সলঙ্গা থানা এলাকার আলোকদিয়া গ্রামের একটি বাড়ি থেকে শনিবার দিবাগত রাত ১১টার দিকে শিশু দুটি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জড়িত এক নারীকে আটক করা হয়েছে। আটক কল্পনা খাতুন (২৫) আলোকদিয়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঘুমন্ত বাবা-মায়ের পাশ থেকে ১৭ দিনের শিশু চুরি
এছাড়াও আরও পাঁচ নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় জানায়নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
উদ্ধার হওয়া শিশুরা হলো- উল্লাপাড়া উপজেলার ভাদালিয়া গ্রামের চয়ন ইসলাম ও মঞ্জুয়ারা দম্পতির মেয়ে মাহিম (২৭ দিন বয়স) এবং পাবনার চাটমোহর উপজেলার স্থল গ্রামের আব্দুল মাজেদ ও সবিতা খাতুন দম্পতির ছেলে তিন দিন বয়সী সামিউল। মাহিমকে মৃত এবং সামিউলকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
সামিউলকে শনিবার হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার শাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে চুরি করা হয়। অন্যদিকে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল থেকে চুরি করা হয় মাহিমকে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে চাকরিচ্যুত করায় শিশু অপহরণ
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী জানান, শনিবার দুপুরে হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকার শাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়াল হাসপাতাল থেকে সামিউল নামে এক নবজাতক শিশু চুরি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যবেক্ষণ ও ঘটনার বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে। এরপর কিছুটা নিশ্চিত হয়ে রাত ১১টার দিকে আলোকদিয়া গ্রামের সাদ্দাম হোসেনের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নবজাতক শিশুটিকে সাদ্দামের স্ত্রী কল্পনার কোলে দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় বাড়ি তল্লাশি করে ধানের গোলার মধ্যে মাহিম নামে অপর শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয় এবং বাড়ির মালিক কল্পনাকে আটক করা হয়। এছাড়া ওই বাড়িতে অবস্থান করা আরও পাঁচ নারীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম ঠিকানা জানানো যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: শিশু অপহরণের দায়ে ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
এদিকে, জীবিত ও মৃত শিশুর লাশ উদ্ধারের পর পুলিশ সুপার মো. হাসিবুল আলম রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।