য আমদানি ও রপ্তানি করার সুযোগ হবে।
তিনি বলেন, এতে করে সরকারের রাজস্ব বাড়বে, নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং বিকাশ ঘটবে পর্যটন শিল্পের। রূপসা নদীর ওপর ৫ দশমিক ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘে্যর রেলসেতুর কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। ফুলতলা-মোংলা রেলপথ এর ৯৮ দশমিক ০৫ শতাংশের কাজ শেষ হয়েছে, বাকি কাজ আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে এবং আগামী ৯ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করবেন।
এসময় রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীর, প্রকল্প পরিচালক মো. আরিফুজ্জামান, খুলনার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মুকুল কুমার মৈত্র, উপপ্রকল্প পরিচালক (চিফ ইঞ্জিনিয়ার) আহমেদ হোসেন মাসুম, খুলনার অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (প্রকল্প) মো. আরিফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা: রেলপথমন্ত্রী
আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
ধর্ম নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, নির্বাচন এলে ধর্মকে কেন্দ্র করে সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রপাগান্ডা চালিয়ে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করা হয়।
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও একই কাজ করা হয়েছে। এসব কাজে বিএনপি ও জামায়াত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকে। তারা নানা ইস্যু তৈরি করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড় পৌরসভার আহমদনগর এলাকায় সালানা জলসা মাঠে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ঘে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সহায়তা দেয়ার সময় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: চালুর দিনই পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলবে: রেলপথমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, হামলাকারীরা ট্রাফিক পুলিশের অফিসে হামলা করে আগুন ধরিয়ে দেয়। সরকারি বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা করে ক্ষতিসাধন করে। ডিসি এবং এসপি অফিসে হামলার চেষ্টা করে। প্রশাসন তৎপর ছিল বলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়েছে।
এ সময় হামলার ঘটনায় নিরীহ মানুষদের যেন হয়রানি করা না হয় সেবিয়ে পুলিশকে খেয়াল রাখতে বলেন মন্ত্রী।
এছাড়া এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তে প্রশাসনকে সহায়তা করতে গণমাধ্যমকর্মীদের আহ্বান জানান রেলপথমন্ত্রী।
মানবিক সহায়তা অনুষ্ঠানে পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এসময় বক্তব্য দেন পঞ্চগড়-১ আসনের সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের জামিয়া আহমদিয়ার অধ্যক্ষ মোবাশ্বের উর রহমান প্রমুখ।
এছাড়া পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত সম্রাট, কৃষক লীগ নেতা আব্দুল লতিফ তারিন প্রমুখ।
এসময় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরাসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী পঞ্চগড় সদর ও বোদা উপজেলার ২০৬ জনের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তার এক কোটি টাকার চেক বিতরণ করেন।
এরমধ্যে পঞ্চগড় সদর উপজেলায় ১০৮ জন এবং বোদা উপজেলায় ৯৮ জন।
বিতরণকৃত টাকার মধ্যে সবোর্চ্চ পাঁচ লাখ ২৬ হাজার ৩৬৬ এবং সর্বনিম্ন চার হাজার ৮০০ টাকা ক্ষয়ক্ষতির আনুপাতিক হারে বিতরণ করা হয়।
আরও পড়ুন: আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
২১ থেকে ২৫ মার্চ ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি বন্ধ
বাংলাদেশ রেলওয়ের সার্ভিস প্রোভাইডার পরিবর্তনের কারণে নতুন দায়িত্ব গ্রহণের সুবিধার্থে আগামী ২০ মার্চ মধ্যরাত থেকে ২৫ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রেনের অনলাইন টিকিট বিক্রি বন্ধ থাকবে। এ সময় কাউন্টার থেকে ম্যানুয়ালি শতভাগ টিকেট বিক্রি হবে।
সোমবার রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন রেলভবনে এ তথ্য জানান।
মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি’র সঙ্গে বাংলাদেশ রেলওয়ের টিকিটিং সিস্টেম পরিচালনার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর আগে টিকিট বিক্রির দায়িত্ব পালন করত সিএনএস নামক প্রতিষ্ঠান। উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে সহজ কাজটি পায়।
নূরুল ইসলাম বলেন, রেলকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করার লক্ষে্ আমরা কাজ করছি। মানুষকে আরও ভালো সেবা দেয়ার উদ্দেশ্যে আমরা নতুন কোম্পানিকে দায়িত্ব দিয়েছি। কারণ রেলওয়ের টিকিট বিক্রিতে স্বচ্ছতা আনা ও সহজলভ্য করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।
আরও পড়ুন: রেললাইনে গেম খেলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের পা বিচ্ছিন্ন
মন্ত্রী উল্লেখ করেন, রেলওয়ের টিকিট বিক্রির নিজস্ব সক্ষমতা এখনও গড়ে ওঠেনি। কাজেই এক্ষেত্রে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
চুক্তি অনুযায়ী সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি প্রাথমিকভাবে চলমান সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি সচল রাখবে এবং আগামী ১৮ মাসের মধ্যে সিসিএসআরটিএস সিস্টেমটি বিআরআই টিএস দিয়ে প্রতিস্থাপিত হবে। আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত সিএনএস লিমিটেড রেলওয়ের আন্তনগর ট্রেনের কম্পিউটারাইজড টিকেটিং পরিচালনা করবে। পরবর্তীতে ৭৭টি স্টেশনে সহজ-সিনেসিস-ভিনসেন জেভি কর্তৃক কম্পিউটার টিকিটিং সিস্টেম পুনরায় সচল রাখার জন্য সিস্টেমে কিছু কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে যার জন্য ন্যুনতম পাঁচ দিন সময় প্রয়োজন হবে।
টিকিট ইস্যু কার্যক্রম সফলভাবে সচল রাখার লক্ষ্যে ২১ মার্চ-২৫ মার্চ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিন অনলাইনে এবং কাউন্টারে কম্পিউটারের মাধ্যমে টিকিট ইস্যু করার পরিবর্তে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে শতভাগ টিকিট ইস্যু করা হবে।
ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে পাঁচ দিনের পরিবর্তে দুই দিনের অগ্রীম টিকিট ইস্যু করা হবে এবং এক্ষেত্রে সকল টিকিট উন্মুক্ত থাকবে কোন কোটা বা আসন সংরক্ষিত থাকবে না।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে ট্রেনের ধাক্কায় প্রাইভেটকার উল্টে নিহত ১, আহত ৫
আধুনিক রেলওয়ে ব্যবস্থা করতে চান প্রধানমন্ত্রী: কুড়িগ্রামে রেলপথমন্ত্রী
রেলওয়েকে একটি আধুনিক ও যুগোপযোগী যোগাযোগ ব্যবস্থা করতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন। তিনি বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সরকার রেলকে উঠিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে রেলকে সম্প্রসারণ করার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে।’
শুক্রবার (১২ নভেম্বর) কুড়িগ্রামে চিলমারী উপজেলার রমনা রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শনেকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘ইতোমধ্যে ঢাকার সাথে রেলপথে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস নামে ট্রেন চালু করা হয়েছে। এই ট্রেনটি উলিপুর স্টেশন পর্যন্ত চলাচলের জন্য আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। পরবর্তীতে রমনা স্টেশন পর্যন্ত চালু করা হবে।’
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামবাসী না চাইলে সিআরবিতে হাসপাতাল হবে না: রেলপথমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী চিলমারী নদী বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বন্দরটির সাথে রেল-নৌ যোগাযোগ স্থাপনের জন্য আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। যাতে করে প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে ব্যবসা-বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচিত হয়।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা, মহাপরিচালক ডিএন মজুমদার, মহাব্যবস্থাপক মিহির কান্তি গুহ্, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল হাসান, বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক শাহ্ সুফি নুর মোহাম্মদ, কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জাফর আলী, কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহম্মেদ মঞ্জু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে রেলমন্ত্রী চিলমারী নদীবন্দরের রমনা ঘাট পরিদর্শন করেন। এসময় চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ, রেল-নৌ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণ কমিটি ও ব্রহ্মপুত্র নদে দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
পড়ুন: সৃজনশীল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে: প্রধানমন্ত্রী