খুলনাঞ্চলের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে খুলনাঞ্চল থেকে ২৯ হাজার ৫৪০ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে। যার মূল্য প্রায় দুই হাজার ৩৫৯ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৬৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ২ হাজার ২৯০ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যের ২৯ হাজার ৬ দশমিক ৮২ মেট্রিক টন চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে।
মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্র জানায়, খুলনাঞ্চল থেকে ২০১১-১২ অর্থবছরে ৪২ হাজার ৪৮৯ দশমিক ১০৩ মেট্রিক টন, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ৩৮ হাজার ৫৫১ দশমিক ৫৩ মেট্রিক টন, ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৩২ হাজার ৮০২ দশমিক ৮১ মেট্রিক টন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৩১ হাজার ৬৮৬ দশমিক ৭৪ মেট্রিক টন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ৩১ হাজার ৬৮৬ দশমিক ৭৪ মেট্রিক টন, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৩০ হাজার ২১৭ দশমিক ৭ মেট্রিক টন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ২৯ হাজার ২ দশমিক ৭৮৮ মেট্রিক টন চিংড়ি রপ্তানি হয়েছিল।
খুলনাঞ্চলের মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণের উপপরিচালক মোহা. মিজানুর রহমান জানান, করোনার আগে ফেব্রুয়ারি মাসে এসেই খুলনাঞ্চল থেকে চিংড়ি রপ্তানি আগের বছরের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যায়। এরপর আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ ছিল। কিন্তু করোনার কারণে বেশি এগোতে পারেনি।
মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ পরিদর্শক তৌফিক মাহমুদ বলেন, ‘চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই মাসে খুলনা অঞ্চল থেকে ২ হাজার ৯০৫ দশমিক ১৯৬ মেট্রিক টন চিংড়ি রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২০১ কোটি ৫৩ লাখ টাকা। যা ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩ হাজার ৯৯ মেট্রিক টন এবং আয় হয়েছিল ২৪৫ কোটি টাকা। করোনার প্রভাবে চলতি বছরের জুলাই মাসে আগের বছরের জুলাইয়ের তুলনায় চিংড়ি রপ্তানি আয় কমেছে প্রায় ৪৩ কোটি টাকা।’