বিজয়ের আগে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনীর সাথে সম্মুখ যুদ্ধে ভারতীয় মিত্রবাহিনীর ৩৪৫ সদস্যসহ দুই শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা শাহাদত বরণ করেন।
এবার করোনাভাইরাস মহামারির মাঝে দিনটি উদযাপনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবস আজ
হিলি মুক্ত করার সে সময়ের কথা উল্লেখ করে মুক্তিযোদ্ধারা জানান, আজও সেই দিনের যুদ্ধের ভয়াবহতা কেউ ভুলতে পারেননি। হিলি সীমান্তে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে পাক হানাদার মুক্ত দিবসের সূচনা
রণকৌশলগত কারণে ভারত সীমান্তবর্তী হিলি দখলে নিতে এপ্রিল মাস থেকে আকাশ ও সড়কপথে একাধারে হামলা চালায় পাকিস্তানী সেনারা। এর অংশ হিসেবে হিলির মুহাড়াপাড়ায় বাংকার তৈরি করে অবস্থান নেয় তারা। এক পর্যায়ে ৯ ও ১০ ডিসেম্বর পাকিস্তানী বাহিনীকে হঠাতে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনীর সদস্যরা যৌথভাবে সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নেয়।
এ লড়াইয়ে তিন শতাধিক পাকিস্তানী সেনা নিহত হন। এছাড়াও অনেক পাকিস্তানী আত্মসমর্পণ করেন এবং তাদের ব্যবহৃত ৩০টি ট্যাংকসহ বিপুল সংখ্যক ভারী অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। অবশেষে ১১ ডিসেম্বর হিলি সীমান্ত এলাকা মুক্ত হয়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবস আজ
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার লিয়াকত আলী বলেন, ‘শাহাদত বরণ করা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভারতীয় মিত্রবাহিনী সদস্যদের স্মরণে মুহাড়াপাড়া বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ‘সম্মুখ সমর’ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিবছর এ দিনে সেখানে বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে ফুল দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।’