খেলাধুলা
৫-০ গোলে জয়ের রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রেকর্ড ভাঙল সিটি
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ইন্টার মিলানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ ড্র করার পর থেকে মাঠের পারফরম্যান্সে ক্রমেই উন্নতি করে চলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। এরই ধারাবাহিকতায় স্পার্তা প্রাহাকে উড়িয়ে দিয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। সেইসঙ্গে টুর্নামেন্টের ইতিহাসে অনন্য এক উচ্চতায় উঠেছে ক্লাবটি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে চেক রিপাবলিকের ক্লাব স্পার্তা প্রাহাকে ৫-০ গোলে হারিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।
এদিন সিটির হয়ে জোড়া গোল করেন আর্লিং হালান্ড। বাকি তিনটি গোল আসে ফিল ফোডেন, জন স্টোন্স ও ম্যাথুস নুনেসের পা থেকে।
জোড়া গোলের ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মোট ৪২ ম্যাচ খেলে ৪৪ গোল হয়েছে হালান্ডের। এর মাধ্যমে টুর্নামেন্টটির সর্বকালের চতুর্দশ সেরা গোলদাতা দিদিয়ের দ্রগবাকে স্পর্শ করেছেন হালান্ড। তবে দ্রগবার চেয়ে প্রায় অর্ধেক ম্যাচ খেলেই তাকে ছুঁয়ে ফেলেছেন ২৪ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার।
আরও পড়ুন: দুর্দান্ত জয়ে নিজেদের রেকর্ড ছুঁয়েছে সিটি
ম্যাচটি জিতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অপরাজেয় যাত্রার রেকর্ড গড়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। টুর্নামেন্টটিতে সবশেষ ২৬ অপরাজিত রয়েছে তারা। এর ফলে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গড়া রেকর্ডটি নিজেদের করে নিয়েছে গার্দিওলার দল।
২০০৭ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের তত্ত্বাবধায়নে টানা ২৫ ম্যাচ অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ অপরাজিত থাকার রেকর্ডটি এতদিন ছিল ইউনাইটেডের দখলে।
এছাড়া, চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এখনও হারের স্বাদ পায়নি ম্যানচস্টার সিটি। গত ১০ আগস্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে টাইব্রেকারে হারিয়ে কমিউনিটি শিল্ড জেতার পর প্রিমিয়ার লিগ, চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ক্যারাবাও কাপ মিলিয়ে মোট ১৩ ম্যাচ খেলেছে তারা। এর মধ্যে ড্র করেছে মাত্র তিনটি ম্যাচ, বাকি ১৩ ম্যাচেই জয়ের দেখা পেয়েছে টানা চারবারের প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তিন ম্যাচে দুটি জয় ও একটি ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে সিটি। তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে শীর্ষে রয়েছে উনাই এমেরির অ্যাস্টন ভিলা এবং দ্বিতীয় স্থানে লিভারপুল।
দিনের অপর ম্যাচে লাইপসিগকে ১-০ গোলে হারিয়েছে আর্নে স্লটের শিষ্যরা। এছাড়া বার্সেলোনার কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।
আরও পড়ুন: রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
৪১৮ দিন আগে
রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকে ৯ বছর পর বায়ার্নকে হারাল বার্সেলোনা
২০১৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে সবশেষ বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছিল বার্সেলোনা। তারপর থেকে এই বায়ার্নই হয়ে ছিল দলটির কাছে এক আতঙ্কের নাম। পরে যতবার দেখা হয়েছে, বড় ব্যবধানে বার্সাকে হারিয়ে জয়োল্লাস করেছে বাভারিয়ানরা। তবে ৯ বছর পর দুর্দান্তভাবে জিতে সেইসব ক্ষতে প্রলেপ দিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে বুধবার রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বায়ার্ন মিউনিখকে ৪-১ ব্যবধানে হারিয়েছে হান্সি ফ্লিকের ছোঁয়ায় বদলে যাওয়া বার্সেলোনা।
এদিন রাফিনিয়ার হ্যাটট্রিকের পাশাপাশি অন্য গোলটি করেন রবের্ট লেভানডোভস্কি। আর বায়ার্নের একমাত্র গোলটি আসে হ্যারি কেইনের পা থেকে।
ইউরোপ সেরার এ প্রতিযোগিতায় বায়ার্নের বিপক্ষে টানা ছয় ম্যাচ হারের পর জয়ের মুখ দেখল বার্সেলোনা। তাদের সবশেষ জয়টি ছিল প্রায় সাড়ে ৯ বছর আগে; ২০১৫ সালের মে মাসে কাম্প নউয়ে সেমিফাইনালের প্রথম লেগে নেইমারের একটি ও লিওনেল মেসির জোড়া গোলে ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল কাতালানরা।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সব মিলিয়ে বায়ার্নের সঙ্গে ১৪ বারের দেখায় বার্সেলোনার মাত্র তৃতীয় জয় এটি; এছাড়া একটি ম্যাচ ড্র এবং হেরেছে ১০টি।
ম্যাচের তখনও এক মিনিট পার হয়নি, এর আগেই গোল করে বার্সেলোনাকে এগিয়ে নেন রাফিনিয়া।
মাঝমাঠ থেকে ফের্মিন লোপেসের বাড়ানো বল ধরে বায়ার্নের হাই লাইন ডিফেন্স ভেঙে এগিয়ে যান রাফিনিয়া। এরপর ম্যাচের ৫৭তম সেকেন্ডে মানুয়েল নয়ারকে পরাস্ত করেন তিনি।
৪১৮ দিন আগে
ভারতকে উড়িয়ে সাফের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ
পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ের আশা করলেও কোনোমতে হার এড়িয়ে সেমিফাইনালে ওঠার আশা জিইয়ে রেখেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। তবে ভারতের বিপক্ষে দুর্দান্ত জয়ে শেষ চার নিশ্চিত করেছেন তহুরা-সাবিনারা।
নেপালের কাঠমাণ্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে বুধবার নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। এ নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েদের ফুটবলের সর্বোচ্চ আসরে দ্বিতীয়বার ভারতে হারালেন সাবিনারা।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তের গোলে পাকিস্তানের বিপক্ষে হার এড়াল বাংলাদেশ
এদিন ম্যাচের অষ্টাদশ মিনিটে আফিদার দৃষ্টিনন্দন গোলে প্রথমবার এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
সাবিনার কর্নার প্রতিহত হওয়ার পর বল সামনে চলে এলে বল পেয়ে যান প্রথমবারের মতো সাফে অংশ নেওয়া আফিদা। এরপর নিখুঁত শটে লাফিয়ে ওঠা গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন এই ডিফেন্ডার। জাতীয় দলের জার্সিতে এটিই আফিদার প্রথম গোল।
এরপর ২৯তমি মিনিটে ফের আনন্দে ভাসে বাংলাদেশ। এবার ঋতুপর্ণার ক্রস বুক দিয়ে জালে পাঠিয়ে দেন তহুরা।
দুই গোলে এগিয়ে যাওয়ায় আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায় দেশের মেয়েদের, যার প্রভাব পড়ে খেলায়ও। পরে ৪৩তম মিনিটে তহুরার আরও একটি গোলে স্কোরলাইন ৩-০ করে বাংলাদেশ।
তবে পরের মিনিটেই এক গোল পরিশোধ করে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গি দিয়ে বিরতিতে যায় ভারত।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নেমেই ব্যবধান কমাতে মরিয়া হয়ে ওঠে ভারত, তবে গোলরক্ষক রূপনার দৃঢ়তায় কোনোভাবেই আর তা হয়ে ওঠেনি। ৩-১ গোলের ব্যবধান ধরে রেখেই মাঠ ছাড়ে পিটার বাটলারের দল।
এই জয়ে দুই ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করল বাংলাদেশ। অন্যদিকে, হারলেও একটি করে জয় ও হারে ৩ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার-আপ হয়ে সেমিতে পা রেখেছে ভারতের মেয়েরা।
আজকের জয়ে সাফে টানা সাত ম্যাচ অপরাজিত রইল বাংলাদেশের মেয়েরা।
৪১৮ দিন আগে
এল ক্লাসিকোর আগে রিয়াল শিবিরে জোড়া দুঃসংবাদ
শুরুতে পিছিয়ে পড়েও ৫-২ গোলে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে উড়িয়ে দিয়ে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর হয়ে আছে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু এর মাঝেই দুটি চোটের খবর পেল দলটি।
পরবর্তী ম্যাচে লা লিগায় শনিবার বার্সেলোনাকে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে আতিথ্য দেবে কার্লো আনচেলত্তির দল। ওই ম্যাচের আগে ছিটকে গেছেন রিয়াল মাদ্রিদ গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ও ফরোয়ার্ড রদ্রিগো গোয়েস।
ডর্টমুন্ড ম্যাচের পাঁচ মিনিট বাকি থাকতেই উরুতে টান লাগায় মাঠ ছাড়তে হয় রদ্রিগোকে। এরপর বুধবার ক্লাবটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চোটটি গুরুতর না হলেও কয়েকদিনের জন্য রদ্রিগোকে পাবে না রিয়াল মাদ্রিদ।
বৃহস্পতিবার পায়ে এমআরআই করার পর তার চিকিৎসা শুরু হবে। তবে পরের ম্যাচে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে তাকে স্কোয়াডে দেখা যেতে পারে বলে ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
এছাড়া ম্যাচ শেষে জানানো হয়, পায়ে চোট পেয়েছেন গোলরক্ষক কোর্তোয়াও। গত মাসে আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে যেখানে চোট পেয়েছিলেন, সে স্থানেই ফের ব্যথা অনুভব করেছেন এই বেলজিয়ান।
কোর্তোয়াকে নিয়ে বিবৃতিতে রিয়াল মাদ্রিদ জানিয়েছে, পায়ের পেশিতে চোট পেয়েছেন কোর্তোয়া। ফলে বার্সেলোনার বিপেক্ষে আসন্ন এল ক্লাসিকো মিস করবেন তিনি।
চোটের কারণে ইতোমধ্যে মৌসুমই প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছে লস ব্লাঙ্কোস অধিনায়ক দানি কারভাহালের। এছাড়া লম্বা সময় ধরে মাঠের বাইরে রয়েছেন ডিফেন্ডার ডেভিড আলাবা। তবে চোট কাটিয়ে ইতোমধ্যে অনুশীলনে ফিরেছেন ব্রাহিম দিয়াস।
৪১৮ দিন আগে
মিরাজের ব্যাটিংয়ে ভর করে তৃতীয় দিন শেষ করল বাংলাদেশ
দ্বিতীয় দিনের মতো তৃতীয় দিনের শুরুতেও টপাটপ দুই উইকেট পড়ার কিছুক্ষণ পর লিটন দাসও ফিরে গেলে ফের একবার ইনিংস ব্যবধানে হারের শঙ্কায় পড়ে বাংলাদেশ। তবে জাকের আলী ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটিং দৃঢ়তায় বিপদমুক্ত হয়ে কিছু রানের লিড নিয়ে দিন শেষ করেছে টাইগাররা।
মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে বুধবার ৮৩ রানের লিড নিয়ে সাত উিইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান সংগ্রহ করে দিনের খেলা শেষ করেছে বাংলাদেশ।
মিরাজ ৮৭ রানে এবং নাঈম হাসান ১৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: শুরুর ভাঙনরোধ করে দিন শেষ করল বাংলাদেশ
এদিন ১১২ রানের মাথায় ৬ উইকেট হারানোর পর বিপাকে পড়ে যায় বাংলাদেশ। তবে ১৩৮ রানের জুটি গড়ে সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন মিরাজ-জাকের। ব্যক্তিগত ৫৮ রান করে জাকের ফিরে গেলে নাঈম সঙ্গে নিয়ে স্কোবোর্ডে অবিচ্ছিন্ন আরও ৩৩ রান যোগ করেছেন মিরাজ।
এরপর বৃষ্টি ও আলোকস্বল্পতায় আগেভাগেই শেষ হয় তৃতীয় দিনের খেলা। ৮৭ রানের লিড থাকায় আগামীকাল বাকি তিন উইকেটে আরও অন্তত দেড়শ রানের লিড নিলেও লড়াই করা, এমনকি ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে।
এর আগে, চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় মাত্র ১০৬ রানে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার পর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩০৮ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেটরক্ষক-ব্যাটার কাইল ভেরেইনের অনবদ্য ১১৪ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে প্রথম ইনিংসে ২০২ রানের লিড পায় প্রোটিয়ারা।
৪১৮ দিন আগে
রিয়াল-ডর্টমুন্ড: ধ্রুব লড়াইয়ে ম্যাচজুড়ে যা হলো
ম্যাচের আগে শিষ্যদের প্রতি দলগত ঐক্যের যে ডাক দিয়েছিলেন নুরি সাহিন, মাঠে তার প্রতিফলনের মাধ্যমেই প্রথমার্ধে দাপুটে ফুটবল উপহার দিয়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে কার্লো আনচেলত্তির মাস্টারমাইন্ডের কাছে মার খেয়ে যায় তার কৌশল। ফলে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও শোচনীয় পরাজয় বরণ করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে গতবারের রানার-আপদের।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে খেলতে নামে গতবারের দুই ফাইনালিস্ট। প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে শুরুতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে ডর্টমুন্ডকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল।
এদিন দুই অর্ধে দুই দলের দাপট দেখে দর্শক। প্রথমার্ধে রিয়ালের মাঠে তাদের ওপরই ছড়ি ঘুরিয়ে এবং কার্যকর রক্ষণাত্মক ফুটবলে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ডর্টমুন্ড। তবে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের পর আক্রমণে এমন চাপ সৃষ্টি করে রিয়াল যে তা সইবার সামর্থ্য ছিল না ডর্টমুন্ডের রক্ষণভাগের। ফলে রিয়াল মাদ্রিদ একটি গোল পাওয়ার পরই বালির বাঁধের মতো ভেসে যায় দলটির রক্ষণ দেওয়াল।
আরও পড়ুন: রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
প্রথমার্ধে যেখানে কেবল একটি শট গোলে রাখতে সক্ষম হয় রিয়াল মাদ্রিদ, দ্বিতীয়ার্ধে গিয়ে সেখানে আক্রমণই শানায় তারা ১৭টি, তার ৯টি শট ছিল লক্ষ্যে। অপরদিকে, প্রথমার্ধে নেওয়া ৬টি শটের পাঁচটিই লক্ষ্যে রাখলেও দ্বিতীয়ার্ধে ডর্টমুন্ড শটই নিতে পারে মাত্র দুটি; দুটিই অবশ্য লক্ষ্যে ছিল।
এদিন সাবধানি শুরুর পর ম্যাচের ৩০তম মিনিটে খেলা গড়াতেই ডর্টমুন্ডের অনবদ্য একটি দলীয় প্রচেষ্টা দেখে দর্শক। আর এতেই দারুণ একটি গোল পেয়ে ম্যাচে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।
লম্বা লম্বা পাসে মাঠের এপাশ থেকে ওপাশে বল আদান-প্রদান করতে করতে রিয়ালের বক্সের সামনে উঠে আসে ডর্টমুন্ড। সেখান থেকে হঠাৎ বক্সের ভেতরে কিছুটা ডান দিকে বল ঠেলে দেন সেরিউ গিরাসি, তা ধরেই থিবো কোর্তোয়াকে পরাস্ত করেন ডনিয়েল মালেন।
এর পাঁচ মিনিট পর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডর্টমুন্ডের জেমি গিটেন্স। এবার তাকে অ্যাসিস্ট করেন মালেন।
রিয়ালের একটি আক্রমণ প্রতিহত করে পাল্টা আক্রমণে উঠে ডান পাশ দিয়ে প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে পড়েন মালেন। এরপর বিপরীত দিকে ক্রস বাড়ান তিনি। তা দেখে পেছন থেকে দ্রুত এগিয়ে গিয়ে পা প্রসারিত করে বল একপ্রকার ফাঁকা জালে বল জড়িয়ে দেন ২০ বছর বয়সী এই ইংলিশ উইঙ্গার। অবাক করার বিষয় হচ্ছে, রিয়ালের দুজন ডিফেন্ডারের মাঝখান দিয়ে তিনি ভেতরে ঢুকে পড়লেও তাকে মার্কই করেননি তাদের কেউ।
এর ফলে, রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বকনিষ্ঠ ইংলিশ ফুটবলার বনে যান গিটেন্স। ২০ বছর ৭৫ দিন বয়সে তিনি এ রেকর্ড গড়েন। এর আগে এই রেকর্ডটি ছিল লিডস ইউনাইটেডের অ্যালান স্মিথের দখলে। ২০০১ সালে ২০ বছর ১২৯ দিন বয়সে রিয়াল মাদ্রিদের জালে বল জড়ান তিনি। শুধু তা-ই নয়, প্রথম ডাচ ফুটবলার হিসেবে সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে রিয়ালের বিপক্ষে একই ম্যাচে গোল ও অ্যাসিস্ট করার কীর্তি গড়েন মালেন।
৪১৯ দিন আগে
রিয়ালের অগ্নিঝরা ফুটবলে পুড়ে ছাই ডর্টমুন্ড
প্রথমার্ধে যেভাবে চকিতে দুই গোল করে ম্যাচে এগিয়ে গিয়েছিল বরুশিয়া ডর্টমুন্ড, দ্বিতীয়ার্ধে তেমনভাবেই চমকে দিয়ে দুই গোল করে সমতায় ফেরে রিয়াল মাদ্রিদ। আর এরপর লস ব্লাঙ্কোসদের আক্রমণের তোড়ে কোথায় যেন ভেসে গেল জার্মান ক্লাবটি।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে খেলতে নামে গতবারের দুই ফাইনালিস্ট। প্রতিশোধের উদ্দেশ্যে মাঠে নেমে শুরুতে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেও ঘুরে দাঁড়িয়ে ডর্টমুন্ডকে ৫-২ গোলে হারিয়েছে রিয়াল।
এদিন ম্যাচের দুই অর্ধে আধিপত্য বিস্তার করে দুই দল। ম্যাচের ৩০ ও ৩৪ মিনিটে দুটি গোল করে ডর্টমুন্ডকে এগিয়ে নেন যথাক্রমে ডনিয়েল মালেন ও জেমি গিটেন্স।
এরপর দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই এমন আক্রমণ শুরু করে রিয়াল মাদ্রিদ যে তাদের আক্রমণের তোড়ে ডর্টমুন্ডের ভেসে যাওয়ার উপক্রম হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৬০ ও ৬২তম মিনিটে যথাক্রমে আন্টনিও রুয়েডিগার ও ভিনিসিউস জুনিয়রের হঠাৎ দুটি গোলে প্রতিপক্ষের মতোই চকিতে সমতায় ফেরে রিয়াল।
তবে এরপর ম্যাচের রাশ টেনে ধরতে ব্যর্থ হয়ে ম্যাচ থেকেই কার্যত ছিটকে যায় সফরকারীরা। মাঝে ৮৩তম মিনিটে লুকাস ভাসকেসের গোলে প্রথমবার এগিয়ে যাওয়ার পর ৮৬তম ও যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে আরও দুটি গোল করে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিক পূরণ করেন ভিনিসিউস।
আরও পড়ুন: রিয়ালকে হারাতে শুধু মনোবলই যথেষ্ট নয়: ডর্টমুন্ড কোচ
এই জয়ে তিন ম্যাচের দুটি জিতে টেবিলের নবম স্থানে উঠে এসেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সেইসঙ্গে শীর্ষে থাকা ডর্টমুন্ডকে টেনে পঞ্চম স্থানে নামিয়ে এনেছে তারা। দুই দলের পয়েন্টই সমান (৬), তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় টেবিলের উপরের দিকে রয়েছে ডর্টমুন্ড।
দিনের অপর ম্যাচে ৪০তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া ক্লাব ব্রুজের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতে প্রথম পয়েন্টের দেখা মিলেছে এসি মিলানের। এর আগে লিভারপুল ও লেভারকুজেনের কাছে হারে পাওলো ফনসেকার শিষ্যরা।
এছাড়া, রেডস্টার বেলগ্রেডকে ৫-১ গোলে উড়িয়ে তিন ম্যাচে দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে মোনাকো। এ ছাড়াও শাখতার দোনেৎস্ককে বিপক্ষে ১-০ গোলে আর্সেনাল, স্লোভান ব্রাতিস্লাভার বিপক্ষে ২-০ গোলে জিরোনা, স্ট্রাম গ্রাসের বিপক্ষে ২-০ গোলে স্পোর্তিং ও ইতালির ক্লাব বোলোনিয়ার বিপক্ষে ২-০ গোলের জয় পেয়েছে অ্যাস্টন ভিলা।
আজকের ম্যাচ জিতে টানা তিন জয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষস্থান দখল করেছে উনাই এমেরির দল।
তবে হোঁচট খেয়েছে ইউভেন্তুস ও পিএসজি। শেষের দিকে দশজনের দলের পরিণত হওয়া ইউভেন্তুস স্টুটগার্টের কাছে হেরেছে ১-০ গোলে। যোগ করা সময়ে গোল হজম করে ঘরের মাঠ থেকে পয়েন্ট খুইয়েছে তারা। আর পিএসভি আইন্ডহোভেনের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করেছে লুইস এনরিকের পিএসজি।
৪১৯ দিন আগে
রিয়ালকে হারাতে শুধু মনোবলই যথেষ্ট নয়: ডর্টমুন্ড কোচ
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদ মানেই যে বিশেষ কিছু, তা ভালোভাবেই জানেন বরুশিয়া ডর্টমুন্ড কোচ নুরি সাহিন। তাই টুর্নামেন্টটির ‘রাজাদের’ হারাতে শুধু জয়ের দৃঢ় মানসিকতা থাকলেই হবে না বলে শিষ্যদের সতর্ক করেছেন তিনি।
ওয়েম্বলিতে অনুষ্ঠিত গত মৌসুমের ফাইনাল ম্যাচের প্রথম ৬০ মিনিট অসাধারণ পারফর্ম করেও দানি কারভাহাল ও ভিনিসিউস জুনিয়রের শেষের গোলে শিরোপা হাতছাড়া হয় ডর্টমুন্ডের। আর ১৫ বারের মতো ইউরোপ সেরার মুকুট পরে নিজেদের গড়া রেকর্ড আরও উচ্চতায় তোলে রিয়াল মাদ্রিদ।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল হেরে ডর্টমুন্ডের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান তৎকালীন কোচ এদিন তেজরিচ। তারপর থেকে জার্মান ক্লাবটির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন ক্লাবটির সাবেক খেলোয়াড় নুরি সাহিন।
আরও পড়ুন: ডর্টমুন্ডকে বিদায় জানালেন তেজরিচ
চলতি মৌসুমে নতুন ফরম্যাটের এই টুর্নামেন্টের লিগপর্বের তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচেই মুখোমুখি হচ্ছে গতবারের দুই ফাইনালিস্ট। সান্তিয়াগো বের্নাবেউতে ম্যাচটি শুরু হবে আজ রাত একটায়। এই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন সাহিন।
তিনি বলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে জিততে হলে শুধু দৃঢ় মনোবল থাকলেই চলবে না। বিশেষ করে তাদের মাঠে গিয়ে কাজটি করা আরও কঠিন। তাই মাঠে আমাদের সবকিছু উজাড় করে দিতে হবে। দক্ষতা, আত্মবিশ্বাস ও দৃঢ় মনোবল- সবকিছু। এমনকি জার্মানিতে আমরা যেমনটি বলে থাকি- ‘খেলার ভাগ্য’, সেটিরও প্রয়োজন হবে।’
‘ম্যাচের ফল আমাদের পক্ষে নিতে হবে, তাই শুধু মনোবলই যথেষ্ট হবে না। তবে জিততে হলে জয়ের মানসিকতা রাখারও বিকল্প নেই।’
গত মৌসুমের হতাশা ঝেড়ে ফেলে চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে দারুণ শুরু করেছে ডর্টমুন্ড। ক্লাব ব্রুজকে প্রথম ম্যাচে ৩-০ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে সেল্টিককে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত করে তারা।
আরও পড়ুন: উয়েফাকে ‘মাফিয়া’ বলল ডর্টমুন্ড সমর্থকরা
ফলে দুই রাউন্ডের খেলা শেষে পূর্ণ ৬ পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে এগিয়ে থেকে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে সাহিনের দল। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষেও জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে দলীয় প্রচেষ্টার বিকল্প দেখছেন না ৩৬ বছর বয়সী এই ম্যানেজার।
‘দলগত প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কেবল (রিয়ালের বিপক্ষে) জয়ের ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব। ছেলেরা জানে, কীভাবে খেলতে হবে। গত দুই ম্যাচের পারফরম্যান্সের ওপর দাঁড়িয়ে সাহসিকতার সঙ্গেই তাদের (রিয়াল) মোকাবিলা করতে চাই।’
৪১৯ দিন আগে
ফুটবল ছেড়ে টেনিস খেলছেন দিয়েগো ফোরলান
ক্যারিয়ারজুড়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও আতলেতিকো মাদ্রিদের মতো ইউরোপের বড় বড় ক্লাবে খেলে অবসর নিলেও টেনিসে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করেছেন উরুগুয়ে কিংবদন্তি দিয়েগো ফোরলান। এবার টেনিসেরই নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন তিনি।
আগামী মাসে উরুগুয়ে ওপেনে এটিপি চ্যালেঞ্জার টেনিসের ডবলসে অভিষেক হতে চলেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই সাবেক ফরোয়ার্ডের।
এটিপি সিঙ্গেলস র্যাঙ্কিংয়ের ১০১ নম্বরে থাকা আর্জেন্টাইন ফেদেরিকো কোরিয়ার সঙ্গে খেলবেন উরুগুয়ের সাবেক এই ফুটবল তারকা।
আরও পড়ুন: অবসরের ৭ বছর পরও ক্লাবগুলো ডাকছে: তত্তি
আগামী ১১ থেকে ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত উরুগুয়ের রাজধানী মন্তেভিদিওতে অনুষ্ঠিত হবে টেনিস প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্তর এটিপি চ্যালেঞ্জার ট্যুরের অংশ এই টুর্নামেন্টটি।
উরুগুয়ে ওপেনের টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর দিয়েগো লোপেস ফোরলানের অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি খেলবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। এ উদ্দেশ্যে বেশ কিছুদিন ধরে প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি। গত কয়েক বছর ধরে টেনিসের প্রতি তার যে নিবেদন, তাতে আমি মনে করি, এই সুযোগটি তার প্রাপ্য।’
উল্লেখ্য, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়াও ভিয়ারিয়াল, আতলেতিকো মাদ্রিদ ও ইন্টার মিলানের হয়ে মাঠে আলো ছড়ানোর পর ২০১৯ সালের আগস্টে ফুটবল থেকে অবসর নেন ফোরলান।
৪১৯ দিন আগে
অবসরের ৭ বছর পরও ক্লাবগুলো ডাকছে: তত্তি
প্রায় ৮০০ ম্যাচ খেলে ২০১৭ সালে রোমার জার্সিতে অবসর গ্রহণ করেন ইতালিয়ান কিংবদন্তি ফ্রান্সেস্কো তত্তি। তবে অবসরের সাত বছর পরও সেরি-আর ক্লাবগুলো থেকে ফেরার ডাক পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ৪৮ বছর বয়সী এই সাবেক ফুটবলার।
ক্লাব ক্যারিয়ারের পুরোটাই রোমার জার্সিতে খেলে ২০১৭ সালের ২৮ মে অবসরের ঘোষণা দেন তত্তি। স্তাদিও অলিম্পিকোতে সেদিন ম্যাচ শেষে লম্বা সময় নিয়ে নিজের বিদায়বার্তা সমর্থকদের পড়ে শোনান তিনি। প্রিয় ফুটবলারের বিদায়কালে কান্নায় ভেঙে পড়ে পুরো স্টেডিয়াম। বারবার হাত দিয়ে চোখ মুছতে দেখা যায় এই ‘ওয়ান ক্লাব লিজেন্ড’কেও।
এরপর কেটে গেছে সাতটি বছর। এর মধ্যে সেভাবে আলোচনায় ছিলেন না ২০০৬ বিশ্বকাপ জয়ী এই ফুটবলার। তবে আচমকা বোমা ফাটানোয় ফের খবরের শিরোনাম হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সেভিয়াকে বিধ্বস্ত করে এল ক্লাসিকোর প্রস্তুতি সারল বার্সেলোনা
তত্তি বলেন, ‘সেরি-আর বেশ কয়েকটি ক্লাবের পক্ষ থেকে (ফেরার) প্রস্তাব পেয়েছি। স্বীকার করতে লজ্জাই নেই- তারা এমন জোরাজুরি করেছে যে খানিকটা দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলাম।’
এভাবে এত বছর পরে মাঠে ফেরা কঠিন হলেও জীবনে অসম্ভব বলে কিছু আছে বলে মনে করেন না এই সাবেক ফুটবলার।
‘ক্যারিয়ার শেষ করার পরও (ফিরে এসে) অনেক বছর খেলেছে- এমন খেলোয়াড়ের অভাব নেই। তবে এক্ষেত্রে আপনি কোথায় খেলবেন, কতটা সম্মানের সঙ্গে খেলতে পারবেন- এসব বিষয়গুলো গুরুত্ব পায়।’
যদি অবসর ভেঙে ফেরেনও, তবে ভালোভাবে অনুশীলন করে নিজের শরীর খেলার উপযুক্ত করেই ফিরবেন বলে জানান তিনি।
‘আমার মনে হয়, দু-তিন মাস ঠিকমতো অনুশীলন করলেই মাঠে ফেরার উপযুক্ত হয়ে যাব। এখনও কমবেশি খেলে থাকি। তবে যদি এই বয়সে (প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে) ফিরতেই হয়, এমন পাগলামি করতেই হয়, তবে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিয়েই তা করা উচিৎ।’
আরও পড়ুন: উলভসের মাঠ থেকে জয় ছিনিয়ে আনল ম্যানচেস্টার সিটি
যদি ফেরেনও, তবে ইতালিয়ান কোনো ক্লাবের জার্সিতেই তাকে দেখা যেতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তত্তি।
‘এ সময় আর অন্য কোথাও নয়, ইতালিতেই থাকতে চাই। তবে কোনোভাবেই (রোমার চির প্রতিদ্বন্দ্বী) লাৎসিওর জার্সিতে আমাকে দেখতে পাবেন না।’
অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্তটি তার নিজের ছিল না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সেটি আমার সিদ্ধান্ত ছিল না। তবে ওই মুহূর্তের প্রেক্ষাপটে আমাকে ওই অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছিল।’
‘হয়তো সে কারণেই আমার মধ্যে এখনও এই বিষয়টি (মাঠে ফেরা) রয়ে গেছে। এটা সত্য যে সবকিছুরই শুরু এবং শেষ আছে, কিন্তু ওই সময়ে আমি শেষ করতে চাইনি। সে কারণেই (ফেরার) দরজাটি সবসময় খোলা ছিল।’
১৯৯৩ সালে রোমায় যোগ দিয়ে ক্যারিয়ারজুড়ে ক্লবাটি হয়ে ৭৮৬ ম্যাচ খেলে ৩০৭ গোলের পাশাপাশি ২০৭টি অ্যাসিস্ট করেন তত্তি। ক্লাবটির সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলার এবং গোলদাতাও তিনি।
২৪ বছরের ক্যারিয়ারে রোমার জার্সিতে ২০০০-০১ মৌসুমে সেরি-আ জেতেন তত্তি। এছাড়া দুটি করে কোপা ইতালিয়া ও ইতালিয়ান সুপার কাপ জিতেছেন এই ফুটবলার।
এছাড়া ১৯৯৬ সালে ইতালির জার্সিতে অভিষেকের পর ৫৮টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। এ সময়ে ৮ গোলের পাশাপাশি ২০০৬ সালে ইতালির হয়ে বিশ্বকাপ জেতেন তিনি।
আরও পড়ুন: রেকর্ড গড়া জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে ইন্টার মায়ামি
৪১৯ দিন আগে