রাজনীতি
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৫১ নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে চলমান উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের আরও ৫১ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
শীর্ষ নেতাদের নির্দেশনার বিরুদ্ধে গিয়ে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এ পর্যন্ত ১৯৯ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
বুধবার(১৫ মে) বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এসব শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৩ নেতাকে বহিষ্কার
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে তৃতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ৫১ জন নেতাকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদসহ দলীয় সব পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ১৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৭৯ নেতাকে বহিষ্কার করে দলটি।
এছাড়া আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ৬৯ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দেশজুড়ে চার ধাপে ৪৯২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব মনে করে বিএনপি। ফলে উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে দলটির হাইকমান্ড।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার
উপজেলা নির্বাচন: নওগাঁয় বিএনপির আরও ২ নেতাকে শোকজ, এক নেত্রীকে বহিষ্কার
৫৭৯ দিন আগে
উপজেলা নির্বাচন: চেয়ারম্যান প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করল ইসি
নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী জামিল হাসানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বুধবার (১৫ মে) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে শুনানি শেষে ইসি এ সিদ্ধান্ত নেয়।
এর আগে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে চেয়ারম্যান প্রার্থীকে বুধবার নির্বাচন ভবনে তলব করে ইসি।
আরও পড়ুন: খুলনায় স্কুল পরিচালনা পর্ষদের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ১
ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন,চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচন কমিশনে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিলেও কমিশন সন্তুষ্ট হয়নি।
এছাড়া বরিশাল-৬ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আব্দুল হাফিজ মল্লিক ইসিতে এসে ৮ মে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রকাশ্যে ভোট দেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
ইসির অতিরিক্ত সচিব বলেন, কমিশনের শুনানিতে সংসদ সদস্য নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ায় নির্বাচন কমিশন তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার
৫৭৯ দিন আগে
উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির আরও ৫ নেতাকে বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের আরও পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য পাঁচ নেতাকর্মীর প্রাথমিক সদস্যপদ বাতিল করে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কৃতরা হলেন- মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল রানা মল্লিক, সাটুরিয়া মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক মুন্নী আক্তার, খুলনার খানজাহান আলী থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন, নওগাঁর সাপাহার উপজেলা মহিলা দলের প্রচার সম্পাদক সুমি আক্তার ও বগুড়ার দুপচাঁচিয়া বিএনপির মহিলাবিষয়ক সম্পাদক সখিনা বেগম।
নির্দেশনা অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করায় এ পর্যন্ত ১৪৮ জন নেতাকে বহিষ্কার করেছে দলটি।
বহিষ্কৃত নেতাদের মধ্যে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন এবং সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এর আগে গত ৮ মে অনুষ্ঠিত উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশ নেওয়ায় তৃণমূলের ৭৯ নেতাকে বহিষ্কার করে দলটি।
এছাড়া ২১ মে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় গত ৪ মে ৬১ জন এবং ৬ মে ৬ জন তৃণমূলের নেতাকে বহিষ্কার করে দলটি।
দেশজুড়ে চার ধাপে ৪৯২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তৃতীয় ধাপে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫ জুন ভোট অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন অসম্ভব বলে মন্তব্য করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্তে অটল রয়েছে বিএনপি।
৫৮০ দিন আগে
ইসরায়েলি এজেন্টদের সঙ্গে মিলে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বিএনপি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
গত নির্বাচনে বিএনপির চক্রান্ত ভেস্তে যাওয়ায় তারা এখন আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি লবির সঙ্গে যুক্ত হয়ে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত 'ফিলিস্তিনে গণহত্যা বন্ধের দাবিতে ও বিএনপির দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সমাবেশ ও মানববন্ধনে' এ অভিযোগ করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধে কোনো প্রতিবাদ না করে বিএনপি-জামায়াত ধর্মীয় "সেন্টিমেন্ট" নিয়ে অপরাজনীতি করছে। ফিলিস্তিনের পক্ষে না দাঁড়িয়ে তারা ইসরায়েলের দোসরে পরিণত হয়েছে, নেতানিয়াহুর দোসরে পরিণত হয়েছে। ইসরায়েলের এজেন্টদের সঙ্গে মিলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের কাছে তথ্য প্রমাণ আছে। এদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।'
আরও পড়ুন: সাম্প্রদায়িকতা ও কূপমণ্ডুকতা রুখতে দরকার দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক গণজাগরণ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, 'পুরো পৃথিবী গাজায় ইসরায়েলের বর্বরতার প্রতিবাদে সোচ্চার হয়েছে। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াত, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার অপচেষ্টা করে, এই মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে তারা একটা শব্দও উচ্চারণ করেনি। কারণ কেউ অসন্তুষ্ট হতে পারে।'
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে নিশ্চুপ থাকা ইসলামি দলগুলোরও সমালোচনা করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, কিছু ইসলামি দল আছে যারা কারণে-অকারণে বায়তুল মোকাররমে দাঁড়িয়ে যায়। এখন তাদের পাওয়া যাচ্ছে না।
ড. হাছান প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনাদের কেন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না? আপনারা কোথায় এখন? নির্বাচনের আগে সরকার নামানোর জন্য বায়তুল মুকাররমের সামনে এসে আন্দোলন করেন। ফিলিস্তিনি ভাইদের পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে তো একটা বড় মিছিল করতে দেখলাম না আপনাদের।'
তিনি আরও বলেন, এরা ইসলামপ্রেমী নয়, এরা হলো মুখোশধারী ধর্ম ব্যবসায়ী। এদের মুখোশও উন্মোচন করতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, 'সরকারের সমালোচনাকারী নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনেকেরই দলের চেয়ে ব্যক্তি বড়, শরীরের চেয়ে গাল বড়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেককেই দেখি সরকারের বিরুদ্ধে বড় বড় ভাষণ দেয়, বিষোদগার করে। কিন্তু নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে তো তাদের কথা বলতে শুনলাম না।’
ফিলিস্তিনিদের প্রতি অটল সমর্থন ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, বাংলাদেশের সরকার ও মানুষের অবস্থান সবসময় ফিলিস্তিনিদের পক্ষে। আমাদের নীতি ফিলিস্তিনি মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে।
বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন টয়েলের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন- ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা মানিক লাল ঘোষ, স্বাধীনতা পরিষদের নেতা ফরিদুজ্জামান, মুহাম্মদ রোকন উদ্দিন পাঠান।
আরও পড়ুন: বিএনপি যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই প্রশ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৮০ দিন আগে
বিএনপির নির্বাচন বর্জনের রাজনীতির নিন্দায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা
সম্প্রতি স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় তারেক রহমানের নির্দেশে তৃণমূলের ১৪২ জন নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঘটনা প্রমাণ করে পলাতক এই নেতার রাজপথে নামা ও নির্বাচন বর্জনের আহ্বান সুস্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে দলটির নেতা-কর্মীরা।
বিএনপির একের পর এক নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত দলটিকে ভোটারদের থেকে আরও বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে। এই পদক্ষেপকে আত্মঘাতী ও অগণতান্ত্রিক হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষমতায় যেতে জনসাধারণের ম্যান্ডেট অর্জনে দলের অনীহাকে আরও উন্মোচিত করেছে বিএনপি শীর্ষ নেতাদের নির্বাচন বানচালের উদ্যোগ এবং পরে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তাদের অপপ্রচার।
নির্বাচনের কয়েক মাস আগে তারেক রহমান 'ব্যালট নয়, রাজপথে দেশের গতিপথ নির্ধারণ' করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরপর বিএনপি-জামায়াত জোট মাসব্যাপী অবরোধ ও অগ্নিসংযোগ অভিযান চালায়। এই কর্মকাণ্ডকে গণতন্ত্র ও অধিকার রক্ষার মুখে চপেটাঘাত বলে মনে করেন মানবাধিকার কর্মীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি যে কখন তাবিজ-দোয়ার ওপর ভর করে সেটিই প্রশ্ন: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কয়েকদিন আগে বিএনপির এক স্থানীয় নেতা প্রকাশ্যে তারেক জিয়ার ভোট বর্জনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের নীতি প্রত্যাখান করে দুধ দিয়ে গোসল করে দল ছাড়েন। এটি প্রতীকী হলেও দলীয় প্রধানের মতাদর্শ প্রত্যাখ্যানের এটি শক্তিশালী প্রতিবাদ।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ২০১৪ সালে বিএনপি জাতীয় নির্বাচন বর্জনের যে সংস্কৃতি শুরু করেছিল, ২০২৪ সালেও তারা একই কৌশল অনুকরণ করেছে। কিন্তু এক দশকের মধ্যেও নির্বাচন বর্জনের নীতিতে জনসমর্থন পায়নি বিএনপি। তবুও তাদের মধ্যে সংশোধনের কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
অন্যদিকে স্থানীয় নেতাদের চাপে তারেক রহমানের অনুগতদের দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের জন্য বরাদ্দ অর্থ আত্মসাতের যে অভিযোগ উঠেছে, তা চরম অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করেছে। এ কারণে স্থানীয় পর্যায়ে তারেক জিয়ার পছন্দের নেতাদের গ্রহণযোগ্যতা হ্রাস পাচ্ছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মেসবাহ কামাল বলেন, ‘দলীয় ক্যাডারদের নির্বাচন বন্ধ করতে বলার মাধ্যমে রাজনৈতিক ভুল করা হয়েছে। একই সঙ্গে তা মেনে নেওয়া এবং প্রথম দফার নির্বাচনে বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক ১৬ জন নেতার মাধ্যমে কলুষিত হওয়া ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারের প্রচেষ্টা গ্রহণের পরিবর্তে তারেক ও তার অনুগতদের মধ্যবর্তী নির্বাচনের দাবি এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন বানচালের আহ্বান দলকে আরও বিচ্ছিন্ন করে ফেলার আরেকটি বহিঃপ্রকাশ। এটিকে অগণতান্ত্রিক চর্চাও বলা চলে।’
১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারেক রহমানের বিদেশে অবস্থান প্রসঙ্গে মেসবাহ বলেন, ‘মনে হচ্ছে এক দশক ধরে তারেক রহমান দেশে নেই, মাঠ পর্যায়ের বাস্তবতা থেকে তারেক রহমানের অনুপস্থিতি বিএনপিকে গণ বিচ্ছিন্নতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। পাশাপাশি বহিষ্কারের ধারা তৃণমূল পর্যায়ে দলকে আরও দুর্বল করেছে।’
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন: ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার আহ্বান বিএনপির
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক অজয় দাশগুপ্ত নির্বাচন বর্জনের রাজনীতিকে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও তারেক রহমানের পিতা জেনারেল জিয়ার গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়ের সঙ্গে তুলনা করেন। জেনারেল জিয়া জনগণের ম্যান্ডেট দিয়ে নয়, শক্তি দিয়ে ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার দিকে মনোনিবেশ করেছিলেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অজয় আরও বলেন, দলের প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমানের সময় থেকে শুরু করে জনগণের ম্যান্ডেট না পেয়ে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের বৈশিষ্ট্য, শাসনকে বৈধতা দেওয়ার জন্য একটি প্রহসনের গণভোট- গণতন্ত্র থেকে দলটির সরে দাঁড়ানোর প্রমাণ।
জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক গাজী নাসিরউদ্দিন খোকন বলেন, জনসমর্থন আদায়ে ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপি নির্বাচনকে কলঙ্কিত করতে মিথ্যাচার করছে।
জ্যেষ্ঠ গবেষক ও রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক সৈয়দ বদরুল আহসান বলেন, নির্বাচন বর্জনের বেশ কিছু পরিণতি আছে। প্রথমত, এর ফলে দলীয় কর্মীদের মধ্যে মোহভঙ্গ হয়, যারা রাজনৈতিক প্রক্রিয়া থেকে বঞ্চিত হন এবং নিজেদের অপ্রাসঙ্গিক মনে করেন। দ্বিতীয়ত, যে দল অবিরাম নির্বাচন বর্জন করে, সেই দলকে নাগরিকরা গুরুত্বের সঙ্গে নেয় না।
সৈয়দ বদরুল বলেন, ‘এটি গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ, কারণ ক্রমাগত নির্বাচন বর্জনের ফলে সন্দেহ হয় যে দলটি ভোটকেন্দ্র থেকে দূরে থাকা অন্য রাজনৈতিক কৌশল থাকতে পারে, যা নির্বাচন এবং জনস্বার্থের পক্ষে অনুকূল নয়, কেবল ক্ষমতায় বসার জন্য এমন মনে করে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ মানেই অগ্নিসংযোগ-ধ্বংসযজ্ঞ-রক্তপাত: ওবায়দুল কাদের
২০১৪ সালের মতো, গত জাতীয় নির্বাচনের কয়েক মাস আগে, বিএনপি ও জামায়াত জোট এক মাসব্যাপী অবরোধ করে। এর মধ্যে যানবাহন ও ট্রেনে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনাও ছিল। পাশাপাশি জামায়াতের সঙ্গেও সম্পর্ক শক্ত করে দলটি সব আইন বাতিল করে শরিয়াহ আইন প্রবর্তনের প্রকাশ্য হুমকি দিয়েছিল।
এছাড়াও খালেদা জিয়া ও তারেকের নির্দেশে দেশ চালানোর ঘোষণার মতো নির্বাচন ছাড়াই ক্ষমতা দখলের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন বিএনপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা।
আরও পড়ুন: দুধ দিয়ে গোসল করে দলত্যাগ বিএনপি নেতার
৫৮০ দিন আগে
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: পাবনায় চেয়ারম্যান প্রার্থী সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত ১০
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলামের সমর্থকদের ওপর আরেক প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম কামালের সমর্থকরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছেন।
রবিবার (১২ মে) দিবাগত রাতে উপজেলার দেবোত্তর ইউনিয়নের মতিগাছা এলাকায় এঘটনা ঘটে।
আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- মতিগাছা এলাকার এলেম উদ্দিনের দুই ছেলে আফাই মোল্লা ও সইমুদ্দিন মোল্লা, সিরাজুল প্রামানিকের ছেলে আবুল কাসেম এবং আবুল কাসেমের ছেলে মাহাতাব প্রামাণিক। অন্যান্য আহতদের নাম ও ঠিকানা জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: যেসব ভোটকেন্দ্র জাল ভোট হবে সেগুলো অবিলম্বে বন্ধ করা হবে: ইসি
অভিযোগ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রবিবার রাত ১০টার দিকে তানভীর ইসলামের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষে ফেরার পথে তানভীর ইসলামের সমর্থকদের মারধর করে কামালের সমর্থকরা। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে আটঘরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এবিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান তানভীর ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে চাঁদভায় আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করেছে কামালের লোকজন। আজকে আমার সমর্থকরা অফিস উদ্বোধন শেষে বাড়ি ফেরার পথে পরিকল্পিতভাবে কামালের সমর্থকরা হামলা করেছে। এতে আমার বেশ কয়েকজন সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন। আমি এর উপযুক্ত শাস্তি চাই।
তবে আরেক চেয়ারম্যান প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম কামাল বলেন, আমার সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ মিথ্যা ও কাল্পনিক। দেবোত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপরই হামলা করা হয়েছে। এতে আমার এক বৃদ্ধ ও নারী সমর্থক আহত হয়েছেন।
এব্যাপারে আটঘরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাদিউল ইসলাম বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। দুই পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করছে। আমরা লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ শতাংশ: ইসি আলমগীর
৫৮১ দিন আগে
সুষ্ঠু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া আমদানি পণ্য এড়িয়ে চলার আহ্বান বিএনপির
জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে আমদানি পণ্য ভোক্তাদের কাছে পৌঁছানোর আগে কঠোরভাবে পরীক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (১২ মে) এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
গত ৮ মে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ভারতীয় খাদ্যদ্রব্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক পদার্থের উপস্থিতির বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে দেশের নাগরিকদের সতর্ক থাকার এবং যথাযথ পরিদর্শন প্রোটোকল ছাড়া আমদানিকৃত পণ্য এড়িয়ে চলার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
আরও পড়ুন: দেশ গভীর সংকটে, সরকারের ভবিষ্যৎ অন্ধকার: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ) বা অন্যান্য দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানের মতো সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিদেশ থেকে আসা পণ্য পরিদর্শন ও পরীক্ষা পরিচালনা করা অপরিহার্য। কিন্তু বর্তমান পরাধীন সরকার দেশের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে আমদানিকৃত খাদ্যপণ্যের যথাযথভাবে পরীক্ষা করবে কিনা তা নিয়ে জনগণ যথেষ্ট সন্দিহান।’
তিনি আরও বলেন, দেশের সকল নাগরিককে নিজ উদ্যোগে নিজের এবং পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, ‘আমদানি করা পণ্য যথাযথভাবে পরিদর্শন না করা হলে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পদার্থযুক্ত সব ধরনের পণ্য আমাদের এড়িয়ে চলতে হবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারতের বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানের প্রাদুর্ভাব নিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে স্বাস্থ্য নিরাপত্তার বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: বিদেশি শক্তির ‘দালালি’ করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না: গয়েশ্বরের হুঁশিয়ারি
ইউরোপে ভারতীয় খাদ্যপণ্যের ওপর পরিচালিত একটি সমীক্ষায় ৫২৭টি পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিক রয়েছে বলে বৈঠকে আলোচনায় জানানো হয়।
২৩ এপ্রিল প্রকাশিত রয়টার্সের একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে ফখরুল বলেন, ক্যান্সার সৃষ্টিকারী রাসায়নিকের উপস্থিতি রয়েছে এমন অভিযোগে হংকং এবং সিঙ্গাপুরে এমডিএইচ এবং এভারেস্ট ব্র্যান্ডের কিছু পণ্য বিক্রি বন্ধ হওয়ায় এসব পণ্যের গুণমান পরীক্ষার বিশদ সরবরাহ করতে বলেছে ভারতের মশলা রপ্তানি নিয়ন্ত্রক।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ অবস্থায় সরকারকে অবশ্যই বাজারে প্রবেশের আগে প্রতিটি আমদানিকৃত পণ্যের গুণগত মান পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরীক্ষা করে নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
সরকারি হাসপাতালগুলো বিশেষ করে ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোর অপরিচ্ছন্ন অবস্থা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিএনপি মহাসচিব। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার অভাব এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের উপস্থিতির যথাযথ স্বাস্থ্যসেবা পেতে বাধা সৃষ্টি করে বলে মনে করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করাই আ. লীগের লক্ষ্য: মির্জা ফখরুল
ফখরুল বলেন, মুনাফা লাভের উদ্দেশ্যে সরকারি হাসপাতালের আশপাশে অসংখ্য নিম্নমানের ক্লিনিক ও বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৭০ শতাংশ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ডায়াবেটিস ও অন্যান্য রোগের মতো অসংক্রামক রোগে।
কিন্তু সরকার এসব রোগ মোকাবিলায় মোট স্বাস্থ্য বাজেটের মাত্র ৪.২ শতাংশ বরাদ্দ করে বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সাম্প্রতিক একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এতে জনস্বাস্থ্যের একটি ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে যে, দেশের প্রায় ১৩ কোটি মানুষ প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর খাবার কেনার সামর্থ্য রাখে না।
তিনি আরও বলেন, দেশে প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার মানুষ ক্যান্সারে মারা যায়। এই প্রচলিত ক্যান্সারের মূল কারণ অনিরাপদ খাদ্য।
রাজনীতিকরণের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য ও শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া ভেস্তে গেছে উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, যথাযথ কাজের সুযোগ বা দক্ষতার স্বীকৃতির অভাবে অনেক মেধাবী ব্যক্তি দেশ ছাড়ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লুর আসন্ন বাংলাদেশ সফর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, কে কখন আসছে আর কে আসছে না তা নিয়ে বিএনপি আগ্রহী নয়।
বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তাদের দলের আস্থার কথা পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'জনগণের ওপর আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে এবং আমরা সেই বিশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে আছি। আমাদের রাজনীতিও মানুষের জন্য।’
আরও পড়ুন: পরিবেশ বিপর্যয়ের জন্য সরকারের 'ধ্বংসাত্মক' নীতি দায়ী: বিএনপি
৫৮২ দিন আগে
দেশ গভীর সংকটে, সরকারের ভবিষ্যৎ অন্ধকার: ফখরুল
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর দেশের সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।
রবিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেন, সরকার ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের নির্বিচারে দোষী সাব্যস্ত ও কারারুদ্ধ করে বিচার বিভাগকে তার বিরাজনীতিকরণ এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে।
ফখরুল আরও বলেন, 'আমি বলতে চাই যে তাদের (সরকার) একটি ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে যে তারা সংকট কাটিয়ে উঠেছে। তবে আমি বলছি, গত (জাতীয়) নির্বাচনের পর সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। আপনারা যদি এখনও এই বাস্তবতা উপলব্ধি না করেন এবং সংকট মোকাবিলার প্রচেষ্টা না করেন তবে আপনাদের ভবিষ্যৎও অন্ধকার।’
গত ৮ মে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ফখরুল বলেন, দল ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের একতরফাভাবে বিচার ও সাজা দেওয়ার প্রক্রিয়ার তীব্র নিন্দা জানানো হয়েছে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে।
বিএনপি মহাসচিব দাবি করেন, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দেশের রাজনীতিকে নির্বাসনে পাঠানোর চেষ্টার অংশ হিসেবে সরকার ২ হাজারেরও বেশি বিরোধী নেতাকর্মীকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আদালত মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল, কিন্তু তারা সেখানে বিচার পাচ্ছে না।’
বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, সরকার দেশে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীকে নানা ধরনের দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে সম্পদ অর্জনের সুযোগ করে দিয়ে ক্ষমতায়িত করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এই সরকারকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য তারা লুণ্ঠনের ষড়যন্ত্র করেছে।’
ফখরুল বলেন, ক্ষমতাসীন দলের লুটেরারা বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার করছে, বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, দুর্নীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে একটি বিশেষ মহলকে অবৈধভাবে জনগণের অর্থ লুটপাট এবং বিভিন্ন আর্থিক সুবিধা গ্রহণের সুযোগ দিয়ে বাংলাদেশকে আর্থিকভাবে অন্যের ওপর নির্ভরশীল করে তুলছে সরকার।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, ইতোমধ্যে এটা প্রমাণিত হয়েছে। একটি দেশের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড যখন ভেঙে যায় এবং জবাবদিহির অভাবে দেশটির রাজনৈতিক ও সামাজিক কাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়, তখন তা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়। সারাদেশে এখন অরাজকতা বিরাজ করছে।’
৫৮২ দিন আগে
'অদৃশ্য শক্তি' এখন বাংলাদেশ চালাচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ নয়, একটি অদৃশ্য শক্তি এখন দেশ পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, 'তারা(আওয়ামী লীগ) কি আসলেই দেশ পরিচালনা করছে? তারা দেশ পরিচালনা করছে না... এটি একটি অদৃশ্য শক্তি যারা এখন দেশ চালাচ্ছে।’
সমাবেশে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সেই অদৃশ্য শক্তির ইশারায় ক্ষমতাসীনরা মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়েছে।
সরকার রাজনীতিকরণের মাধ্যমে রাষ্ট্রযন্ত্র ও পুলিশ, প্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ সকল প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা আক্ষেপ করে বলেন, যারা ক্ষমতাসীন দলের নয় তারা সরকারের কাছ থেকে কোনো চাকরি বা সুযোগ-সুবিধা পায় না।
তিনি বলেন, এমনকি ক্ষমতাসীন দলের সদস্যদেরও ঘুষ দিয়ে তাদের চাকরি নিশ্চিত করতে হয়। ‘এমনকি একজন স্কুল পিয়নের চাকরির জন্য কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকা দিতে হয়। তারা দেশে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।’
আরও পড়ুন: উপজেলা নির্বাচন প্রমাণ করে জনগণ এই সরকারের সঙ্গে নেই: মান্না
খালেদা জিয়া, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুসহ সব রাজবন্দির নিঃশর্ত মুক্তি এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শনিবার (১১ মে) বিকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী যুবদল এ সমাবেশের আয়োজন করে।
সরকার একতরফা নির্বাচন করে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা ধ্বংস করছে বলে অভিযোগ করেন ফখরুল।
তিনি বলেন, 'এবার তারা ডামি নির্বাচন চালু করেছে। এটা ঠাট্টা-বিদ্রুপ ও প্রহসনে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আওয়ামী লীগকে সতর্ক করে বলেন, হিটলার, এরশাদ, আইয়ুব খানসহ কোনো স্বৈরাচারী সরকার জনগণকে দমন ও নির্যাতন করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেনি।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ দেশের মানুষ হচ্ছে যোদ্ধা ও বিদ্রোহী, যারা সব সময় সবকিছু মেনে নেয় না। আন্দোলন সাময়িকভাবে গতি হারাবে বলে মনে হতে পারে। আবার নতুন করে আন্দোলন শুরু হবে।’
তিনি বলেন, সরকার দেশকে পৈতৃক সম্পত্তি মনে করে বলে জনগণের দাবির বিষয়ে ন্যূনতম চিন্তিত নয়।
তিনি বলেন, ' আমরা বলছি এখনো সময় আছে। দেশের মানুষের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। তাই ক্ষমতাচ্যুত করতে জনগণকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করবেন না।’
আরও পড়ুন: বিদেশি শক্তির ‘দালালি’ করে ক্ষমতায় থাকা যাবে না: গয়েশ্বরের হুঁশিয়ারি
৫৮৩ দিন আগে
সিন্দবাদের দৈত্যের মতো দেশ শাসন করছে আ.লীগ সরকার: জিএম কাদের
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমন করে আওয়ামী লীগ সরকার সিন্দবাদের পৌরাণিক দৈত্যের মতো দেশ শাসন করছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার প্রবল ক্ষমতার জোরে দেশের নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নিয়েছে। এখন, মানুষের কণ্ঠস্বরের কোনও মূল্য নেই; বরং তারা সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য হচ্ছে। এটা মানুষের কাঁধে বসে থাকা সিন্দবাদের দানবের মতো আচরণ।’
শনিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় জিএম কাদের এই অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, দেশের মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নেই এবং তারা প্রতিবাদ করলে তাদের অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।
জিএম কাদের বলেন, ‘জাতি এখন এক সংকটময় সময় পার করছে। সংকটের গভীরতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।’
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের অধিকাংশ মানুষ এখন যা উপার্জন করেন তা দিয়ে সংসার চালাতে পারছেন না।
সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা জিএম কাদের বলেন, টাকার অবমূল্যায়ন, মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে যাওয়ায় ডলারের দাম বেড়েছে।
আরও পড়ুন: আ.লীগকে কটাক্ষ করে নির্বাচন প্রক্রিয়ার সমালোচনায় জিএম কাদের
তিনি বলেন, ডলার সংকটের কারণে সরকার আমদানিতে সংকুচিত হওয়ায় অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষ চাকরি হারাচ্ছে।
জাতীয় পার্টি প্রধান বলেন, ‘সামগ্রিকভাবে, দেশ একটি অর্থনৈতিক মন্দার মুখোমুখি। বেশিরভাগ মানুষ কাজ পাচ্ছে না এবং খাবার সংগ্রহ করতে পারছে না। এমন বাস্তবতায় একদল লোক সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিপুল সম্পদ অর্জন করে ইউরোপীয় রীতিতে জীবন যাপন করছে।’
আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জরিপ উদ্বৃত করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য বাড়ছে। এক শ্রেণির মানুষ অর্ধাহারে-অনাহারে দিন কাটাচ্ছে। অনেকে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এই বৈষম্যের কারণে মানুষের মধ্যে হতাশা বাড়ছে।’
জিএম কাদের বলেন, জাতি ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জন করে স্বাধীন একটি দেশ প্রতিষ্ঠা করে, যেখানে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে এবং বৈষম্যহীনভাবে ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ যাতে দেশের মালিক হতে পারে এবং বৈষম্য দূর করে তাদের পছন্দের সরকারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করতে পারে, সেজন্য মুক্তিযোদ্ধারা দেশকে স্বাধীন করেছে। স্বাধীনতার সেই অর্জন যেমন আমরা হারিয়েছি, তেমনি হারিয়েছি সাধারণ মানুষের দেশের মালিকানাও।’
আরও পড়ুন: ব্যাংক সংকট সমাধানে সরকার ব্যর্থ : জিএম কাদের
৫৮৩ দিন আগে