খেলাধুলা
পিএসএল প্লেয়ার্স ড্রাফটে ৮ বাংলাদেশি ক্রিকেটার
পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) সাধারণত মার্চে শুরু হলেও আইসিসি চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফির কারণে এবারের (দশম) আসর শুরু হওয়ার কথা এপ্রিল মাসে। এ উপলক্ষে চলতি মাসের ১১ তারিখ হয়ে যাবে টুর্নামেন্টের প্লেয়ার ড্রাফট। ইতোমধ্যে ড্রাফটে জায়গা পাওয়া ক্রিকেটারদের তালিকা প্রকাশ করেছে পিসিবি, যেখানে যায়গা পেয়েছেন বাংলাদেশের ৮ ক্রিকেটার।
পাকিস্তানের বৃহত্তম প্রদেশ বেলুচিস্তানের নান্দনিক সৌন্দর্য্যের শহর গোয়াদরে অনুষ্ঠিত হবে এবারের ড্রাফট। পাঁচ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশসহ মোট ১৯টি দেশের ৫১০ জন বিদেশি ক্রিকেটার ড্রাফটের জন্য নিবন্ধন করেছেন। এর মধ্যে ওই আট বাংলাদেশি ক্রিকেটার স্থান পেয়েছেন শীর্ষ দুই ক্যাটাগরি প্লাটিনাম ও ডায়মন্ডে।
তারা হলেন— সাকিব আল হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান ও তৌহিদ হৃদয়।
এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলের সঙ্গে একই সময়ে পিএসএল অনুষ্ঠিত হওয়ায় ক্রিকেটাররা খানিকটা অস্বস্তিতে পড়ে গেছেন। তবে যেসব বিদেশি খেলোয়াড় আইপিএলে দল পাননি, তাদের অনেকেই পিএসএলের ড্রাফটে নাম দিয়েছেন।
তাদের মধ্যে অন্যতম বড় নাম— অস্ট্রেলিয়ার ডেভিড ওয়ার্নার, অ্যালেক্স ক্যারি ও ক্রিস লিন, নিউজিল্যান্ডের মার্টিন গাপটিল, টিম সাউদি, ড্যারিল মিচেল, জিমি নিশাম, মাইকেল ব্রেসওয়েল, ফিন অ্যালেন ও মার্ক চ্যাপম্যান, দক্ষিণ আফ্রিকার টেম্বা বাভুমা, রেসি ফন ডার ডুসেন ও রিজা হেনড্রিকস।
এছাড়া রয়েছেন— শ্রীলঙ্কার অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস, কুশল মেন্ডিস, চারিত আসালাঙ্কা, দাসুন শানাকা ও পাতুম নিশাঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেসন হোল্ডার, এভিন লুইস, কাইল মায়ার্স ও ব্র্যান্ডন কিং, ইংল্যান্ডের জেসন রয়, অ্যালেক্স হেলস, ডাউইড মালান ও স্যাম বিলিংস, আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান ও হজরতউল্লাহ জাজাই এবং জিম্বাবুয়ের রায়ান বার্ল।
এর আগে, গত বুধবার (১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে পিএসএলে ৩০ বাংলাদেশি ক্রিকেটারের নিবন্ধনের কথা জানিয়েছিল ক্রিকেট পাকিস্তান। তাই বাকিরা গোল্ড, সিলভার ও ইমার্জিং— এ তিন ক্যাটাগরিতে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৩৪৪ দিন আগে
বরিশালকে হেসেখেলে হারিয়ে রংপুরের জয়যাত্রা অব্যাহত
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) চলতি আসরে দুর্দান্ত শুরু করেছে রংপুর রাইডার্স। দলটির জয়ের ধারায় এবার কাটা পড়ল তারকায় ঠাসা বরিশাল।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে নুরুল হাসান সোহানের দল।
প্রথম দুই ম্যাচে আগে ব্যাট করে প্রতিপক্ষকে আটকে দিয়ে জিতেছিল রংপুর। অপরদিকে, দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে ১৯৮ রান তাড়া করে ১১ বল বাকি থাকতেই নিজেদের প্রথম ম্যাচটি জিতে নেয় বরিশাল। ফলে তারকাসমৃদ্ধ দুই দলের এই ম্যাচটি নিয়ে একটু বাড়তি উত্তেজনাই ছিল।
আজ টস জিতে শুরুতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান নেন রংপুর অধিনায়ক সোহান। এরপর তামিম, মুশফিক, মাহমুদুল্লাহ, শান্ত, তৌহিদ হৃদয় ও কাইল মেয়ার্সদের নিয়ে গড়া শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন-আপ ধসিয়ে দিয়ে বরিশালকে ১২৪ রানে গুটিয়ে দেন রংপুরের বোলাররা।
১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ইকবাল হোসেন ইমনের জোড়া শিকারে পরিণত হন আজিজুল হাকিম তামিম ও তৌফিক খান। দুজনকেই ফিরতে হয় রানের খাতা খোলার আগেই। এরপর সাইফ হাসানকে সঙ্গে নিয়ে ১৫ ওভারেই দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন অ্যালেক্স হেলস।
রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি খেলেন অবশ্য সাইফ। ৪৬ বলে তিনটি ছক্কা ও ৬টি চারের সাহায্যে ৬২ রান করেন তিনি। অপর প্রান্তে তিন ছক্কা ও চারটি চারে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন হেলস।
টানা তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের অন্য দলগুলোর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে গেল রংপুর। বাকি দলগুলো এক বা দুই ম্যাচ খেলে এখনও দুই পয়েন্টের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি।
রংপুর ছাড়া এখন পর্যন্ত অপরাজিত দল রয়েছে শুধু খুলনা টাইগার্স। প্রথম ম্যাচে চিটাগং কিংসকে হারানো খুলনা নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আগামীকাল ঢাকা ক্যাপিটালসের মোকাবিলা করবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল: ১২৪/১০ (১৮.২ ওভার) (তামিম ২৮, নবী ২১, মুশফিক ১৫; খুশদিল ৩/১৮, ইফতিখার ২/১০, নাহিদ ২/৩২)।
রংপুর রাইডার্স: ১২৮/২ (১৫ ওভার) (সাইফ ৬২*, হেলস ৪৯*; ইমন ২/৪১)।
ফলাফল: রংপুর রাইডার্স ৮ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সাইফ হাসান।
৩৪৭ দিন আগে
তাসকিনের রেকর্ড গড়া ম্যাচটি জয়ে রাঙাল রাজশাহী
বল হাতে তাসকিন আহমেদ বিশ্বরেকর্ড গড়ার পর এনামুল হক বিজয় ও রায়ান বার্লের ব্যাটিং ঝলকে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে অনায়াস জয় পেয়েছে দুর্বার রাজশাহী। তাসকিনের তাণ্ডবের পরও ব্যাটাররা ভালো সংগ্রহ পেলেও বোলিংয়ে কার্যকারিতার ছাপ ফেলতে না পারেনি ঢাকা। ফলে বিপিএলের চলতি আসরের প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও হারের স্বাদ পেল দলটি।
মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বিপিএলে দিনের প্রথম ম্যাচে ঢাকার বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে দুর্বার রাজশাহী।
এদিন ঢাকার ৭ ব্যাটারকে সাঝঘরের পথ চিনিয়ে আন্তর্জাতিক ও যেকোনো ধরনের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে রেকর্ড বইয়ে জায়গা করে নেন তাসকিন আহমেদ। তবে তার বিধ্বংসী বোলিংয়ের পরও ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭৪ রান সংগ্রহ করে ঢাকা।
চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে মাঠে নেমে ঢাকার শাহাদাৎ হোসেন দিপু ৪১ বলে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন। এছাড়া তৃতীয় ব্যাটার স্টিভি এসকিনাজি করেন ৪৬ রান।
আরও পড়ুন: বিপিএলে ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের বিশ্বরেকর্ড
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই মোহাম্মদ হারিসকে হারায় রাজশাহী। এরপর চতুর্থ ওভারের পঞ্চম বলে ৮ বল মোকাবিলা করে কোনো রান না করেই জিসান আলম আউট হলে ইয়াসির আলী রাব্বিকে নিয়ে রানরেটের দিকে খেয়াল রেখে ব্যাট চালাতে থাকেন এনামুল হক বিজয়।
দশম ওভারের প্রথম বলে ২০ বলে ২২ রান করে দলীয় ৭৩ রানের মাথায় ইয়াসির ফিরে গেলে রায়ান বার্লকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন বিজয়। ৩৩ বলে তিনটি ছক্কা ও পাঁচটি চারে ৫৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটার। অপরপ্রান্তে ৪৬ বলে তিনটি ছক্কা ও ৯টি চার মেরে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন বিজয়। ফলে ১১ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটের বড় জয় পায় রাজশাহী।
প্রথম ম্যাচে ব্যাটাররা ১৯৭ রানের পুঁজি এনে দেওয়ার পর বোলাররা ফরচুন বরিশালের টপ অর্ডার ধসিয়ে দিলেও হেরে যায় রাজশাহী। তবে বোলিং-ব্যাটিংয়ে দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে আজ জয়ে ফিরেছে দলটি।
আরও পড়ুন:
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ঢাকা ক্যাপিটালস: ১৭৪/৯ (দিপু ৫০, এসকিনাজি ৪৬, শুভম ২৪; তাসকিন ৭/১৯)।
দুর্বার রাজশাহী: ১৭৯/৩ (১৮.১ ওভার) (বিজয় ৭৩*, বার্ল ৫৫*, রাব্বি ২২; মোস্তাফিজ ১/৩৩, বাবু ১/৩৫)।
ফলাফল: দুর্বার রাজশাহী ৭ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তাসকিন আহমেদ।
৩৪৭ দিন আগে
বিপিএলে ৭ উইকেট নিয়ে তাসকিনের বিশ্বরেকর্ড
চলমান বিপিএলে ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে দুর্দান্ত বোলিং করে রেকর্ড বইয়ের একাধিক জায়গায় স্থান করে নিয়েছেন দুর্বার রাজশাহীর পেসার তাসকিন আহমেদ। টি-টোয়েন্টি ম্যাচে একাই সাত উইকেট নিয়ে ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার, ঘরোয়া, এমনকি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতেও অনন্য উচ্চতায় উঠেছেন এই বাংলাদেশি পেসার।
ইনিংস শেষে ঢাকা ক্যাপিটালসের স্কোরবোর্ডে ১৭৪ রান যুক্ত হলেও তাসকিনের বোলিং বিশ্লেষণ ৪-০-১৯-৭।
বাংলাদেশের কোনো বোলারের সেরা বোলিং পারফরম্যান্স এটিই। এছাড়া বিপিএলের ইতিহাসেও এটি সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড।
বিপিএলে এর আগে সেরা বোলিং ছিল মোহাম্মদ আমিরের। ২০২০ সালে খুলনা টাইগার্সের হয়ে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে ১৭ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই পাকিস্তানি পেসার। আর বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে বিপিএলে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ডটি এতদিন ছিল রংপুর রাইডার্সের হয়ে আবু হায়দারের (৫/১২)।
আরও পড়ুন: মিরপুরে বিপিএলের টিকিট বুথে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর
ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে আজ বিশ্বরেকর্ডও গড়েছেন ডানহাতি এই পেসার। আন্তর্জাতিক ও যেকোনো ধরনের স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মাত্র তৃতীয় বোলার হিসেবে ৭ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েছেন তিনি।
গত বছর চীনের বিপক্ষে ৮ রান খরচায় ৭ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েন মালেয়েশিয়ার পেসার সিয়াজরুল ইদ্রুস। তার আগে ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্টে লেস্টারশায়ারের হয়ে বার্মিংহ্যাম বিয়ার্সের বিপক্ষে ১৮ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন কলিন আকারম্যান।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড ছিল সাকিব আল হাসানের। ২০১৩ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে বারবাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
৩৪৭ দিন আগে
মিরপুরে বিপিএলের টিকিট বুথে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী দিনই টিকিট পেতে মিরপুরে স্টেডিয়ামের গেটে ভাঙচুর চালিয়েছিল বিক্ষুব্ধ দর্শকরা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আজ আবারও উত্তপ্ত হয়েছে মিরপুরের পরিস্থিতি।
টিকিট না পেয়ে বিক্ষুব্ধ জনতা বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) একটি টিকিট বুথে আগুন দিয়েছে। দুপুর ১২টার দিকে সুইমিংপুলের ২ নম্বর গেটে এ ঘটনা ঘটে।
পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা স্টেডিয়ামের ৫ নম্বর গেটে চলে যায়।
শুধু তাই নয়, সুইমিংপুল কমপ্লেক্সে ভাঙচুরও চালিয়েছেন ভক্ত-সমর্থকরা। দর্শকদের ক্ষোভ, টিকিটের দাম অনেক বেশি।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত বোলিংয়ে সিলেটকে হারিয়ে রংপুরের দুইয়ে দুই
জানা যায়, অনলাইনে যাঁরা টিকিট কাটতে পারছেন না, তাদের জন্যই মূলত টিকিট বিক্রি করা হচ্ছিল এই বুথ থেকে। সকাল থেকে টিকিটের জন্য আগে থেকে নির্ধারিত মিরপুরের সুইমিং কমপ্লেক্সে অপেক্ষা করছিলেন দর্শকরা। তবে সাড়ে এগারোটা নাগাদ বাঁশের বেড়া ধাক্কাতে থাকেন দর্শকরা। পরে গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে বুথে ভাঙচুর চালান দর্শকরা। একপর্যায়ে সেখানে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধরা।
এবারের বিপিএলের টিকিট অনলাইন থেকেই কেনা যাচ্ছে। অনলাইন ক্রেতাদের জন্য অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে টিকিট কাটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া মধুমতি ব্যাংকের নির্দিষ্ট শাখা থেকেও সংগ্রহ করা যাচ্ছে টিকিট। তবে গত ৩১ ডিসেম্বর ব্যাংক হলিডে থাকায় বুথ থেকে টিকিট ক্রয়ের ব্যবস্থা রেখেছিল বিসিবি।
৩৪৭ দিন আগে
দুর্দান্ত বোলিংয়ে সিলেটকে হারিয়ে রংপুরের দুইয়ে দুই
টি-টোয়েন্টিতে ১৫৫ রানের পুঁজি বেশি বড় না হলেও বোলারদের নৈপুণ্যে দারুণ এক জয় তুলে নিয়েছে রংপুর রাইডার্স। সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৩৪ রানে হারিয়ে বিপিএলের চলতি আসরে টানা দুই জয় তুলে নিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান।
প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে রংপুর। লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান করতে সক্ষম হয় সিলেট।
সিলেটের হয়ে এদিন ৩৬ বলে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন ওপেনার রনি তালুকদার। এছাড়া জাকের আলী ২৪ (৩৩ বলে) ও জাকির হাসান ১৮ (১২ বলে) রান করেন। বাকি ব্যাটারদের কেউই দুই অঙ্ক স্পর্শ করতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ইফতিখার-সোহানের ব্যাটে রংপুরের লড়াকু পুঁজি
এদিকে, নির্ধারিত চার ওভারে মাত্র ২৭ রান দিয়ে চার উইকেট নিয়ে সিলেটের টপ-অর্ডার ধসিয়ে দেন নাহিদ রানা। এছাড়া দুটি করে উইকেট নিয়ে বাকি কাজটুকু সারেন খুশদিল শাহ ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
এদিন ১৫৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই ওপেনার জর্জ মুনসিকে হারায় সিলেট। মাত্র দুই রান করে কামরুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে তিনি প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে জাকির হোসেনের সঙ্গে বিপদ কাটিয়ে ওঠার আভাস দিয়েছিলেন রনি। ভালো রেটে রান তুলতে থাকেন তারা। কিন্তু পঞ্চম ওভারের প্রথম বলেই জাকিরকে বোল্ড করেন নাহিদ। ওই ওভারের শেষ বলে নাহিদের গতিতে পরাস্ত হয়ে ফিরতে হয় ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলা পল স্টার্লিংকে। ফলে ৫ ওভারে ৪৩ রান তুললেও তিন উইকেট হারায় সিলেট।
এরপর রনি ও জাকের মিলে ৪৮ রানের জুটি গড়লেও রানের চাকা এ সময় একেবারেই শ্লথ হয়ে যায়। দুজনে ৫৬ বলে ওই রান সংগ্রহ করেন। পরে ১৫তম ওভারের প্রথম দুই বলে রনি (৪১) ও অধিনায়ক আরিফুলকে (০) খুশদিল সাজঘরে ফেরালে ৯১ রানের মাথায় পাঁচ উইকেট হারায় সিলেট।
পরের ওভারে নাহিদ আরেক সেট ব্যাটার জাকের আলীকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে দিলে বাকি ব্যাটারদের যাওয়া-আসার মাঝে রংপুরের জয় ছিল শুধু সময়ের অপেক্ষা। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১২১ রান তুলতে সমর্থ হয় সিলেট, আর ৩৪ রানে জেতে রংপুর।
আরও পড়ুন: চিটাগংকে হারিয়ে বিপিএল অভিযান শুরু খুলনার
এর আগে, ইফতিখার-সোহানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করে রংপুর। দলের হয়ে অপরাজিত সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ। ৪২ বলে একটি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া ২৪ বলে দুটি ছক্কা ও চারটি চার মেরে ৪১ রান করেন অধিনায়ক সোহান।
সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নেন তানজিম সাকিব ও আল-আমিন হোসেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স: ১৫৫/৬ (ইফতিখার ৪৭*, সোহান ৪১, খুশদিল ২১; তানজিম সাকিব ২/২৭, আল-আমিন ২/৩১)।
সিলেট স্ট্রাইকার্স: ১২১/৯ (রনি ৪১, জাকের ২৪, জাকির ১৮; নাহিদ ৪/২৭, খুশদিল ২/১০, সাইফউদ্দিন ২/১৮)।
ফলাফল: রংপুর ৩৪ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাহিদ রানা।
৩৪৯ দিন আগে
ইফতিখার-সোহানের ব্যাটে রংপুরের লড়াকু পুঁজি
সিলেটের বোলারদের তোপে ইনিংসের প্রথমার্ধে খানিকটা কাবু হয়ে থাকলেও শেষার্ধে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন ইফতিখার আহমেদ-নুরুল হাসান সোহানরা। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত সিলেটের সামনে লড়াই করার মতো সংগ্রহ দাঁড় করেছে রাইডার্স।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করেছে সোহানের দল।
দলের হয়ে অপরাজিত সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ। ৪২ বলে একটি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া ২৪ বলে দুটি ছক্কা ও চারটি চার মেরে ৪১ রান করেন অধিনায়ক সোহান।
সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব ও আল-আমিন হোসেন।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া রংপুর অধিনায়ক। প্রথম দুই ওভারে ২১ রান তুলে ভালো শুরুর ইঙ্গিতও দেয় তার দল। তবে চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলেই তানজিমের বলে এগিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে মিড অফে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অ্যালেক্স হেলস (৬)। পরের ওভারেই সাইফ হাসান (৪) ও স্টিভেন টেইলরকে (১২) সাজঘরে ফেরান নিজের প্রথম ওভারে ১৭ রান দেওয়া আল-আমিন। ফলে ৫ ওভারে ২৮ রান তুলতেই তিন টপ-অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় রংপুর।
আরও পড়ুন: চিটাগংকে হারিয়ে বিপিএল অভিযান শুরু খুলনার
এরপর উইকেটে থিতু হতে ধীর লয়ে খেলতে থাকেন ইফতিখার ও খুশদিল শাহ। ৩৮ বলে ৪১ রানের জুটি গড়ে দ্বাদশ ওভারে বিদায় নেন খুশদিল (২১)। এরপর অধিনায়ক সোহানের সঙ্গে আরও একটি বড় জুটির পথে এগোন ইফতিখার। এ সময় থেকে তারা রানের গতি বাড়ানোরও চেষ্টা শুরু করেন এবং তাতে সফল হন এই দুই ব্যাটার। ৪১ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন তারা। এরপর বড় শট নিয়ে ১৮.১তম ওভারে ক্যাচ হয়ে ফেরেন সোহান। সোহান আউট হলে ৮ বলে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ফিরতে হয় শেখ মেহেদীকে। শেষ বল খেলতে ক্রিজে এসে ২ রান করেন সাইফউদ্দিন। অপর প্রান্তে ৪২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার। ফলে ১৫৫ রানে থামে রংপুরের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স: ১৫৫/৬ (ইফতিখার ৪৭*, সোহান ৪১, খুশদিল ২১; তানজিম সাকিব ২/২৭, আল-আমিন ২/৩১)।
৩৪৯ দিন আগে
চিটাগংকে হারিয়ে বিপিএল অভিযান শুরু খুলনার
উইলিয়াম বসিস্টো ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ঝড়ো ব্যাটিংয়ের পর ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন শামীম হোসেন পাটোয়ারীও। কিন্তু দলীয় প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হার মানতে হয়েছে চিটাগং কিংসকে। এর ফলে জয় দিয়ে এবারের বিপিএল আসর শুরু করেছে খুলনা টাইগার্স।
মঙ্গলবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় দিনের প্রথম ম্যাচে চিটাগং কিংসকে ৩৭ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স।
এদিন টস জিতে শুরুতে টাইগার্সকে ব্যাটিংয়ে পাঠান কিংস অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। প্রথমে ব্যাটিং করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০৩ রান সংগ্রহ করে মেহেদী হাসান মিরাজের খুলনা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭ বল বাকি থাকতে ১৬৬ রানেই গুটিয়ে যায় চিটাগংয়ের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নেমেই খুলনাকে উড়ন্ত শুরু এনে দেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও বসিস্টো। এরপর ৪.৩তম ওভারে ১৭ বলে ২৬ রান করে নাইম আউট হলে রান তোলার গতি কিছুটা হারিয়ে ফেলে খুলনা। দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ উইকেটে মিরাজ, ইব্রাহিম জাদরান ও আফিফ হোসেন চিটাগংয়ের বোলারদের সামনে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি। এদের মাঝে মিরাজের ১৮ বলে ১৮ রানের ইনিংসটিই ছিল কেবল বলার মতো।
তবে পঞ্চম উইকেটে অঙ্কনকে সঙ্গে নিয়ে রানের ফোয়ারা ছোটান বসিস্টো। শেষ ৩৪ বলে ৮৬ রান তোলেন তারা। এর মাঝে ২২ বলে ৬টি ছক্কা ও একটি চারের সাহায্যে ৫৯ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন অঙ্কন। আর শুরু থেকেই টি-টোয়েন্টির মেজাজে ব্যাট চালিয়ে ইনিংস-সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন বসিস্টো। ৫০ বল মোকাবিলা করে ৩টি ছক্কা ও ৮টি চার মেরে এই রান সংগ্রহ করেন এই অস্ট্রেলিয়ান।
চিটাগংয়ের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম ও খালেদ আহমেদ।
২০৪ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নেমে ওশানে থমাসের বলে প্রথম ওভারেই ফিরে যান নাঈম ইসলাম। এরপর থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চিটাগং।
১০.২ ওভারে ৭৫ রান তুলতে ৮ উইকেট হারানোর মাঝে ৫৬ রানের মাথায় পরপর তিন বলে তিন উইকেট (দুই ওভার মিলিয়ে) হারায় দলটি। নবম উইকেটজুটিতে আলিসকে সঙ্গে নিয়ে একা হাতে ব্যাট চালাতে থাকেন শামীম। ৩৮ বলে ৫টি ছক্কা ও ৭টি চার মেরে ৭৮ রান করে ১৮.১তম ওভারে তিনি যখন ফিরে যান, তখন তার দলের সংগ্রহ বেড়ে দাঁড়ায় ১৫২ রান।
পরে খালেদ আহমেদ নেমে দুটি চার ও একটি ডবল নিয়ে পরের বলেই আউট হয়ে গেলে ১৬৬ রানে থামে চিটাগং।
খুলনার ৬ বোলারের সবাই এদিন সফলতা পেয়েছেন। এর মধ্যে আবু হায়দার রনি সর্বোচ্চ চারটি এবং মোহাম্মদ নওয়াজ দুটি উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা টাইগার্স: ২০৩/৪ (বসিস্টো ৭৫*, অঙ্কন ৫৯*, নাঈম ২৬; আলিস ২/১৭, খালেদ ২/৪৫)।
চিটাগং কিংস: ১৬৬/১০ (শামীম ৭৮, উসমান খান ১৮, খালেদ ১৪; রনি ৪/৪৪, নওয়াজ ২/১৩)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।
৩৪৯ দিন আগে
বিপিএল ২০২৫-এর টিকিট কাটার উপায়: অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এবং ব্যাংকের শাখাসমূহ
৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪, মহা সমারোহে শুরু হলো বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট বিপিএল (বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ)-এর ১১তম আসর। এই টি২০ টুর্নামেন্ট চলবে ২০২৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বিসিবি (বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড) ইতিমধ্যে টিকিট বিক্রি শুরু করেছে, যাতে দর্শকরা সরাসরি খেলা উপভোগ করতে পারেন। টিকিটগুলি অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মাধ্যমে পাওয়া যাবে।এবার চলুন, বিপিএল ক্রিকেট ম্যাচের টিকিট ক্রয়ের পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়ে নেয়া যাক।
অনলাইনে বিপিএল ২০২৫-এর টিকিট কাটার পদ্ধতি
.
নিবন্ধন
প্রথম পদক্ষেপ হচ্ছে সরাসরি www.gobcbticket.com.bd সাইটে যেয়ে নিবন্ধন করা। হোমপেজের উপরে একদম ডানপাশে ‘রেজিস্টার’-এ ক্লিক করলে একটি রেজিস্ট্রেশন ফর্ম আসবে। এখানে নাম, ইমেইল ঠিকানা, মোবাইল ফোন নাম্বার, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা পাসপোর্ট নাম্বার এবং বর্তমান ঠিকানা সরবরাহ করতে হবে।
উল্লেখ্য যে, জন্ম তারিখ অবশ্যই এনআইডি বা পাসপোর্টের সঙ্গে মিল থাকতে হবে।
নিচের টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন ও প্রাইভেসি পলিসি স্বীকার করে টিক মার্ক দিয়ে পরবর্তী ধাপে যেতে হবে। এরপর প্রদান করা ইমেইল ঠিকানা বা ফোন নম্বরে একটি ৬ অংকের ওটিপি পাঠানো হবে। এটি প্রদান করার মাধ্যমে ইমেইল বা ফোন নম্বরটি ভেরিফাই করতে হবে। যাচাই সফলভাবে সম্পন্ন হলে একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড সেট করার মাধ্যমে নিবন্ধন পদ্ধতি সম্পূর্ণ হবে।
আরো পড়ুন: বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে ফিফটিতে জ্বলে উঠলেন ইয়াসির-এনামুল
লগইন
এবার পূর্বে উল্লেখিত ফোন নম্বর ও পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইটে লগইন করলে আসন্ন ম্যাচের শিডিউল এবং টিকিট মূল্য সমন্বিত একটি পৃষ্ঠা প্রদর্শিত হবে।
আসন নির্দিষ্টকরণ
কাঙ্ক্ষিত ইভেন্টের টিকিট কিনতে 'বাই টিকিট নাউ'তে গেলে টিকিট বুকিংয়ের বিস্তারিত সংক্রান্ত একটি স্ক্রিন প্রদর্শিত হবে। এখানে গ্যালারি, ব্লক, লেভেল এবং টিকিটের সংখ্যা বাছাই করতে হবে। উল্লেখ্য যে, এই পদ্ধতিতে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে সর্বোচ্চ ৪টি টিকিট ক্রয় করা যাবে। বাছাই কার্য সম্পন্ন হলে নিচে ভ্যাটসহ টিকিট বাবদ মোট খরচ দেখানো হবে।
টিকিটের মূল্য পরিশোধ
অতঃপর, ‘কনফার্ম অ্যান্ড মেক পেমেন্ট’-এ প্রেস করলে একটি পপ-আপ বার্তার মাধ্যমে ১০মিনিটের মধ্যে মূল্য পরিশোধের তাগিদ দেওয়া হবে। এখানে ‘কন্টিনিউ’ দিলে সরাসরি ‘ইপে’-এর ইন্টারফেসে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে অনলাইন পরিশোধের মাধ্যম হিসেবে পাওয়া যাবে বিভিন্ন ধরনের মোবাইল গেটওয়ে, অনলাইন ব্যাংকিং ও কার্ড ব্যবস্থা। এগুলোর যেকোনো একটি বাছাই করে, একদম নিচে ‘পে নাউ’-এ প্রেস করে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করলেই টিকিট বুকিং হয়ে যাবে।
এর ফলে ‘গো বিসিবি টিকিট’ সাইটে ইউজার ড্যাশবোর্ডে বুকিং ডিটেইলস-এ টিকিট স্ট্যাটাস-এ ‘পেইড’ দেখাবে।
আরো পড়ুন: জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করল ফরচুন বরিশাল
ই-টিকিট ডাউনলোড
‘ভিউ ডিটেইলস’-এ গেলে টিকিট ডিটেইলসের পেজটি প্রদর্শিত হবে। এখানে ‘মার্ক ইওর ক্যালেন্ডার’ চিহ্নিত বক্সে কার্সার নিয়ে গেলে ছোট দুটো বক্সে নাম ও মোবাইল নম্বর চাওয়া হবে। তথ্যগুলো প্রদান করে সাবমিট দেওয়ার পরে ওপরে ‘রিকোয়েস্ট টিকিট’-এ প্রেস করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে আসা পপ-আপ বার্তায় ‘কনফার্ম রিকোয়েস্ট’ দিলেই চলে আসবে কাঙ্ক্ষিত ই-টিকিট। এই সফট কপিটি ডাউনলোডের পর প্রিন্ট করে নেওয়া যাবে।
এছাড়াও, ‘বুক টিকিটস অন দ্য গো’ নামের অ্যাপটি ডাউনলোড করেও টিকিট কেনা যাবে। অ্যাপটির আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড দুটো ভার্সনই এই ‘গো বিসিবি টিকিট’ সাইটে পাওয়া যাবে।
কোন ব্যাংক থেকে বিপিএলের টিকিট কেনা যাবে
অনলাইনের পাশাপাশি অফলাইনেও থাকছে টিকিট সংগ্রহের ব্যবস্থা। কাগুজে টিকিট সংগ্রহ করা যাবে মধুমতি ব্যাংকের ৭টি শাখায়।
এগুলো হলো:
· মিরপুর ১১-এর মিরপুর শাখা
· ঢাকা চেম্বার ভবনে অবস্থিত মতিঝিল শাখা
· জসিম উদ্দিন রোডের উত্তরা শাখা
· গুলশান ১ এবং ২-এর মধ্যবর্তী গুলশান শাখা
· ধানমন্ডি পুরাতন ২৭ নম্বর রোডের ধানমন্ডি শাখা
· কামরাঙ্গীর চর শাখা
· পল্টন স্কাউট ভবনের ভিআইপি রোড শাখা
আরো পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি: ভারতের বিপক্ষে অভিযান শুরু করবে টাইগাররা
বিপিএল ২০২৫-এর টিকিট মূল্য
· আসনের ক্যাটাগরির ভিত্তিতে নির্ধারণ করা হয়েছে টিকিটের দাম। ভিন্ন ভিন্ন মূল্যে আসন বিন্যাস নিম্নরূপ:
· গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডের উপরের ও নিচের উভয় স্তরের জন্য ২ হাজার টাকা
· ইন্টারন্যাশনাল গ্যালারি নর্থ বা মিডিয়া ব্লক ও ইন্টারন্যাশনাল লাউঞ্জ সাউথ বা কর্পোরেট ব্লকের জন্য ১ হাজার টাকা
· ইন্টারন্যাশনাল গ্যালারি সাউথ (কর্পোরেট ব্লক)-এ আসনের জন্য ৮০০ টাকা
· জিরো ওয়েস্ট জোন-এর প্রায় ৩০০টি আসনের প্রতিটির টিকিট ৬০০ টাকা
· ক্লাব হাউস উত্তর (শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ড) ও দক্ষিণ (শহীদ মুস্তাক স্ট্যান্ড)-এর জন্য ৫০০ টাকা
· সাউদার্ন ও নর্দার্ন গ্যালারির জন্য ৩০০ টাকা
· ইস্টার্ন গ্যালারিতে ২০০ টাকা
শেষাংশ
‘গো বিসিবি টিকিট’ ওয়েবসাইট এবং মধুমতি ব্যাংকের ৭টি শাখা বিপিএলের ১১তম আসরের টিকিট ক্রয়কে আরও সহজতর করেছে। অনলাইন টিকিট বুকিং প্রক্রিয়াটি উপরোক্ত ওয়েবসাইটের পাশাপাশি মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমেও সম্পন্ন করা যাবে। সর্বমোট ১১ ধরণের আসনে বিপরীতে এবারের টিকিট মূল্য বণ্টন সর্বনিম্ন ২০০ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ২ হাজার টাকা।
আরো পড়ুন: বিপিএলের টিকিট নিয়ে মিরপুরে ভক্তদের সংঘর্ষ
৩৫০ দিন আগে
জয় দিয়ে বিপিএল শুরু করল ফরচুন বরিশাল
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্বার রাজশাহীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশাল।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বিপিএলের এবারের আসর শুরু হয়।
সপ্তম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ফাহিম আশরাফের ৮৮ রানের জুটি বরিশালের জয় নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখে।
১৯৮ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্যে পৌঁছাতে মাঠে নেমে বরিশাল তাদের ইনিংসের প্রথম বলেই হারায় তাদের ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্তকে। জিসান আলমের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি।
পাওয়ার প্লের মধ্যেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে তিন উইকেটে ৩০ রান তুলতে সক্ষম হন তারা।
এরপর তৌহিদ হৃদয় ২৩ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে শুরুর ধাক্কা সামলে নেয়। কিন্তু কাইল মেয়ার্স (৫) ও মুশফিকুর রহিম (১৩) দ্রুত আউট হওযায় বরিশাল আরও বিপদে পড়ে যায়।
অর্ধেক ওভার গড়ার আগেই বরিশাল অর্ধেক উইকেট হারায়। ১৩তম ওভারে নিজেদের ষষ্ঠ উইকেট হারায় তারা।
ম্যাচের এই পর্যায়ে মাহমুদউল্লাহ ও আশরাফি শক্তভাবে দাঁড়িয়ে ম্যাচ জয়ের শক্তিশালী জুটি গড়েন।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১১ বল হাতে রেখে চার উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।
এর আগে ইয়াসিরের ৪৭ বলে অপরাজিত ৯৪ ও এনামুলের ৫১ বলে ৬৫ রানের ওপর ভর করে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ৩ উইকেটে ১৯৭ রানের বড় স্কোর করে দুর্বার রাজশাহী।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে আসা দুর্বার রাজশাহী ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে জিসান আলমকে শূন্য রানে আউট করেন কাইল মায়ার্স। স্কোর বোর্ডে ২৫ রান উঠতেই রাজশাহী দ্বিতীয় উইকেট হারায়।
আরও পড়ুন: বিপিএলের টিকিট নিয়ে মিরপুরে ভক্তদের সংঘর্ষ
বরিশাল ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে ১৪০ রানের জুটি গড়েন এনামুল ও ইয়াসির।
১৮তম ওভারে পতনের আগে এনামুল ৫১ বলে ৪টি চার ও পাঁচটি ছক্কায় ৬৫ রান করে দলকে এগিয়ে নেন।
তবে উইকেটের অপর প্রান্তে ছিলেন ইয়াসির। সাতটি ৪ ও আটটি ছক্কায় ৯৪ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
বছরের পর বছর ধরে বিপিএল থেকে ছিটকে পড়া মায়ার্স প্রত্যাবর্তন করে রাজশাহীর হয়ে দুটি উইকেট নেন
এদিকে টিকিট নিয়ে সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের সামনে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তারা স্টেডিয়ামের একটি গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জও করেছিল।
৩৫০ দিন আগে