বৃহস্পতিবার থেকে তারা জেলা রেজিস্ট্রার ও সদর উপজেলা রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সব কাজ বন্ধ রেখেছেন।
জেলা রেজিস্ট্রার অফিসের অচলাবস্থা ও অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিকার দাবিতে দুপুরে শহরের সমবায় কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা রেজিস্ট্রার আবু তালেবের ঘুষ-দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা দলিল লিখক সমিতির সভাপতি মো. আবুল হাশেম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দলিল লেখক মো. মকবুল হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, রেজিস্ট্রার মো. আবু তালেব জেলায় মাসে গড়ে নিবন্ধনকৃত ১০ হাজার দলিল থেকে ২০০ টাকা করে ২০ লাখ টাকা, রেকর্ড রুম থেকে প্রতিদিন ১০ হাজার করে মাসে ৩ লাখ টাকা, মাসে তিনটি সাবরেজিস্ট্রি অফিস ভিজিট করে দুই লাখ করে ৬ লাখ টাকা, প্রতি মাসে কর্মচারী বদলি বাণিজ্য চালিয়ে ৫ লাখ টাকা এবং জেলায় খণ্ডকালীন দায়িত্ব পালনকারী সাব-রেজিস্ট্রারদের কাছ থেকে সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ গ্রহণ করেন।
এ কর্মকতার দুর্নীতির তদন্ত, বিচার ও প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কাজে যোগ না দেয়ার কথা জানান দলিল লেখকরা।
এছাড়া, বিপুল পরিমাণ ঘুষ বাণিজ্য ও অনিয়ম-দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় সদর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগও তোলা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
এ বিষয়ে ব্যাপারে জেলা রেজিস্ট্রর মো. আবু তালেবের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা মিথ্যা, অপপ্রচার, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।’