রাজনীতি
নারীবান্ধব নির্বাচন আয়োজন ও সহিংসতা থেকে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিতের আহ্বান
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে নারীবান্ধব করে তুলতে এবং ভোটের আগে-পরে নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নারী নেত্রীরা। তাদের মতে, নির্বাচনি সহিংসতার সময় নারীরাই সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকেন।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ড. ফওজিয়া মোসলেম বলেছেন, নির্বাচনের আগে ও পরে সংঘবদ্ধ সহিংসতা ও নারীর প্রতি সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব বিষয়ের ওপর বিশেষ নজর দিলে নারীরা নিজেদের বেশি নিরাপদ মনে করবেন।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে (ইসি) নারী নেত্রীদের সঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) নির্বাচনি সংলাপে এ মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন। এতে ১৬ জন নারী প্রতিনিধি অংশ নেন।
ড. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘শুধুমাত্র সিইসি জেন্ডার ফ্রেন্ডলি নির্বাচন আশা প্রকাশ করলে তা হবে না। নির্বাচন জেন্ডার ফ্রেন্ডলি করতে হলে যে স্টেকহোল্ডার আছেন তাদের মানসিকতাকে জেন্ডার ফ্রেন্ডলি করতে হবে। আমরা পুরো করতে পারব না হয়তো, কিন্তু বেশি যারা নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত আছে তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যেতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘জেন্ডার ফ্রেন্ডলি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে প্রথমে আমার যে কথা মনে আসে তা হলো— আমরা যখন ভোট দিতে যাই, তখন আমরা প্রার্থী দেখি। এই প্রার্থী বাছাইয়ের আপনাদের নজর রাখতে হবে। যারা নারী বিদ্বেষী, যারা সাম্প্রদায়িক, যারা মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে; প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে এ তিনটা পয়েন্ট নজর রাখতে হবে আপনাদের।’
নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভিন হক বলেন, ‘দেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও সংসদে আসন বৃদ্ধি হয়নি। আমরা বলেছি ৩০০ আসনের পরিবর্তে ৬০০ আসন করতে হবে। একটি নির্বাচনের আসনে দুটি আসন থাকবে। যেখানে একটিতে শুধু নারী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। আরেকটিতে নারী পুরুষ যে কেউ করতে পারবে।’
পিআর (সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব) পদ্ধতির প্রতি সমর্থন রয়েছে বলেও জানান তিনি।
৬৯ দিন আগে
ভারত স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে বিরাগভাজন হলে বিএনপির কিছু করার নেই: তারেক রহমান
ভারত যদি স্বৈরাচারকে আশ্রয় দিয়ে দেশের মানুষের বিরাগভাজন হয় তাহলে বিএনপির কিছু করার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন মন্তব্য করেন। লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ সাক্ষাৎকারে অংশ নেন। দুই পর্বের এই সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় ও শেষ পর্বটি মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে।
বিবিসি বাংলার তরফে প্রশ্ন ছিল, পাঁচই আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এবং আপনিও জানেন যে, শেখ হাসিনা দিল্লিতে গেছেন এবং সেখানে আছেন। ভারতের সঙ্গে একটা সম্পর্কের শীতলতা দেখা গেছে, গত এক বছর ধরে। যেমন ধরুন সেটি যাওয়া আসার ক্ষেত্রে ব্যবসার ক্ষেত্রে নানা রকম, সেই ক্ষেত্রে কি কোনো পরিবর্তন আপনার সরকারে আসলে হবে বা পরিবর্তনের ব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন, এমন কোন চিন্তা কি আপনাদের আছে?
জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘এখন তারা যদি স্বৈরাচারকে সেখানে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের বিরাগভাজন হয়, সেখানে তো আমাদের কিছু করার নেই। এটা বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে তাদের সঙ্গে শীতল থাকবে। সো, আমাকে আমার দেশের মানুষের সঙ্গেই থাকতে হবে।’
বিগত সরকারের সময় বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে যে সম্পর্ক ছিল, সেটা নিয়ে অনেক সমালোচনা রয়েছে। তো ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে আপনাদের নীতি কী হবে?— এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক জানান, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ভারতসহ সব প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেবে।
তার ভাষ্যে, ‘সবার আগে বাংলাদেশ। এখানে তো আপনি পার্টিকুলার (সুনির্দিষ্ট) একটি দেশের কথা বলেছেন। এখানে ওই দেশ বা অন্য দেশ তো বিষয় না। বিষয় তো হচ্ছে, ভাই, বাংলাদেশ আমার কাছে আমার স্বার্থ; আমি আগে আমার দেশের মানুষের স্বার্থ দেখব, আমার দেশের স্বার্থ দেখব। ওটাকে আমি রেখে, আপহোল্ড করে, যা যা করতে পারব, আমি তা-ই করব।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘অবশ্যই আমি আমার পানির হিস্যা চাই। অবশ্যই আমি দেখতে চাইনা না যে, আরেক ফেলানী ঝুলে আছে। অবশ্যই আমরা এটা মেনে নেব না।’
বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে তার কাছে প্রশ্ন করা হয়, বাংলাদেশের স্বার্থের প্রসঙ্গে আপনি বলছেন যে, পানির হিস্যা চাওয়া এবং সীমান্ত হত্যার বিষয়টি নিয়ে আপনারা সোচ্চার থাকবেন?
এই প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বলেন, ‘না না, আমি উদাহরণ দিয়ে বললাম। দুটো উদাহরণ দিয়ে বুঝালাম আপনাকে যে, আমাদের স্ট্যান্ডটা কী হবে। আমরা আমাদের পানির হিস্যা চাই। অর্থাৎ আমার দেশের হিস্যা, মানুষের হিস্যা আমি চাই, হিসাব আমি চাই। আমার যেটা ন্যায্য সেটা আমি চাই। অবশ্যই ফেলানী হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে আমি বুঝাতে চেয়েছি যে, আমার মানুষের ওপরে আঘাত আসলে অবশ্যই সেই আঘাতকে এভাবে আমি মেনে নেব না।’
৬৯ দিন আগে
ভেদাভেদ ভুলে জনগণের কল্যাণে কাজ করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে তারেক রহমানের আহ্বান
রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে সবাইকে দেশের স্বার্থে একটি জায়গায় আসার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সংঘাতের ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের কল্যাণে প্রতিযোগিতা করে, দেশের মানুষের দৈনন্দিন সংকট সমাধান এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য ইতিবাচক রাজনীতিতে অংশ নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (৬ অক্টোবর) পিরোজপুরের প্রবীণ বিএনপিকর্মী মোতালেব আকনের সঙ্গে ভার্চুয়াল সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
তারেক রহমান বলেন, ‘বহু আন্দোলন হয়েছে দেশে, বহু সংগ্রাম হয়েছে, বহু মানুষ শহীদ হয়েছে। অনেক হয়েছে। আসুন, আমরা সবাই মিলে একটা জায়গায় আসি। মতভেদ-ভেদাভেদ কমিয়ে নিয়ে আসি। আমরা কথা বলি।’
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন আদর্শ থাকতেই পারে, সেটাই থাকাটা স্বাভাবিক। আমরা বহুদলীয় রাজনীতিতে বিশ্বাস করি, এখানে বিভিন্ন রকম মত থাকবে—এটাই স্বাভাবিক। পৃথিবীতে সব গণতান্ত্রিক দেশেই এটা আছে। কিন্তু আসুন, আমরা সেই ঝগড়া-ফ্যাসাদ থেকে কিছুটা হলেও সরে আসি।’
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অনেক আন্দোলন হয়েছে। এবার আসুন, দেশের মানুষের মৌলিক সমস্যাগুলো একটু একটু করে কমিয়ে আনি। আসুন, আমরা প্রতিযোগিতা করি, সেই পরিকল্পনাগুলো গ্রহণ করি। শুধু পরিকল্পনা নয়, দেশের মানুষ যাদের সুযোগ দেবে তারা যেন সেই পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারে। এই হোক আমাদের আগামীদিনের রাজনীতি।’
যোগ্যতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমরা এমন পরিকল্পনা নিচ্ছি যাতে দেশের প্রতিটি তরুণ-তরুণী নিজে উপার্জন করতে পারে, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে এবং মর্যাদার সঙ্গে বাঁচতে পারে।
রাজনৈতিক হামলায় আহত হয়ে বর্তমানে হুইলচেয়ারে থাকা মোতালেব আকনের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এমন হতে হবে, যেখানে রাজনৈতিক মতভেদের কারণে একজন মানুষকে শারীরিকভাবে আঘাত করতে না হয়, কেউ যেন আঘাতপ্রাপ্ত না হয়।’
তিনি বলেন, ‘আজ মোতালেব সাহেব তার সন্তানকে দেখালেন, এ রকম সন্তানের সংখ্যা বাংলাদেশে আরো লক্ষ-কোটি আছে। আমরা বলেছি, আগামী দিনে আমরা মেধার ভিত্তিতে দেশ ও জাতিকে গড়ে তোলার কথা বলেছি। স্বাভাবিকভাবেই মেধা যেখানে থাকবে, প্রতিযোগিতাও সেখানে থাকবে। আজকের তরুণ আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে। মেধা একেকজনের একেক রকম হয়। সবাইকে এক জায়গায় আমরা দিতে পারব না।’
‘মেধার রেসে (দৌড়ে) যে এগিয়ে থাকবে, সে-ই সেখানে যাবে। কিন্তু যারা যেতে পারবে না তাদের জন্যও আমাদের ব্যবস্থা করতে হবে। আগামী দিনে দেশের লক্ষ-কোটি তরুণ যারা আছে, নারী-পুরুষ, প্রত্যেকে যাতে বেঁচে থাকার যুদ্ধে টিকে থাকতে পারে সেই ভাবে আমরা পরিকল্পনাগুলো গ্রহণ করছি। যাতে মোতালেব সাহেবের সন্তানরা ভবিষ্যতে নিজে সৎপথে উপার্জনের ব্যবস্থা করে নিতে পারে।’
এ সময় তারেক রহমান মোতালেব আকনের সুস্থতা কামনা করেন এবং জনগণের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত করতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করি। আমাদের মূল শক্তি বাংলাদেশের জনগণ। কাজেই বাংলাদেশের জনগণই আমাদের অনুপ্রেরণা। এ দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে যতবার ভোট দেওয়ার সুযোগ পেয়েছে, তারা ততবারই বিএনপির পক্ষে রায় দিয়েছে। কাজেই এটাই প্রমাণ করে বাংলাদেশের মানুষই বিএনপির আস্থার প্রতীক।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ কৃষিনির্ভর দেশ। লক্ষ-কোটি কৃষক বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন সমস্যার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। তার পরও তারা হাল ছেড়ে দেন না। তারা মাঠে থেকে কৃষিকাজ করছেন বলেই বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষ খেয়ে বেঁচে আছে। এই কৃষকদের পাশে কিভাবে দাঁড়ানো যায় সেই পরিকল্পনা করছি। বাংলাদেশের গ্রামে-গঞ্জে থাকা লক্ষ-কোটি মা-বোনদের কিভাবে আরেকটু স্বাবলম্বী করে গড়ে তোলা যায়, তাদের কিভাবে অর্থনৈতিকভাবে, শিক্ষার আলোকে গড়ে তোলা যায় সেই পরিকল্পনা আমরা গ্রহণ করছি।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পিরোজপুর জেলা বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রবীণ নেতা মোতালেব আকন তারেক রহমানের সঙ্গে সরাসরি দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করে আসছিলেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত এক বিশেষ প্রতিবেদনে তার এই দীর্ঘদিনের ইচ্ছার কথা উঠে এলে বিষয়টি তারেক রহমানের নজরে আসে।
তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে তারেক রহমান ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনকে নির্দেশ দেন মোতালেব আকনের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। এরপরই শুরু হয় ভার্চুয়াল সাক্ষাতের প্রস্তুতি। এরপর আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রবীণ এ নেতা মোতালেব আকনের সঙ্গে যুক্ত হন তারেক রহমান।
৭০ দিন আগে
নির্বাচন ভালো না হওয়ার সুযোগ নেই: সিইসি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ‘ভালো না হওয়ার’ কোনো সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সম্মেলনকক্ষে প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘এই নির্বাচনটা কিন্তু দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করে দেবে। নির্বাচন ভালো না হওয়ার কোনো সুযোগ জাতি হিসেবে আমাদের কাছে নেই। সুতরাং, সবাই মিলে নির্বাচনটা করতে হবে। এটা একটা জাতীয় নির্বাচন এবং জাতীয়ভাবেই আমরা করতে চাই। নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে এককভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব হবে না।’
গণমাধ্যমকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা মানুষের মতামত তৈরি করার কারিগর। আমরা সেই সুযোগটা নিতে চাই। এই নির্বাচন অবাধ-নিরপেক্ষ করতে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে চাই; মিডিয়াকে পার্টনার হিসেবে পেতে চাই। কারণ আপনারা মিস ইনফর্মেশন ও ডিসইনফর্মেশনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।’
এএমএম নাসির উদ্দিন বলেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করে ফেলেছি। ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে ফেলেছি। ২১ লাখের বেশি মৃত ভোটার চিহ্নিত করেছি, যাদের অনেকে ভোট দিয়ে যেতো, মিডিয়ায় এমন নিউজ দেখেছি। ৪৩ লাখের বেশি ভোটাযোগ্যদের তালিকাভুক্ত করতে পেরেছি। নারী-পুরুষের ব্যবধান ৩০ লাখ ছিল। এখন ১৮ লাখে নেমে এসেছে। মানুষ বিশেষ করে নারীরা যে ভোটার হতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল আমরা আলোড়ন সৃষ্টি করতে পেরেছি।
তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রবাসীদের জন্য আইটি সাপোর্টেড পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করছি। এটা এতদিন আইনে ছিল, কিন্তু বাস্তবে ছিল না। এটা করা কঠিন ছিল। অনলাইনে আমরা রেজিস্ট্রেশন করাবো। তারপর ভোট হবে পোস্টালে।’
‘ভোটের দায়িত্বে যারা থাকেন প্রায় ১০ লাখ লোক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে, সরকারি চাকরিজীবী, হাজতিদের ভোটের আওতায় আনব। আমরা এবার এটা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি, আইনে আগেও ছিল। আপনাদের সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু-সুন্দর নির্বাচন করতে পারব না।’
সিইসি বলেন, আমরা একটা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যে এগিয়ে যেতে চাই। একবারে স্বচ্ছভাবে, আয়নার মতো করে নির্বাচন করতে চাই। এর জন্য আপনাদের সহায়তা চাই। আপনাদের পরামর্শ আমরা চাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা একটা রেগুলার ট্রান্সপারেন্ট (স্বচ্ছ) ওয়েতে এগোতে চাই। তাই আমাদের সচিব, কমিশনারদের বলা আছে যাতে তারা নিয়মিত ব্রিফিং করেন।
ইসির ভারপ্রাপ্ত সচিব কেএম আলী নেওয়াজের সঞ্চালনায় সংলাপে চার নির্বাচন কমিশনার, ইসির অন্যান্য কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
৭০ দিন আগে
৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়ে পূর্ণ নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে জামায়াত: গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার মাধ্যমে পূর্ণ নির্বাচনী প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের প্রতিটি কর্মীকে এখন নির্বাচনী মাঠে নেমে পূর্ণ শক্তিতে কাজ করতে হবে।’
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সকালে খুলনার আল ফারুক সোসাইটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর শাখা আয়োজিত সদস্য পুনর্মিলনী (১৯৭৭–২০২৫) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দ্বীনকে সংসদে পাঠানোর জন্য এ সময়টিই সবচেয়ে উপযুক্ত। যারা একসময় ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, তাদের সবাইকে এখন আবার সক্রিয় হয়ে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে হবে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
‘সম্প্রীতির টানে শিকড়ের পানে’— এ স্লোগানে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অধ্যাপক গোলাম পরওয়ার আবেগঘন স্মৃতিচারণ করেন।
তিনি খুলনার শিবির নেতা আমিনুল ইসলাম বিমান, মুন্সি আব্দুল হালিম, আমানুল্লাহ আমান, রহমত আলী, আবুল কাশেম পাঠান ও সাংবাদিক শেখ বেলাল উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলেন, ‘তাদের ত্যাগ ও অবদান আমাদের রাজনীতির ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়।’ এ সময় মিলনায়তনে আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
খুলনা মহানগর ছাত্রশিবির সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলনের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি রাকিব হোসাইনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মহানগর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, খুলনা জেলা আমির মাওলানা এমরান হোসাইন, মহানগর নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, মহানগর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, সাবেক সভাপতি ও সেক্রেটারিবৃন্দ, বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালনকারী নেতৃবৃন্দ।
অন্যান্যের মধ্যে নড়াইল জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চুসহ জামায়াত ও শিবিরের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
৭৩ দিন আগে
নওগাঁয় মাদরাসা ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে উপজেলা জামায়াত আমির বহিষ্কার
নওগাঁয় মাদরাসা ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোনায়েম হোসাইনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
গত রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাতে আয়োজিত এক জরুরি সভায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নৈতিক স্খলনজনিত কারণে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে জেলা জামায়াতে ইসলামী। একই সঙ্গে তাকে নওগাঁ সদর উপজেলা চেয়ারম্যান পদের দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ বহিষ্কারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জেলা জামায়াতের আমির খ. মো. আব্দুর রাকিব।
এর আগে নওগাঁ সদর উপজেলার ইনায়েতপুর মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে এবং তদন্ত শেষে ইনায়েতপুর দাখিল মাদরাসার শিক্ষক ও সদর উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মোনায়েম হোসাইনের বিরুদ্ধে তা প্রমাণিত হয়।
২৩ সেপ্টেম্বর বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে বিক্ষুব্ধ ছাত্রীরা তার পোস্টার সম্বলিত ছবিতে জুতার মালা পরিয়ে প্রতিবাদ জানান। একই সঙ্গে দ্রুততম সময়ে এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী অভিযোগ করে বলেন, ১৫ সেপ্টেম্বর বৃষ্টির দিন দুপুরে শ্রেণিকক্ষে একা ছিলেন তিনি। ওই সময়ে সেখানে ক্লাস নিতে এসে মাওলানা মোনায়েম হোসাইন তাকে বোরকার হিজাব খুলতে বলেন। এক পর্যায়ে বাধা দিলেও তিনি শোনেননি। পরে তিনি শরীরের স্পর্শকাতর জায়গায় স্পর্শ করেন। পরবর্তীতে ওই ছাত্রীকে আবারও একা পেয়ে জোরপূর্বক চুম্বন করেন তিনি।
পরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী এ ঘটনা সহপাঠীদের জানালে একইভাবে আরও বেশ কয়েকজন যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে জানান। পরে ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। ২২ সেপ্টেম্বর এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত মোনায়েম হোসাইনকে শিক্ষার্থীদের মুখোমুখি করেন ওই মাদরাসার আরেক শিক্ষক সালেক রহমান।
পুরো এ ঘটনার ১৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে সেখানে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের কোনো সদুত্তর দিতে দেখা যায়নি অভিযুক্ত মোনায়েম হোসাইনকে।
ওই দিন রাতে ভিডিও ধারণকারী ওই শিক্ষকের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মোনায়েম হোসাইন।
নওগাঁ জেলা জামায়াতের আমির খ. মো. আব্দুর রাকিব বলেন, মোনায়েম হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগগুলো ওঠার পরপরই ৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। দ্রুততম সময়ে এ কমিটি তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। যেখানে মোনায়েম হোসাইনের নৈতিক স্খলন হওয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখন থেকে মোনায়েম হোসাইনের সঙ্গে জামায়াতের কোনো সম্পর্ক নেই।
৭৬ দিন আগে
তরুণদের হাত ধরে বারবার জুলাই ফিরে আসবে: তাহের
বাংলাদেশ আর আগের অবস্থায় ফিরে যাবে না, কারণ দেশের ৪ কোটি তরুণ ইতিবাচক পরিবর্তন চায় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতি ও দেশ পরিচালনায় তরুণদের সেন্টিমেন্টকে সম্মান জানিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। নতুবা তরুণদের হাত ধরে বারবার জুলাই ফিরে আসবে।’
শনিবার ম্যানহাটনের নিউইয়র্ক মেরিয়ট মার্কুইসে ‘এনআরবি কানেক্ট ডে: এমপাওয়ারিং গ্লোবাল বাংলাদেশিজ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
তাহের একই সফরে প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক স্টেকহোল্ডারদের প্রতিনিধিত্বের বিষয়টিকে একটি ইতিবাচক দৃষ্টান্ত হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, ‘আমি এজন্য খুবই আনন্দিত, উচ্ছ্বসিত ও প্রধান উপদেষ্টার কাছে কৃতজ্ঞ।’তাহের প্রশ্ন রাখেন, ‘আমরা কি দেশের স্বার্থে কিছু বিষয়ে এক থাকতে পারি না?’
তিনি আরও বলেন, বিদেশে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীরা সফলতার স্বাক্ষর রাখছেন। ‘আমাদের সেই সক্ষমতা আছে। কিন্তু দেশে আস্থার সংকট, সেবাখাত থেকে শৃঙ্খলার অভাব এবং দুর্নীতি বড় সমস্যা। এসব যদি সমাধান করা যায়, তবে বাংলাদেশ ‘টাইগার’ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি পাবে।’
দেশ পুনর্গঠনে প্রবাসীদের সক্রিয় অংশগ্রহনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার
জামায়াত নেতা বলেন, ‘চ্যালেঞ্জ যত বড়ই হোক না কেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আপোষ হবে না।’তিনি আরও জানান, দলটি টেকসই গণতন্ত্র এবং একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও জনগণের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। তবে এ অংশগ্রহণের অর্থ আওয়ামী লীগের সঙ্গে নয়, বরং জনগণের বিপুল অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
তাহের বলেন, ‘আমরা জনগণের জন্য একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে চাই। আমাদের পররাষ্ট্রনীতি সততা, সাম্য, মর্যাদা ও সমঅধিকারের ভিত্তিতে প্রতিবেশীসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
নারী-পুরুষ, সংখ্যাগরিষ্ঠ-সংখ্যালঘু নির্বিশেষে সবার সমান অধিকার নিশ্চিত করা হবে এবং সব দল, মত ও ধর্মবিশ্বাসের মানুষের মধ্যে কোনো বৈষম্য থাকবে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
৭৮ দিন আগে
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে: সিইসি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আসন্ন রমজানের আগে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
তার কথায়, ‘রোজার আগে ফেব্রুয়ারিতে ভোট করার জন্য যা যা করার দরকার জোরেশোরে আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন সিইসি।
এ এম এম নাসিরউদ্দিন বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করার জন্যেই চূড়ান্ত প্রস্তুতি চলছে। এজন্য যা যা করা দরকার জোরেশোরে নিচ্ছি। প্রধান উপদেষ্টাও নিউ ইয়র্কে যার সাথে দেখা হচ্ছে বলছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন। আমরা এ ঐতিহাসিক নির্বাচনের জন্য কাজ করছি।’
এক্ষেত্রে সবার সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা কারো কথায় চলছি না। আইনকানুন, সংবিধান অনুযায়ী, সরল সোজা পথে চলতে চাই। বাঁকা পথে বা কারো ফেভারের (সুবিধা) জন্য কাজ করছি না। রাজনৈতিক দল আমাদের মূল স্টেকহোল্ডার (অংশীদার)। উনাদের সহযোগিতা ছাড়া সুন্দর নির্বাচন সম্ভব নয়।’
নির্বাচনের মাঠে কেউ ‘ফাউল করতে’ নামবে না
আগামী নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরির জন্য ইসির পক্ষ থেকে ‘সর্বশক্তি প্রয়োগ করার’ প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাজনৈতিক সমঝোতার প্রত্যাশার কথাও বলেন সিইসি।
একটি পত্রিকার প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘সব খেলোয়াড় যদি ফাউল করার জন্য মাঠে নামে, ম্যাচ পণ্ড হওয়া ছাড়া উপায় নেই। সবাই ফাউল করার জন্য মাঠে নামলে তো মুশকিল। কেউ যেন ফাউল না করে, সে বিষয়ে আমরা তৎপর। নির্বাচনে কেউ ফাউল করতে নামবে না, ভালো নিয়তে নামবেন আশা করি।’
‘আমাকে কেউ বলেনি যে ইলেকশনে ফাউল করার জন্য নামবেন। আশা করি, সবাই সহযোগিতা করবেন।’
অনিয়ম ঠেকাতে ইসি সব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলে আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, তারা ফাউল করার জন্য নয়, বরং একটি সুন্দর নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য মাঠে নামবে।’
‘শাপলা’ প্রতীক
নিবন্ধনপ্রত্যাশী জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আগে নিবন্ধিত দল নাগরিক ঐক্য শাপলা প্রতীক চাইলেও তা নাকচ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে ইসি সিনিয়র সচিব ইতোমধ্যে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এনসিপি শাপলা চেয়েছে এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। অথচ শপলা চেয়েছিল নাগরিক ঐক্য, তারা প্রথম চেয়েছিল। তখন আলোচনায় আনেনি। এখন কেন এত আলোচনা? নাগরিক ঐক্যকে শাপলা দেইনি আমরা।’
নির্বাচনি প্রতীকের চূড়ান্ত তালিকা বুধবার জারি হয়েছে। ইসি সচিব এনসিপিকে বিকল্প প্রতীক চেয়ে আবেদন করার পরামর্শ দিলেও এনসিপি ফের শাপলা চেয়ে আবেদন করেছে।
এ বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘চিঠি নিয়ে কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নেব। গতকাল এল, একা সিদ্ধান্ত নেব না। আমাদের কমিশনের সভায় আলোচনার পর পরবর্তী কাযক্রম সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেব। কমিশন সভার আলোচনার পর কথা হবে।’
এনসিপির চিঠির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘যেকোনো দল চিঠি দিতে পারে। অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া দল এনসিপি। চিঠি দেওয়ায় অসুবিধা নেই। দল তো দেবেই। রাজনীতিবিদরা দেশের স্বার্থে সব কিছু একমোডেট করেন। চিঠি বিবেচনা করব, কী করা যায় দেখা যাক।’
শাপলা প্রতীক বরাদ্দ না দিলে তা কীভাবে আদায় করতে হয়—জানা আছে বলে হুমকি দিয়েছেন এনসিপির নেতারা।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সিইসি বলেন, “রাজনীতিবিদরা অনেক কথা বলতে পারেন। আমরা তো জবাব দিতে পারব না, শ্রোতা। আমাদের কাজ আইন মোতাবেক করব। এটা হুমকি মনে করি না। উনারা তো দেশদ্রোহী না, উনারা দেশপ্রেমিক। দেশের জন্য, আমাদের জন্য হুমকি মনে করি না।’
পিআর নয়, ভোট হবে আরপিও অনুযায়ী
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির (পিআর) ভোটের দাবিতে কয়েকটি দল সোচ্চার হলেও ইসি নির্বাচনি আইন ও সংবিধানের বাইরে যাবে না বলে ভাষ্য সিইসির।
তিনি বলেন, ‘ভোট আমাদের আরপিও অনুযায়ী হবে। পিআর তো আরপিওতে নাই। আরপিও বদলে অন্য একটা দিলে হয় তখন (হতে পারে), আইন না বদলালে তো হয় না। আমাদের আরপিও মেনে চলতে হয়।’
সিইসি বলেন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাইলে আইন বদলাতে হবে। পিআর নিয়ে কথা বললে আবার আমার বিরুদ্ধে কথা হবে, যদিও এ নিয়ে কথা বলতে চাই না।
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার প্রত্যাশা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি ফেব্রুয়ারির জন্য অপেক্ষা করছি। নির্বাচন আয়োজনের জন্য অপেক্ষা করছি। সংবিধান-আরপিওতে যা আছে সে অনুযায়ী হবে। ভোটের দিনের দুই মাস আগে তফসিল হবে। রোজার আগে নির্বাচন হবে।’
৮১ দিন আগে
বাংলাদেশে আর কোন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না: সার্জিস আলম
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সার্জিস আলম বলেছেন, দেশে আর কোন নির্বাচনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ অংশগ্রহণ করতে পারবে না। তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য মৌলিক সংস্কার, বিচার ও গণপরিষদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা জরুরি।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩টার দিকে সুনামগঞ্জ শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাঠাগারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় সার্জিস আলম বলেন, “দেশে এত বড় গণহত্যা হয়েছে। বাহিনীর একজন ব্যক্তি হাজার মানুষকে খুন করেছে। মস্তিষ্কে গুলি করে হত্যা করার পরও তারা উল্লাস করত।
তিনি বলেন, আমরা তাদের দৃশ্যমান বিচার দেখতে চাই। বিশেষ করে ফ্যাসিবাদী সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ২০-৩০ জন কালপিটের বিচার চাই। বিচার না হওয়া পর্যন্ত শুধু নির্বাচন চাওয়ার ভিত্তিতে জনগণ সঠিক রায় দেবেন না।
সার্জিস বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, ভারতের আশীর্বাদ পুষ্ট হয়ে বাংলাদেশে আর কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না।”
তিনি আরও বলেন, ‘এনসিপি নির্বাচনের পক্ষে। তবে নির্বাচনের আগে দেশে মৌলিক সংস্কার, গণপরিষদ ও ন্যায়বিচারের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রয়োজন। জনগণের রায় ও গণঅভ্যুত্থানকে পেছনে ফেলে দেশে উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
এত আত্মবিশ্বাসী যে সরকারি দল হবেন, নির্বাচনে আসেন না কেন: জামায়াতকে সালাহউদ্দিন
সার্জিস আলম আরও বলেন, ‘এনসিপি সব নিয়ম মেনে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের আবেদন করেছে। প্রতীকের হিসেবে আমরা শাপলা চেয়েছি। হঠাৎ করে নির্বাচন কমিশন বলছে শাপলা প্রতীক তালিকায় নেই। যেহেতু শাপলা প্রতীকের অংশ, অন্য রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হলে আমাদেরও প্রদান করা উচিত। ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত হলে রাজপথে নামার বাধ্য হবে।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক দেওয়ান সাজাউর রাজা চৌধুরী সুমন। এতে উপস্থিত ছিলেন এনসিপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক, কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সদস্য সচিব ও অঞ্চল তত্ত্বাবধায়ক প্রীতম দাস, জেলা এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সালেহ মোহাম্মদ নাসিম।
৮২ দিন আগে
কেউ যেন ব্যক্তিগত স্বার্থে বিএনপিকে ব্যবহার করতে না পারে: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার, দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলার ও কাউকে ব্যক্তিগত স্বার্থে দলকে ব্যবহার করতে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। সকালে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আজকের এই সম্মেলন থেকে আমরা কি দুটি অঙ্গীকার করতে পারি? প্রথমত— যেকোনো মূল্যে আমরা দলের সিদ্ধান্তের পেছনে ঐক্যবদ্ধ থাকব এবং দ্বিতীয়ত— নেতাকর্মীদের কেউ যেন ব্যক্তির স্বার্থে বিএনপিকে ব্যবহার করতে না পারে। আসুন আমরা একসঙ্গে এই দুটি শপথ নিই।’
তিনি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যদি দলের ঐক্য অটুট রাখা যায়, তবে জনগণের রায় ধানের শীষের পক্ষেই যাবে।
বিএনপির শক্তি জনগণের সঙ্গে সম্পর্কের মধ্যে নিহিত উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণের পাশে থাকা এবং জনগণকে দলের পাশে রাখা জরুরি। ‘সবকিছুর ওপরে বিএনপির কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষ, মানুষ আর মানুষ—বাংলাদেশের মানুষ।’
বাংলাদেশের মানুষ ১৬ বছর ধরে তাদের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই করছে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, মানুষ ও গণতন্ত্রে বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করেছে এবং সেই আন্দোলন অবশেষে স্বৈরশাসনের পতন ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ পরিচালনা করছে। শেখ হাসিনার স্বৈরশাসন পতনের পর এ সরকার কিছু সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছে। এই প্রস্তাবগুলোর ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশই প্রস্তাব আড়াই বছর আগেই দেশের মানুষের সামনে বিএনপি উপস্থাপন করেছে।
বিএনপি নেতার দাবি, বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এ বিষয়ে মতামত উপস্থাপন করেছে। মতামতের কোনো কোনো বিষয়ে হয়তো মতপার্থক্য থাকতে পারে। তবে বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক অধিকার, মানুষের নিরাপত্তা ও মানুষের বেঁচে থাকার অধিকারের প্রশ্নে কারও সঙ্গে কোনো দ্বিমত নেই।
এত আত্মবিশ্বাসী যে সরকারি দল হবেন, নির্বাচনে আসেন না কেন: জামায়াতকে সালাহউদ্দিন
তিনি বলেন, জনগণের অভিমত ও ম্যান্ডেটের ভিত্তিতে একটি জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, যা দেশের উন্নয়ন ও জাতীয় কল্যাণ নিশ্চিত করবে।
তারেক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে। বিএনপির ৩১ দফা এজেন্ডা সফল করতে ও জনগণের রায় পেতে হলে সারাদেশে দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে যেকোনো মূল্যে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, আপনাদের অনেকের মনে আছে, স্বৈরাচার পালিয়ে যাবার কয়েক দিন পরে আমি একটি কথা বলেছিলাম যে স্বৈরাচার তো বিদায় হয়ে গেছে, পালিয়ে গেছে, অদৃশ্য শক্তি কিন্তু ধীরে ধীরে মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। আজকে থেকে প্রায় এক বছর আগের কথা কিন্তু ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
তিনি আবারও নেতা-কর্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান, যাতে কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থে দলের নাম ব্যবহার করতে না পারে বা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বড় দলে ভিন্নমত থাকতে পারে, তবে একবার নেতৃত্ব ও নীতিনির্ধারণী পর্যায় সিদ্ধান্ত নিলে প্রতিটি সদস্যের কর্তব্য হলো সেই সিদ্ধান্তের সমর্থনে কাজ করা।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘আপনারা কি কারও ব্যক্তিগত কর্মী, নাকি আপনারা ধানের শীষের কর্মী, বলেন তো আমাকে। আপনারা জাতীয়তাবাদী শক্তির কর্মী, জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষ থেকে যখন একটি সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব হচ্ছে যেকোনো মূল্যে তা বাস্তবায়ন করা।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, ঐক্য অপরিহার্য। যেমন একটি পরিবারে সবাই প্রবীণদের সিদ্ধান্ত মেনে চলে, তেমনি দলের সদস্যদেরও নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
৮৬ দিন আগে