তারা হলেন- প্রফেসর আফসার উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামিম, নূর উদ্দিন, কাউন্সিলর মকসুদ আলম, মো. শামিম, ইমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা, শাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, সাইফুর রহমান যোবায়ের, আব্দুর রহিম শরিফ, মহি উদ্দিন শাকিল, হাফেজ আব্দুল কাদের।
ফেনী জেলা কারাগারের জেলার মো. দিদারুল আলম জানান, কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) নির্দেশে নুসরাত হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১৬ আসামির মধ্যে ১২ জনকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রুহুল আমিন, সিরাজ-উদ-দৌলাকে বিচারাধীন মামলা থাকায় আগামীকাল বুধবার আদালতে হাজিরা শেষে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে ও কামরুন নাহার মনি, উম্মে সুলতানা পপিকে চট্রগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হবে।
এদিকে আসামিদের কুমিল্লা স্থানান্তরের খবর পেয়ে মঙ্গলবার সকালে থেকে তাদের স্বজনরা ফেনী জেলা কারাগারের প্রধান ফটকের পাশে ভিড় করেন। সকাল ১০টার দিকে আসামিদের বহন করা প্রিজন ভ্যানটি কারাগারের ফটক থেকে বের হওয়া মাত্রই স্বজনরা আহজারি করতে থাকে।
ফেনী জেলা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের বলেন, যেসব আসামি দীর্ঘমেয়াদি শাস্তি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হয় তাদের জেলা কারাগারে না রেখে নিরাপত্তাজনিত কারণে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর জন্য কারাবিধিতে নির্দেশনা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় কারাগারগুলোতে জনবল ও কনডেম সেলের সংখ্যা বেশি। তাদের পরিচালনার জন্য যা যা প্রয়োজন সব সেখানে রয়েছে। ফেনী জেলা কারাগারে কনডম সেল ও ফাঁসির কোনো মঞ্চ নেই।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ অক্টোবর আলোচিত নুসরাত হত্যা মামলার ১৬ আসামিরকে মৃত্যুদণ্ড দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মামুনুর রশিদ। আসামিদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানাও করা হয়।
চলতি বছরের ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন নিপীড়নের দায়ে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত ৬ এপ্রিল ওই মাদরাসা কেন্দ্রের সাইক্লোন শেল্টারের ছাদে নিয়ে অধ্যক্ষের সহযোগীরা নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। ১০ এপ্রিল রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মারা যান নুসরাত।