মঙ্গলবার সন্ধায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত হওয়ার পর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় এ ঘোষণা দেয়া হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জিয়াউল হক মীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিকের ঢাকায় মৃত্যু
কাদের মির্জাকে ‘চাঁদাবাজ, মাদকাসক্ত, দুশ্চরিত্রবান’ বললেন ফেনীর আ’লীগ নেতারা
তিনি বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচী ও সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় বুধবার ভোর ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বসুরহাট পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।’
এ সময়ে পৌর এলাকায় গণজমায়েত, সভা, সমাবেশ, মিছিল, র্যালি, শোভাযাত্রাসহ যে কোন ধরনের অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক প্রচার প্রচারণা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে পৌর শহরে ৪ জনের বেশি লোক সমাগম হতে পারবে না বলে তিনি জানান।
এদিকে, মঙ্গলবারের সংঘর্ষ এবং গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত ও গুলিবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।
নিহত আলাউদ্দিন (২০) উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মমিনুল হকের ছেলে। তিনি যুবলীগের কর্মী বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে আবদুল কাদের মির্জার গাড়িবহরে হামলার অভিযোগ
কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে ২৭ জনকে আটক করেছে।
বুধবার সকালে বসুরহাট বাজারে অধিকাংশ দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। বাজারে লোকজনের উপস্থিতি অত্যন্ত কম, জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
নিহত আলাউদ্দিনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।