তারা হলেন- ঢাকার সাভার সোনালী ব্যাংক কলোনি এলাকার মৃত জমির খানের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৪২), ঢাকার জুরাইন থানা এলাকার তোফাজ্জল হকের ছেলে খোকন মিয়া ওরফে জামাল মিয়া (৫৫) ও মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার মোল্লকান্দি এলাকার আব্দুর রবের ছেলে মোহাম্মদ হারুন ওরফে বাবু মিয়া (৪২)।
সোমবার দুপুরে পুলিশ লাইনে এক সংবাদ সম্মেলনে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত জানান, গত কয়েকদিনে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বেশ কয়েকটি ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন পন্থায় চক্রটিকে ধরার জন্য ফাঁদ পাতে। রবিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলার ভেড়ামারার ১২ মাইল এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতির সময় পুলিশ তিন সদস্যকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, হাতকড়া, ওয়াকিটকি, বার্মিজ টিপ চাকু, ডেগার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লোগো যুক্ত টি-শার্ট, স্পেশাল সিকিউরিটি কমান্ডোর লোগো যুক্ত টি-শার্ট, বুট, স্বর্ণালংকার, নগদ ৯২ হাজার টাকা, মাদকদ্রব্য ও একটি প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো গ-১৪-৮৫৯৪) উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরও জানান, আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে এই চক্রটি পুলিশ, র্যাব ও সেনা সদস্যদের পরিচয়ে কুষ্টিয়া, যশোর, ঝিনাইদহ, পাবনা, রাজশাহী, বগুড়া, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, ঢাকাসহ দেশের ২২ জেলায় গত তিন মাসে শতাধিক ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রায় দুসপ্তাহ ধরে পুলিশের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এই চক্রের তিনজনকে আটক করা সম্ভব হয়।
চক্রটি অনেক বড় এবং বাকি সদস্যদেরকেও আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।