সিলেটের বোলারদের তোপে ইনিংসের প্রথমার্ধে খানিকটা কাবু হয়ে থাকলেও শেষার্ধে খোলস ছেড়ে বের হয়ে আসেন ইফতিখার আহমেদ-নুরুল হাসান সোহানরা। এই দুই ব্যাটারের দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত সিলেটের সামনে লড়াই করার মতো সংগ্রহ দাঁড় করেছে রাইডার্স।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রান সংগ্রহ করেছে সোহানের দল।
দলের হয়ে অপরাজিত সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতিখার আহমেদ। ৪২ বলে একটি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে এই রান করেন তিনি। এছাড়া ২৪ বলে দুটি ছক্কা ও চারটি চার মেরে ৪১ রান করেন অধিনায়ক সোহান।
সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন তানজিম সাকিব ও আল-আমিন হোসেন।
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন প্রথম ম্যাচে জয় পাওয়া রংপুর অধিনায়ক। প্রথম দুই ওভারে ২১ রান তুলে ভালো শুরুর ইঙ্গিতও দেয় তার দল। তবে চতুর্থ ওভারের দ্বিতীয় বলেই তানজিমের বলে এগিয়ে এসে ছক্কা মারতে গিয়ে মিড অফে আরিফুল হকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অ্যালেক্স হেলস (৬)। পরের ওভারেই সাইফ হাসান (৪) ও স্টিভেন টেইলরকে (১২) সাজঘরে ফেরান নিজের প্রথম ওভারে ১৭ রান দেওয়া আল-আমিন। ফলে ৫ ওভারে ২৮ রান তুলতেই তিন টপ-অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে যায় রংপুর।
আরও পড়ুন: চিটাগংকে হারিয়ে বিপিএল অভিযান শুরু খুলনার
এরপর উইকেটে থিতু হতে ধীর লয়ে খেলতে থাকেন ইফতিখার ও খুশদিল শাহ। ৩৮ বলে ৪১ রানের জুটি গড়ে দ্বাদশ ওভারে বিদায় নেন খুশদিল (২১)। এরপর অধিনায়ক সোহানের সঙ্গে আরও একটি বড় জুটির পথে এগোন ইফতিখার। এ সময় থেকে তারা রানের গতি বাড়ানোরও চেষ্টা শুরু করেন এবং তাতে সফল হন এই দুই ব্যাটার। ৪১ বলে ৬৫ রানের জুটি গড়েন তারা। এরপর বড় শট নিয়ে ১৮.১তম ওভারে ক্যাচ হয়ে ফেরেন সোহান। সোহান আউট হলে ৮ বলে ১৬ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলে ইনিংসের এক বল বাকি থাকতে ফিরতে হয় শেখ মেহেদীকে। শেষ বল খেলতে ক্রিজে এসে ২ রান করেন সাইফউদ্দিন। অপর প্রান্তে ৪২ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন ইফতিখার। ফলে ১৫৫ রানে থামে রংপুরের ইনিংস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স: ১৫৫/৬ (ইফতিখার ৪৭*, সোহান ৪১, খুশদিল ২১; তানজিম সাকিব ২/২৭, আল-আমিন ২/৩১)।