হিলি
হিলি দিয়ে ফের পেঁয়াজ ও আলু আমদানি শুরু
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনলাইনে স্লট বুকিং বন্ধ করে দেওয়ায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ ও আলু আমদানি বন্ধ ছিল। এ কারণে মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার পর থেকে সব ধরনের পণ্য রপ্তানি বন্ধ করে দেন ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।
তবে অনলাইনে স্লট বুকিং আবারও চালু করায় বুধবার (২৭ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ফের আমদানি শুরু হয়। ওই সময় পেঁয়াজবোঝাই ৫টি ট্রাক হিলি স্থলবন্দরম দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে।
এর মধ্য দিয়ে আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরল। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পেঁয়াজবাহী ট্রাক প্রবেশ করলেও আলু আমদানি হয়নি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারত থেকে অনলাইনে স্লট বুকিং বন্ধ থাকার কারণে একদিন পেঁয়াজ ও আলু রপ্তানি করতে পারেননি ভারতীয় ব্যবসায়ীরা। এতে তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। লোকসানের কারণে তারা সব পণ্য ধরনের রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু, প্রথম চালানে আসল ১৩১ টন
তিনি বলেন, গত রাতে তারা সমস্যার সমাধান করতে পারায় আজ (বুধবার) থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। তবে এখনও আলু আমদানি করা যায়নি। সব সমস্যা কাটিয়ে দ্রুত সব ধরনের পণ্য ভারত থেকে আমদানি হবে বলে আশা করছি।
হিলি কাস্টমসের তথ্য মতে, চলতি সপ্তাহে ভারত থেকে ৫৫টি ট্রাকে ২ হাজার ২০০ টন চাল, ১৬৬টি ট্রাকে ৪ হাজার ৭০০ টন আলু এবং ৪৫টি ট্রাকে ১ হাজার ৩০০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে।
এদিকে, ভারত থেকে আমদানি বন্ধের অজুহাতে চাল, পেঁয়াজ ও আলুর দাম বাড়িয়ে অতিরিক্ত মুনাফা তোলার ফায়দা লুটেছে সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা। দুই দিনের ব্যবধানে জিরাশাইল ও সম্পাকাটারী চালের দাম বেড়ে গেছে।
জিরাশাইল চাল কেজি প্রতি ২ টাকা বেড়ে ৭০ টাকায় এবং সম্পাকাটারী ২ টাকা বেড়েছে ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এই সময়ে বেড়েছে ভারতীয় পেঁয়াজ ও আলুর দামও। পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে ৮০ টাকা এবং ভারতীয় আলু কেজি প্রতি ১২ টাকা বেড়ে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে আমদানি পণ্য বাজারে গেলে দাম কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: হিলি বন্দর দিয়ে ডিম আমদানি করতে না পারার অভিযোগ ব্যবসায়ীদের
৩ সপ্তাহ আগে
দুর্গাপূজায় ৬ দিন বন্ধ থাকবে হিলি স্থলবন্দর
দুর্গাপূজা উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৯ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত টানা ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে হিলির ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিষয়টি নিশ্চিত করেন আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সহকারী রাশেদ আলী।
আরও পড়ুন: দুর্গাপূজা উপলক্ষে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
রাশেদ আলী জানান, দুর্গাপূজার জন্য বাংলাদেশে পণ্য রপ্তানিকারক ভারতীয় হিলি এক্সপোর্টার অ্যান্ড কাস্টমস ক্লিয়ারিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন ৯ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রাখবে। পূজার পর্ব শেষে ১৫ অক্টোবর থেকে আবারও স্বাভাবিক হবে বন্দরের কার্যক্রম।
ছুটির মধ্যে হিলি বন্দরের বেসরকারি অপারেটর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান পানামাপোর্টে কাজকর্ম স্বাভাবিক থাকবে। আমদানি করা মালামাল পোর্ট থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরবরাহ কার্যক্রম চলবে।
এদিকে হিলি স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের পুলিশ কর্মকর্তা বদিউজ্জামান জানান, বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও খোলা রাখা হবে ইমিগ্রেশন বিভাগ।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ২৩১৮৪০ ডিম আমদানি
শারদীয় দুর্গাপূজায় বুড়িমারী স্থলবন্দরে ৬ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
২ মাস আগে
মে দিবস উপলক্ষে হিলিতে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
মে দিবস উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
বুধবার (১ মে) সকালে দুই দেশের ব্যবসায়ীরা এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
আরও পড়ুন: বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি শুরু
বাংলাহিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবদুর রহমান লিটন বলেন, মে দিবস উপলক্ষে সরকারিভাবে ছুটি থাকায় দিবসটি উদযাপনে দুই দেশের পরিবহণ শ্রমিক, মালিক ও ব্যবসায়িরা হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। বৃহস্পতিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরু হবে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ আশরাফুল বলেন, মে দিবস উপলক্ষে বন্দরে পণ্য আনা-নেওয়াসহ অন্যান্য কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও প্রতিদিনের মতো আজও হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বৈধ পাসপোর্ট- ভিসায় যাত্রীরা চলাচল করছেন।
প্রসঙ্গত, ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকেরা আট ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওইদিন তাদের আত্মদানের মধ্যে দিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য শ্রমিকদের আত্মত্যাগের এই দিনকে তখন থেকেই সারা বিশ্বে ‘মে দিবস’ হিসেবে পালন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি আম আমদানিতে আগ্রহী চীন
৭ মাস আগে
হিলিতে ভটভটি-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে নিহত ২
দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় গরুবোঝাই ভটভটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে হিলি-বিরামপুর সড়কের উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় বাসচাপায় ২ শিশুসহ নিহত ৪
নিহত ধীমান ঘোষ জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ধীরাজ ঘোষের ছেলে। অপর নিহতের পরিচয় জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিরামপুরের দিক থেকে গরুবোঝাই একটি ভটভটি হিলির দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে হিলি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বিরামপুরের দিকে হিলি বিরামপুর সড়কের ডাঙ্গাপাড়া নামক স্থানে পৌঁছালে দুর্ঘটনা ঘটে।
এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহীর মৃত্যু হয়।
হাকিমপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম জাহাঙ্গীর আলম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে।
একজনের নাম পরিচয় পাওয়া গেলেও অপরজনের নাম পরিচয় এখনো জানা যায়নি। পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ঘোড়াঘাটে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক ও সহকারী নিহত
৭ মাস আগে
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আমদানি- রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। ফলে আজ সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এই বন্দরের মাধ্যমে পণ্যবাহী ট্রাক আসা-যাওয়া করেনি।
তবে এই দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আলু আমদানি শুরু, দাম নেমেছে ৩০ টাকায়
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, দেশে যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত উদযাপন করা হচ্ছে। এ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটি থাকায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পণ্য আনা-নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে আবারও বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল জানান, বন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও এই দুই দেশের মধ্যে সকাল থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: হিলি স্থলবন্দর দিয়ে এই প্রথম ভারত থেকে নারিকেল আমদানি
৯ মাস আগে
আবারও হিলি দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু
ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় গত ১১ দিন ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। রপ্তানি বিধি-নিষেধ শিথিল করায় আবারও ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় ভারত থেকে প্রায় ৩০ টন পেঁয়াজবাহী দুইটি ট্রাক হিলি স্থল বন্দরের পানামা পোর্টের ওয়্যারহাউজে প্রবেশ করে।
নতুন করে আমদানির ফলে দেশে পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমবে।
আরও পড়ুন: পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রামে অভিযান শুরু
হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারকেরা জানান, ভারত সরকার হঠাৎ করেই গত ৭ ডিসেম্বর অভ্যন্তরীণ সংকট ও দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ফলে দেশের বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ শূন্য হয়ে পড়ে। এই অবস্থায় হিলি স্থলবন্দরের মোকামে কেজিতে ১০০-১২০ টাকা করে দাম বেড়ে ২০০-২২০ টাকায় বিক্রি হয়। গত কয়েকদিন ধরে অবশ্য দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়।
বন্দরের আমদানিকারক শহিদুল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারত থেকে বাড়তি দামেই পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ৬ দিন পর খালাস হলো বেনাপোল বন্দরে আটকে থাকা টিসিবির পেঁয়াজ
কিন্তু অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের সংকটের অজুহাত দেখিয়ে গত ৭ ডিসেম্বর হঠাৎ ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ৭ তারিখের আগে করা এলসির পেঁয়াজ রপ্তানি করার জন্য সেদেশের ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে ভারত সরকারের কাছে চাপ তৈরি করা হচ্ছিল।
এমতাবস্থায় ভারত সরকার আগের এলসির পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত দিলে মঙ্গলবার থেকে দেশে আমদানি শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পেঁয়াজের দাম নির্ধারণ
১ বছর আগে
হিলি সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ বৈঠক অনুষ্ঠিত
দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হিলি সিপি ক্যাম্পে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ছোটখাটো সমস্যা বিজিবি-বিএসএফ আলোচনার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা যেতে পারে: শ্রিংলা
সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধ, চোরাচালান, মাদক পাচার ও অনুপ্রবেশ রোধে আলোচনা হয় বৈঠকে।
বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্বে দেন বিজিবির দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আসগর এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্বে দেন ভারতের রায়গঞ্জ সেক্টরের ডিআইজি মহিনদার সিং। এছাড়া উভয় বাহিনীর ব্যাটালিয়ন অধিনায়কসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিএসএফের রায়গঞ্জ সেক্টরের ডিআইজি মহিনদার সিংয়ের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি হিলি চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে আসে। এ সময় তাদের ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিজিবির কর্মকর্তারা।
বিজিবির দিনাজপুর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল রাশেদ আসগর সাংবাদিকদের বলেন, ‘বৈঠকে সীমান্তে হত্যা ও মাদক চোরাচালান শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনা, অবৈধ সীমান্ত পারাপার রোধ, কাঁটা তারের বেড়া কর্তন বন্ধসহ দুই বাহিনীর সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ৪ দিনব্যাপী বিজিবি-বিএসএফ আঞ্চলিক কমান্ডার পর্যায়ের সম্মেলন শুরু
ঢাকায় বিজিবি-বিএসএফ ডিজি পর্যায়ের সীমান্ত সম্মেলন শুরু
১ বছর আগে
হিলি স্থলবন্দরের মোকামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম
ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের ঘোষণায় হিলি স্থলবন্দরের মোকামে ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। ফলে আবারও অস্থিরতা দেখা দিয়েছে পেঁয়াজের বাজারে।
এক রাতের ব্যবধানে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ল প্রতি কেজিতে ৮০-৯০ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজিতে।
অভ্যন্তরীণ সংকট ও দাম বৃদ্ধির অজুহাতে ভারত সরকার হঠাৎ করেই বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওযায় এই অস্থিরতা দেখা দেয়।
ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেডের (ডিজিএফটি) মহাপরিচালক সন্তোষ কুমার সারাঙ্গী স্বাক্ষরিত গত বৃহস্পতিবারের আদেশে বলা হয়েছে- বৃহস্পতিবারের আগে যেসব পেঁয়াজ রপ্তানিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে সেসব পেঁয়াজ রপ্তানি করা যাবে।
আরও পড়ুন: ভারতে ছুটি থাকায় একদিন পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি পুনরায় শুরু
এই আদেশ আগামী ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ থাকবে বলে ওই আদেশে বলা হয়ছে।
এদিকে বন্দরের মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) বাংলাহিলি বাজারে ভারতীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০-৯০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছিল। কিন্তু ভারতের রপ্তানি বন্ধের ঘোষণায় শনিবার (৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে ১৬০-১৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা দামে। এক রাতের ব্যবধানে প্রকার ভেদে কেজিতে ১০০ টাকার উপরে বেড়েছে।
শনিবার বন্দরের বাংলাহিলি বাজারের কাঁচাপণ্য বিক্রেতা ময়নুল শেখ জানান, প্রতি মুহূর্তে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। শুক্রবার ভারতীয় যে পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে শনিবার তা ১৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তাও আবার যৎসামান্য পেঁয়াজ আছে।
তিনি আরও জানান, শনিবারের মধ্যে বিক্রি শেষ হয়ে যাবে। দেশি পেঁয়াজ সকালে ২২০ টাকায় বিক্রি করেছি। দুপুরের পর শেষ হয়ে গেছে। বাজারে কোনো ব্যবসায়ীর কাছে দেশি পেঁয়াজ পাওয়া যাচ্ছে না।
স্থানীয় পৌর শহরের ক্রেতা সাবের আলী জানান, ভারতের কাণ্ড দেখে মনে হয় তারা সব কিছুতেই আমাদের নিয়ন্ত্রণ করছেন। যখন যা মনে হচ্ছে তাই করছে। কখনো চাল বন্ধ করছে, আবার কখনো পেঁয়াজ বন্ধ করছে।
তিনি আরও জানান, সরকারের উচিৎ হবে অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখা। তাহলে আমরা কম আয়ের মানুষ কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারব। ক্রেতারা দাম নিয়ে স্বস্তিতে থাকবে।
জানতে চাইলে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, ভারত সরকারের বেঁধে দেওয়া ৮০০ মার্কিন ডলারের রপ্তানি মূল্যে আমরা হিলি বন্দর দিয়ে দেশে পেঁয়াজ আমদানি করছি। কিন্তু ইতোমধ্যে ভারত সরকার আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।
তিনি আরও জানান, তাদের এমন হঠকারী সিদ্ধান্তের কারণে দেশের পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তেমনি দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সমাধানের দাবি জানাচ্ছি। পূর্বে ২/৩ ডলার মূল্যে পেঁয়াজ রপ্তানি করা হলেও গত ২৮ অক্টোবর রপ্তানি মূল্য বাড়িয়ে ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়।
তিনি জানান, সরকারের বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা দরকার। এখন থেকে বাজারে অভিযান চালানো হলে দাম বাড়ার আশঙ্কা থাকবে না। কারণ আমদানি বন্ধের ঘোষণায় ইতোমধ্যেই ভোক্তাদের মধ্যে অস্থিরতা শুরু হয়েছে।
এদিকে বন্দরের কয়েকজন আমদানিকারক জানান, পূর্বের অনুমতি থাকায় আজ শনিবার দুপুর থেকে ভারত থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে তিনটি ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। রবিবার থেকে আমদানি বন্ধ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: পূজায় ৭ দিন বন্ধ হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি, খোলা ইমিগ্রেশন
পূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৭ দিন
১ বছর আগে
পূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ৭ দিন
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ৭ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে স্বাভাবিক থাকবে চেকপোস্ট দিয়ে দুই দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার।
শারদীয় দূর্গোৎসব উপলক্ষে দুই দেশের আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ীরা আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সোমবার (৯ অক্টোবর) হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জন্মাষ্টমী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
তিনি বলেন, ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে ২৫ অক্টোবর বুধবার পর্যন্ত ৭ দিন ভারতের সঙ্গে এ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে।
তিনি আরও বলেন, বন্ধ থাকবে বন্দরের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম। ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিক হবে।
হিলি স্থলবন্দরের বেসরকারি অপারেটর পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন মল্লিক জানান, শুধু সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটিতে বন্দরের পানামা পোর্টের অফিসসহ আমদানি-রপ্তানি ও পণ্য উঠা-নামার কাজ বন্ধ থাকে।
তিনি আরও বলেন, ২৪ অক্টোবর দূর্গাপুজার দশমীর দিন। এদিন সরকারি ছুটি থাকায় সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তারপর থেকে পুনরায় বন্দরের কার্যক্রম শুরু হবে।
এদিকে হিলি স্থলশুল্ক স্টেশনের উপকমিশনার মো. বায়জিদ হোসেন জানান, ২৪ অক্টোবর দূর্গাপুজার কারণে সরকারি ছুটি রয়েছে। এর পরের দিন কাস্টমস অফিসের কার্যক্রম চালু হবে।
তিনি আরও জানান, ব্যবসায়ীরা চাইলে বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা তাদের আমদানি করা পণ্যের চালান শুল্ককর পরিশোধ করে খালাস করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ছুটি থাকায় একদিন পর হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি পুনরায় শুরু
ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
১ বছর আগে
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ না আনায় বেড়েছে দাম
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিযোগিতায় অস্থির হয়ে উঠেছে বাজার। আবার বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিন ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি করা হয়নি। এতে কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ৬ টাকা।
বৃহস্পতিবার ছিল নবীর (সা.) জন্মদিন। এ দিবস উপলক্ষে ছিল সরকারি ছুটি। আর অন্যদিকে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি। ফলে দুই দিন ধরে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেবে সরকার: কৃষি মন্ত্রণালয়
তবে শনিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে পুনরায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি শুরু হয়েছে। বিকালে বন্দরের মোকামে সরবরাহ বেড়ে গেলে দাম কমতে পারে।
এদিকে বুধবার আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বন্দরের পাইকারি মোকামে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বন্ধের কারণে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়। খুচরা বাজারেও দাম বেড়ে যায়।
বন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, ভারতে বন্যা ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে এমনিতেই বেশি দামে আমদানি করতে হচ্ছে। আবার ছুটি থাকায় গত দুই দিন ভারত থেকে পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ ছিল। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগ নিয়ে দাম বাড়িয়েছে। শনিবার থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। বিকালের পর দাম কমে আসবে।
আরেক আমদানিকারক রবিউল ইসলাম জানান, শনিবার থেকে কেজিতে ৪-৫ টাকা কমে আগের দামে ৫২ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হবে। ধীরে ধীরে আরও দাম কমবে।
বন্দরের কাস্টমস কার্যালয়ের তথ্যমতে, ছুটির দিন ব্যতীত হিলি স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৩০-৪০টি ভারতীয় ট্রাকে প্রায় ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টন পেঁয়াজ আমদানি হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় পেঁয়াজের কেজি ১০০ টাকার বেশি
৬০ টাকায় থমকে আছে দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় ৪০ টাকা
১ বছর আগে