তারা হলেন- কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটপাড়া গ্রামের রনজিত দাসের ছেলে সনাতন দাশ (২৫), চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ গ্রামের আব্দুর রশিদের মেয়ে রেশমা (২৬), কোটচাঁদপুর উপজেলার হরিনদিয়া গ্রামের হারুন অর রশিদ সোহাগ (২৫), কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের মুস্তাফিজুর রহমান কল্লোল (২৪) সদর উপজেলার নাথকুন্ডু গ্রামের ইউনুস আলী (২৬)।
আরও পড়ুন: জানুয়ারিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৪: আরএসএফ
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশের এএসআই নিহত
বন্ধুর জন্য মোটরসাইকেল কিনে ফেরার পথে দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্য নিহত
নিহত শিক্ষার্থীরা যশোর এমএম কলেজের মাস্টার্স শেষ বর্ষে অধ্যায়নরত ছিলেন। কলেজে পরীক্ষা শেষে তারা বাড়ি ফিরছিলেন। তাদের মৃত্যুতে পরিবারগুলোতে চলছে শোকের মাতম।
কালীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাটপাড়া গ্রামের সনাতন দাশের মৃত্যুতে পরিবারের সকল স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে শোকে কাতর বাবা-মা। রাজমিস্ত্রীর কাজ করে ছেলেকে পড়ালেখা করিয়েছিলেন বাবা রনজিৎ দাস।
তিনি বলেন, ‘খুব কষ্ট করে ছেলের পড়ালেখার খরচ চালিয়েছি। খেয়ে না খেয়ে তার খরচ দিচ্ছিলাম। একদিন সে চাকরি করে অভাব ঘুচাবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন ফিঁকে হয়ে গেছে।’
কালীগঞ্জ উপজেলার সুন্দরপুর গ্রামের নিহত মুস্তাফিজুর রহমান কল্লোলের ভাই নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের বড় আশা ছিল ভাইকে নিয়ে। বড় আশা করে তাকে লেখাপড়া করিয়েছি। চালকের অসচেতনতায় বাস দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল তার। আমার পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে গেল।’
দুলাভাই আলমগীর কবির বলেন, ‘পরিবার ও সরকার এত টাকা খরচ করে তাদের লেখাপড়া শিখিয়েছে। গাছটি লালন পালন করে মাত্র ফুল ফুটেছে। সে থেকে ফল পাওয়ার আশা ছিল প্রত্যেকের। সেই ফুল অকালে ঝড়ে গেল। এ দায় ভার কার।’
আরও পড়ুন: তিন জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রদলের সাবেক নেতাসহ নিহত ৪
২০২০ সালে কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় নিহত ৭২৯ শ্রমিক: বিলস
২০২০ সালে সিলেট বিভাগে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৫০
বুধবার বিকালে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকায় যশোর থেকে মাগুরাগামী একটি বাস বিপরীত থেকে আসা একটি ট্রাকের সাথে সংঘর্ষ হয়। এতে যাত্রীবাহী বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ওপর উল্টে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই ৯ জন ও পরে তিনজন মারা যান। আহত হয় অন্তত ১৫ জন।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, নিহতদের ১২ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। পরিবারের কাছে তাদের লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।