একই সাথে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার মেহেরপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: পরকীয়ার জেরে শিশু হত্যা: মা ও তার প্রেমিকের মৃত্যুদণ্ড
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- সদর উপজেলার ইচাখালী গ্রামের নবীছদ্দীনের ছেলে সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলা খাতুন। বর্তমানে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলায় সরকার পক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর কাজী শহিদুল হক ও আসামি পক্ষে ছিলেন নারগিস আরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে আ’লীগ নেতা হত্যা মামলায় ২১ বছর পর রায়: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি বিকালে সদর উপজেলার যাদবপুর গ্রামের সুরনিশা ভিটার মাঠে জনৈক আলামিনের মসুরীর খেতে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় জরিনার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে একই সালের ৩১ জানুয়ারি জরিনা খাতুন নিখোঁজ হয়। লাশ উদ্ধারের পর নিহত জরিনার বোন ফেরদৌসী খাতুন জরিনার লাশ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ২০১০ সালের ৬ জানুয়ারি জরিনা খাতুনের বোন ফেরদৌসি খাতুন বাদী হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে মেহেরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে স্ত্রী হত্যার দায়ে যৌতুকলোভী স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলা খাতুনকে আটকের পর আদালতে নেয়া হলে তারা ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন মেহেরপুর সদর থানার এসআই হাসান ইমাম মামলার প্রাথমিক তদন্ত কাজ শেষ করেন এবং নিহত জরিনার স্বামী সাইদুল ইসলাম ও তার প্রথম স্ত্রী জমেলাকে অভিযুক্ত করে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে শিশু হত্যা: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামি হাইকোর্টে খালাস
ঘটনার সাথে জড়িত না থাকায় তিনজনকে চার্জশিট থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। মামলায় ১৪ জন সাক্ষী আদালতের তাদের সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামিদের জবানবন্দী, সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে আদালত এ আদেশ দেয়।